নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

seee83

seee83 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্লাশরুম মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার শিক্ষার বিকল্প নয়

১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৯

॥ সামিউল হক সুমন ॥ বর্তমানে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে ডিজিটাল বিপ্লব ঘটছে তাতে ক্লাশরুমে বসে শিক্ষার্থীরা কতটুকু উপকৃত হচ্ছে সে প্রশ্ন এখন সময়ের দাবী। কাগজ কলমের পরিবর্তে শিক্ষার্থীরা এখন ক্লাশে নিয়ে যাচ্ছে পেনড্রাইভ আর ক্লাশ শেষে পকেটে পুরিয়ে নিচ্ছে সকল জ্ঞান ভান্ডার। এতে করে একজন শিক্ষার্থীর কতটুকু ক্ষতি বা লাভবান সেই হিসেব করাটা একটু কঠিন হলেও নিশ্চিতভাবে শ্রেনীশিক্ষকের লাভের হিসাবটা সহজেই অনুমান করা যায়।



হয়তো ঐ শিক্ষককে আর কখনোই নতুন করে ক্লাশলেকচার নিয়ে আর মাথা ঘামাতে হবে না। একটা ফাইল দিয়েই চালিয়ে যেতে পারবেন বছরের পর বছর। হয়তো এই ক্লাশলেকচারটা ও সে নিজে তৈরি করেননি, ডাউনলোড করে নিয়েছেন নেট থেকে অথবা কপি করেছেন কোন বন্ধ্বুর কাছ থেকে। ফলে শিক্ষকদের গবেষনার পরিধি যেমন ছোট হচ্ছে তেমনি ভার্চুয়াল প্রতারণার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরাও।



শিক্ষা মন্ত্রনালয় আয়োজিত বিজ্ঞান শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অনাগ্রহের বিষয়ে এক আলোচনা সভায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর বক্তব্য এই রকম “একজন শিক্ষক যখন ক্লাসে পড়ান তখন তাঁর প্রয়োজন ব্ল্যাকবোর্ড ও চক এবং পৃথিবীর এই আদি ও অকৃত্রিম পদ্ধতির কোনো বিকল্প নেই। আমি যখন পড়াই তখন ছাত্রছাত্রীদের মুখের দিকে তাকিয়ে অনুমান করার চেষ্টা করি তারা আমার কথা বুঝেছে কি না। যদি মনে হয় বোঝেনি, তখন বোর্ডে আমি আরও কিছু লিখি, আরও ব্যাখ্যা করি, আরও ছবি আঁকি। দরকার হলে পুরোটা মুছে ফেলে আবার অন্যভাবে শুরু করি। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে এগুলো কিছু করা যায় না। ঘরে বসে চকচকে ফন্ট ব্যবহার করে যে কথাগুলো লেখা হয়, ছাত্রদের দর্শক হয়ে সেগুলো দেখতে হয়। তাদেরও আর কিছু করার নেই। কিন্তু বোর্ডে আমি যখন লিখি, ছাত্রছাত্রীরাও সেটা তাদের খাতায় লেখে। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরে যেটা দেখানো হয়, সেটা কেউ কখনো লিখতে পারে না। তার কারণ, সেটা তাদের দেখার কথা, লেখার কথা নয়। শুধু তা-ই নয়, সেমিনার দেওয়ার জন্য আমি যে কয়েকবার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করেছি, ততবারই লক্ষ করেছি, আমার কথা শোনার জন্য কেউ ভুলেও আমার মুখের দিকে তাকাচ্ছে না, সবাই তাকিয়ে আছে স্ক্রিনের দিকে। পৃথিবীর যেকোনো শিক্ষক জানেন, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে দৃষ্টি বিনিময় না করে কোনো দিন ক্লাসে পড়ানো যায় না।”



এ বিষয়ে প্রফেসর মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, এটি চমৎকার একটি যন্ত্র কিন্তু এটা কিন্তু মোটেও শিক্ষার বিকল্প নয়। কাজেই কম্পিউটার আমাদের বুঝতে হবে বাংলাদেশের প্রতিটা স্কুলের একজন শিক্ষককে ল্যাপটপ আর মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দিয়ে দিলেই লেখাপড়ার উন্নতি হতে শুরু করবে না।”



আর একজন শিক্ষকের সাথে কথা বললে সে শিক্ষক জানান, “আমার কাছে সব ছাত্র দলবেঁধে এসে অনুরোধ করেছে আমি যেন শিক্ষকদের মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দিই।”



খোদ ছাত্র ছাত্রীরাই যখন এই ভার্চুয়াল সমস্যা চিহ্নিত করতে পেরেছে সেক্ষেত্রে শিক্ষকদেরও উচিত প্রযুক্তি নির্ভর পাঠদানের ব্যাপারে আরো সতর্ক হওয়া। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর আসলেই একটি চমকপ্রদ যন্ত্র, কিন্তু এটি কনভাবেই ক্লাসে ছাত্রছাত্রী পড়ানোর একমাত্র ব্যবস্থা নয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:২৭

আরজু পনি বলেছেন:
হ্যাঁ, প্রজেক্টর একমাত্র ব্যবস্থা নয় বা হতে পারে না। সহমত।

তবে শিক্ষক যদি অনুসন্ধিৎসু হন তবে কিন্তু তিনি অবশ্যই কপি-পেস্ট লেকচার ব্যবহার না করে অবশ্যই নিত্য-নতুন তথ্যই প্রজেক্টরের মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পারেন। এটা কিন্তু সম্ভব। সাথে বাড়তি কিছুর প্রয়োজন পড়লে তিনি বুঝিয়ে দিতে পারেন।

আপনার বলাটা ভালো লাগলো। শেয়ার নিলাম।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৪

seee83 বলেছেন: শ্রনীকক্ষে প্রযুক্তির ব্যবহার এর ভালোদিক অনেক। স্বল্প কথায় তুলে ধরা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে এই নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৯

রিফাত হোসেন বলেছেন: স্কুলে প্রজেক্টর অনেক কাজের , আমি স্কুলে পেয়েছিলাম ।

এতে শিক্ষকদের উপর চাপ একটু কমে । সহজে বোঝানো সম্ভব হয় ।

তথ্য সংগ্রহ ও আপডেট আধুনিক হয় । :)

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৪

জনদরদী বলেছেন: সমস্যা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর নয়; সমস্যাটা শিক্ষকের । বাংলাদেশের বেশির ভাগ শিক্ষক প্রেজেন্টেশন মাধমে কিভাবে লেকচার তৈরী করতে হয় সেটাই জানে না । যদি একজন শিক্ষক ভালভাবে লেকচার তৈরী করে আমি ১০০% গারান্টি দিতে পারি ৯৯ ভাগ ছাত্র কখনই ব্লাক বোর্ডে লেখা লেকচার পছন্দ করবে না ।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৭

শফিউল আলম চৌধূরী বলেছেন: লজিক দেইখা হাসতে হাসতে শ্যাষ। লিখলে অনেক বড় হবে। কিছুটা সংক্ষেপে লিখি।
১. এখন ব্লাক বোর্ড ইউজ হয় না। ব্যবহার হয় হোয়াইট বোর্ড। সুতরাং পার্থক্য দেখি না। বরং আগে মাল্টিমিডিয়া না থাকায় শিক্ষককে লিখেই অনেক অনেক সময় পার করতে হত। যা মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করে সহজে করে, অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় দিতে পারা যায়।

২. আগে ছাত্র-ছাত্রীদের সব কিছু নোট করতে করতে আর পড়া বুঝার খুব একটা সময় থাকত না। এখন প্রেজেন্টেশনের কপি হাতে থাকায় সব কিছু নোট না করে, শুধু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নোট করে বোঝার জন্য সময় বেশি দিতে পারে।

৩. কে বলেছে আপডেট করা হয় না? পাগলেই এটা বিশ্বাস করবে।

৪. একটা জিনিষ হিসাব করেন, বিভিন্ন বিষয় যেমন ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ বিভিন্ন ছবি, গ্রাফ তথ্য দেখানোর জন্য মাল্টিমিডিয়ার কোন বিকল্প নাই।

৫. ছাত্ররা যদি স্লাইডের দিকেই তাকায় থাকে, তাহলে সেই ব্যর্থতা শিক্ষকের। তিনি স্লাইডে গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ রাখবেন, সব নয়।

৬. দুনিয়ার কেউই এটাকে একমাত্র ব্যবস্থা দাবী করে না। শুধুমাত্র প্রযুক্তি বিমুখিরাই বলে যে সবাই এটাকে একমাত্র ব্যবস্থা বলে।

৭. যদি সত্যই কোন ছাত্র-ছাত্রীরা দল বেধেঁ বলে থাকে যে প্রোজেক্টর ব্যবহার না করা হোক, আমি বলব, তারা হয় কিচ্ছু বুঝে না, নাইলে প্রযুক্তি বিমুখ কিংবা ............. (এইটা আর বলতে চাচ্ছি না।


যাই হোক, প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন করা এখন সত্যই ফালতু এবং হাস্যকর বিষয়। এটা নিয়ে লিখতে গেলে অনেক অনেক অনেক কিছু লিখতে হবে। আর হুদা হুদি সেই পিছনের দিকে আর কত টানবে? আমরা এমনিতেই অনেক পিছিয়ে আছি। আর টেনে না ধরি।

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৫২

seee83 বলেছেন: দুঃখিত কমেন্ট টা আবার রিপিট করতে বাধ্য হলাম... শ্রেনীকক্ষে প্রযুক্তির ব্যবহার এর ভালোদিক অনেক। স্বল্প কথায় তুলে ধরা সম্ভব নয়। পরবর্তীতে এই নিয়ে বিস্তারিত লেখার ইচ্ছা আছে। এর বেশী কিছু এই মুহুর্তে বলছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.