নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সংক্রান্ত বিষয়ে সামু কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৬

ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ তারিখে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দলের পতন ঘটানো হয়। এটা আমাদের একটা জাতীয় গৌরবের দিন। এটা নিয়ে কারও সন্দেও থাকলে মন্তব্যে লিখতে পারেন। মাস খানেকের এই আন্দোলনে ১ হাজারের অধিক মানুষ মারা গেছে, ১৮ হাজারের বেশী মানুষ আহত হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে বা অন্ধ হয়েছে। এতো কিছুর পরেও কেউ যদি এই অভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নেয় সেই ক্ষেত্রে তাকে জাতীয় বেঈমান বলা উচিত বলে আমি মনে করি। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনের বিপক্ষে কেউ থাকলে দয়া করে তারা কারণ সহ মন্তব্য করতে পারেন। এই অভ্যুত্থানকে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীও সমর্থন দিয়েছে। এমন কি জাতিসংঘ সহ পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশ সমর্থন দিয়েছে। এখন কেউ যদি এই অভ্যুত্থানের মধ্যে ষড়যন্ত্র দেখেন তার মানে আপনি ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী।

এই গণঅভ্যুত্থানের পরে গত ১ মাসে ব্লগে প্রচুর পরিমান পোস্ট এবং মন্তব্য আসছে যেগুলি গণঅভ্যুত্থান বিরোধী। সারা দেশের মানুষ যখন রাস্তায় নেমে এসে একটা সরকারের পতন ঘটায় তখন বুঝতে হয় যে ঐ সরকার বড় কোন অন্যায় করেছে। অনেকে বলতে পারেন যে এই অভভুত্থানে জামাত, শিবির এবং বিএনপি ছিল। যে কোন গণঅভ্যুত্থানে সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করে থাকে। জামাত, শিবির বা বিএনপি তো জনগণের রাজনীতি করে তাহলে তারা কেন এই অভ্যুত্থান থেকে দূরে থাকবে। একমাত্র আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর ছাড়া সবাই এই আন্দোলনে ছিল। তবে এই আন্দোলনের মূল ক্রেডিট হল ছাত্রদের। বাকিরা শেষের দিকে অংশ নিয়েছে।

জামাত, শিবির বা বিএনপির কারণে এই আন্দোলন সফল হয়েছে এটাও বলা ঠিক হবে না। আন্দোলনের মূল শক্তি ছিল সাধারণ ছাত্র-ছাত্রিরা। এই ধরণের একটা জনগণ সমর্থিত অভ্যুত্থানকে নিয়ে যারা কুৎসা রচনা করে, ষড়যন্ত্র খোঁজে তারা আসলে শেখ হাসিনার হত্যার সমর্থক। ব্লগে ইদানিং কয়েকজন দেশীয় ব্লগার এই অভ্যুত্থান বিরোধী কথা বলছেন কোন প্রমাণ ছাড়া। অনেকেই উস্কানি মুলক কথা বলছেন, অনেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হওয়ার মত মন্তব্য করছেন। তাদের পোস্ট এবং মন্তব্যের স্বপক্ষে কোন প্রমাণ তারা উপস্থাপন করছেন না বরং অনুমান নির্ভর মনগড়া কথা তারা ব্লগে লিখছেন। বাক স্বাধীনতার নামে এই ধরণের উস্কানিমূলক কথা, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং প্রমাণহীন কথা বলা কখনই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দেশের মানুষের ঐক্যের বিরুদ্ধে কথা সামু ব্লগে থাকুক এটা আমি চাই না। ঐক্য বলছি কারণ একমাত্র ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই এই অভ্যুত্থানের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এই সরকারের পক্ষে আছে। যারা এই ঐক্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে তারা জাতির শত্রু।

শুধু দেশীয় ব্লগার না কয়েকজন ভারতীয় ব্লগার একই কাজ করছে বা এই জাতীয় দেশীয় ব্লগারদের সমর্থন করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো ব্লগ কর্তৃপক্ষ জনগণের ঐক্য বিরোধী এই ধরণের ব্লগারদের মন্তব্য এবং পোস্টের বিষয়ে পদক্ষেপ নিবে। আমি চাই না সামু ব্লগে গণ অভ্যুত্থান বিরোধী কোন কথা থাকুক। কারণ যারা গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তারা দেশের মানুষের ঐক্য চায় না। যে অভ্যুত্থান এবং নতুন এই সরকারকে সারা দেশের মানুষ এবং বিশ্বের বহু দেশ সাদরে গ্রহণ করেছে সেই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে যারা লিখছে তারা আসলে দেশের ভালো চায় না। এদের বড় একটা অংশ আফসোসলীগের সমর্থক। সবচেয়ে বড় কথা কোন প্রমাণ ছাড়া উস্কানি মুলক কথা তারা বলছে, ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি করতে চাচ্ছে এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষ নিচ্ছে। পৃথিবীর কোন দেশে সরকার পতনের পরে স্বৈরাচারী সরকারের পক্ষে কথা বলতে দেয়া হয় না বাক স্বাধীনতার নামে। বাক স্বাধীনতা যদি দেশের মানুষের ঐক্যে ফাটল ধরায় তবে সেটা বাক স্বাধীনতা না। সেটাকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়। দেশের ঐক্য বিরোধী কথা কখনও বাক স্বাধীনতা হতে পারে না। আশা করি ব্লগ কর্তৃপক্ষ এই জাতীয় দেশী এবং ভারতীয় ব্লগারদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিবে। আমি নীচে এই ধরণের দেশের স্বার্থ বিরোধী কিছু মন্তব্য নমুনা হিসাবে দিলাম পাঠকদের সুবিধার জন্য। গত ১ মাসে আরও বহু পোস্ট এবং মন্তব্য এসেছে যেগুলি বাংলাদেশের মানুষের ঐক্য বিরোধী কথা।

অভিযোগ সমুহঃ

১। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে এবারের জনগণের বিজয় এবং অভ্যুত্থানকে অনেকেই ব্যাঙ্গ, বিদ্রুপ করছেন। কোন প্রমাণ ছাড়া বানোয়াট এবং মনগড়া অভিযোগ করা হচ্ছে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে। এটার অর্থ পরোক্ষভাবে হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন করা। ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন করা মানে বাক স্বাধীনতা না। বরং এটা একটা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। ছাত্রদেরকে জামাত শিবির বলা হচ্ছে । বলা হচ্ছে যে ছাত্ররা ট্রেনিংপ্রাপ্ত কমান্ডো – এরা এখন ভেড়ার চামড়া পড়ে ঘুরছে। আরও বলেছে, এরা বইয়ের কেহ নয়, এরা পাকি আইএসআই'এর কমান্ডো, ১৯৯৩ সালে এদের মতো লোকজনকে পাকীরা আফগানিস্তানে এক্সপোর্ট করেছিলো। একজন পোস্ট দিয়েছে, এই আন্দোলনের মাষ্টার-মাইন্ড হচ্ছে পাকিস্তান মিলিটারীর ইন্টেলিজেন্স। বলা হচ্ছে, কোন দেশের প্রতিটি তরুণ ২০০৯ সাল থেকে ফাঁষকরা প্রশ্নপত্র ক্রয় করছে? এরা কিসের তরুণ, এরা নেকড়ে। দেশের তরুণ সমাজকে নেকড়ে বলা হচ্ছে। এগুলি কিসের আলামত? আমাদের ভাবতে হবে। এরা কি দেশপ্রেমিক মানুষ?

কি প্রমাণ আছে এই বক্তব্যের সমর্থনে। প্রমান ছাড়া এই ধরণের কথা অত্যন্ত আপত্তিকর এবং সমাজ বিধ্বংসী। ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে হেয় করার জন্য প্রমাণহীন এই সব কথা ছড়ানো হচ্ছে।

কেউ বলেছেন ছাত্ররা দেশকে ধ্বংসের মুখে নিয়ে গেছে। কেউ বলেছেন যে ছাত্ররা জামাত শিবির এবং তারা এনারখি করছে । ছাত্রদের দ্বারা দুর্নীতিবাজ এবং দলবাজদের সরিয়ে দেয়ার কারণে এগুলি বলা হচ্ছে ছাত্রদের বিরুদ্ধে। কেউ বলেছেন যে কোমলমতিদের কি ঠেঙ্গায়ে মাঠ – ছাড়া করতে হবে? কেউ বলেছে, কোমলমতিরা টাকা আয় করেছে বস্তায় বস্তায়। আবার বলেছে, আদোলনকারীরা দীর্ঘ সময় প্ল্যান করে, জেনেশুনে, বেকুব সাধারণ ছাত্রদের পুলিশের রাইফেলের সামনে নিয়ে গেছে।

প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের কথা বলার অর্থ গণ আন্দোলনের বিপক্ষ শক্তিকে (ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষের লোকদেরকে) উস্কে দেয়ার চেষ্টা। ব্লগে প্রমাণ ছাড়া কোন অভিযোগ কেউ করুক এটা চাই না। মনগড়া লাগাম ছাড়া কথা সমাজে অশান্তি তৈরি করছে এবং জনগণের ঐক্য নষ্ট করছে। সামু ব্লগে ফ্যাসিস্ট সরকারের পক্ষে কেউ কথা বলুক এটা দেখতে চাই না।

২। অনেকেই উস্কানিমুলক কথা বলছে এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব হাজির করছেঃ যেমন,
মালাউনরা এই দেশে থাকতে পারে ।
তবে অবশ্যই জিজিয়া কর দিয়ে থাকতে হবে।
এছাড়া তাদের থাকার অন্য কোন উপায় নেই ।
এটা ইসলামী রাষ্ট্র ।
এর ধর্ম ইসলাম।

উপরের বক্তব্যটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার এবং হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাধাবার একটা পরিষ্কার উস্কানি।

উস্কানিমুলক বক্তব্য আরও আছে। যেমন কেউ বলেছেন;

বাংলাদেশ আফগান হলে, বাঙালি তালিবানরা তাদের মহান ধর্মীয় আদর্শ দারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধদের নির্যাতন করবে, হত্যা করবে, রমণীদের ধর্ষণ করবে।তখন হিন্দু বৌদ্ধদের বাঁচাতে ভারত মায়ানমার বাধ্য হয়ে বাংলাদেশকে চিপা দিয়ে মমিন মুসলমানদের বিচি গালাইয়া দিবে।

৩। সরকার প্রধান ডঃ মুহাম্মাদ ইউনুসকে নিয়ে আপত্তিকর কথা বলা হচ্ছেঃ
যেমন;
একজন বলেছে, ট্র্যাম্প জিতুক, আমেরিকা অন্য দেশে নাক গলানো আর যুদ্ধে ইন্ন্ধন দেয়া বন্ধ করবে। আমাদের ইউনুস চুরা ধরা খেতে পারে।


৪। যাকে তাকে জামাত- শিবির ট্যাগ করা হচ্ছেঃ
যেমন; একজন বলেছে, আমি মওলানার আওয়ামী লীগের সামান্য সাপোর্টার; আপনি মওদুদীর শিষ্য; আমি বাংগালী সংস্কৃতির মানুষ, আপনি পাকি ও বেদুইন সভ্যতার অপভ্রংশ।

৫। ভারতীয় কয়েকজন ব্লগার উস্কানিমুলক কথা বলছেঃ

যেমন একজন বলেছে,
তোমরা বাংলাদেশের মানুষের এরা, সাধারণ মানুষ কে কয়েক হাজার মানুষ মিলে কুপিয়ে গণ হত্যা করছো, তারপরও জ্ঞান দিছেন,উৎসব কে কি করেছো, শালা পাপীর গোষ্ঠী, আর পরিস্কার করে শুনে রাখ ভারতে .বিনা পাসপোর্টতে আসতে গেলে আমরা মনে করবো তোমরা সন্ত্রাসী তো আসতে গেলে গুলি খাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েই আসবে।

দেশের আইন অনুযায়ী উৎসব নামের ছেলেটার উপর আক্রমণ সমর্থনযোগ্য না। উপরের এই ভারতীয় ব্লগার মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে। কারণ আইএসপিআর থেকে বলা হচ্ছে যে ছেলেটি এখনও জীবিত আছে। এই ব্লগার বাংলাদেশের মানুষকে গালি দিয়ে বলছে ‘শালা পাপীর গোষ্ঠী’। আবার হুমকি দিয়েছে যে আমরা যেন গুলি খাবার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসি। বিনা পাসপোর্টে গেলেই তাকে সন্ত্রাসী হিসাবে ধরে নেয়া হবে। এগুলি পরিষ্কার হুমকি।

বাংলাদেশের বন্যা নিয়ে ঠাট্টা করছে ভারতীয় ব্লগার, যেমন;

বাংলাদেশে বন্যাদুর্গতদের জন্য ৪০ লাখ ডলার বরাদ্দ ঘোষণা জাতিসংঘেরআহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে, ধন্য ধন্য নুতন পূর্ব পাকিস্তান

বাকস্বাধীনতার নামে এই ধরণের নির্দয় মন্তব্য শুনতে হচ্ছে।

উস্কানিমুলক কথা-ও বলছে ভারতীয় ব্লগার, যেমন;

আজকের দিনে ভারত আর শরণার্থী নিতে প্রস্তুত না হোক সে হিন্দু বা যে কোন জাতির সে ক্ষেত্রে 2027 শে অনেক ক্ষেত্রের মানচিত্রে পরিবর্তন দেখতে পারি
মানচিত্রের পরিবর্তন মানে কি? বাংলাদেশের মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে ভারতের দিকে নাকি ভারতের মানচিত্রে পরিবর্তন আসবে বাংলাদেশের দিকে। অর্থ যেটাই হোক না কেন মানচিত্র পরিবর্তন একটা দেশের সার্বভৌমত্বের অংশ। এগুলির পক্ষে তার কাছে কি প্রমাণ আছে? কেন এই উস্কানিমুলক কথাগুলি বলা হচ্ছে।

ভারতীয় আরেকজন ব্লগার লিখেছেন;

আমাদের উৎসব!
সত্যিকারের উৎসব হবে গেঞ্জি (Gen_Z) জিহাদী পতনের পরে !

উনি বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার অভভুত্থানের বিরুদ্ধে এই কথা লিখেছেন। আর সাধারণ ছাত্রদেরকে জিহাদি বলেছেন। কি প্রমাণ আছে যে আমাদের ছাত্ররা জিহাদি। আমাদের গর্বের এই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পতন হলে তারা উৎসব করবেন। উৎসব তখন ফ্যাসিস্ট হাসিনাও করবে। তারমানে এই ভারতীয় ব্লগার ফ্যাসিস্ট হাসিনার আদেশে সংঘটিত হত্যার সমর্থক। হত্যার পক্ষে এই ব্লগে কথা বলাটা কি ধরণের বাক স্বাধীনতা? বাক স্বাধীনতা মানে কি আমি হত্যাকারীর পক্ষেও কথা বলতে পারবো? হাসিনা যে হত্যাকারী এটা নিয়ে কি এখনও সন্দেহ কারও মনে আছে। সারা জাতি মিলে যে আন্দোলনকে সফল করা হল তার বিরুদ্ধেও কথা বলা যাবে? তাহলে ১৯৭১ সালে জামাতের কি দোষ ছিল। তারাও তো পাকিস্তানের পক্ষে বলেছিল। এখন অনেকে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পক্ষে বলছে। তার মানে কি ব্লগে ফ্যাসিস্টের পক্ষে কথা বলা যাবে? এটার নাম বাকস্বাধীনতা? তাহলে ১৯৭২ সালে জামাতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কেন? তার মানে কি জামাতের অপরাধ অনেক বেশী ছিল আর আওয়ামী লীগের অপরাধ কম ছিল তাই তাদের করা অপকর্ম, হত্যা, ধর্ষণ, গুমের সমর্থনে কথা বলা যাবে?

অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে পোস্টটা দিলাম। তাই পরিবেশন ভালো ছিল না হয়তো। তবে আশা করি ব্লগাররা আমার মূল বক্তব্য বুঝতে পারবেন। আর ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো আপনারা একটু শক্ত হন যারা দেশের ঐক্য বিরোধী কথা বলছে। এদের মধ্যে প্রতিহিংসা কাজ করছে। তাই ছাত্র জনতার ঐক্যের এই আন্দোলনকে তারা সহ্য করতে পাড়ছে না। তারা চায় আবার একটা প্রতি–বিপ্লব হোক। এরা বাংলাদেশের ভালো চায় না। তাই বাক স্বাধীনতার নামে এই সব প্রমাণহীন মন্তব্য, উস্কানিমুলক কথা, মিথ্যা তথ্য যেন কেউ ছড়াতে না পারে। আমি চাই না সামু ব্লগ বাক স্বাধীনতার নামে এই ধরণের কুলাঙ্গারদেরকে কথা বলার সুযোগ দিক। ১৯৭১ সালের সাথে এই আন্দোলনের তুলনা আমি করতে চাই না। তবে এই অভ্যুত্থান একটা ইতিবাচক অভ্যুত্থান যেটা ইতিহাসের পাতায় ইতিমধ্যে স্থান নিয়েছে এবং সর্ব রাষ্ট্র কর্তৃক প্রশংশিত হয়েছে। সামু কর্তৃপক্ষের উচিত হবে এই সব ব্লগারদের থামানো যারা জনগণের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে এবং অনেক মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য ব্লগে ছড়াচ্ছে। এই বক্তব্যগুলি আমাদের সার্বভৌমত্বের উপরে হুমকিও তৈরি করতে পারে এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে। সমাজ বিধ্বংসী কোন কথা সামু ব্লগে আশা করি না।

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার চিন্তা ভাবনার সাথে বা নিদৃষ্ট জনগোষ্ঠির চিন্তা ভাবনার সাথে যায় না এমন মন্তব্য বা পোষ্ট যদি কেউ করে তাকে আপনি বাধা কেনো দিবেন ? সবার নিজেস্ব মতামত আছে ।

কেউ ইউনুস কে চোর বলবে কেউ বলবে সাধু । এটাই ব্লগের সৌন্দর্য । আপনার মত মতো তো ব্লগের পোষ্ট মডারেট হতে পারে না ! এতে ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর স্পষ্ট হস্তক্ষেপ হচ্ছে বলে ধরে নেয়া হবে ।

আপনাদের পক্ষে গেলে বাক স্বাধীনতা আর বিপক্ষে গেলে কন্ঠ রোধ এটা তো সেই পুর্ববর্তি জালিম শাসকের উধাহারন হয়ে গেলো ।

আপনার যদি মনে হয় কেউ আপনার মতের বিরুদ্ধে আলোচনা করছেন । আপনি তাকে যুক্তি দিয়ে আপনার পক্ষে আনুন অথবা এড়িয়ে যান ।

আপনি কারো কন্ঠ রোধ করার জন্য কোন রকম আর্জি জানাতে পারেন না । এটা রাষ্ট্র ও সমাজ বিরোধিতা ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কি প্রমাণ ছাড়া কাউকে চোর বলতে পারেন? পাবলিক প্লেসে যাকে তাকে প্রমাণ ছাড়া চোর, ডাকাত, খুনি, লুইচ্চা, বদমাশ বলা কি বাক স্বাধীনতা। এটা তো মানহানির পর্যায়ে পড়ে। কোন ধরণের প্রমাণ ছাড়া কাউকে খুনি বা বদমাশ বলা কখনও বাক স্বাধীনতা হতে পারে না। আপনার হাতে প্রমাণ থাকলে আপনি আদালতে যেতে পারেন। কিন্ত কোন প্রমাণ ছাড়া কাউকে অপরাধী বলা ঐ ব্যক্তির জন্য মানহানিকর। এটা একটা ফৌজদারি অপরাধ। অর্থাৎ আপনি বলতে চাচ্ছেন যে ফৌজদারি অপরাধ করাও বাক স্বাধীনতা। দয়া করে বাক স্বাধীনতা আর অপরাধকে এক সাথে মিশাবেন না।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯

ডার্ক ম্যান বলেছেন: জিয়া এরশাদ এসব নামে কোনো সামরিক স্বৈরাচার মনে হয় বাংলাদেশে ছিল না। সেনা গর্ভে জন্ম নেওয়া এসব সামরিক স্বৈরাচারের দল মনে হয় পাকিস্তানে রাজনীতি করে। তবে এই দুটো দল ও তাদের সমর্থকদের বাক-স্বাধীনতা বাংলাদেশে অবশ্যই আছে এবং থাকা উচিত।

ছাত্র-জনতা-সেনা অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। দুষ্কৃতকারীদের হাতে তিনি মারা যাননি তাই তিনি বড় স্বৈরাচার।

জিয়া কত হাজার সৈনিকদের বিচারের নামে খুন করেছিলেন সেটা কি জানেন।

আমি আপনার মত শিক্ষিত না তারপরও বলবো অভ্যত্থান আর বিপ্লব এক না। যেখানে বিপ্লবই হয়নি সেখানে আবার প্রতি-বিপ্লব কোথা থেকে হবে।
বাংলাদেশে একটি মাত্র বিপ্লব হয়েছিল আর সেটা ছিল মুক্তিযুদ্ধ। অবশ্য অনেকে ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর একটা অংশের খুন খারাবিকে বিপ্লব বলে। সিরাজ শিকদারও খুন-খারাবিকে বিপ্লব মনে করতো।

৫ আগস্টের ঘটনায় কোন কোন এজেন্সি জড়িত ছিল এগুলো বের হতে ১০/২০ বছর লাগতে পারে।

অপেক্ষা করুন হয়তো আগামী ১ বছরের মধ্যে আপনাদের তথাকথিত অনেক ধরনের বিপ্লব দেখতে পারবেন। বিপ্লবের ঢেউ ক্যান্টনমেেন্টের ভেতরেও জাগরণ তুলতে পারে।

এই আন্দোলনের প্রথম শহীদ শিবিরের সাথী আবু সাইদ। সুতারং তাদের অবদানকে খাটো করে দেখানোর কিছু নাই। আন্দোলন সফল হওয়ার মূল ক্রেডিট আওয়ামী বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। জামায়াত এখানে ভালোই বিনিয়োগ করেছে। বিএনপির অবদানও কম না। সেনাবাহিনীর ভূমিকাও কম না।

এখন যাই। বাতিঘরে মহিউদ্দিন আহমেদ আসছেন। জামায়াতকে নিয়ে লেখা বই নিয়ে আলোচনা করবেন মনে হয়।
রাতে আসবো




০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আওয়ামী লীগের লোকও এখানে এসে তার মত দিতে পারে। সেটা সমস্যা না। কিন্তু এখানে এসে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি করতে বা প্রমাণ ছাড়া কথা বলতে পারে না। ছাত্ররা আইএসআইয়ের ট্রেনিং নেয়া কমান্ডো এই কথাটা তো একটা গুজবের পর্যায়ে পড়ে। ব্লগে কি বাক স্বাধীনতার নামে গুজব ছড়ানোও যাবে।

জিয়া মানুষ খুন করেছিল সেটা সবাই জানে। পরবর্তীতে সেটার বিচারের জন্য মামলা কি হয়েছিল। না হয়ে থাকলে কেন হয় নাই। জিয়া না হয় মারা গেছে, তার সাথে জড়িতদের বিচারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল কি যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল।

আপনাদের দৃষ্টিতে বিপ্লব হয়নি। কিন্তু দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এখনও চলমান। আপনারা চান না যে দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসুক।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৩

জুল ভার্ন বলেছেন: অত্যন্ত সময়োপযোগী পোস্টের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলতে চাই- আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, উদীয়মান তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিকশিত নবজাগরণের বা রেনেসাঁর উন্মেষ থেকেই নবপর্যায়ের এই গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে। গত ষোলো বছরে এ দেশের ছাত্র-জনতার বহু ত্যাগ, তিতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে এই বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। তাই মাথা উঁচু করে বলতে পারি- বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের অশ্রুধারা, বোনের ভাই হারানো কষ্টবৃথা যায়নি, বৃথা যেতে দেবোনা।

অন্যদিকে, অন্তর্বর্তী সরকার যখন শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন কতিপয় ব্লগার স্বৈরশাসক হাসিনার সীমাহীন লুটপাট, গুম হত্যাকে জায়েজ করতে গুজব সৃষ্টি, উস্কানীমূলক লেখা দিয়ে উন্মত্ততার পরাকাষ্ঠা দেখাচ্ছে- এর নামই ব্লগে লেখকের লেখার, বলার স্বাধীনতা?

ছাত্রজনতার আন্দোলন যখন গণবিপ্লবে পরিনত হয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করেছে তখন স্বৈরশাসকের সহযোগী এবং উচ্ছিষ্ট ভোগীরা সোশ্যাল মিডিয়ায়, বিশেষ করে এই ব্লগে একের পর এক গুজব ছড়িয়ে, উস্কানীমূলক পোস্ট এবং মন্তব্য করে যাচ্ছে- তখন ব্লগ মডারেশনের বাকস্বাধীনতার দোহাই দিচ্ছে এবং সেই অপত্য কৌতুক- "দেখি না ব্যাটা কি করে"! অথচ, ব্যক্তিগত ভাবে ব্লগ মডারেটরকে চিনি, জানি- যিনি এই স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে বহুবছর যাবত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এসেছেন। আশা করি- জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে ব্লগ কতৃপক্ষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবেন না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কতিপয় ব্যক্তি এই অভ্যুত্থানকে বানচাল করার চেষ্টা করছে গুজব ছড়িয়ে, প্রমানহীন কথা বার্তা বলে। আওয়ামী লীগের লোকও এখানে তার মত প্রকাশ করতে পারে কিন্তু সেটা যেন গুজব না হয় এবং কোন প্রমাণহীন অভিযোগ না হয়।

লেখকের লেখার স্বাধীনতার নামে আমি কি বলতে পারি যে ডাঃ ইউনুস একজন চোর। কোন প্রমাণ ছাড়া কাউকে চোর বলা তো মানহানির মত ফৌজদারি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এটার নাম কি বাক স্বাধীনতা। কেউ বলছে হিন্দুরা এই দেশে জিজিয়া কর দিয়ে থাকতে পারে। এই ধরণের কোন সিদ্ধান্ত কি হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে এই ধরণের বানোয়াট কথা প্রচার করা হচ্ছে। এগুলি কি পরিষ্কার উস্কানি নয়। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর উপাদান কি এই মন্তব্যের ভিতরে নাই। এটার নাম কি বাক স্বাধীনতা। আরেকজন ভারতীয় ব্লগার মানচিত্র পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এটা তো একটা দেশের সার্বভৌমত্বের উপরে হুমকি। একটা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের উপরে হুমকির ইঙ্গিতপূর্ণ এই ধরনের বক্তব্যের নাম কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা।

অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার মত সামুতেও হিন্দু মন্দির ধ্বংসের উপরে অনেক অতি রঞ্জিত পোস্ট বা মন্তব্য দেখা গেছে কিছু দিন আগে। অতিরঞ্জিত বা প্রমাণহীন কথা প্রচার করাও কি তাহলে বাক স্বাধীনতা।

আমিও আপনার মত আশা করবো যে ব্লগ কর্তৃপক্ষ এই ধরণের গুজব নির্ভর এবং প্রমাণহীন কথা বার্তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার মত ভিত্তিহীন বক্তব্য প্রচার বন্ধ করবে। সরকার বলছে হিন্দু ছেলেটা মারা যায়নি। কিন্তু ব্লগে অনেকে বলে বেড়াচ্ছে যে সে মারা গেছে। এটা কি উস্কানিমুলক কথা নয়। এই মিথ্যা তথ্যের কারণে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধতে পারে। লন্ডনে কিছু দিন আগে এই ধরণের একটা মিথ্যা তথ্যের কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা হয়েছে। পড়ে দেখা গেছে তথ্যটা সঠিক ছিল না। আশা করি ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটাকে গুরুত্ত সহকারে বিবেচনা করবে।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভারতের গোদি মিডিয়া যেভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে, ঠিক সেইভাবে ব্লগে কিছু নব্য রাজাকার তাদের ভারতীয় দোসরদের নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। ভারতের রাজনাথ সিং তো আরেক ধাপ এগিয়ে তাদের সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে বলছে। ভাবখানা এখন এমন যে, এরা যে কোনও অজুহাতে যে কোনও সময়ে বাংলাদেশের উপরে ঝাপিয়ে পড়তে পারে। কিন্তু ছাগলটা জানে না, এই অন্চলের ইতিহাস। কখনও কোন বিদেশী কুত্তাই এখানে সুবিধা করতে পারে নাই। মোগল, ইংরেজ, পাকিস্তানীসহ আরো যতো হামলাকারী এদেশে এসেছে, তাদের দাতভাঙ্গা জবাব দেয় হয়েছে।

যাই হোক, বর্তমানে এইসব ষড়যন্ত্রকারীদের লক্ষ্য হচ্ছে এইসব মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমাজে একটা অস্থিরতা তৈরী করা, যাতে করে ভারতীয় কুত্তারা এদেশে অরাজকর পরিস্থিতি তৈরীর অথবা আগ্রাসনের অজুহাত পায়। ফলে তাদের আজ্ঞাবহ দাস আওয়ামী লীগকে আবার পূনর্বাসন করার ক্ষেত্র তৈরী করা যায়।

এদেরকে শক্তহাতে এখনই দমন না করলে এরা আরো বাড়বে। তাই ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করবো, এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করেন। এখানে শুধু আমরা, ব্লগাররাই আসি না; এখানে হাজার হাজার ভিজিটর প্রতিদিন আসে। তারা ব্লগের কর্মকান্ড থেকে যেন কোন ভুল বার্তা না পায়।

বিষয়টাকে চমৎকারভাবে এবং বিস্তারিতভাবে তুলে ধরার জন্য লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গত ৫ আগস্টের পর থেকেই পরাজিত হাসিনা ও তার দোসরেরা বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেয়েছে। এই ব্লগের দায়িত্ব সকল ধরণের চক্রান্তকে প্রতিহত করা। মিথ্যা, বানোয়াট এবং প্রমাণহীন কথা, গুজব ইত্যাদি কখনই বাক স্বাধীনতার পর্যায়ে পড়ে না। বর্তমানে বাংলাদেশ একটা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছে। সামান্য কারণে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে। কারণ ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার অনুসারীরা বসে নেই। তারা যে ষড়যন্ত্র করছে এটা পরিষ্কার। গত এক মাসে হিন্দুদের মন্দির ভাঙ্গার ইস্যু, ডাকাতির ইস্যু, আনসার বিদ্রোহের চেষ্টা সব কিছুর পিছনেই প্রাথমিকভাবে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ব্লগেও অনেকে এই উস্কানিমুলক কাজের পক্ষে ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলছে। এগুলি হাল্কা কোন বিষয় না। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ক্ষেত্রে যারা ভুমিকা রাখছে তাদের ব্যাপারে ব্লগ কর্তৃপক্ষের শক্ত হতে হবে।

এই ব্লগের লেখা হাজারো মানুষ এখনও পড়ে। তাই কোন ভাবেই গুজব এবং প্রমানহীন কথা এবং উস্কানিমুলক কথা যেন কেউ ব্লগে বলতে না পারে সেই ব্যবস্থা ব্লগ কর্তৃপক্ষকে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এপনি সহ কয়েকজন ২/৩ জন ব্লগারকে ব্লগ থেকে বের করে দেয়ার কথা বলছেন।এটা দু:খজনক। সবাই সবার মতামত দিক। আপত্তিকর হলে পোস্ট ও মন্তব্য মুছে নীতিমালায় আনার জন্য তো ব্লগ টিম আছে। আপনি ধর্মীয় পোস্ট লিখেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই যুগে বলছেন জ্বীন কাকে নিয়ে গিয়ে আবার ফিরিয়ে দিয়ে গেসে। কেউ এটার বিরোধিতা করতেই পারে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমালোচনা করলেই কেউ দেশদ্রোহী হয়না। যে ব্লগারকে আপনারা ব্যান করার জন্য মডুকে প্রেশার দিচ্ছেন তিনি শেখ হাসিনা ও আওয়ামী দূর্নীতি এর বিরুদ্ধে শত শত পোস্ট দিয়েছেন। কোমলপ্রাণরা পিটিয়ে হিন্দু মেরে ফেলছে, মন্দিরে হামলা করছে, মাজার ভাঙছে এই ইস্যুতে চুপ কেন এটা জিজ্ঞেস করলেই যারা গলা টিপে ধরে, ব্লগ থেকে বের করে দিতে যারা বলে তারাও ফ্যাসিস্ট। আমরা এক ফ্যাসিস্ট এর পতনের অন্য ফ্যাসিস্ট এর উত্তান চাইনা।


দয়া করে ব্লগকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল মনে করবেন না। এখানে দখলদারত্বের স্থান নেই। সবার সমান অধিকার। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউ অন্যায় জুলুম করলে অবশ্যই দেশের ছাত্র জনতা সমালোচনা করবে প্রয়োজনে আন্দোলন করবে। প্রয়োজনে এখন যারা আছে তাদের নামিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিবে। কাউকে গলা চেপে ধরবেন না।


আপনার যেমন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে লেখার রাইটস আছে অন্য একজনের তাদের সমালোচনা করারও রাইটস আছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ব্লগ কর্তৃপক্ষকে বলেছি কেউ যেন মিথ্যা বা প্রমাণহীন কোন কথা বা অভিযোগ করতে না পারে। কেউ যেন গুজব বা উস্কানি মুলক কথা না প্রচার করে। এগুলি বাক স্বাধীনতা না। আমার ইচ্ছে হলেই আমি কাউকে জামাত বলতে পারি না প্রমাণ ছাড়া। ডঃ ইউনুসকে চোর বলতে পারি না। কাউকে চোর বলতে হলে আমার কাছে প্রমাণ থাকতে হবে। নতুবা এটা মানহানির মত ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে তো এই না যে আপনি ফৌজদারি অপরাধ করার এখতিয়ার অধিকার রাখেন। কাউকে ব্লগ থেকে বের করে দিতে আমি বলি নাই। আপনি অকারণেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। দয়া করে পোস্ট ভালো করে পড়ুন।

ইসলাম ধর্মের মানুষ জীন বিশ্বাস করে। তাই মুসলমান হিসাবে আমি জীন নিয়ে লিখতেই পারি। এই দেশের সংবিধান আমাকে ধর্মীয় মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। এই মত বিজ্ঞানের বিরুদ্ধে গেলেও এই স্বাধীনতা রাষ্ট্র আমাকে দিয়েছে। কারণ ধর্ম মানেই বিশ্বাস নির্ভর। বিজ্ঞানের অজুহাত দিয়ে ধর্মকে থামানো যাবে না বাংলাদেশে। ধর্মীয় বিষয়ের সাথে ছাত্র আন্দোলনের কোন তুলনা হয় না। তাই আপনার উদাহরণটা গ্রহণযোগ্য না।

আমি কোন ব্লগারকে ব্যান করার কথা বলিনি। আপনি পোস্ট না পড়েই এগুলি বলছেন।

ছাত্র আন্দোলনের সমালোচনা আর প্রমাণহীন কথা এক জিনিস না। ব্লগে অনেকে বলেছে ছাত্ররা আইএসআইয়ের ট্রেনিং প্রাপ্ত কমান্ডো। কি প্রমাণ আছে এই কথার স্বপক্ষে। ব্লগে নির্দিষ্ট একজনকে বলা হচ্ছে সে জামাতের কর্মী। আমাকেও বলেছে। তাহলে আমিও বলতে পারি যে আপনিও শিবিরের কর্মী। এটা আমার বাক স্বাধীনতা। এটার জন্য কোন প্রমাণের দরকার নাই। আসলে সমালোচনা মানে মিথ্যা বা গুজব ছড়ানো না। একজন ভারতীয়ও আমাদের দেশের লোকদের শালা বলে গালি দিয়ে গেছে। এটাও বাক স্বাধীনতা তাহলে। এটার নাম কি সমালোচনা।

মন্দিরে হামলা কি ছাত্ররা করেছে। এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন। আপনি কি বোঝেন না এগুলি কারা করছে। হিন্দু ছেলেকে মারার বিপক্ষে আমি বলেছি। মাজার ভাঙ্গার বিরুদ্ধে আপনি লেখেন সমস্যা নাই।

সমস্যা হল আপনি মিথ্যা এবং গুজব ছড়ানোকে এবং প্রমাণহীন কথাকে সমালোচনা বলছেন। হিন্দুদের বিরুদ্ধে উস্কানিমুলক কথাকে আপনি সমালোচনা বলছেন। দয়া সমালোচনার নামে এগুলিকে জায়েজ করার চেষ্টা করবেন না।

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৪

জটিল ভাই বলেছেন:
যতোটা জানি এই ব্লগ নীতিমালা বা পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কোনো কার্যকলাপকে বরদাস্ত করেনা। তা মুক্তিযুদ্ধ বলতে কি শুধু ৭১? নাকি ২৪ এর মতোও যতো যুদ্ধ হয়েছে মুক্তির জন্য সব মুক্তিযুদ্ধকেই বুঝায়? রাজাকারদের ফাঁসীতে এই ব্লগের ভূমিকা আছে। নব্য রাজাকারদের ব্যাপারে এই ব্লগের ভূমিকা কি? আপনার মাধ্যমে এডমিন প্যানেলের নিকটে জানতে চাই।

সময়োপযোগী পোস্টের জন্যে আন্তরিক জটিলবাদ :)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যেটা বুঝি সেটা হল এই ব্লগের দেশের এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আছে। দেশের সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার মত কোন কাজকে ব্লগ উৎসাহিত করবে না। ১৯৭১ সালের সমান না হলেও ২০২৪ এর অভ্যুত্থান ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে জনতার একটা বিশাল বিজয়। দীর্ঘ সময়ের পরে দেশের মানুষের মুক্তি ঘটেছে ২০২৪ সালে। এটাও জাতির একটা বড় মাইলস্টোন। এই গণঅভ্যুত্থান ইতিহাসে স্থান পেয়েছে এবং বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত হয়েছে। দেশ এখনও স্থিতিশীল অবস্থায় আসে নাই। এই পরিস্থিতিতে যারা জনগণের আশা আকাঙ্খার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে, গুজব রটাচ্ছে, প্রমাণহীন মনগড়া অভিযোগ করছে, উস্কানি দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্লগ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া উচিত। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে একজন বলছে হিন্দুদের জিজিয়া কর দিয়ে থাকতে হবে। এই কথার কোন ভিত্তি আছে। আরেকজন বলছে হিন্দু ছেলেটা মারা গেছে। অথচ সরকার বলছে ছেলেটা এখনও বেচে আছে। এই কথা কি হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা তৈরিতে সাহায্য করবে না। কয়েক সপ্তাহ আগে লন্ডনে এই ধরণের মিথ্যা তথ্যের কারণে মুসলমানদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা হয়েছে কয়েক সপ্তাহ ধরে। এটা কি দায়িত্বশীল ব্লগিং। ব্লগ কর্তৃপক্ষের কি কিছুই করার নাই।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৯

কিরকুট বলেছেন: জটিল ভাই বলেছেন:
যতোটা জানি এই ব্লগ নীতিমালা বা পরিচালনায় মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের কোনো কার্যকলাপকে বরদাস্ত করেনা। তা মুক্তিযুদ্ধ বলতে কি শুধু ৭১? নাকি ২৪ এর মতোও যতো যুদ্ধ হয়েছে মুক্তির জন্য সব মুক্তিযুদ্ধকেই বুঝায়?


২৪শে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো ? :D :D :D :D :D :D :D

কি আর কমু ?


শ্রধ্যেয় লেখক @ আমি আপনার এই বচন মানি না । আহেন কি করবেন ? দেখি ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গত ৫৩ বছরে আসলেই কি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ঘটেছে। চেতনা ব্যবসা করেই তো সবাই সময় পার করেছে। গত ১৬ বছরে মানুষ কতটা মুক্ত ছিল। নিজেকে প্রশ্ন করেন।

আপনি আমার বচন না মানতেই পারেন। এটা কোন সমস্যা না। তবে কেন মানেন না সেটা আপনার মন্তব্যে প্রকাশ পায়নি।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন রকমের প্রমাণ ছাড়া মিথ্যা তথ্য আর মনগড়া কথামালা দিয়ে সাজানো ন্যারেটিভের প্রকাশকে যারা বাক-স্বাধীনতার আলখাল্লা পড়ায়, তারা যে কোন লেভেলের শিক্ষিত সেটা বোঝার জন্য আইনস্টাইন হওয়ার দরকার নাই। সমস্যা হলো, ব্লগে আজকাল এই ধরনের কুশিক্ষিত বেশকিছু ব্লগারের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে।

এদেরকে বাক-স্বাধীনতা কি...........এটা নিয়ে আরো পড়ালেখা করার আহ্বান জানাচ্ছি। অবশ্য এদের বেশীরভাগেরই কোন কিছু পড়ে বোঝার ক্ষমতাটুকুও নাই। আফসোস!!!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতীয় ব্লগার বলছে যে বিনা পাসপোর্ট আসলে আপনাকে সন্ত্রাসী মনে করবো এবং গুলির জন্য তৈরি থাকবেন। এগুলি কি বাক স্বাধীনতা। এটা তো পরিষ্কার হুমকি। বিনা পাসপোর্টে গেলেই সে কি সন্ত্রাসী হয়। কোন আইন অনুযায়ী এটা হয়। যাকে তাকে গুলি করার ক্ষমতা তাদেরকে কে দিয়েছে। এই ধরণের হুমকিমুলক কথা বাক স্বাধীনতার নামে বলে যাচ্ছে। আমি আশা করবো ব্লগ কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবে।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

কিরকুট বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান @ এই মাল ডা আমাকে হের ব্লগে ব্লক মাইরা রাখছে কেন জানেন ? আমি তার বিরুদ্ধে কথা বলছিলাম তাই । এই লোক আসছে মতাধিকারের উপর বক্তিমা দিতে । মাগো মা , আই কিত্তাম? মরি যাইয়্যুম ন গাছে উডি ফাল দিয়ুম !

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কাউকে ব্লক করার বৈধ অধিকার ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্লগারদের দিয়েছে। এটার সাথে বাক স্বাধীনতার কোন সম্পর্ক নাই। কেউ না চাইলে আরেক ব্যক্তি তার ব্লগে মন্তব্য করতে পারবেন না। এটাই ব্লগের লিখিত নিয়ম। আপনাকে এটার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। বাক স্বাধীনতার সাথে এই ক্ষমতাকে গুলিয়ে ফেললে সমস্যা।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬

জটিল ভাই বলেছেন:
কিরকুট বলেছেন: জটিল ভাই বলেছেন:
২৪শে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিলো ?
:D :D :D :D :D :D :D
কি আর কমু ?

সোনাগাজির বিষ্ঠা হইতে জন্ম নিছেন, লেখা-পড়া নাই। নয়তো বুঝতেন আমি মুক্তির জন্যে সব যুদ্ধকেই মুক্তিযুদ্ধ বুঝাইছি। তাই আপনি কিছু না কইবার পারাই স্বাভাবিক। তারচেয়ে ডলার-ডুলার গুনেনগা।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানকে যারা ছোট করার চেষ্টা করছে তারাই এই ধরণের কথা বলছে। জনগণের ঐক্য বিরোধী কথা এরা বলে বেড়াচ্ছে। এই ৫৩ বছরে আমরা কি প্রকৃত মুক্তি পেয়েছি। পাই নাই। তাই মুক্তির চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে। ২০২৪ এর অভ্যুত্থান এই ধরনের একটা মুক্তির প্রচেষ্টা। আশা করি ২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা প্রকৃত মুক্তিকে খুঁজে পাবো। এই অভ্যুত্থানকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নাই।

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৯৭১ দেখি নাই, কিন্ত ২০২৪ এর সাক্ষী আমরা সবাই। পনের বছর ধরে দেশটাকে আরেক দেশের হাতে তুলে দিয়ে , তাদের ডাইরেক্ট সমর্থনে অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা ধরে রেখেছিল ফ্যসিস্ট আওয়ামিলীগ সরকার। সৎভাবে বেঁচে থাকার সকল সুযোগ কেড়ে নেয়া হয়েছিল মানুষের। এই আন্দোলন ছিল ছাত্রদের জীবন বাজী রেখে মৃত্যূকে আলিঙ্গন করে ফ্যসিস্ট সরকার পতনের আন্দোলন। ছাত্ররা যা করেছে , তার ঋন এই দেশ , এই জাতি কোনদিন শোধ করতে পারবে না।

ব্লগের নীতিমালা

আপনি কতিপয় ব্লগার সম্পর্কে যেসব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন , তাদের পোস্ট/ কমেন্ট কি নীতিমালা ভঙ্গ করছে না ?



০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১ হাজারের অধিক মানুষ মারা গিয়েছে, ১৮ হাজারের অধিক মানুষ আহত, পঙ্গু বা অন্ধ হয়েছে। তারপরেও কেউ যদি মনে করে এই আন্দোলন সামান্য আন্দোলন তাহলে তাদের দেশপ্রেম নিয়ে সন্দেহ আছে। আশা করি ছাত্র জনতার এই আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতার দিকে অগ্রসর হবে প্রতিদিন।

আপনার দেয়া ব্লগ নীতিমালার উপরে চোখ বুলালাম। কয়েকটা ব্যাপার নজরে আসলো। যেমন;

আক্রমণাত্মক বা উস্কানিমুলক কথা পরিহারের কথা বলা আছে। (কিন্তু আমরা প্রতিদিন দেখছি বহু আক্রমণাত্মক এবং উস্কানি মুলক কথা ব্লগে আসছে।)

বলা হয়েছে দেশের আইন লঙ্ঘন করা যাবে না এবং ব্যক্তি আক্রমণ করা যাবে না। (কিন্তু ব্লগে দেখা যাচ্ছে মানহানী করার মত মন্তব্য আসছে। মানহানী করা একটা ফৌজদারি অপরাধ। যাকে তাকে শিবির/ জামাত বলা হচ্ছে )

শ্লীল বা অশ্লীল মন্তব্যের ব্যাপারে নির্দেশনা আছে। ( কিন্তু ব্লগে প্রতি নিয়ত অশ্লীল এবং ক্যু রুচি পূর্ণ মন্তব্য আসছে। )

এছাড়া আরও অনেক নীতিমালা আছে। কতটুকু মানা হচ্ছে আমি জানি না ; যেমন -

৩ক. যে কোন ধরণের পোস্ট যা দেশের প্রচলিত আইন ভঙ্গ করে বা দেশের ক্ষতি করতে পারে এমন কোন তথ্য প্রদান করে। দেশের আইনের সাথে পোস্ট কিংবা ছবির কন্টেন্ট সঙ্গতিপূর্ণ না হলে।
৩খ. যদি পোস্ট কিংবা ছবিতে ব্যক্তি আক্রমণ, হয়রানিমূলক, কুৎসা রটনামূলক, অশ্লীলতা, কুরুচিপূর্ণ, আপত্তিকর, গালিগালাজ এবং পর্ণগ্রাফি সম্বলিত বক্তব্য কিংবা বিষয় থাকে।
৩ঘ. যেকোন ধরণের কল্পিত বা মিথ্যা পোস্ট বিশৃঙ্খলা তৈরীর উদ্দেশ্যে খবরের আকারে প্রকাশ করা হলে ।
৩ছ. যদি কোন পোস্টে সন্নিবেশিত তথ্য কিংবা বিষয় অথবা নির্দেশনা সমাজ এবং ব্লগ কমিউনিটির জন্য হুমকি স্বরূপ হয়।
৩ঞ. বাংলাদেশ অথবা যে কোন স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ক সত্যকে অস্বীকার করে, বিরুদ্ধাচারণ করে, অসম্মান করে অথবা সত্যের অপলাপ বা অর্থহীন পোস্ট মুছে ফেলা হতে পারে এবং ব্লগারের ব্লগিং সুবিধা সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে স্থগিত কিংবা বাতিল করা হতে পারে ।
৪. যেসকল কারণে আমরা কোন ব্লগারকে কিংবা কোন ব্লগ সাময়িকভাবে অথবা চিরতরে বন্ধ করে দিতে পারি :
৪ঘ. যদি কোনো ব্লগারের প্রথম পোস্ট ব্যক্তি আক্রমনাত্মক হয় কিংবা আমরা বুঝতে পারি যে নিক-টি কেবল ব্লগ সম্প্রীতি নষ্ট করবার জন্যই তৈরী করা হয়েছে।
৪চ. যদি কোন ব্লগার অন্য একজন ব্লগারের ব্লগে ব্যক্তি আক্রমণ, অপমানজনক, অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, আপত্তিকর, গালি সম্বলিত মন্তব্য করেন।
৪ছ. যদি কোন ব্লগার অন্য কাউকে হেয় করবার উদ্দেশ্য নিয়ে কোন নিক রেজিস্টার করে।
৪জ. যদি আমরা কোন ব্লগারের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাই যে, সে ব্লগের পরিবেশ বিনষ্ট করতে একাধিক নিক ব্যবহার করে, ব্লগের পরিবেশ রক্ষা করতে তার নিয়মিত নিকটিসহ সবগুলো ব্যান করা হবে।
৫. মন্তব্য মডারেশন বিষয়ে:
৫ক. আমরা আশা করবো যে, কোন পোস্টের মন্তব্য সেই পোস্টের লেখক নিজস্ব দায়িত্বেই নিয়ন্ত্রন করবেন। কর্তৃপক্ষ কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না পাওয়া পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নিবেনা। আমরা আশা করবো ব্লগার নিজ দায়িত্বেই আপত্তিকর মন্তব্য মুছে ফেলবেন এবং মন্তব্যকারীকে ব্লক করবেন যাতে মন্তব্যকারী ব্লগার ভবিষ্যতে এরকম কোন আপত্তিকর মন্তব্য না করতে পারে । যতদিন পর্যন্ত রিপোর্ট এবিউজ বাটন সুবিধা না থাকছে, ততদিন “কোন সমস্যা” পাতায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
৫খ. যদি কোন ব্লগের মন্তব্যে ব্যক্তি আক্রমণ, অপমানজনক, অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, আপত্তিকর, গালি সম্বলিত উপাদান থাকে তাহলে ব্লগ লেখকের অনুমতি ছাড়াই সেই মন্তব্য মুছে দিতে পারি ।

শেষ কথা:
সামহোয়্যার ইন... দায়িত্বশীল স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। উপরে উল্লেখিত নীতিমালা কেবল বিশেষ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে। আমরা কারো বাক বা চিন্তা স্বাধীনতার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চাই না। চিন্তার সংঘাত কিংবা সমালোচনা একটি ব্লগিং কমিউনিটিতে থাকতে পারে কিন্তু যখন এই সংঘর্ষ, চিন্তা কিংবা আদর্শের গন্ডী পেরিয়ে ব্যক্তি সংঘর্ষে রূপ নেয় তখন আর তা সুস্থ্ পরিবেশের পরিচায়ক হয় না। এই ব্লগ সাইটের পরিবেশ ব্লগাররাই ঠিক করে নেবে; আমরা কতিপয় কুরূচিপূর্ণ ব্লগারকে একটি সুস্থ সাবলীল ব্লগ কমিউনিটিকে প্রভাবিত করতে দিতে পারি না। যে সব পোস্ট আপত্তিকর এবং কেবলি সংঘাত তৈরির উদ্দেশ্যে লেখা, ব্লগাররা তা এড়িয়ে যাবেন কারণ এগুলো সম্বন্ধে বেশি আলোচনার অর্থ হলো এ ধরণের নোংরা পোস্টের গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়া । আমরা আশা করি, সকলে তাদের ধৈর্য্য-সহমর্মিতা দিয়ে সংঘাত দূর করবেন এবং আমাদের জাতির উন্নয়নে সবচেয়ে প্রয়োজন যে একতার তা অর্জন করবেন । শুভ ব্লগীং!

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭

পুরানমানব বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার যদি মনে হয় কেউ আপনার মতের বিরুদ্ধে আলোচনা করছেন । আপনি তাকে যুক্তি দিয়ে আপনার পক্ষে আনুন অথবা এড়িয়ে যান ।
মতামত আর মিথ্যাচারের প্রার্থক্য মনে হয় কানের নিচে দিয়া দিয়াই শিখাইতে হইবে এসব ভারত শাবকদিগকে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আক্রমণাত্মক কথা ওনাকে না বলি। ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করি।

তবে উনি মিথ্যাচারকে বাক স্বাধীনতার অংশ মনে করছেন মনে হচ্ছে। ছাত্রদের বলা হচ্ছে তারা পাকিস্তান থেকে প্রশিক্ষণ নেয়া কমান্ডো। এটা কি সমালোচনা না ভিত্তিহীন কথা। ওনাকে সমালোচনা আর মিথ্যা কথার পার্থক্য বুঝতে হবে।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৩

এক্সম্যান বলেছেন: কিছু আবাল মতামত আর প্রপাগান্ডা ছড়ানোকে এক মনে করতেছে। তথ্য-প্রমান সহ লিখলে সেটা এই সরকার-সেই সরকার বা গনআন্দোলনের বিরোদ্ধে গেলেও সত্যটা জানতে সবাই আগ্রহী। কিন্তু দুঃখ্যজনক ভাবে কিছু ব্লগার গাজাখোরের মত নিজের মনের মাধুরি মিশিয়ে মিথ্যা লিখেই যাচ্ছে যার কোনো তথ্য-প্রমান কিছুই নাই।

কয়েক দিন আগে এক ব্লগারের পোষ্টের শিরোনাম ছিল "কোনটা গণহত্যা?? ১৮ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট ৯৮০ জন নিহত। নাকি ৫ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮,৯৫৮ জন নিহত!?" কিন্তু পোষ্টের ভিতরে ৮,৯৫৮ নিহতের কোনো প্রমান নেই।

উৎসব মন্ডলকে নিয়েও কিছু দেশি+ভারতীয় ব্লগাররা চিল্লাইলো। অবস্যই যা হয়েছে তা ঠিক হয়নি, কিন্তু এরা স্বর্না দাস হত্যায় কিছু বলেনা, বা ৪-৫ মাস আগে মন্দিরে আগুন দেয়ার গুজব তুলে ২ জনকে হত্যার ব্যাপারেও কিছু বলেনা শুধু ওয়েইট করে কোথায় মুসলিম-হিন্দু এংগেলে একটা দুর্ঘটনা ঘটবে সাথে সাথেই ঝাপিয়ে পরবে মুসলিম-হিন্দু সম্প্রিতি নষ্ট করতে।

উপরে একজন স্বঘোসিত শীর্ষ ব্লগার যিনি কিছুদিন আগে হঠাৎ পল্টি মারছেন, তিনি তার ব্লগে মতের মিল না হলেই ব্লক মারেন, শুধু ব্লক মারেন তাই না সেটা আবার ফলাও করে প্রচার করেন, তিনি এখানে আসছেন মতামত প্রকাশের রাইটস নিয়ে। হাইস্যকর।

একজন ব্লগার আছেন যিনি ডায়রিয়া রোগীর মত দিন-রাত গার্বেজ পোষ্ট প্রসব করেন। তিনিও গাজা খোরদের মত মনে যা আসে তাই লিখতেছেন, কিন্তু কোনো প্রমান নাই। পোষ্টের কোনো বিষয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর দিবে সম্পুর্ন আলাদা বিষয়ে, ধরেন পোষ্ট দিয়েছে পাকিস্তান নিয়ে, আপনি প্রশ্ন করবেন পাকিস্তান নিয়ে, উনি উত্তর দিবেন রাশিয়া নিয়ে। আবার প্রশ্ন করলে আপনি কয়টা পোষ্ট দিছেন, কয়টা মন্তব্য করেছেন তার পরিসংক্ষান নিয়ে হাজির হবে। কিন্তু পোষ্টের বিষয়ে করা প্রশ্নের উত্তর দেবেনা।

একজন ব্লগার জিজিয়া কর, ধর্ষন, গনিমতের মাল এই জাতীয় শব্দ ছারা কিছু জানেন বলে মনে হয় না। কোথাও ধর্ম, মুসলিম-হিন্দু রিলেটেড পোষ্ট পাইলেই উনি হাজির হয়ে জানায়ে দিয়ে যাবেন দেশে এখন অমুসলিমদের নাকি জিজিয়া কর দিতে হবে, তাদের পুরুষদের হত্যা করা হবে, নারি-শিশুদের ধর্ষন করা হবে। তার তথ্যের সোর্স বিলিভ মি ব্রো....

এরকম শত শত অপপ্রচার হচ্ছে, এগুলো থামানো উচিৎ। ফেসবুক আর ব্লগের ব্যাসিক পার্থক্য ভেবেছিলাম ফেসবুকে যা খুশি তাই প্রকাশ করা যায়, আর ব্লগে তথ্য-প্রমান ছারা কিছু পোষ্ট করা যায় না। কিন্তু কতিপয় ব্লগার ব্লগকেই ফেসবুক বানিয়ে ফেলেছে। এই সকল ব্লগার আসলেই কি কোনো অবদান রাখতেছেন?

আপনার এই পোষ্টটি সম্পুর্ন সময়োপযোগী, ব্লগ কতৃপক্ষের দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তথ্য প্রমাণ সহ না লিখলে সেই মন্তব্যকে অপ প্রচার ছাড়া অন্য কিছু বলা যায় না। অপ প্রচার করাও বাক স্বাধীনতা কি না এটা নিয়ে এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে। উস্কানিমূলক কথা বলা যাবে না ব্লগে। ব্লগ নীতিমালায় দেখলাম। কিন্তু প্রায়ই উস্কানি মুলক পোস্ট এবং মন্তব্য আসছে। ভারতীয়ও ব্লগার বলছে পাসপোর্ট ছাড়া কেউ সীমানা পার হলে ধরে নেয়া হবে সে সন্ত্রাসী। প্রশ্ন করা যায় এই নিয়ম কে বানাল এবং সেটা কতটা মানবিক। আবার বলা হচ্ছে গুলি খাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে আসতে। এগুলি কি সমালোচনা নাকি হুমকি। এগুলি কি পরিষ্কার হুমকি বা উস্কানি নয়।

প্রমাণ সহ কিছু লিখলে মানুষ নতুন তথ্য জানতে পারে। কিন্ত প্রমাণ ছাড়া বলা হচ্ছে ছাত্ররা ভেড়ার পাল মানে জামাত শিবির। এরা পাকিস্তান থেকে কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়ে এসেছে। কি প্রমাণ আছে এই কথাগুলির।

ব্লগার বাউন্দেলে সম্ভবত বলেছেন যে ৮,৯৫৮ জন নাকি গত ১ মাসে নিহত হয়েছে। এই কথার কোন প্রমাণ আছে। প্রমাণ না থাকলে এগুলি পরিষ্কার উস্কানিমূলক কথা।

সরকার যখন বলছে হিন্দু ছেলে এখনও জীবিত আছে তখন অনেকে জোর গলায় বলছে যে সে মারা গেছে। এগুলি তো হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা বাঁধানোর জন্য উস্কানি মাত্র। এগুলি কখনই বাক স্বাধীনতা হতে পারে না।

অনেক ব্লগার ইদানিং পলটি মেরে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে বলছেন। কিছু আগেও তারা ঘোর হাসিনা সমর্থক ছিলেন। তারা এখন বড় গলায় কথা বলছে।

এই বানোয়াট কথা ছড়ানোর ক্ষেত্রে একজন অ্যামেরিকা প্রবাসী প্রবীণ ব্লগার নেতৃত্ব দিচ্ছে। এরা মোটেই দেশপ্রেমিক নয়। এরা দেশের ভালো চায় না।

এই ব্লগটা এখন মনে হচ্ছে ফেইসবুক হয়ে গেছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন কথা মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে অনেকে বলে যাচ্ছে। এটা যে সমাজের জন্য ক্ষতিকর সেটা তাদের মাথায় ঢুকছে না। আশা করি ব্লগ কর্তৃপক্ষ এই ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিবেন।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৪

কিরকুট বলেছেন: জটিল ভাই বলেছেনঃ সোনাগাজির বিষ্ঠা হইতে জন্ম নিছেন, লেখা-পড়া নাই। নয়তো বুঝতেন আমি মুক্তির জন্যে সব যুদ্ধকেই মুক্তিযুদ্ধ বুঝাইছি। তাই আপনি কিছু না কইবার পারাই স্বাভাবিক। তারচেয়ে ডলার-ডুলার গুনেনগা।

আরে!! কে এইটা সোনার বউ না? হায় হায়, একদম খেয়াল করি নাই, ভাবী সালামুয়ালিকুম।

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:১৯

কিরকুট বলেছেন: লেখক বলেছেন: গত ৫৩ বছরে আসলেই কি বাংলাদেশের মানুষের মুক্তি ঘটেছে। চেতনা ব্যবসা করেই তো সবাই সময় পার করেছে। গত ১৬ বছরে মানুষ কতটা মুক্ত ছিল। নিজেকে প্রশ্ন করেন।


আপনি আমার বচন না মানতেই পারেন। এটা কোন সমস্যা না। তবে কেন মানেন না সেটা আপনার মন্তব্যে প্রকাশ পায়নি।


আমার উত্তর সহজ এবং সাধারন৷ মানি না। ব্যাস ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: না মানলেও কোন সমস্যা নাই। তবে আপনার না মানার পিছনে আপনার খামখেয়ালী মনোভাব কাজ করছে মনে হচ্ছে। কারণ আপনি কোন যুক্তি বা কারণ উপস্থাপন করতে নারাজ।

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৫৭

কামাল১৮ বলেছেন: লাশ গননায় কি পুলিশের লাশও আছে?দেশ প্রকৃত স্বাঘীন হলো প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বাড়ী পুড়িয়ে ও লুট করে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো সিরাজ সিকদারের দলের লোক ছিলেন। সিরাজ শিকদার ১৯৭১ সালের পরে আওয়ামী লীগকে জাতীয় বিশ্বাসঘাতক ও বেইমান হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আপনি এখন হাসিনার সমর্থক। এই পরিবর্তনের কারণ বলেন।

সিরাজ শিকদার কতগুলি থানা আর ব্যাংক লুট করেছিল বলতে পারেন? কতজন কৃষককে হত্যা করেছিল সে? হুমায়ূন কবিরকে সিরাজ শিকদার বৈধভাবে হত্যা করছিল? আপনি তো তার দলের লোক ছিলেন। আপনার নেতাকে তো আওয়ামী লীগ হত্যা করেছিল। এখন আওয়ামী লীগ প্রীতি কেন?

সিরাজ শিকদার যাই করুক সেটা ভিন্ন বিষয়। আব্দুল হামিদের বাড়ি পোড়ানোর বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে। সেটা করতে পারেন। এই ধরণের অভ্যুত্থান রক্তাত্ত হবে এটাই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনা কয়েক শ মানুষ হত্যার পরে জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে এগুলি করেছে। হাসিনার দোষ চোখে পড়ছে না কেন। হাসিনার কারণেই এতো প্রাণ ঝড়ে গেল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে।

আর পুলিশ বেশী মরে নাই মনে হয়। তাদের তালিকা নিশ্চয়ই হবে। সাধারণ মানুষের মৃত্যু সংখ্যার তুলনায় খুব সামান্য পুলিশ মরেছে।

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৯

মিথমেকার বলেছেন: ৫ আগস্টের বিজয়ের পর থেকেই ষড়যন্ত্রের সকল কার্যকলাপ শুরু হয়েছে। এই কালসাপ গুলো বাংলাদেশের মানুষের জাতীয় ঐক্য কোনো ভাবেই সহ্য করতে পারছে না। ইনিয়েবিনিয়ে খুনি ফ্যাকসিস্টদের সাফাই গেয়ে বেড়াচ্ছে, কুলাঙ্গার গুলো গণঅভুত্থানকে কলঙ্কিত করার জন্য যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে। কোনো প্রমাণ ছাড় যাকে যা ইচ্ছা তাই বলছে, কসপিরেসি থিওরি দিচ্ছে, গুজব ছড়াচ্ছে। ব্লগ কর্তৃপক্ষের উচিত এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া!

দারুণ গুছিয়ে লিখেছেন!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছুদিন আগে চোখের সামনে শেখ হাসিনার খুনাখুনি দেখার পরেও যারা অন্ধভাবে হাসিনার সমর্থক তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আমার সন্দেহ হয়। আমার বক্তব্য হল অনেকে গত এক ধরে অনেক মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে। অনেকে উস্কানি দিচ্ছে। অনেকে দাঙ্গা সৃষ্টির মত কথা বলছে যে কথাগুলির আসলে সত্যি নয়। দেশের মানুষের অনেক দিন পরে একটা একতা দেখা যাচ্ছে। অনেকের ভালো লাগছে না। এরা দেশের ভালো চায় না। ব্লগ কর্তৃপক্ষ আশা করি অপ প্রচারকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবেন।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: দয়া করে মোদীর ভাই কামাল মিয়ার কোন কথায় বিশ্বাস করবেন মা । ব্লগের সব থেকে বড় চাপাবাজ আর ভন্ড সে ! তীব্র ধর্মবিদ্বেসী এবং ভারতের দালাল। এছাড়া গত জুলাই আগস্ট এবং এখনও পর্যন্ত পুরো সময় ধরে দেশেের মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছে ! কয়েকবার নিক ব্যান খেয়েছে। একবার তো নিক ব্যান করে কর্তৃপক্ষ সেটা সবাই আলাদা ভাবে জানিয়েছিল । তবুও দেখেন যদি লজ্জা থাকে ! এই রকম নির্লজ্জ ব্যক্তিত্বহীন লোকের কোন কথা কি বিশ্বাসযোগ্য?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যক্তি নাকি মুক্তিযোদ্ধা। অথচ উনি সাধারণ জনগণের বিপক্ষে এখন। অন্ধের মত অন্যায়কে সমর্থন করে যাচ্ছেন। সত্যি দুঃখজনক।

১৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৭

করুণাধারা বলেছেন: খুবই ভালো লিখেছেন। আপাতত লাইক দিয়ে গেলাম।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আশা করি পরে আরও মন্তব্য করবেন। মিথ্যা আর বানোয়াট তথ্য দিয়ে অপ প্রচার করা হচ্ছে। এগুলি অবসান চাই আমরা।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অফ টপিক - ব্লগার অপুর শেষ পোস্টে হাউজওয়াইফ শব্দটা নিয়ে আপনার সাথে একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে আমার। আপনি হয়তো ভেবেছেন যে আপনি আমার ইংরেজি জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাই আমি মাইন্ড করেছি বা হার্ট হয়েছি। আসলে সেই রকম কিছু না। আমার ইংরেজি জ্ঞান যে পর্যাপ্ত না সেটা আমি জানি। আমাকে কেউ যদি বলে যে আপনি ইংরেজি কম জানেন, আমি মাইন্ড করবো না। কারণ একজন বাঙ্গালী হিসাবে আমার ইংরেজি জ্ঞান কিছুটা কমই আছে। আর আপনি তো সেই ধরণের কিছু বলেননি। তাই মাইন্ড করার প্রশ্নই আসে না। আমি হাউজওয়াইফ আর হোমমেকার শব্দটার প্রয়োগ, উৎপত্তি এবং পার্থক্য সম্পর্কে জানার জন্য অভিধানের সাহায্য নিয়েছিলাম। অনেক ইংরেজি শব্দের ক্ষেত্রেই আমি এটা করে থাকি যখন ইংরেজিতে কিছু লিখতে হয়। আপনার মন্তব্যের কারণে আমার মধ্যে একটা অনুসন্ধিৎসা তৈরি হয়েছিল, আসলে এই দুটি শব্দের মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে সেটা জানার জন্য। থাকলে সেটা কি। কিভাবে শব্দ দুটি প্রয়োগ করতে হয়। আমি একটু গবেষণা করে দেখলাম যে আসলে ফেমিনিসট মুভমেন্ট যখন তুঙ্গে তখন ফেমিনিসটরা প্রচার করতে থাকে যে হাউজওয়াইফ শব্দটা মেয়েদের জন্য অসম্মানজনক। এটার বদলে হোম মেকার বলা উচিত। তারা গৃহবধূর কাজকে অর্থ দিয়ে মূল্যায়িত করতে চাইত। আসলে সব কিছুকে টাকা দিয়ে মাপা যায় না এবং মাপা উচিত না। আর অভিধান অনুযায়ী যে অর্থ হয় সেটা তো আমি ঐ মন্তব্যে বলার চেষ্টা করছি।

তাই হাউজওয়াইফ শব্দটা আসলে অসম্মানজনক কোন শব্দ না। শুধু কিছু মানুষের ধারণা যে এটা একটা অসম্মানজনক শব্দ। আধুনিক ফেমিনিস্টরাও তাদের সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

এই বিষয়গুলি জানার জন্যেই আমি বড় মন্তব্য করেছিলাম। তবে ফেমিনিজমের ব্যাপারটা সংবেদনশীল ছিল বলে সেই ব্যাপারে মন্তব্যে কিছু লিখি নাই। মুলত শব্দ দুটির অর্থ এবং প্রয়োগ জানার জন্য আমি কিছু পড়াশুনা করেছিলাম এবং মন্তব্যে আংশিকভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছিলাম। আশা করি ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। ফেমিনিজম নিয়ে আমি কোন কথা আর বলতে চাই না। আবার পুরো ব্যাপারটা নিয়ে আমার বোঝার ভুলও হতে পারে। আমি যা বুঝেছি তা-ই লিখেছি। আমার মাইন্ড করার বা হার্ট হওয়ার মত কিছু ঘটে নাই।

২০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:২২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: অমুসলিমদের উপর আক্রমণ, প্রতিমার উপর গরম পানি ছুড়ে দেওয়া, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাড়ি ঘরে আগুন লুটপাট, জাতির পিতার বাড়িতে আগুন, ভাস্কর্য ভাঙা এগুলো কি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা।
সেনাবাহিনী নিজেদের কলঙ্ক ঢেকে রাখার জন্য মামলা করতে দিচ্ছে না বিভিন্ন সময়ে ঘটে যাওয়া ক্যু'র ঘটনায়। সত্য উদঘাটন না হলে এসব ঘটনা আরো ঘটবে।
আপনাদের বিপ্লবী সরকার প্রধানের অনুরোধে মোদি এখনও সাড়া দেন নি। তবে শেষ পর্যন্ত বৈঠক হবে। ইউনুস সাহেব মোদির কাছ থেকে সেফ এক্সিটের গ্যারান্টি চাইবেন।

সীমান্তে পাকিস্তানের প্ররোচনায় বিডিআর বিএসএফের সাথে লড়াই করতে পারে আপনাদের বিপ্লবী সরকারের আমলে।
আপনাদের বিপ্লবী সরকারের আমলে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ক্যু পাল্টা ক্যু'তে মেতে উঠতে পারে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এবার অমুসলিমদের উপরে হামলা মুলত আওয়ামী লীগ করেছে বা করিয়েছে। ছাত্র- জনতা করেনি। তবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতে পারে। রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য কেউ করতে পারে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন দিয়েছে প্রতিহিংসার কারণে। রিমান্ড, গুম, খুন, অত্যাচারের বদলা নিয়েছে যারা নির্যাতিত ছিল ১৬ বছর। আইনের প্রতিকার তারা পায়নি। তাই তারা আইন হাতে তুলে নিয়েছে। যে কোন অভ্যুত্থানে প্রাথমিকভাবে অরাজকতা সৃষ্টি হয়। সাধারণ আইন কাজ করে না।

১৬ বছরের নির্যাতনের বিপরীতে কিছু পাল্টা আক্রমণ হবেই। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক সময়ের মত না। আপনি বা আমি পছন্দ করি বা না করি, ইতিহাস সাক্ষী, বড় অভ্যুত্থান/ বিপ্লবে বহু লোক বিনা বিচারে খুন হয়েছে। ফরাসী বিপ্লবের সময়ে মাত্র ৫ দিনে ১,৫০০ লোককে জনতা ধরে ধরে হত্যা করেছিল। এছাড়াও হাজার হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে বিপ্লবকারীদের দ্বারা। বাংলাদেশে স্বাভাবিক পরিস্থিতি না আসা পর্যন্ত এই ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পরে বহু রাজাকারকে পাবলিক পিটিয়ে মেরেছে কোন বিচার ছাড়া। কাদের সিদ্দিকি স্টেডিয়ামে জনতার সামনে গুলি করে মেরেছে রাজাকারদের। স্বাভাবিক সময় আর এই ধরণের অভ্যুত্থানের সময় এক রকম না। ১৬ বছরে শেখ হাসিনা কত হাজার মানুষ খুন করেছে, গুম করেছে সেই হিসাব নিশ্চয়ই আপনার জানা আছে। কাজেই এক তরফা বললে হবে না।

আপনি পরের প্যারায় অনেক কিছু বলেছেন যেটা হতেও পারে নাও হতে পারে। অনেকটাই আপনার মনগড়া কথা। সময় আসলেই বোঝা যাবে সব কিছু। অনুমান নির্ভর এবং ভবিষ্যতে ঘটতে পারে এমন ঘটনার উপর বিতর্ক করে লাভ নেই।

২১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: পুরানমানব বলেছেন মতামত আর মিথ্যাচারের প্রার্থক্য মনে হয় কানের নিচে দিয়া দিয়াই শিখাইতে হইবে এসব ভারত শাবকদিগকে।


তো এই ভাবেই আপনারা গনতন্ত্র চর্চা বা বাক স্বাধিনতা ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছেন? ভালো বেশ ভালো৷

বলেই থেমে গেলে হবে? আসুন কানের নিচে দিতে আসুন!!! আপনার অপেক্ষায় আছি!!!

২২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: একটা গ্রামে একটা শালিসি বসেছে। এলাকায় চুরি বাড়ছে এই উপলক্ষ্যে। তাতে সব থেকে নিরব সুফী ভাব নিয়ে কে বসে আছে জানেন? মুরগী চোর। ভাব খানা এমন আমি কিচ্ছু বুঝি না জানি না শুনি নাই। যদি কিছু হয়েও থাকে তা ভুতে করছে৷ ভুতের অবদান অনিস্বিকার্য৷

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো ভাবের কথা আমি বুঝি না। নীচে ভারতীয় ব্লগার বুঝেছে মনে হয়।

২৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৩২

ঊণকৌটী বলেছেন: বলেছেন: একটা গ্রামে একটা শালিসি বসেছে। এলাকায় চুরি বাড়ছে এই উপলক্ষ্যে। তাতে সব থেকে নিরব সুফী ভাব নিয়ে কে বসে আছে জানেন? মুরগী চোর। ভাব খানা এমন আমি কিচ্ছু বুঝি না জানি না শুনি নাই। যদি কিছু হয়েও থাকে তা ভুতে করছে৷ ভুতের অবদান অনিস্বিকার্য৷ ভূত না ভূতের ঠাকুর দা জীন

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতে জীন কম ভুত বেশী। আর বাংলাদেশে জীন বেশী আর ভুত কম।

২৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: সামুতে ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শের মানুষের মিলন মেলা, তাই একেক ধরনের লেখা আসে। তবে ভারতীয় দাদারা আমাদের দেশ নিয়ে চিন্তিত—ব্যাপারটা হাস্যকর।তারা নিজেরাই আছে এক ঝামেলায়! আজ পত্রিকায় দেখলাম, মণিপুরে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাইরেমবাম কোইরেঙের বাড়িতে কুকি বিদ্রোহীরা রকেট হামলা চালিয়েছে! দেড় বছর ধরে চলছে তুমুল বিদ্রোহ, বিদ্রোহীরা পাঁচ দিন ধরে রকেট ও ড্রোন হামলা চালাচ্ছে। ওদিকে পাহাড়ি বিদ্রোহী গ্রুপও হামলা চালাচ্ছে! কলকাতায় চলছে তুমুল আন্দোলন আরজি কর নিয়ে। অন্যদিকে সেভেন সিস্টার্সে বিদ্রোহীরা ওঁত পেতে আছে! আমাদের দেশীয় ব্লগারদের সমালোচনা শুনতে আরাম লাগলেও দাদাদের আমাদের ব্যাপারে উস্কানিমূলক বার্তা শুনে বিরক্তি লাগছে!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারত নিজের জ্বালায় বাঁচে না সে কি না এখন বাংলাদেশের ত্রাতা হতে চাচ্ছে। শেখ হাসিনা ভারতকে সব দিয়ে দিয়েছে। তাই বাংলাদেশের হারানোর কিছু নাই। দুই দেশের সম্পর্ক খারাপ হলে ভারত বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ ব্যবসায়ীক লাভ ভারত সব সময় বেশী করেছে বিক্রেতা হিসাবে। ইতিমধ্যে আলামত দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের পর্যটক না আসায় ধুঁকছে কলকাতার যেসব অঞ্চল - বিবিসি নিউজ বাংলা, কলকাতা

সেভেন সিস্টারসের মনিপুর জ্বলছে ইতিমধ্যে। ওনাদের উচিত নিজের চরকায় তেল দেয়া।

২৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৬

গোবিন্দলগোবেচারা বলেছেন: ব্লগে আমার একাউন্টের বয়স ৮ মাসের মত। এর আগে আরো মাস দুয়েক পর্যবেক্ষণ করেছি। আমার ব্যক্তিগত অভিমত ব্যবসায়িক কারণে ব্লগের কর্তৃপক্ষ এই ধরনের বিতর্কিত পোস্ট রেখে দেওয়ার পক্ষে । এগুলো ভিউ বাড়াতে সাহায্য করে। ফাইল ঠেকায়ে ঘুষ খাওয়া বা ভিউ থেকে আয়ের উদ্দেশ্যে উল্টাপাল্টা পোস্ট এলাও করা দুইয়ের মধ্যে আমি তেমন কোন পার্থক্য দেখি না।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষ আমার এই পোস্টকে খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি বলে মনে হচ্ছে। ওনাদের strategy আমার বোধগম্য নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.