![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।
বাংলাদেশের আবহাওয়াগত বৈচিত্র যেন হারিয়ে যাচ্ছে। সারাদেশে চলছে দারুণ খরা। কোন বৃষ্টি নেই। চারিদিকে যেন একটু বৃষ্টির জন্য হাহাকার। মানুষ প্রচন্ড গরমে যেন হাসফাস করছে। আমরা কি জানি, গাছের সংখ্যা কমে যাওয়াও এর একটি প্রধান কারণ। রাজধানী ঢাকা শহরে কয়টা গাছ আছে? কতগুলো গাছ থাকা উচিত ছিল? জানি, আমার প্রশ্নের জবাব সবারই জানা।
আমরা অনেকেই জানি, যে, দেশের মোট আয়তনের কম পক্ষে ২৫% এলাকা বৃক্ষ দ্বারা আচ্ছাদিত থাকা প্রয়োজন। আমাদের দেশে তা নেই অনেক আগে থেকেই।প্রাকৃতিক বনাঞ্চল তো উজার হয়েছে মানুষের তৈরী সামাজিক নবায়ানের দশা ও বেহাল।
আমাদের দেশে একটা অলিখিত প্রবচন আছে: কাট গাছ দামে বেচ। তাই মানুষ গাছ কাটতেই বেশী আনন্দ পায়, গাছ লাগাতে তাদের আনন্দ কম। তারা জানে না যে, তারা যে গাছগুলো কেটে ফেলছেন এগুলো কোন এক সময় কেউ লাগিয়েছিল। অনেক দিন ফল দেয়ার পর তাদের কোপানলে পড়ে তারা কাটা পড়ছে।তাই আবার গাছ লাগাতে হবে। নইলে শূণ্যস্থান পূরণ করা সম্ভব হবেনা।
আমি যেটা মনে করি তা হচ্ছে; কেউ যদি একটা গাছ কাটে সেই জায়গায় সাথে সাথেই আরেকটি গাছ লাগানো উচিত। কেবল লাগালেই হবে না। সাথে সাথে তার পরিচর্যাও করতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবছর বেশকিছু গাছ লাগানো হয় । কিন্তু সেগুলোর যত্ন নেয়া হয় না। কিংবা যত্ন নেয়া প্রয়োজন মনে করা হয়না।
বর্ষা মৌসুমে গাছ লাগালে গাছ সহজেই বাঁচে। সামনে বর্ষা আসছে । তাই আসুন, আমরা ১৬ কোটি মানুষ কম পক্ষে একটি গাছ লাগাই আর তার যত্ন নিই। মনে রাখতে হবে, এক একটি গাছ যেন এক একটি প্রাণ। এই সব প্রাণের যত্ন নিতে হবে। গাছগুলো অক্সিজেনের কারখানা হিসাবে বাতাসে দেবে নির্মল অক্সিজেন। গাছ দেবে ফল। ভেজাল মুক্ত ফল খেতে চাইলে বাড়িতে অবশ্যই ফলের গাছ লাগাতে হবে।
আর একটি কথা। আজ আমরা যে সব গাছের ফল খাচ্ছি সেগুলো অনেক আগে আমাদের বাবা-মা লাগিয়েছেন। আমরা সেব গাছের ফল খাচ্ছি। ছায়া পাচ্ছি। এখন আমরা যদি গাছ না লাগাই তাহলে আমাদের সন্তানেরা কি খাবে? তারা কোথায় ছায়া পাবে? তাদের প্রতি আসুন, আমরা এক মহান দায়িত্ব পালন করি। গাছ লাগাই, গাছের যত্ন নিই। অনেক রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই বাংলাদেশ। আসুন, একে আবারো সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা করে তুলি।
এ বছর এমন একটি ফলের গাছ বা কাঠের গাছ আমরা লাগাতে পারি সেটা অনেক বছর বাঁচবে। আজ থেকে ১৫ বছর বা ২০ বছর পরে কেউ হয়তো বলতে পারবে, এই গাছটি করোনার বছরে লাগানো হয়েছিল। ২০২০ ইতিহাসে একটি স্মরণীয় বছর হয়ে থাকবে।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৫২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন।
২| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: পিথিবীকে ভালো রাখতে হলে গাছ লাগাতেই হবে। অন্য কোনো বিকল্প নেই।
যদি মানুষ শুধু নিজ নিজ কামনা বাসনায় মত্ত।
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রতিটি মানুষেরই উচিত গাছ লাগানো । গাছের পরিচর্যা করা। গাছটি বাঁচিয়ে রাখা।
৩| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ফিরিয়ে দাও অরন্য
লহ এ নগর!
গাছ আপনার প্রকৃত বন্ধু!
১৯৯৮ তে একশ চারা লাগিয়েছিলাম। ২০,১৫ দশটা এসে বিশাল আকৃিত নিয়েছে।
গ্রামে গেলে মনটাই অন্যরকম ভাল হয়ে যায়!
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঠিক মতো যত্ন নিতে পারলে এবং দেখেশুনে রাখতে পারলে আপনার 100 টা গাছই এখন মহা বৃক্ষে পরিণত হয়ে যেত। পৃথিবীটা টিকিয়ে রাখতে পারে এক মাত্র গাছ। তাই সবারই দরকার আছে গাছ।
৪| ০৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৩২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: পৃথিবী সতেজ রাখতে হলে গাছ লাগাতেই হবে
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:১০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: প্রতিটি মুহূর্তে মানুষ গাছ থেকে উপকৃত হচ্ছে । গাছের উপকার ভিন্ন একটি মিনিটও বেঁচে থাকার উপায় নেই।
৫| ০৭ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার একটি আহবান রেখেছেন! এই পবিত্র রমজান মাসে এ কাজটা করতে পারলে সেটা চিরস্থায়ী 'সাদাকায়ে যারিয়া' হিসেবে থেকে তো যাবেই, এর দ্বারা রোপণকারী অশেষ পুণ্যেরও অধিকারী হবে।
পোস্টে প্লাস +।
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:১৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঢাকা শহরে কমপক্ষে এক কোটি নতুন গাছ লাগানো দরকার । প্রয়োজন অনুযায়ী স্থান কাল পাত্র ভেদে বিভিন্ন আকার-আকৃতির গাছ লাগানো যেতে পারে। ছোট গাছ, মাঝারি গাছ, বড় গাছ , সৌন্দর্য বর্ধনকারী গাছ, কাঠের গাছ এই জাতীয় অসংখ্য ধরনের গাছ লাগানো দরকার হয়।
ঢাকা শহরে অসংখ্য গাছ থাকলে আবারও অসংখ্য প্রজাতির পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠবে নগরীর প্রতিটি অঞ্চল।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:১৫
সোহানাজোহা বলেছেন: পরিবেশ উন্নয়নে বৃক্ষ রোপনের কোনো বিকল্প নেই।