নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কখনো নিজের নাম লুকোই না। আকাইমা শব্দ দিয়ে বানানো ছন্ম নাম আমার পছন্দ নয়। মা-বাবা\'র দেয়া নাম দিয়েই প্রোফাইল খুলেছি।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন

আমি কেউ না।একদা পথ শিশু ছিলাম। বড় হয়ে এখন পথ মানব হয়েছি। বাবা এক দিন স্বপ্ন দেখানোর সুরে বলেছিলেনঃ দেখিস, এক দিন আমাদেরও....! আমার দেখা হয়নি কিছুই । এখনো অপেক্ষায় আছি কিছু একটা হবো, কিছু একটা দেখবো।

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাড়ী ও বাংলাদেশের নারী।

২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

শাড়ি পরিহিত বাংলার নারী

বছর খানেক আগে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ মহোদয় শাড়ি নিয়ে প্রথম আলোতে একটি নিবন্ধ রচনা করেছিলেন।

এই নিবন্ধ পাঠ করে বাংলাদেশের অধিকাংশ নারী তো বটেই সিংহভাগ পুরুষও ঘৃনায় ছিঃ ছিঃ করে করে উঠেছিলেন। যেন তারা রসময় গুপ্তের কোন প্রবন্ধের চেয়েও খারাপ প্রবন্ধ পাঠ করেছেন।

তবে আমার কাছে অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ এর লেখাটি একটি অনন্য সাধারণ লেখা মনে হয়েছিল।
শাড়ি নিয়ে যদি বাংলাদেশের দশটি ভালো লেখা থেকে থাকে তাহলে এটা তার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম।

এমন একটা সময় ছিল যখন শাড়ি আর নারী পরস্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিল । একটাকে বাদ দিয়ে অনবরত আরেকটাকে কল্পনাই করা যেত না। নারীদের সার্বক্ষণিক পোশাকই ছিল শাড়ি। সময়ের প্রয়োজনে অথবা অন্য কোনো অজ্ঞাত কারণে বাংলাদেশের নারীরা এখন অনেকটাই শাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন বলা যেতে পারে।

এখন কয়টা মেয়ে পাওয়া যাবে যে শাড়ি পড়ে কলেজে যায়, বিশ্ববিদ্যালয় রায়। কয় জন মহিলাকে পাওয়া যাবে শাড়ি পরে অফিস করতে যান বা অন্য কোন কাজে যান ? আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও নারীরা যেভাবে শাড়ি পরতেন এখন তারা আর আগের মতো শাড়ি পরেন না। আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগে তরুণ তরুণীরা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গামী মেয়েরা কেউ কেউ এবং একটু বয়স্ক মহিলারা সবাই শাড়ি পরতেন।

কিন্তু সময়ের আবর্তে এখন কোন বয়স্ক মহিলাও শাড়ি পরতে চাচ্ছেন না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তারা সালোয়ার-কামিজ পরছেন। আবার বিভিন্ন উৎসব উপলক্ষে অনেকে যদিও শাড়ি পড়ছেন কিন্তু সেটাও করছেন কিম্ভূতকিমাকার পোশাক হিসেবে। এখনকার নারীরা আগের মত ব্লাউজ পরেন না। হালে ফুলহাতার একটা অন্য রকম জামা পরেন। এটার সাথে আগের দিনের ব্লাউজ এর কোন মিল থাকেনা । সাথে অতিরিক্ত একটা কাপড় তারা মাথায় পেঁচিয়ে কিন্ভূতকিমাকার করে রাখেন।

তাদেরকে আগের মত চিরন্তন আবহমান বাংলার নারী মনে হয় না। এর পিছনে কারণটা আসলে কি?

মূলত দুটি কারণে মানুষ শাড়ি পরা বাদ দিয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।
প্রথমত পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের তুলনায় বাংলাদেশে বর্তমানে ধর্মীয় গোড়ামী অনেক বেড়ে গেছে। হুজুরদের দাপটও পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের চেয়ে শতগুণ বেড়ে গেছে।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে আমরা দেখতে পাই অনেক নারীই শাড়ি পরে ঢাকার রাজপথে মিছিল করছেন । ১৯৬৯/৭০ এর আন্দোলনের সময় অনেক মহিলাকে দেখা গেছে তারা শাড়ি পড়ে আন্দোলন করছেন।

বর্তমান সময়ে সেটা আর ভাবাই যায় না। মহিলাদের শাড়ি না পরার আরেকটা কারণ হল শাড়ি পরে দ্রুত হাঁটা সম্ভব হয় না। তবে এটা একটা গৌণ কারণ ।ধর্মীয় কারণ টাই বেশি।
শাড়ি পরিহিত শ্রীলংকান নারী

আমি বেশ কিছু দিন শ্রীলংকায় ছিলাম। সেখানকার মহিলারা তাদের বাসা বাড়িতে থাকাকালীন অন্য পোশাক পরিধান করলেও অধিকাংশ মহিলা অফিস করেন শাড়ি পরে । তাদের শাড়ি পড়ার ধরণটা একটু অন্য রকম। আমার মনে হয় শাড়ি পরার প্রচলনটা এক সময় শ্রীলঙ্কার মহিলারাই হয়তো ধরে রাখবে।

বাংলাদেশের মহিলারা এখনও প্রচুর শাড়ি কিনেন বিভিন্ন উপলক্ষে । কিন্তু সেগুলো মূলত বাক্সবন্দী হয়েই থাকে। কদাচিৎ পরা হয়।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:১৯

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: আবদুল্লাহ আবু সাইদ সাহেবের লেখাটা চরম মাত্রায় কুরুচিপুর্ন বৈ আর কিছুই ছিল না। আবদুল্লাহ আবু সাইদ সাহেব তো আর সেফুদা নন, তার কাছ থেকে সেফুদা স্টাইলে সুড়সুড়ি পুর্ন বর্নবাদী রেসিস্ট লেখা আশা করা যায় না।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
লেখাটা খুব ভালো ছিল।

২| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

নতুন বলেছেন: দেশে এখন সব দোকানেই চাইনিজ পোষাক পাওয়া যায়। কিছু দিন পরেই মেয়েরা শাড়ী পরা বন্ধ করে দেবে।

আর গোড়ামী তো আছেই।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক। এখন প্রতিটি বাসায় কমপক্ষে একজন করে হলেও মহিলা হুজুর দেখা যায়।

৩| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: লাল শাড়ি লাল চুড়ি ....... রাগ করো না। গান আছে।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আছে ।
তবে আর থাকবে না।

৪| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শাড়ী শুধু আমাদের দেশে নয় পশ্চিমবঙ্গে ও জনপ্রিয় ।
...............................................................................................
বঙ্গ ললনার জন্য এর কদর এখনো আছে, এখন ও মোহনীয় রুপ পাওয়া যায়,
অতি স্মার্ট প্রদর্শন এর জন্য কিছু শহুরে নারী অন্য পোষাক পড়েন বটে
তবে ভালো কোন অনুষ্ঠানে দামী শাড়ির চাহিদা প্রচুর ।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গ একটা দেশের প্রদেশ মাত্র। দেশ নয়। কারক পরেন । কিন্তু আমাদের দেশের নারীদের মতো নয়।
ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারক।

৫| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: সময় পেলে চোখ বুলাবেন।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সেই সময় পড়েছিলাম।
মন্তব্য ও করেছিলাম

৬| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েরা নানান রকম জামা কাপড় পড়লে শাড়িই তাদের প্রথম পছন্দ।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ঈদ মোবারক।

৭| ২২ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

ডাকঘর সাহিত্য পত্রিকা বলেছেন: লাল বেনারশি পরিয়ে তুমি যে আমার সীমানাটা ছাড়িয়ে গেলে
---------------------------------------------------------

কি রকুম একেবারে মিলে গেলো
অসাধারণ শৈলী

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ঈদ মোবারক।

৮| ২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালী মহিলারা বিহারী হয়ে গেছে।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এখন ঘরে ঘরে মহিলা হুজুর।

৯| ২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

শুভ্রনীল শুভ্রা বলেছেন: শাড়িতে বাঙালি নারীকে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে এটা নিয়ে দ্বিমত কম ই আছে। বঙ্গ ললনারা শাড়ি পরতে পছন্দ করে।শাড়ি আমার নিজেরও খুব পছন্দের একটা পোশাক। মাঝে মাঝে কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই পরি। কিন্তু সবসময় শাড়ি পরে থাকাটা কষ্টকর। নির্ঝঞ্ঝাটভাবে কাজ করা যায়না। আমার নিজের ক্ষেত্রে অন্তত তাই হয়।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সুন্দর বলেছেন। ধন্যবাদ। আপনাকে।
ঈদ মোবারক।

১০| ২২ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এরা আমাদের দেশের মাখন। কিছু পাকিস্তানি হাইব্রিড জাত এই গুনি লোকগুলোর লেখা নিয়ে অহেতুক সমালোচনা করে। এনারা এক এক করে চলে যাচ্ছেন; আমরা এখন কিছু বুঝবো না, বুঝবো ১৫-২০ বছর পরে।

ললনারা শাড়ি পরুক আর যাই পরুক মুখে আটার বস্তা না ল্যাপটালে ভালো লাগে।


২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: দারুণ বলেছেন।
ধন্যবাদ।
ঈদ মোবারক।

১১| ২২ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

সোহানী বলেছেন: না ঠিক না, শাড়ি আছে ও থাকবে।

শাড়ি ছেড়ে আমরা অন্য পোষাক পড়ি প্রয়োজনে। কারন আপনি হয়তো জানেন না একটা শাড়ি পড়তে যথেস্ট সময় দিতে হয় যা এখনকার নারীদের জন্য কষ্টকর। তারউপর হাজারটা কাজে দৈাড়াতে যেতে শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ ফিল করা যায় না।

তবে যেকোন অনুষ্ঠানে শাড়ি ছাড়া অন্য কিছু পড়ার কথা আমরা চিন্তাও করি না। শাড়ি আমাদের ভালোলাগা আমাদের ভালোবাসা।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।

১২| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন,




শাড়ীর আলাদা একটা সৌন্দর্য আছে। কেবল বাঙালী নারীই নয় শাড়ীতে সব নারীদেরই দৃষ্টি নন্দন লাগে যদি শাড়ীটি গুছিয়ে পড়া হয়।
শাড়ীর কদর কিন্তু কমেনি এখনও। আমাদের মেয়েরা কাজের সুবিধার্থে অন্য পোষাক পড়েন বটে কিন্তু শাড়ীই তাদের প্রথম পছন্দের। তাই যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠানে শাড়ি ছাড়া অন্য কোনও পোষাক তেমন চোখেই পড়বেনা।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ঈদ মোবারক।

১৩| ২২ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অন্যসবাই লেখার শুধু একটি অংশ নিয়েই বলেছেন সেটা হলো বাংলাদেশী নারীরা শাড়ি অনেক পছন্দ করেন, এবং সুযোগ পেলেই পড়েন। কিন্তু সময়ের অভাবে পড়তে পারেন না।

কিন্তু আপনার লেখার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ধর্মীয় গোড়ামিটা বাদ পড়েছে আলোচনায়। আসলেই, যারা শাড়ি পড়েন না তারা পড়েন না, সেতো বেশিরভাগ বাংলাদেশী পুরুষও ওয়েস্টার্ন পড়ে, তাতে কিছু যায় আসেনা। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আজকাল শাড়িটা আর বাংলাদেশী নেই, শাড়ির মধ্যে দিয়ে অন্য নানা দেশের কালচার বেশি প্রতিফলিত হচ্ছে। আমাদের নানী দাদীরা কত শালীনতার সাথে চলাফেরা করেছেন শাড়ি পড়ে। যুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, জয়েন্ট ফ্যামিলি সামলানো সবই করেছেন। তাদের ব্লাউজ যে সবসময় ফুলহাতা হতো বা শাড়ির ওপরে লম্বা হেজাব পড়তেন তা নয়। বরং অনেক ফ্যাশনেবল ব্লাউজের চল ছিল সেসময়ে। কিন্তু এক শাড়ির আঁচলেই কিভাবে যেন মাথা, হাত সব ঢেকে রাখতেন এবং না ঢাকলেই সেটাকে অশালীন মনে হতোনা। কেননা সেই শালীনতার মধ্যে একটা বাংলাদেশী ব্যাপার ছিল। এখনকার শাড়ি পড়া নারীদের উৎকট মেকআপ এবং অদ্ভুত ব্লাউজের ধরণে শাড়ির আসল মিষ্টি গন্ধটা হারিয়ে গিয়েছে। মজার ব্যাপার তারা শরীর ঢাকতে এত এক্সট্রা লেয়ার দেবার পরেও কিন্তু শালীন দেখায় না, কেননা পোশাকগুলো অনেক বেশি চকমকে হয় (সুতি শাড়ি কজন আর পড়ে?) এবং এত বেশি মেকআপ, ডিজাইন!!! করা হেজাবের কারণে না ধর্ম রক্ষা হচ্ছে নাইবা সংস্কৃতি!

যারা শালীনতা ও আরাম ইত্যাদি কারণে শাড়ি পড়েন না তারা না পরুন, কোন অসুবিধা নেই, কিন্তু যারা পড়ছেন তাদের কাছে অনুরোধ শাড়ি নামক পোশাকটির বারোটা বাজানো বন্ধ করুন।

গুরুত্বপূর্ণ টপিকটি নিয়ে লেখার জন্যে ধন্যবাদ।

২৫ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এই মন্তব্যটি সত্যি অসাধারণ। আজকের পোষ্টটি দেওয়ার পরে এই মন্তব্যটি পাওয়া ছিল একটা বড় অর্জন।
মন্তব্যকারী খুবই সচেতন এক জন মানুষ। দারুণ স্মার্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.