নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

সেলিম আনোয়ার

[email protected] Facebook-selim anwarবেঁচে থাকা দারুন একটা ব্যাপার ।কিন্তু কয়জন বেঁচে থাকে। আমি বেঁচে থাকার চেষ্টা করি।সময় মূল্যবান ।জীবন তার চেয়েও অনেক বেশী মূল্যবান।আর সম্ভাবনাময়।সুন্দর।ঢাকাবিশ্বদ্যিালয়ের পাঠ চুকিয়ে নিরস চাকুরীজীবন। সুন্দরতর জীবনের প্রচেষ্টায় নিবেদিত আমি সেলিম আনোয়ার।

সেলিম আনোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম অপ্রেমের গল্প-৫

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:১২





কাওসার আর প্রিয়া কলাভবনের সামনে বসে আছে্ ।পড়ন্ত বিকেল।সবুজ ক্যাম্পাস।উচ্ছল তরুণ তরুণীর ভীড়।কাওসার হতাশ। চাকরি চলে যাওয়াতে তার আর প্রিয়ার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার অবস্থা! ছোট বেলা থেকেই কাওসার প্রিয়াকে দেখছে ।তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ভেঙে গেল বলে।কত শত স্মৃতি কাওসারের । প্রিয়াকে ভালবাসে অনেক আগে থেকেই অথচ।প্রিয়ার ভালবাসা ধরা দিয়েছে তাকে মাত্র কদিন হলো। প্রিয়াকে বাহুবন্ধনে পেয়েছে তার একটা চাকরি হওয়ার পর।প্রিয়া তাকে মন উজাড় করে ভালবেসেছিল। সেদিন ভাবছিল এত ভালবাসা এত সুখ তার কপালে সইবে কি না? প্রিয়ার ওষ্ঠে ওষ্ঠ রেখে ভুলে থাকা যায় সারা পৃথিবী। কিন্তু প্রিয়া কি ক্রমাগত দূরে সরে যাচ্ছে তার থেকে?



প্রিয়া কাওসারের সাক্ষাতে আগের মত উদ্বেলিত হয় না।ভালবেসে বিগলিত হয়না।তাকে কেমন দূরের মানুষ মনে হয় ।কাওসার দুঃস্বপ্ন দেখে। সব হারিয়েও বেঁচে থাকা যায়।তবে ভালবাসাহীন বেঁচে থাকা বেঁচে থাকা নয়। প্রিয়ার চেখে প্রেম নয়্ করুনার চাহনি অবলোকন করে কাওসার।



চাকরি চাই।প্রিয়া চাই।স্মোক করার অভ্যাস হয়েছে কাওসারের। মদের নেশাও পেয়েছে।হতাশায় মদ আর ধূমপান কিছুটা স্বস্তি দেয় ।বুকফাটা জ্বালার উপসম হয়।প্রিয়া ওকে ধূমপান করতে নিষেধ করেছিল্ ।আর ও তা মান্যকরেছিল। লুকিয়ে দুই একটা সিগারেট খেত।প্রিয়ার সামনে দু একবার ধরা পরে বকুনিও খেতে হয়েছে। আর হতাশার সাগরে ডুবে সে এখন চেইন স্মোকার।





প্রিয়া হলে চলে যায়। কাওসারে জন্য খুব মায়া হয় তার।ওর পাশে বেশিক্ষণ বসে থাকতে ভাল লাগে না। সারাক্ষণ বিষাদ।



প্রিয়াকে ঘিরে যে ছেলেরা জটলা করেছিল তাদের একজন মার খেয়ে হাসপাতালে । আর কয়েকজনের অবস্থাও খারাপ ।





সহপাঠীদের কাছে প্রিয়া জানতে পারলো তারা দল ধরে নালিশ করতে যায় রাজা ভাইয়ের কাছে প্রিয়া আর কাওসারের ব্যাপারে জানাতে।প্রিয়াকে বাজে ইঙ্গিত করে কথা বলাতে রাজা ভাই বিরক্ত ও ক্রুদ্ধ হন। জীবনে প্রথমবারের মত রাজা ভাইয়ের হাতে কেউ এমন মার খেল। আসলে রাজা ভাই মারেননি। এটা তার ভক্তদের কাজ রাজা ভাই বিরক্ত হলে আর এটা জানলে তার স্নেহাস্পদ লোকেরা এসব ঘটাতে সময় নেয় না। রাজা ভাই আফসোস করতেন প্রায়ই জানো প্রিয়া আমার অনেক ভাল বন্ধু আছে কিন্তু খারাপরা আমাকে পছন্দ করে বেশি কেন আমি জানিনা। বিশেস করে যারা চঞ্চল তারা।আমি কাউকে ধমক দিলে দেখব কেউ একজন এসে তাকে মেরে বসেছে্ । তাই রাগ ওঠলেও ধমক দিই না।



রাজা ভাইয়ের হস্তক্ষেপে এ যাত্রা বেঁচে গেছে প্রিয়াকে টিজ করা যুবকেরা।রাজা ভাই হাসপাতালে তাদের সেবা শস্রুষার বেপারটা দেখভাল করছেন। অনেকটা সময় হাসপাতালে থাকছেন। ঝগড়া ব্যাপারটা খুব খারাপ ।একবার শুরু হয়ে গেলে সেটা চলতেই থাকে।রাজা হাসপাতালে থাকলে অন্তত অন্যরা আসবে না।রাজা ভাইকে ই এ ঝামেলা মেটাতে হবে।



প্রিয়ার এসব ভেজাল বোধগম্য নয়।তবে এ নিয়ে কাওসারের ওপর চরম বিরক্ত।সুন্দরী মেয়ে দেখলে টিজ করা লাগবে।সে থেকেই এর সূত্রপাত। কাওসারের নামে বেশ কিছু কুৎসা রটনা শুনা গেছে সহপাঠীদের কাছে। আগে ভাবত ঈর্ষান্বিত হয়ে সহপাঠীরা কাওসারে বদনাম করছে। কারণ সহপাঠীদের অনেকেই তার জন্য ফিদা। কাওসারকে সরাতে পারলে তাদের লাভ্ । কাওসারের নারী আসক্তি নিয়ে কানাঘুষা সে পাত্তা দেয়নি।



মানুষের জীবনটা অনেক জটিল। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের দায়িত্ব ও বেড়ে যায়।দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হাপিয়ে ওঠে সবাই।প্রিয়ার ভাবনা সামনের দিকে। এখনই তার সবকিছু বিরক্তিকর মনে হয়।মাঝে মাঝে মনে হয় বেঁচে থাকা কঠিন। অনেক দায়িত্বের ;মরে যাওয়াটা সহজ।



একটা প্রজেক্টে কাজ করার সুবাদে কিছটা আয়ের সুযোগ হয়েছে।রাজা ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় ও সে সূত্রে ই।না হলে তার সাথে কথা বলার সুযোগই হত না।রাজা ভাই কখনো দাঁড়িয়ে থেকেছেন এমনটি হয়নি।দ্রত হাটছেন। এদিকে যাচ্ছেন ও দিকে যাচ্ছেন। লেকজন আসছে তার সাক্ষাতে তিনি হয়ত অন্য কোথাও অন্য কোন খানে অন্যকাজে ।সংক্ষিপ্ত রাস্তা তিনি হেটেই চলে যান।তার যুক্তি সময় বাঁচানো আর শরীরের ফিটনেস দুটোর জন্য হাটা দরকার! রিকশা পেতে পেতে সেই সময়ে তিনি গন্তব্যে খামাখা দুটো পয়সা অপচয়।সেই টাকা দুস্থদের দেয়াই বেটার।কাজের সময় অন্য কিছু নয়।তবে সারাক্ষণ মজার মজার কথা বলছেন সবাইকে মাতিয়ে রাখছেন।



ইদানীং প্রিয়াকে ভাল গুরুত্ব দিচ্ছেন। ছেলে মেয়েরা একসাথে কাজ করলে ছেলেরা প্রিয়াকে টিজ করে কথা বলে প্রায়ই তাই তাকে চোখের সামনে রেখে কাজ করান। অন্যরা বিরক্ত হলেও প্রিয়া খুব খুশি।রাজা ভাইয়ের সঙ্গ তার দারুণ ভাল লাগে। আরসেনিক বিষয়ক জরীপ ।সরাসরি গ্রামের মহীলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তথ্য সংগ্রহ করা লাগে। এ বিষয়ক কাজে সমস্যা হলে রাজা ভাই সহযোগিতা করেন।



এক অতি উৎাসী মহীলা রাজা আর প্রিয়াকে তার বাসায় দপুরের খাওয়ার দাওয়াত দিল।খেতেই হবে।তার ছেলে ছেলের বউ দুবাই থাকে।তার কথা খুব মনে পরেছে।পিয়াকে খুব করে অনুরোধ তুমি আর তোমার স্বামী আজকে দুপুরে আমার এখানে খাবা ।তোমার স্বামীকে বল ।এ কথা শুণে প্রিয়ার রাজা দুজনেই থ।প্রিয়ার মাথায় দুস্টুমী বুদ্ধি ।সে মহীলাকে বলে স্বামী আমার কথা শুনবে না আপনি শক্ত করে বললে শুনবে।রাজা ভাই হোচট খেলেন বোধ হয় ।প্রিয়া মজা পাচ্ছে।তার জোরাজুরিতে রাজা ভাই খেতে বাধ্য হলো। মহীলা বিদ্যুৎ চলে গেলে হাত পাখা দিল প্রিয়ার হাতে ।বলল স্বামীকে বাতাস কর আর খাও।স্বামীর সেবা করতে হয় বুঝছো মাইয়া।তইলে সব কথা শুনবে। প্রিয়া বাতাস করছে রাজা ভাইকে আর মনে মনে রঙিন স্বপ্ন আঁকছে ।খাবারের মেন্যু ছোট মাছ এর ঝাল তরকারী ,টাকি মাছের ভর্তা, করলা ভাজি আর ডাল ।ঝালে রাজা ভাইয়ের ঠোট টকটকে লাল।প্রিয়ারও ।হাতপাখায় বাতাস দিচ্ছে একাজ জীবনেও করেনি।আজ তার দারুণ ভাল লাগছে।রাজা দ্রুত খাবার সাবার করার চেষ্টায় ঝালের জন্য খেতে দেরী হচ্ছে । আর মাঝে মাঝে পানি খাচ্ছে।মহীলার নির্দেশ অনুযায়ী পানি দেয়ার দায়িত্ব প্রিয়ার ।সেটা সে বাধ্যগত স্ত্রীর মত পালন করছে। মহীলা দারুণ খুশি।মহীলার চোখে পানি।তার ছেলেকে কতদিন খাওয়ায় না।নিজের ছেলে আর ছেলের বউকে খাওয়াচ্ছে এমন ভাবছে আর সুথে চোখে অশ্রু আসছে।প্রিয়াকে জ্ঞান দিচ্ছে বুঝলা মা এখনকার মেয়েরা স্বামীর খেদমত করতে চায় না।নিজেরাও খায়না ।না খেয়ে এত শুকনা দূর্বল হলে সেই পেটে বাচ্চা রাখবা কিভাবে?রাজা ভাইয়ের তালুতে ঝাল ওঠেছে। তিনি কাশছেন। লজ্জায় চেহারা লাল্ ।------------>>>



প্রেম অপ্রেমের গল্প-৪



প্রেম অপ্রেমের গল্প-৩



প্রেম অপ্রেমের গল্প-২



প্রেম অপ্রেমের গল্প-১



-------------------------------------------------------------------

উৎসর্গ -সুপ্রিয় সহ ব্লগার এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা



মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

মাক্স বলেছেন: গল্পটা পর্বে পর্বে এগুচ্ছে?

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মহান ব্লগার .....হা গল্পটা পর্বে পর্বে এগুচ্ছে ?কখনো ফ্লাশব্যাক হচ্ছে কখনো বর্তমান।

২| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: ইইই বুঝি নাই এটা একটা পর্ব :(

আগেরগুলা পড়তে ইচ্ছে করছে , সময় নেই

পরে পড়তে হবে । আপনি লিখতে থাকেন :)

০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ও উৎসাহে ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: এইটাকে কখনো পর্বে পর্বে এগুচ্ছে মনে হচ্ছে আবার আত্মকথন ও মনে হচ্ছে।
যাক ভালো লাগলো সেলিম ভাই। প্লাস দিছি প্রথমটা। B-)

০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্লাসে ধন্যবাদ। কার আত্নকথন? একবার মনে হচ্ছে রাজা আরেকবার মনে হচ্ছে প্রিয়ার জীবনটাই তো কারো অত্নকথন আবার কারো অন্যকথন। দেখি না কি হয়?

৪| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৬

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: হায় হায় আগেই ৫ম পর্ব পরে ফেললাম :( :(

০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: হায় হায় এর কিছু নাই..আগের পর পর্ব পড়ে ফেলেন। আমি কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগে শেষটা পড়ি তার পর প্রথম থেকে পড়ি।কোন লেখক আমাকে চমকে দিবে সেই সুযোগ দেই না।


কমেন্টে ধন্যবাদ নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

৫| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভালই লাগছিল ভাই। ++++

০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কমেন্টে ধন্যবাদ। নিরন্তর শুভকামনা ।

৬| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ২:৩৬

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: মনে হলো মুভি ইসটোরি পড়লাম , ভালো লাগছে :)



০২ রা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সামনে একশন আনার চেষ্টায় আছি। ধন্যবাদ কমেন্টে নিরন্তর শুভকামনা থাকলো ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.