![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিরে মা তুই কাদ্ছিস কেন? কই না তো আমি কাদছি না। এই দেখ আমি হাসছি।
শাফাক সাহেবের ভ্রু কুচকে গেল। মেয়ে যে মিথ্যা কথা বলেছে সেটা বুঝাই
যাচ্ছে। শাফাক সাহেবের ভ্রু কুচকানোর কারন অন্য যায়গায়।
মেয়েটা কানের মধ্যে কি একটা গুজে রেখেছে। শাফাক সাহেব জিজ্ঞেস করলেন তোর কানে ওঠা কিরে মা? ঝটপট মেয়ের উত্তর
-হেডফোন!
-হেডফোন কি?
-বাবা ওটা একটা শব্দ নিয়ন্ত্রক! পড়াশোনার সময় যাতে বাইরের কোন শব্দ
কানে না ঢুকে তাই এ ব্যাবস্থা!
মেয়ে আবার মিথ্যা বলেছে। এখন পড়ার সময় না। মেয়েটা ওটা কানে ঢুকিয়ে একা একা কথা বলে। শাফাক সাহেব
লুকিয়ে দেখেছেন। তিনি আরো একোটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন।
ওটা কানে ঢুকানো থাকলে মেয়েটা উদ্দেশ্যহীনভাবে হাটাহাটি করে।
এটা পাগলের লক্ষন। তাহলে? মেয়েটাকে জানানো যাবে না!!! ডাক্তার
দেখাতে হবে। তরুণ ডাক্তার। সুদর্শন। শাফাক সাহেবের সোফায় বসে আছেন। কথা ছিল
ডাক্তারের ছেম্বারেই মেয়েকে নিয়ে যাবেন শাফাক সাহেব। শেষ
মুহুর্তে এসে মত পাল্টালেন। পাগলের আচরন বুঝার উপায় নেই।
কে জানে কি হয়। এখন নতুন আরেক সমস্যায় পড়েছেন শাফাক সাহেব। মেয়েটা ডাক্তারের
মুখোমুখি হওয়ার সাথে সাথে কি একটা যেন হয়ে গেছে। কেউ চোখ
ফেরাতে পারছে না। অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে দুজন দুজনার দিকে।
শাফাক সাহেব বুঝে গেছেন ওটা সাধারণ কোন পাগলের আচরন না। দুজনের
জন্য অন্য কোন ডাক্তার ডাকতে হবে…
©somewhere in net ltd.