![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
''বিদ্রোহী ভৃগু'' এবং ''ঢাকাবাসী'' দুইজনকেই জানাই আমার আন্তরিক কৃতঞ্জতা। কষ্ট করে হলেও আপনারা আমার লেখাটা পড়েছেন এবং সেই সাথে গঠনমূলক পরামর্শের মাধ্যমে এটাকে মূল্যায়িত করার কষ্ট টুকু ও করেছন।
আমি এই ব্লগের অনেক পুরাতন সদস্য হওয়া সত্যেও কখনও লেখার সাহস করিনি সেই সাথে সময়ের ও কিছু অপ্রতুলতা আমি ভাবতাম,আমার লেখা কে পড়বে,আমার লেখা কি আদৌ কোন লেখার মানে পড়বে কিনা !!! কারন পেশাগত কারনে আমার কাজ ব্লগ তৈরি করা,তাতে লেখা না।উল্টো কিছুটা ভয় বা হিনমন্যতা কাজ করতো এই ভেবে দুই একজন যদিবা পড়েও নির্ঘাত গাল মন্দ করবে “লেখক” গোষ্ঠীর ইমেজ নষ্ট করার জন্য।তাছাড়া বন্ধু বান্ধবের টিটকারীর ভয়ও ছিল,লজ্জায় কুকড়ে যেতা্ম এই ভেবে যে,তার হয়ত আমাকে দেখে্ই মুখ বাকিয়ে হাসবে,বলবে “স্যাররে এরশাদ এর রোগে পাইছে,লেখক হইছে,নাম ফুটানোর খায়েশ!!”।
সত্যি কথা বলতে গেলে,আমি অনায়াসে লেখাটাকে একচতুর্থাংশে নামিয়ে একটা রসিক গদ্যে পরিনত করতে পারতাম,অসংখ্য পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারতাম।তাদেরকে একটা সংক্ষিপ্ত রসপূর্ণ রম্যের স্বাদ দিতে পারতাম।হয়তো কিছু বাহবা পেতাম।মনের ভিতর গোপন ইচ্ছাটা তা্ই ছিল,লেখা শুরুও করেছিলাম,ঐ ভাবে মাথার ভিতর প্লট সাজিয়েছিলাম।কিন্তু লেখাটা লিখেত শুরু করার পর নিজের অজান্তে আমিই নিজেই লেখা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হতে লাগলাম।অন্তরের ভিতর উপলব্ধি করলাম,এটা আর পাঠকের জন্য লেখা কোন লেখা হচ্ছেনা। এটা হচ্ছে আমার নিজের আত্মকথন,নিজের জন্য লেখা কিংবা বলা যায় আমার উত্তরপুরুষের জন্য রেখে যাওয়া আমার ডিজিটাল ডাইরী। আমি ঐ সময়ের টানেলে আটকে পড়েছিলাম। চোখের সামনে প্রতিটা দৃশ্য দেখতে পাচ্ছিলাম।অতীতটাকে আমি ভিজুয়্যালাইজ করার প্রানপন চেষ্টা করছিলাম। প্রতিটা ডিটেইল চোখের সামনে ভেসে বেড়াচ্ছিল।মনে হচ্ছিল প্রতিটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জিনিষ বর্ণনা করতে ভিতরটা আকুপাকু করছিল।মনে হচ্ছিল প্রতিটা শব্দ না বলতে পারলে দৃশ্যটা অপরিপূর্ণ রয়ে যাবে।ঐ সময়ে আমাদের জীবন, আমাদের আবেগ আর অনুভুতিগুলো কত সুক্ষ আর স্পর্শকাতর ছিল এ যুগের ছেলে মেয়েদের ভুজানোর জন্য আমি যেন উদিগ্রব হয়ে ছিলাম।যদিও অবচেতন মন এটাও জানে এ সকল ফালতু আবেগ এ প্রজন্মকে স্পর্শ করেনা,তারা আমাদের মতো বোকা আর আবেগপ্রবন নয়।আবেগ আর সম্পর্কের হিসাবেও তারা অনেক হিসেবী ও বাস্তববাদী।ফালতু আবেগ আর হাস্যকর অতীত তাদের তাড়িত করেনা।কিন্তু এই অতিবাস্তববাদী ঘেরা বর্তমান সময়টাতে আমার মতো আবেগপ্রবন আর গাধা মানুষের যে শ্বাসবন্ধ হয়ে আসে।বাস্তববাদী এই সমাজ থেকে পালিয়ে ফিরে যেতে ইচ্ছা করে আমার সেই “হাস্যকর অবাস্তব সপ্নের পৃথিবী’ তে।স্বপ্নহীন আবেগশুন্য জীবনের কি আদৌ কি কোন মূল্য আছে,যে জীবনের একঘেয়েমী কাটাতে দ্বারস্থ হতে হয় “বাবা” কিংবা অন্য কোন নিষিদ্ধ ড্রাগের???
সর্বশেষে বিদ্রোহী,ঢাকাবাসী সহ আর বাকি যে কজন আমার লেখাটা ধৈর্য সহকারে পরেছেন তাদের জানাই আন্তরিক কৃতঞ্জতা।সেই সাথে নতুন লেখক হিসাবে ভূলগুলো শুধরে নেওয়ার আন্তরিক উপদেশ এর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।আমি অবশ্যই চেষ্টা করবো,এগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে একজন মানসম্মত ব্লগার হবার।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শুভ কামনা রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪৮
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: শুভ কামনা রইল।