নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একই সময়ের জন্য একজনকে বেশী হলে কয়েকজনকে কিছু সময়ের জন্য বোকা বানিয়ে রাখা যায় কিন্তু সবসময়ের জন্য নয়।

আমি আগা গোড়ায় মোড়ানো পুরোপুরি একজন মুক্তমনা মানুষ।

অজানা কথা

মুক্ত আলোচনা আমাকে পুলকিত করে।নতুন বৈজ্ঞানিক প্রমানিত ব্যাখ্যা আমাকে মোহিত করে।নতুন দার্শনিক মতবাদগুলো আমাকে উজ্জীবিত করে।

অজানা কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাসঙ্গিক ভাবনা : ‘বঙ্গবন্ধু-১’ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের আরেক মাইলফলক !!

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৪৩

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রযুক্তিগত দিক থেকে আস্তে আস্তে উন্নতির সোপানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। একটা সময় ছিলো যখন আমরা শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বপ্ন দেখতাম। কিন্তু আজ অনেক প্রযুক্তিই আমাদের হাতের নাগালে চলে এসেছে এবং কিছু নব আবিষ্কৃত প্রযুক্তি অচিরেই চলে আসবে বলে বিশ্বাস করি। ঠিক তেমনি এক আনন্দের সংবাদ হলো বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই ‘বঙ্গবন্ধু-১’ নামে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রকল্পনা করছে। আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে মহাকাশে নিজেদের কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। বর্তমানে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের জন্য প্রারম্ভিক কাজগুলো অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে নিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৫ বছর আগেও উন্নত দেশগুলোর কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের খবর পড়ে আমরা নিজেরা ভাবতাম, আমাদের দেশ কবে নিজেদের কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করবে। সেই সুভময় ক্ষন আজ আর খুব বেশী দূরে নয়। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে মানুষের কল্যানের পরিধিটাও অনেক বেড়ে যায়। আর তাই সেই লক্ষ্যে ২০১৩ সালের মধ্যেই ক্‌ত্তিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। উন্নয়ন দেশগুলোর পাশাপাশি আমাদের নিজেদের স্যাটালাইট পাখা মেলে ঊড়বে এটা ভাবতেই নিজের দেশকে নিয়ে গর্বে বুক ফুলে উঠছে। আর নিজে দেশের এই রকম একটা প্রযুক্তিগত উন্নয়নের খবর একজন বাংলাদেশী হিসেবে নিজেকে গর্বে মাথা উচু করে দেয়।



“Bangladesh will launch a satellite in the space with broadcasting facilities to make information and communication technology more available and upgrade to international standard. The concerned experts said the satellite project implementation will cost about 200 to 300 million US dollars and take about three years. The meeting stressed the need for formation of a national expert committee and taking steps for feasibility study for quick implementation of the project. সূত্র http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=154606







১৯৫৭ সালে প্রথমবারের মতো মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম হয় সোভিয়েত ইউনিয়ন৷ যার নাম ছিল ‘স্পুটনিক ১'৷ এর পরের বছর অ্যামেরিকা এক্ষেত্রে সফলতা দেখায়৷ যদিও তারা এই পরিকল্পনা করছিল প্রায় ১৩ বছর আগে থেকেই৷ পরবর্তীতে আরও অনেক দেশ কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে৷ দক্ষিণ এশিয়ায় ইতিমধ্যে ভারত এবং পাকিস্তানেরও নিজস্ব উপগ্রহ রয়েছে৷ এর মধ্যে ভারত নিজে নিজেই মহাকাশে উপগ্রহ পাঠানোর সামর্থ্য অর্জন করেছে৷ আর পাকিস্তান অন্য দেশের সহায়তায় উপগ্রহ পাঠিয়েছে৷ এখন, বাংলাদেশও সেটা করতে যাচ্ছে৷

১৯৯৭-৯৮ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল৷ কিন্তু পরে সেটা আর বাস্তবে রূপ নেয়নি৷ এরপর আবার ঝোঁক উঠেছে উপগ্রহের ব্যাপারে৷ সে লক্ষ্যে কাজও শুরু হয়ে গেছে৷ ২০১৩ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ তার নিজস্ব একটি উপগ্রহ মহাকাশে পাঠাতে চায়৷ এ ব্যাপারে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা - বিটিআরসি। সূত্র : http://www.dw.de/dw/article/0,,15081977,00.html







যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল, এসপিআই কোম্পানিকে পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তি হবে বলে জানালেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ৷

এসপিআই'এর কাজ কী হবে? এ সম্পর্কে বিটিআরসি'র চেয়ারম্যান বললেন, ‘‘তাদের কাজ হবে স্যাটেলাইট ডিজাইন ও এটির নির্মাণকাজ তদারকি করা৷ এছাড়া কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণের সঙ্গে বাংলাদেশের যারা জড়িত থাকবে তাদেরকেও সহায়তা করবে এসপিআই৷ গ্রাউণ্ড স্টেশন তৈরি, বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং এই উপগ্রহকে কী কী ভাবে কাজে লাগানো হবে সেটার পরিকল্পনাও করবে এসপিআই৷সূত্র http://www.dw.de/dw/article/0,,15740859,00.html



সফলভাবে উপগ্রহ পাঠাতে পারলে বাংলাদেশের যে লাভগুলো হবে

১। এটি হবে একটি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট অর্থাৎ যোগাযোগ উপগ্রহ৷ ফলে টেলিযোগাযোগ, টিভি ও বেতার সম্প্রচারের মত কাজগুলো এই উপগ্রহ দিয়ে করা সম্ভব হবে, এখন যেটা করা হচ্ছে অন্য দেশের উপগ্রহ ব্যবহার করে৷ যার জন্য খরচ হচ্ছে প্রচুর অর্থ৷

২। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কাজও করা যাবে এই উপগ্রহের মাধ্যমে৷

৩। চাইলে অন্য দেশকেও উপগ্রহ ব্যবহারের জন্য ভাড়া দেয়া যাবে৷ সেক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের একটা উৎস হতে পারে এই উপগ্রহ৷



একেকটি টিভি চ্যানেল স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ প্রতি বছর প্রায় ২ লাখ ডলার দিয়ে থাকে৷ সে হিসেবে বর্তমানে চ্যানেলগুলো প্রতি বছর প্রায় ৪০ লাখ ডলার ভাড়া দিচ্ছে। সম্প্রচার ছাড়াও আর অন্য কোনো কাজে এই উপগ্রহকে কাজে লাগানো যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখা যেতে পারে।



দেশের এরকম অভাবনীর সাফল্য অনেক সময় চোখে পড়ে না। আর উন্নতির পথে বাধাতো আসবেই। হলুদ সাংবাদিকতার কারনেও এই রকম সফলতা নিয়ে অনেক সময় বড় করে প্রতিবেদন ছাপা হয় না। আমাদের দেশের এবং নিজেদের রয়েছে হাজারো সমস্যা, কিন্তু তার মাঝেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে সরকার এবং কিছু উদ্দমী জনগন। সবসময় সমস্যা নিয়ে আলোচনা করলে নিজেদের সংকীর্নতা এবং নিচু মনমানসিকতা প্রকাশ পায়। অধ্যবসায় আর কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যেমে নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন করার জন্য সর্বপ্রথম আমাদের নিজেদের পরিবর্তন আনাটা অনেক জরুরী। আর তাই দেশের সমস্যা এবং ভুলগুলো আলোচনার পাশাপাশি দেশের উন্নতি এবং অগ্রগতি নিয়ে আলোচনার করাটাও আমাদের দায়িত্ব। এতে দেশের জনগনের উদ্যমতায় এবং সাহস অনেক বেড়ে যাবে। এরকম একটা পরিকল্পনা গ্রহনের জন্য সরকারের অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্য। আর এভাবেই সরকার এবং জনতার যৌথ সন্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির চুড়ায়। ধন্যবাদ সবাইকে।



মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৫

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: একটা ভালো সংবাদ শেয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫৮

অজানা কথা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। দেশের উন্নয়নের তথ্যগুলোও আমাদের শেয়ার করার দরকার।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৯:৫৭

শিক কাবাব বলেছেন: এইটা কি বাংলাদেশের ভৈজ্ঞানিকেরা তুলবো নাকি আম্রিকা জাপান থেইকা বৈজ্ঞানিক ভাড়া কইরা আনবো? যদি ভাড়া কইরা আনে তাইলে বাংলাদেশের প্রযুক্তির উন্নয়নের কি দেখলেন? ভাড়াটিয়া বৈজ্ঞানিক দিয়া তো তুলবো সেটাও ব্যাপার না, মেইনটেনেন্স ও করতে হইবো ভাড়াটিয়া বৈজ্ঞানিক দিয়া। যেদিন বাঙালি ভৈজ্ঞানিক দিয়া তুলবো সেদিন কইয়েন।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০১

অজানা কথা বলেছেন: দেখুন, প্রযুক্তি কারা রক্ষনাবেক্ষন করলো সেটা বড় কথা নয়। আর রক্ষনাবেক্ষন এর জন্য দক্ষ লোকজন আমাদের দেশে আছে বলেই আমরা আজ এরকম একটা সফলতা অর্জন করতে যাচ্ছি। আসল কথা হলো আমাদের দেশ আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করলো।

৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০২

সাকিব পাগলা বলেছেন: সবই ঠিক আছে, মানলাম। কিন্তু ওই নামটাই পছন্দ হয় নাই। নাম নিয়ে যেরকম দেখা যাচ্ছে তাতে আমার আমার মাঝে মাঝে মন চায় আমি দুইটা কুকুর ছানা কিনি। আর একটার নাম দিতে বলি আপাকে আর একটার নাম দিতে বলি আমাদের ম্যাডামকে। আমি লিখে দিতে পারি যদি কুকুর ছানার নামকরন করা হচ্ছে, এটাকে উহ্য রাখা হয় তাহলে কুকুরছানার একটার নাম হবে বঙ্গবন্ধু আর একটার নাম হবে জিয়া।

কিছু মনে করবেন না। অফ টপিকে কথা বলে ফেললাম। বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে আমরা সাধারন জনগণ আপনাদের এই নামকরনের পাগলামি দেখতে দেখতে অতিষ্ঠ।

মানুষের তেল দেয়ার একটা সীমা থাকা উচিত। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যেটার কোনো সীমা নেই। আমার প্রায়ই মনে হয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যারা বিচরন করেন তাদের কি আত্মসম্মানবোধ নাই? নাকি সবাই জারজ সন্তান। !!!

৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৪

দূর্গমগিরি বলেছেন: ভাল পোস্ট ধন্যবাদ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০১

অজানা কথা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৪

ফেরারিআমি বলেছেন: একটা কৃত্রিম উপগ্রহ আর তার নাম আবার বঙ্গবন্ধু...এরাকি এই বঙ্গবন্ধু ছাড়া আর কিছু করতে পারেনা ?

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৩

অজানা কথা বলেছেন: বিষয়টিকে রাজনৈতিক ভাবে না দেখে দেশের উন্নয়নের চোখ দিয়ে দেখলে নিজেদের সফলতাই দেখতে পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ।

৬| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৫

আহমেদ জুয়েল বলেছেন: ল্যাপটপ দোয়েলের অবস্থা জানেন তো!

তয় এইডা ভাড়াত্তা বজ্ঞানি দিয়া চলব তো, মুসকিল নাইক্যা। খালি মুসকিল হইল গিয়া শালার ওই ...

৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২০

মীর হাসিন রেজা বলেছেন: তয়, এইবার এই আকাশে আন্য স্যাটেলাইটগুলা যাইতে পারবো?
নাকী আবার সেইখানে বাকশালী স্যাটেলাইট ই থাকবো!!!

এবং....
শিক কাবাব বলেছেন: .....ভাড়াটিয়া বৈজ্ঞানিক দিয়া তো তুলবো সেটাও ব্যাপার না, মেইনটেনেন্স ও করতে হইবো ভাড়াটিয়া বৈজ্ঞানিক দিয়া। !:#P !:#P =p~ =p~

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২১

চিকন আলি বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে এভাবে উপরে পাঠিয়ে দিলো........??? =p~ =p~ =p~ =p~

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:২৩

নাফিজ মুনতাসির বলেছেন: আশাবাদী হতে তো আর দোষ নাই......শুরু যখন করেছে...সাফল্য অবশ্যই আসবে.....

ভাল পোস্ট ধন্যবাদ

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০১

অজানা কথা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:৫২

শরীফ মহিউদ্দীন বলেছেন: চিকন আলি বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে এভাবে উপরে পাঠিয়ে দিলো........??? =p~ =p~ =p~ =p~

১১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৩

বিডি আইডল বলেছেন: এই উপগ্রহের নাম "ডিজিটাল জয় " দেয়া হোক

১২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:০৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: ঘোষনা করতে তো পয়সা লাগেনা। তার উপর আবার বঙ্গ..! আবার দেখেন এটা বানাবার টেন্ডার কে পায়! দোয়েলের যাচ্ছেতাই রকমের ব্যার্থতার কথা তো উপরের একজন বললেনই। এটার বিষয়ে ২০৫০ সালে খোজ নিতে পারেন।

১৩| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১১:৪৮

তামীম বলছি বলেছেন: সবকিছুতেই বঙ্গবন্ধু নামকরণ ভাল লাগে না। এই ভাল একটা খবরেও তাই দেশের কল্যাণের সাথে রাজনীতির জগাখিচুড়ি দেখে মনটা তিক্ত হল।

যেকোন কিছুর সাথে বঙ্গবন্ধুর নাম জুড়িয়ে দিয়ে আওয়ামিলীগ বঙ্গবন্ধুকেই হালকা করে ফেলছে জনগণের কাছে।

১৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১:৪৭

ওসমাণ বলেছেন: ভাই, যারা বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরন নিয়ে কথা বলছেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাসা, ওনার নাম দিয়ে হলেও যদি দেশ এর নিজস্ব একটি স্যাটেলাইট থাকে তাতে মনে হয় আপনার নিজেরও কোন না কোন ভাবে উপকার হবে। যে কাজ করে, তাকে একটু নাম ফলাতে দেন না !! এটা তো আর কারেন্ট ছাড়া খাম্বা পোতা নয়, এটা আপনারা কেন বোঝেন না?

আর যারা বলছেন রক্ষনাবেক্ষন করবে বিদেশিরা, তাদের জন্য একটি ছোট উদাহরণ দেই (যদিও ব্যাপরটা ছোট না), এক সময় বাংলাদেশ বিপুল বৈদেশিক মূদ্রা খরচ করে দেশে তেল ও গ্যাসের জন্য দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক ভূত্বাত্তিক জরিপ করত। সরকারি উদ্দ্যোগে উল্লেখযোগ্য সংক্ষক দেশি ছেলেদের প্রশিক্ষন ও হাতে কলমে বিদেশি সার্ভে টিমে সাথে কাজ করার ফলে বর্তমানে দেশ আজ ভূত্বাত্তিক জরিপে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাপেক্স এর হয়ে তারা সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে এবং তাদের সফলতা রিতিমত ঈর্শনীয়।

সরকারে যে-ই থাকুক না কেন, আমাদের কাম্য হওয়া উচিৎ ভাল কাজের জন্য প্রশংসা করা ও ভূল থাকলে তার গঠনমূলক সমালোচনা করা।

পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাংগালী পারেনা এমন কোন কাজ নেই।

১৫| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:০৩

নয়ামুখ বলেছেন: আপনাকে বাংলাদেশের সাইবার যোদ্ধাদের বিপক্ষে পোস্ট না দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। বাংলাদেশের কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পননার কথা শুনে আপনার ভারতের জন্য দু:খ লাগেনি দেখে আমি সত্যি আনন্দিত।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫৬

অজানা কথা বলেছেন: সাইবার অপরাধগুলোর মধ্যে হ্যাকিং একটি অন্যতম অপরাধ। বাংলাদেশের সাইবার আইন হ্যাকিং এবং ক্র্যাকিং এর অপরাধের ব্যাপারে আরো শক্তিশালী এবং কঠোর করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে ২০০১ সালে টেলিকম্যুনিকেশন আইন পাস করা হলেও সাইবার ক্রাইম সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে এই আইনের তেমন কোনো প্রয়োগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ২০০৬ সালে সাইবার ক্রাইম নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বিলের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেলেও আজও তা সংসদে উত্থাপিত হয়নি। এমন অবস্থায় অপরাধীরা আইনের ফাক গলে বের হয়ে যায়। আর ফলে অপরাধীরা উতসাহিত হয় অপরাধ কর্মকান্ড ঘটাতে। কিছুদিন আগেও সাইবার ক্রাইম বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা ছিলো না কিন্তু ইদানিং এই অপরাধ আর আমাদের মাঝে সীমিত নেই। ইদানিংকালের ভারত এবং বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামুলক হ্যাকিং আমাদের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। বাংলাদেশ যে গতিতে তথ্য-প্রযুক্তির সুপার হাইওয়েতে ভ্রমণ শুরু করেছে, তাতে অচিরেই এটি একটি মহা সমস্যা রূপে আবির্ভূত হবে। যেহেতু সাইবার ক্রাইমের কোনো সীমারেখা নেই তাই বহির্বিশ্ব থেকে এদেশে এবং এদেশ থেকে বহির্বিশ্বের অন্য দেশেও এ ধরনের অপরাধ সম্পন্ন হতে পারে। তাই বিষয়টি ভাবতে হবে বাস্তবতার আলোকে সময়ের নিরিখে। এই রকমের অপরাধ কখনো সমর্থন যোগ্য নয়। অপরাধ সবসময় অপরাধ হিসেবেই পরিচিত এবং ঘৃণিত। এই ধরনের অপরাধ কখনো প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না। এরকম অপরাধকে সমর্থনকারীরাও সমান অপরাধী। এদের কারনে দেশের আসল অপরাধগুলো ঢাকা পড়ে থাকে ফলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হয়। সবার কাছে অনুরোধ রইলো অপরাধকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত না করলে একদিন দেখবেন এরাই আপনার তথ্য কিংবা ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে। তাই সচেতন হোন। কুটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করাটাই যথাযোগ্য পন্থা বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ।

১৬| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:১০

নয়ামুখ বলেছেন: আপনার 'প্রাসঙ্গিক ভাবনা : ভারতীয় সীমান্তে গুলি এবং আমাদের নিজেদের ভুলগুলো' পড়ে আমার খুব ইচ্ছে হয়েছিলো আপনাকে ভারতরত্ন বা পদ্মভূষণ উপাধী দেয়ার। কিন্তু আমার সেই ক্ষমতা নাই দাদা। ক্ষমা করবেন।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:৫২

অজানা কথা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য। আপনি কি পোষ্টটি ভালো করে পড়েছেন ? দেখুন দেশপ্রেম মানে দেশের তেলেমো করা নয়। দেশের ভুলগুলো তুলে ধরে তার সমাধান করাটাই হলো আসল কর্তব্য। আপনি যেমন দেশকে ভালোবাসেন তেমনি আমিও আমার দেশকে ভালোবাসি। আর তাই দেশকে ভালোবাসি বলেই দেশের যাতে কোন ক্ষতি না হয়, আমার দেশের জনগন যাতে ভারতের গুলিতে না মরে এজন্যই আমাদের ভুলগুলো সম্পর্কে জানা দরকার। না জানলে আমরা এর সমাধান করবো কি করে। দেশের সুনাম আর তেলামো এবং অন্যের দোষ দেয়ার আগে নিজেদের ভুলগুলো সুধরে নেয়াটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয় ? আপনাকে ধন্যবাদ।

১৭| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সকাল ১০:০২

অজানা কথা বলেছেন: আমি নিজেও আবেগের স্রোতে গা'ভাসানোর মতো লোক নই। আমি নিজেও বাস্তববাদী একজন মানুষ। আর তাই সবসময় তথ্যের এবং বাস্তবের আলোকেই চিন্তা করে থাকি। আমাদের দেশের হাজারো সমস্যা আর সব সমস্যাই সরকারের তৈরী এটা মনে করাটা আমাদের অন্যতম ভুল। অনেক কিছুই সরকার নিয়ন্ত্রন করতে পারে না। সারাদিন আমরা যদি আমাদের ব্যার্থতা আর সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনা করতে থাকি তবে একসময় মনে হবে আমাদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। আর এই ভাবনাটাই একসময় আমাদেরকে নিঃশেষ করে ফেলবে। দেশের অন্যায় এবং সমস্যাগুলো একজন বিবেকবান নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আমরা সমালোচনা করবো।তাই বলে কি উন্নয়ন গুলোকেও এড়িয়ে যাবো ? এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। একজন প্রগতিশীল এবং মুক্তমনা হতে হলে সমস্যাগুলোকে যৌক্তিক এবং তথ্যের ভিত্তিতে সামনে নিয়ে আসার পাশাপাশি উন্নয়ন গুলোকেও সবার সামনে উন্মুক্ত করতে হবে। নইলে হীন মন্যতায় ভুগতে ভুগতে দেশ স্থবির হয়ে পড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.