![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যাবার আগে পদচিহ্ণ রেখে যাব। [email protected]
ক্যাপশন : পাকুয়াখালীতে গণহত্যার শিকার নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াদের লাশের স্তূপ
৯ সেপ্টেম্বর, পাকুয়াখালী ট্রাজেডি দিবস। ১৯৯৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন শান্তিবাহিনী রাঙ্গামাটি জেলার পাকুয়াখালীতে নীরিহ এবং নিরস্ত্র বাঙালি কাঠুরিয়াদের উপর নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়ে তাদের বিবৎস মানসিকতার এক জঘণ্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল। স্বাধীনতার পর পরই জেএসএস তথা শান্তিবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন শুরু করে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পার্বত্যাঞ্চলের সহজ-সরল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে স্বাধীন জুম্মল্যাণ্ড প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখিয়ে শুরু করে সশস্ত্র তৎপরতা। প্রথম থেকেই তারা নিরাপত্তা বাহিনী এবং নিরীহ বাঙালিদের বিরুদ্ধে চালাতে থাকে একের পর এক আক্রমণ। যে কোন নিরীহ এবং নিরস্ত্র মানুষের উপর সশস্ত্র আক্রমণ করাই যেখানে মানবতা বিরোধী চরম অপরাধ সেখানে শান্তিাবাহিনীর সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরস্ত্র-নিরীহ বাঙালিদের উপর হাজার হাজার সশস্ত্র আক্রমণ পরিচালনা করেছে। কথিত আছে শান্তিবাহিনী এ পর্যন্ত হত্যা করেছে ৩০ হাজারেরও বেশী বাঙালি আবাল-বৃদ্ধ-বনিতাকে। তবে কিছু কিছু গণহত্যার ঘটনা আছে যেগুলোকে কোনভাবেই কোন মানুষের কর্ম বলে বিশ্বাস করা যায় না। এর মধ্যে ২৯ এপ্রিল ১৯৮৪ ইং খাগড়াছড়ি মাটিরাঙ্গা গণহত্যা, ৩০ মে ১৯৮৪ইং দিবাগত রাতে সংঘটিত রাঙ্গামাটি জেলার ভূষণছড়া গণহত্যা এবং ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ ইং রাঙ্গামাটির পাকুয়াখালী গণহত্যা অন্যতম।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে যারা ওয়াকিবহাল আছেন তারা পাকুয়াখালী গণহত্যাকে শান্তিবাহিনীর নৃশংসতম গণহত্যা বলে স্বীকার করেন। কেননা সেদিন শান্তিবাহিনী মিটিং করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ডেকে নিয়ে ৩৫ জন নিরীহ বাঙালি কাঠুরিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। অবাক করার বিষয় হচ্ছে যে, শান্তিবাহিনী সেদিন এতগুলো মানুষকে হত্যা করতে একটি বুলেটও ব্যবহার করেনি। হাত-পা বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে, দা-দিয়ে কুপিয়ে এবং বেয়নেট ও অন্যান্য দেশি অস্ত্র দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নানাভাবে কষ্ট দিয়ে হত্যা করেছিল এই অসহায় মানুষগুলোকে। প্রতিটি লাশকেই বিকৃত করে সেদিন চরম অমানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল তারা। সেদিন পাকুয়াখালী থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে আসতে পেরেছিলেন একমাত্র বাঙালি কাঠুরিয়া ইউনুছ মিয়া। তার দেখানো পথ ধরেই পরে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেছিল সেনাবাহিনী।
পাকুয়াখালীতে নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। একই সাথে হত্যাকারীদের সনাক্ত করে বিচারের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছি।
©somewhere in net ltd.