![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রমিজের দোকানে বসে সিগারেট টানছি আমরা তিন গর্দভ- আমি, মুহিত আর জাকির। রমিজের দোকানে বসে চা-সিগারেট খাওয়ার মধ্যে একটা সুবিধা আছে। তার দোকানটা মতিঝিল গার্লস হাই স্কুলের একবারে গেটের কাছে। আমরা একে অন্যকে জড়িয়ে শরীর দোলাচ্ছি আর উচ্চ স্বরে মিউজিক বাজাচ্ছি।স্মার্ট সাঝার জন্য মুহিত চোখে সানগ্লাস পরে এসেছে। স্কুল ছুটি হয়েছে মেয়েরা যার যার বাড়ীর দিকে চলে যাচ্ছে। একটা বোরকা পরা মেয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে হাটতেছে। মেয়েটা একটু কাছে আসতেই আমি শরীফ উদ্দিনের জগত বিখ্যাত গানটি গেয়ে উঠলাম “একটা বোরকা পরা মেয়ে পাগল করেছে”। জাকির মেয়েটিকে উদ্দেশ্য করে বলল “হাআআআই”!
আর জোরে শীশ দিল। মেয়েটা আমাদের কাছে এসে দাড়াল। যথারিতী আমরা জড়াজড়ি করে শরীর দোলাচ্ছি। মুহিত বলল “হাই সুন্দরী কেমন আছ”। মেয়েটা কিছু বলবে বলবে করেও না বলে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর আমরা যে যার বাসায় চলে গেলাম। বাসায় গিয়ে তো আমি হতবাক! হুলস্থুল কান্ড। যেন আমার রুমের উপর ঝড় বয়ে গেছে! সুন্দর সুন্দর ট্রফি ছিল। পাড়ার হয়ে ক্রিকেট খেলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচে পেয়েছিলাম। আমার রুমের মেঝের উপর চূর্ণ বিচূর্ণ করে ভাঙ্গা। আর অনেক শখের জিনিষ ছিল যেগুলো ভাংচুর করা হয়েছে। আমি চিত্কার দিয়ে মা কে ডাকলাম। মা এসে আমাকে কিছু না বলে কান ধরে টানা হেচড়া শুরু করলেন, ইয়া জোরে জোরে কয়েকটা থাপ্পড় মারলেন। তারপর বললেন তুই আমার সামনে পড়বি না। তোর আজকে বাসায় খাওয়া বন্ধ। কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছিনা। এমন সময় ছোটবোন আসল তার নতুন বোরকাটি নিয়ে। বলল এটা কালকে কিনেছি। ভাগ্যিস তোকে না দেখিয়েই ওটা পরে আজ স্কুলে গিয়েছিলাম। না হলে তুই কতটুকু নিচে নেমেছিস জানতে পারতাম না।
আমার আর বুঝার বাকী রইল না কি হয়েছে। পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হওয়ার জন্য ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। মনে মনে বললাম- বোরকা তাদেরকে নিরাপত্তা দেয় ঠিকই কিন্তু আমাদের কোন নিরাপত্তা দেয় না।
©somewhere in net ltd.