নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডুমুর ফুল

মোঃ সাইদুল ইসলাম

মোঃ সাইদুল ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিষিদ্ধ ভালোবাসা ( ৫ম পর্ব)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

সংসারের অশান্তি আর দৈনিক চলমান ক্লান্তিকর ঝগড়া এড়াতে ইমন গ্রামের বাড়ি চলে যায়। সপ্তাহ দুয়েক থাকার পর আসে। বাড়িতে থাকাকালীন সময়টা অরু খুব আনন্দ করে কাটায়। কিন্তু বেশি পারে না। অরুর মনে সন্দেহ দানা বাধে। অরু খবর নিতে শুরু করে ইমনের আর কোথাও সম্পর্ক আছে কি না? তা নিয়ে আবার ঝগড়া হয়। অরু জানে বেশী ঝগড়া করে লাভ নেই। তবুও ঝগড়া করে। বেশির ভাগ সময় ঝগড়া করার একপর্যায়ে ইমন গায়ে হাত তোলে। ' যে দিন ইমন প্রথম তার গায়ে হাত তুলেছিল সে দিন থেকেই সে তার বরকে প্রচণ্ড ঘৃণা করে। মেয়েরা গায়ে হাত তোলার দিন থেকে তার স্বামীকে ঘৃণা করতে শুরু করে। হয়তো সংসার টিকে থাকে, হয়তো সামাজিক কারণে আবার হাসতে হয়, চলতে হয়, কিন্তু ঘৃণা কমে না। এটা সব ছেলেরা জানে না। ঝগড়া করে অরু চলে আসে বাবার বাসায়।

***
রাজের সাথেও খারাপ ব্যবহার করেছে এবার। রাজ অনেকটা দুঃখ নিয়ে মালোয়েশিয়া ফিরে গেছে। সাদীর সাথেও সম্পর্ক নেই। সাদীর সাথে সম্পর্ক না থাকলেও কথা বলা যায়। সাদীর সাথে সম্পর্ক ছিল তবে প্রেমের না। একাকীত্ব ঘুচাবার জন্য একটা অবলম্বন দরকার ছিল খুব। সেজন্য সাদীকে বেছে নিয়েছে। সাদীর কাছে সংসারের গল্প করেছে। সাদীকে বানাতে চেয়েছে নিজের মত। সাদীও মনে মনে অরুর মত হয়ে গেছে। এখন সদীও ভাবে অরুর মত কেউ একজন দরকার।

সাদীকে অনেক ভেবে আবার ফোন করে। সব খুলে বলে। সাদীও দুঃখ পায় অরুর দুঃখ শুনে। প্রায় রাতে সাদীর সাথে কথা হয়। রাত বিরাতে কথা হয়। প্রেম হয়। একসময় দুজনে দেখা করে। দু জন ঘোরাঘুরি করে। অরু প্রস্তাব করে অামোদ করার জন্য। সাদী তার সব অনড়তা ভেঙ্গে।, নৈতিকতা বিসর্জন করে অরুকে নিয়ে হোটেলে যায়।
***
অরু আর সাদী যে হোটেলে গিয়েছেন যেভাবে হোক এ খবর খাদিজার কানে চলে যায়। খাদিজা পর্যন্ত থাকলে ভালই ছিল। কিন্তু খবর ইমন পর্যন্ত পৌছানোয় শুরু হয় আরেক ঝামেলা। ইমন সোজা ডিভোর্স লেটার নিয়ে অরুর ঘরে হাজির। অরুর এত সব কীর্তি তার মা জানে। জেনেও এই দূর্যোগের দিনেও তার পাশে দাঁড়ায়নি। উল্টো কথা শুনিয়েছে- তোকে পাপে ধরেছে।

অরুর চিবুক হঠাৎ শক্ত হতে দেখা গেল। টিনেজ বালিকার মতো একটি ব্লেড বের করে হাতের মাঝে ব্লেড চালাল। রক্ত পড়ছে।

সে সম্ভবত মাকে ভয় পাইয়ে দিতে চাচ্ছে। একথা ঠিক তার মা যতটা ভয় পাওয়ার দরকার তার চেয়ে বেশি পেয়েছে।

অরু বলল- তুমি মাসের পর মাস আমার কথা শুনেছ। আমার খুব দুঃসময়ে তোমার সাপোর্ট না পেলে টিকে থাকতে পারতাম না। তুমি আমাকে ভালো বোঝ। আমি কিসে ভালো, থাকি না থাকি তুমি জান। তুমি আমাকে আশ্রয় দিয়েছ, প্রশ্রয় দিয়েছ। আমি তোমাকে প্রতিটা মুহূর্ত মিস করি। আমি তোমাকে চাই। তোমাকে ছাড়া থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আর আমাকে আজ ইমনও বিদায় দিচ্ছে তুমিও বিদায় দিচ্ছ?

অনবরত রক্ত ঝরছে। অরুর মা দাঁড়িয়ে আছেন। কী করবেন বুঝতে পারছেন না।

মেডিকেলের বেডে শুয়ে অরু তার মা কে ডাকল। পাশে তার ছেলে। মা কে কানে কানে বলল আমার ছেলেটাকে আমার ব্যাপারে কিছুই বলবে না। আমি আর বেশিক্ষণ নেই। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনে শরীর নেতিয়ে গেছে। অরুর গলা দিয়ে ঘোঙ্গানী বের হল। মা ডাক্তার ডাকতে গেলেন। কিন্তু এখানে ডাক্তারের কিছু করার নেই। অরু চিরবিদায় নিয়ে পৃথীবি ত্যাগ করে চলে গেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.