![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যতখানি অনুবাদ করেছো- তার বেশী প্রশ্রয় দেবোনা!!
এমন একটা অধ্যায়ে শুভ্র নিজেকে অাবিষ্কার করলো, যেখানে মনে হচ্ছিলো জীবন হাত ছেড়ে দিচ্ছে অার মৃত্যু হাতছানি দিয়ে ডাকছে।
চেষ্টা করতে করতে ক্লান্ত, শ্রান্ত, ব্যর্থ হয়ে শুভ্র সিদ্ধান্ত নিয়েই নিলো মরে যাবে। মরতেই চাইছিলো, বেঁচে থেকে হবেটা কি!! জীবনের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েও ভালবাসার পূর্ণতা বিলীন হওয়া থেকে ঠেকানো গেলো না, অাগলে রাখা গেলো না। তো? মরে যেতে চাওয়াটা কি অপরাধ হবে!! মোটেও না, সিদ্ধান্ত যথার্থ। এবার শুধু উপায় খুঁজে বের করা বাকি, পেয়েও গেলো, সহজ উপায়, নদী..।।
সহজ কেননা, সাঁতার তো জানে না। তাছাড়া মরতেই তো চাইছে, সাঁতার জানলে হয়তো বেঁচে যাওয়ার ইচ্ছেটা জেগে উঠতে পারতো, তখন হাত পা নাড়িয়ে তীরেও চলে অাসতে পারতো সাঁতরে। কিন্তু নদীতে ডুবে মরার সিদ্ধান্তটা মোক্ষম একদম। ডুবে যাওয়ার একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য অাছে, নিজের অসহায়ত্বকে দেখতে পারা যায়। শুধু দেখেই থাকতে হবে, হাত-পা নেড়েও কোনো উপায় বের হবেনা। হয়তো অাশার কোন ক্ষীণ কিরণ চাইবে তখন, পেয়েও যাবে হয়তো। কিন্তু সে পর্যন্ত অার পৌঁছানো সম্ভব হবেনা। শুভ্র নদীর ব্যাপারটাই বেছে নিলো, কেননা সে জানতো, এ অবস্থা থেকে কেউ বাঁচিয়ে নিতে অাসবেনা।
হাঁটতে হাঁটতে ব্রীজের ঠিক মাঝখানটায় গিয়ে থামলো শুভ্র। নীচের খরস্রোতা নদীটার দিকে ঝাপ দিয়েই দিচ্ছিলো, অাচমকা থেমে গেল সে। কি যেন একটা ভাবনার রেশ থেকে গেছে মস্তিষ্কে। ঝাপ দেয়ার পরে সেটাকে তো অার সময় দেয়া যাবেনা, তাই ভাবনাটার প্রতি সুবিচার করতেই কিছুক্ষণের ঝাপ-বিরতি নিলো। শুভ্রর হাতে সময় তো ছিল, থামলো সেকারনেই।
ঝাপ দেয়াটা কি সত্যিই প্রয়োজন!? সব প্রেমিকের মতোই প্রথমে সেখানে দাঁড়িয়ে বিড়বিড়িয়ে সম্পর্কটাকেই দোষ দিতে লাগলো শুভ্র, কেন জড়িয়েছিল নিজেকে!! ডুবে মরতে গেলে, অপরাধ টা কার হবে, নদীর? নদী-ই তো ডুবাবে। শুভ্রর কাছে ভাবার সময় ছিল তখন।
চোখের সামনে ভেসে অাসতে লাগলে খুব খুব মধুর কিছু স্মৃতি। যে ভালবাসার ব্যর্থতার গ্লানি মুছতে ঝাপ দেয়ার সিদ্ধান্ত, সে ভালবাসার গল্পটা কতোটা রঙিন পৃষ্ঠায় মোড়ানো, একের পর এক চোখের সামনে ভেসে উঠছিল। এমন কিছু অারাধ্য মুহুর্ত, যেসব মুহুর্তকে অনুভব করে অপার্থিক প্রশান্তি হয়। একসাথে কাটানো সময়গুলো, কত সুন্দর ছিল, স্মৃতিগুলো যখন একত্রে অাসতে থাকে, তখন উপলব্ধি হয়। অপ্রাপ্তির কোনো চিহ্নও দেখা যায়না কোনদিকে। একসাথে থাকা হলো না তাতে কি, স্মৃতিরা তো একসাথেই থেকে যাবে। শুভ্র বুঝতে শুরু করে, কিছু ভুৃল তার নিজেরও ছিল, সময়ও বিপক্ষে ছিল, বদলে যাওয়া তো সময়ের ধর্মই।
মৃদু হাসি খেলে যায় শুভ্রর ঠোঁটে। ঠিক যেখানটায় দাঁড়িয়েছিলো, সেখান থেকে নদীর দিকে একটু ঝুঁকে তাকিয়ে নদীকে বলে,
"অামাকে অার ডুবাতে পারবে না।"
২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: বিষন্ন আছেন নাকি?
৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৬
সাজ্জাদ সংগ্রহ বলেছেন: বিষন্নতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টায় অাছি, উন্নতির দিকে বলা যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া
৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১:১৭
সাজ্জাদ সংগ্রহ বলেছেন: ধন্যবাদ @সাজ্জাদ ভাই
৫| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
বর্ণা বলেছেন: বাহ বেশ লাগলো। আমার ব্লগ এ নিমন্ত্রণ রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১১:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সুন্দর তো।