![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যে মুহূর্তে জিএসপি পেতে বাংলাদেশ সব শর্ত পূরণ করেছে ঠিক সে সময়ে মার্কিন বাণিজ্য দফতরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন দাখিল করেছে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন এএফএলসিআইও। জিএসপি না দেয়ার এ ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তারা নতুন শর্ত হিসেবে টেলিকম খাতকে জুড়ে দেয়ার চেষ্টা করেছে। এএফএলসিআইওর প্রতিবেদনে বাংলাদেশে শ্রমমান উন্নয়নের অগ্রগতি পুরোটাই অস্বীকার করা হয়েছে। প্রশ্ন তোলা হয়েছে পোশাক, চিংড়ির পাশাপাশি মোবাইল খাতের শ্রমমান নিয়েও। সংগঠনটি দাবি করেছে, মোবাইল খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান হলেও শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করতে দেয়া হচ্ছে না। শ্রমিকরা ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলেও সরকার বাধা দিচ্ছে। এগার পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি মার্কিন বাণিজ্য দফতর ইউএসটিআর কার্যালয়ে দাখিল করা হয়। জিএসপি (জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলেছিল। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে শর্তগুলোর অগ্রগতি প্রতিবেদন মার্কিন বাণিজ্য দফতরে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশকে জিএসপি পেতে যে ১৬টি শর্ত দেয়া হয়েছে তার সবগুলো পূরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংক্রান্ত এক বৈঠকে আইএলও, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরা হয়েছে। তারা এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী সংগঠন আমেরিকান অর্গানাইজেশন অব লেবার-কংগ্রেস ফর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এএফএলসিআইও)। এ সংগঠনের প্রস্তাবেই ওবামা প্রশাসন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করেছিল। নতুন করে তারাই আবার বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলের অনুরোধ জানিয়েছে। এটিকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এক ধরনের ষড়যন্ত্র বলে গণ্য করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা। জিএসপি পেতে ১৬ শর্তের অগ্রগতি : যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জিএসপি সুবিধা পেতে বাংলাদেশকে একটি অ্যাকশন প্ল্যান দেয়া হয় ইউএসটিআর কার্যালয় থেকে। তাতে ১৬টি শর্ত পূরণ করতে বলা হয়। এরই মধ্যে সব শর্ত পূরণ করা হয়েছে। শর্তপূরণের অংশ হিসেবে শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হয়। আমিনুল হত্যাকাণ্ডের বিচারের চার্জশিটও দেয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কল-কারখানা পরিদর্শনের জন্য সম্প্রতি শর্তানুযায়ী ২০০ পরিদর্শক নিয়োগ করা হয়েছে। আইএলওর সহযোগিতায় ওয়েবসাইটভিত্তিক ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে। সংশোধন করা হয়েছে শ্রম আইন। এখন বিধিমালা তৈরির কাজ চলছে। চিংড়ি খাতে শ্রমিকদের সংগঠনের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ইপিজেডে শ্রম আইনের খসড়া মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বুয়েট টিম, অ্যালায়েন্স এবং অ্যাকর্ড যৌথভাবে পোশাক শিল্পের প্রায় আড়াই হাজার কারখানা পরিদর্শন করেছে।এর পরেও বাংলাদেশের জি এস পি সুবিধা নিয়ে বার বার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং এই ষড়যন্ত্র এখনো চলমান আছে। বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতেই দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্তান্তকারীরা একাট্র হয়ে কাজ করছে। তাদের চক্রান্ত থেকে সবাইকে সজাগ এবং সোচ্চার থাকতে হবে
২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১৭
মিঃ আতিক বলেছেন: বিশ্ব বাজারে আমাদের বস্ত্র খাতের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কে এটা জানলে, কারা ষড়যন্ত্র করছে এটা বুঝতেও সময় লাগেনা।
৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২২
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: দেশবিরোধীদের কোন প্রকার চক্রান্তই সফল হবে না বলে বিশ্বাস।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার পোস্ট পড়ে চক্রান্ত থেকে সজাগ হলাম; আমাকে চক্রাকারীদের নাম দেন, রাস্তায় পেলে কিলঘুসি মারার চেস্টা করবো, দেশের জন্য কিছু করার দরকার মনে করছি।