![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানিং আমাদের দেশে মাদকাসক্তদের নিয়ে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা দেখছি। সর্বনাশের এই নেশায় যুক্ত হয়েছে একটি নাম, আর তাহল ইয়াবা। ইয়াবার করাল থাবা থেকে মুক্ত হওয়ার কথা ভাবা দুষ্কর। এর ব্যবহার মাত্রাতিরিক্ত হারে বেড়েই চলেছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নানা অপরাধও বাড়ছে।স্বাভাবিক মানুষ ইয়াবার প্রতিক্রিয়ায় হয়ে ওঠে বিকৃত মানুষ।খুনী হয়ে যেতেও করে না দ্বিধা। ইয়াবা হচ্ছে এক ধরনের এফিড্রিল, যা সামান্য সেবনেই স্নায়ুতন্ত্রকে স্তিমিত করে দেয়। এতে সাময়িক উত্তেজনা দেখা দেয়। যে কারণে সেবনকারীরা কিছুটা সময় প্রাণবন্ত হয়ে বেশি কথা বলতে শুরু করে। সেবনকারী রাতের পর রাত জাগতে পারে। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ক্লান্ত হয়ে পড়া জার্মান সৈনিকদের চাঙ্গা রাখতে হিটলার সর্বপ্রথম এ ইয়াবা আবিষ্কার করেন। সেই থেকে প্রচলন হলেও থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে ইয়াবা টিকেছিল। এরপর আশির দশকে এর আকস্মিক বিস্তৃতি ঘটে। হেরোইন ফেনসিডিলের পর ইয়াবা অদ্যাবধি সবচেয়ে আকর্ষণীয় মাদক হিসেবে সমাদৃত। এর অন্যতম কারণ এটি বহন, গ্রহণ, হস্তান্তর, সেবন ও নেশার কার্যকারিতায় অদ্বিতীয়। বাংলাদেশে নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো এই মরণঘাতী নেশা আসতে শুরু করে। যার সঙ্গে শিক্ষিত, ধনাঢ্য, অনেক অভিজাত পরিবারের নারী-পুরুষরাও জড়িত। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আইএস জঙ্গীরাও ইয়াবার অনুরূপ মাদক সেবন করে আসছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, ইয়াবা সবচেয়ে ক্ষতিকর মাদক। আসক্তদের এটি দ্রুত মৃত্যুর দিকে টেনে নিয়ে যায়। এদের হিতাহিত জ্ঞান কমে যায়। নেশার অর্থ সংগ্রহের জন্য তারা করতে পারে না এমন কোন কাজ নেই। এটি সেবনে কিডনি ও মস্তিষ্ক বিকল হওয়া ছাড়াও ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, লিভার, হৃদরোগ ও স্মৃতিশক্তি বিনষ্ট হয়। অধিকাংশ ইয়াবাসেবী মস্তিষ্ক অকেজো হয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। একজন ইয়াবা আসক্ত কেবল নিজেই মরে না, পুরো পরিবারকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। দেশের প্রাণ তরুণ সমাজকে রক্ষায় এই সর্বনাশা নেশার কবল থেকে রক্ষা করা জরুরী। এটা যে শুধু সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব তা নয়। সমাজের প্রতিটা নাগরিকের দায়িত্ব এবং কর্তব্য হল তার সন্তানের প্রতি নজর রাখা। যে সন্তানটি এই কাজের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে সে তো আমাদের কারো না কারো সন্তান। তাই আমরা যদি আমাদের সন্তানদের সু নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলি, তাদের প্রতি খেয়াল রাখি, তাহলে সমাজে এই অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। একটা সুস্থ সবল জাতি আমরা পাব।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহুদীরা ইয়াবায় জন্ম-নিয়ন্ত্রণ ঔষধ যোগ করেছে।