নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

২০৫০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা সংক্রান্ত পূর্বাভাস

২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৮

পিউ রিসার্চের ২০১৫ সালের একটা জরীপের ফলাফল নিয়ে এই পোস্ট দিলাম। পিউ রিসার্চ একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সামাজিক জরীপ এবং গবেষণা সংস্থা। এই জরীপের বিষয় ছিল, ২০৫০ সালে বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যার পূর্বাভাস এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক পরিসংখ্যান।


এই জরীপ অনুযায়ী ২০৫০ সালে বিশ্বের ৩১.৪০% মানুষ খৃস্টান ধর্ম অনুসরণ করবে (২৯২ কোটি) এবং ২৯.৭০% মানুষ হবে ইসলাম ধর্মের অনুসারী (২৭৬ কোটি)। ২০১০ সালে খৃস্টান ধর্মাবলম্বীর হার ছিল ৩১.৪০% এবং মুসলিম ছিল ২৩.২০%। ২০৭০ সালের মধ্যে সংখ্যার দিক থেকে মুসলিমরা খৃস্টানদের অতিক্রম করে যাবে এবং সংখ্যার হিসাবে বিশ্বের ১ নম্বর ধর্ম হবে ইসলাম। ২০৫০ সালে মুসলিমদের জনসংখ্যা বর্তমানের চেয়ে (২০১০ সালে ১৬০ কোটি ছিল এবং ২০২৫ সালে ২০৪ কোটি) ৭৩% বৃদ্ধি পেয়ে ২৭৬ কোটি হবে।

নাস্তিকদের পরিসংখ্যানঃ
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে বিশ্বে নাস্তিকদের হার কমে যাবে। ২০১০ সালে নাস্তিকদের হার ছিল ১৬.৪০% এবং ২০৫০ সালে হবে ১৩.২০%। ২০১০ সালে নাস্তিক ছিল ১১৩ কোটি এবং ২০৫০ সালে হবে ১২৩ কোটি। তবে ইউরোপ এবং উত্তর অ্যামেরিকায় নাস্তিকদের হার কিছুটা বৃদ্ধি পাবে। যুক্তরাষ্ট্রে নাস্তিকের হার ২০১০ সালে ছিল ১৬% যেটা বেড়ে ২০৫০ সালে ২৬% হবে।


খৃষ্টধর্মঃ
খৃস্টানদের জনসংখ্যার হার অপরিবর্তিত থাকবে (২০১০ সালে ৩১.৪০% এবং ২০৫০ সালেও ৩১.৪০%)। ২০১০ সালে খৃস্টান জনসংখ্যা ছিল ২১৭ কোটি এবং ২০৫০ সালে হবে ২৯২ কোটি।

হিন্দু ধর্মঃ
হিন্দুদের জনসংখ্যার হার সামান্য কমে যাবে (২০১০ সালে ছিল ১৫% এবং ২০৫০ সালে হবে ১৪.৯০%)। ২০১০ সালে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১০৩ কোটি এবং ২০৫০ সালে হবে ১৩৮ কোটি।

বৌদ্ধ ধর্মঃ
বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীদের হার কমে যাবে (২০১০ সালে ছিল ৭.১০% এবং ২০৫০ সালে হবে ৫.২০%)। ২০১০ সালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষ ছিল ৪৯ কোটি এবং ২০৫০ সালেও ৪৯ কোটিই থাকবে।

ইহুদি ধর্মঃ
ইহুদীদের জনসংখ্যার হার অপরিবর্তিত থাকবে (২০১০ সালে ০.২০% ছিল এবং ২০৫০ সালেও একই থাকবে)। ২০১০ সালে ইহুদি ছিল ১.৩৮ কোটি এবং ২০৫০ সালে হবে ১.৬১ কোটি।

অন্যান্য ধর্মঃ
অন্যান্য ধর্মাবলম্বী মানুষের হার কমে যাবে (২০১০ সালে ছিল ০.৮% এবং ২০৫০ সালে হবে ০.৭০%)। ২০১০ সালে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ কোটি এবং ২০৫০ সালেও প্রায় একই থাকবে।


মুসলিমদের ১ নম্বরে যাওয়ার মূল কারণ হবে মুসলিমদের উচ্চ জন্মহার (৩.১০) । তুলনামুলকভাবে অন্যান্য ধর্মগুলির জন্মহার হল খৃস্টান ২.৭০, হিন্দু ২.৪০, ইহুদি ২.৩০, বৌদ্ধ ধর্ম ১.৬০ এবং অন্যান্য ধর্ম – ১.৭০ থেকে ১.৮০। ধরা হয়ে থাকে যে জন্মহার ২.১০ এর কম হলে সেই জাতি বা সমাজের জনসংখ্যা কমতে থাকে।

২০৫০ সালে ইউরোপের ১০% মানুষ হবে মুসলিম।
২০৫০ সালে সবচেয়ে বেশী মুসলমান বাস করবে ভারতে। পাকিস্তান এবং ইন্দোনেশিয়ার চেয়েও বেশী হবে।
২০৫০ সালে সংখ্যার দিক থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম হবে দ্বিতীয় ধর্ম (খৃস্টান ধর্ম প্রথম)।

ধর্মান্তরের প্রভাব (২০১০ থেকে ২০৫০ সাল) ঃ
২০১০ থেকে ২০৫০ সাল নাগাদ ৪ কোটি লোক খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করবে। কিন্তু ১০.৬১ কোটি খৃস্টান অন্য ধর্ম বা মতবাদে চলে যাবে। ফলে ধর্মান্তরের কারণে খৃস্টান জনসংখ্যা ৬ কোটির অধিক কমে যাবে।

৯.৭০ কোটি মানুষ নাস্তিক হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে ৩.৫৫ কোটি নাস্তিক অন্য কোন ধর্ম বেছে নিবে। ধর্ম ত্যাগের কারণে নাস্তিকদের সংখ্যা প্রায় ৬ কোটি বাড়লেও স্বল্প জন্মহারের (১.৭০) কারণে নাস্তিকের সংখ্যা তেমন বাড়বে না।

১.২৬ কোটি মানুষ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে এবং ৯৪ লক্ষ মানুষ ইসলাম ত্যাগ করবে।


সামনের শতাব্দী হবে ইসলামের অগ্রযাত্রার শতাব্দী। সভ্যতার সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটা সম্পর্ক আছে। এখন মুসলিমরা পশ্ছাদপদ হলেও আশা করা যায় আগামী শতাব্দীতে মুসলমানরা সব দিক থেকে অগ্রগামী থাকবে। আশা করি বিশাল জনসংখ্যার মুসলিমরাই এক শতাব্দী পরে বিশ্বের নেতৃত্ব দিবে। সবাইকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এই সুযোগ হেলায় হারাবেন না। উভয় জাহানের কল্যাণ একমাত্র ইসলাম ধর্মেই আছে।

https://www.pewresearch.org/religion/2015/04/02/religious-projections-2010-2050/

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৬

রানার ব্লগ বলেছেন: এই যে আগাবে এটা কি মুসলিম সু শিক্ষিত সম্প্রদায় আগাবে নাকি এখন যেমন অন্ধ কুশিক্ষিত সম্প্রদাইয় আছে এদের মতোই থাকবে ।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহি হাদিস শুনালেও আপনারা বলেন এরা অন্ধ, কুশিক্ষিত। পশ্চিমা অপ প্রচারের কারণে ইসলাম সম্পর্কে অনেকের ভুল ধারণা হচ্ছে।

যারা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে তারা বেশী দিন টেকে না।

২| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:২০

নতুন নকিব বলেছেন:



সামনের শতাব্দী হবে ইসলামের অগ্রযাত্রার শতাব্দী। সভ্যতার সাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটা সম্পর্ক আছে। এখন মুসলিমরা পশ্চাদপদ হলেও আশা করা যায় আগামী শতাব্দীতে মুসলমানরা সব দিক থেকে অগ্রগামী থাকবে। আশা করি, বিশাল জনসংখ্যার মুসলিমরাই এক শতাব্দী পরে বিশ্বের নেতৃত্ব দিবে। সবাইকে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আসার জন্য আহবান জানাচ্ছি। এই সুযোগ হেলায় হারাবেন না। উভয় জাহানের কল্যাণ একমাত্র ইসলাম ধর্মেই আছে।

আপনার পোস্টের শেষের কথাগুলোর সাথে সহমত পোষন করছি। একইসাথে প্রার্থনা করছি, আপনার এই কথাগুলো মহান রব্বুল আলামীন বাস্তবে পরিণত করুন। আমিন।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও প্রার্থনা করছি আপনার এবং আমার এই দোয়া কবুল হউক। আমিন।

৩| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ইহুদির সংখ্যা সারাবিশ্বে দেড় কোটি আর মুসলিম ১৯০ কোটি। গাজা তামা তামা করে ফেলছে, অথচ ১৯০ কোটি লোক তাদের লোমও ছিঁড়তে পারছে না। আপনি আসছেন সংখ্যা নিয়ে গৌরব করতে। তারাবিতে ভুল, ইমামকে মারধর কিংবা খতিব অপসারণ নিয়ে দুপক্ষের মারামারি, হাতুড়িপেটায় আহত ৬- এসব ছোটখাট সমস্যার সমাধান করতেই হিমশিম খেতে হয়, কত কত তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঝামেলা। এগুলো কি অগ্রগতি?

২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক সময় মুসলমানরাও ক্ষমতাশালী হবে। তখন ইহুদীরা পরাজিত হবে। এখন তো গায়ের জোরে ইহুদীরা এটা করছে খৃস্টান দেশগুলির সহযোগিতায়। সামনের শতকে অর্থনৈতিক লড়াইয়ে এশিয়া এগিয়ে থাকবে। ইউরোপ এবং অ্যামেরিকা পিছিয়ে যাবে। অর্থের লড়াই হল বড় লড়াই।

২০০ কোটি লোকের যে সম্প্রদায় সেই সম্প্রদায়ে মতভেদ থাকতেই পারে। সব ধর্মেই এটা আছে। ইসলামের সুসময় ছিল এবং সামনে আসবে। আপনি কোরআন, হাদিস পড়লে বুঝতে পারবেন।

৪| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- মুসলিমদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই।
- সংখ্যায় বেরে লাভ কি! কোয়ালিটিতেতো মার খেয়ে যাচ্ছে!

২২ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক সময় অ্যামেরিকাতেও ঐক্য ছিল না। জাপান ছিল যুদ্ধবাজ জাতি। চিনের লোকেরা আফিম খেয়ে দিন পার করতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তাই মুসলমানদের মধ্যেও ঐক্য হবে।

সংখ্যায় বাড়লে সেখান থেকেই মান বা কোয়ালিটি আসবে। সংখ্যার সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক আছে। ধীরে ধীরে এশিয়া কেন্দ্রিক অর্থনীতি বিশ্বে আসবে। পশ্চিম তার সামাজিক অবক্ষয়ের কারণে পিছিয়ে পড়বে। ইউরোপ এবং অ্যামেরিকাতে আফ্রিকান, এশিয়ান বেড়ে যাবে। তারা ঐ সমাজের নেতৃত্ব নেবে।

হতাশ হলে হবে না। আমরা সেটা অবশ্য দেখে যেতে পারবো না। আমাদেরকে আপাতত মার খেয়েই যেতে হবে।

৫| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০১

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনি জাস্ট বাংলাদেশ দেখুন। এখানে ৯২% মুসলমান। খুন-খারাপি-ধর্ষণ কিংবা দুর্নীতির পরিসংখ্যান দেখুন। ১০০% হয়ে গেলেই সব ঠিক হয়ে যাবে?

২২ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে খুন খারাবী বেশী হয়। ধর্ষণও বেশী হয়। বিশ্বাস না হলে অনলাইনে চেক করে দেখেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে ধর্ষণ বেশী হয় নাকি বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীতে বেশী হয়। আপনার কি মনে হয়। চেক করে দেখেন।

তবে দুর্নীতি আমাদের দেশে বেশী হয়। এই দেশের সব লোক অমুসলিম হয়ে গেলেই কি দুর্নীতি্, খুন, খারাবী বন্ধ হয়ে যাবে। এগুলি সামাজিক সমস্যা। সব সমাজেই কম বেশী থাকবে। মুসলমানরা কোন পাপ করে না কিংবা তারা ফেরেশতা এই কথা আমি কোথাও বলি নাই।

ভারতে তো মুসলমানরা সংখ্যালঘু। সেখানে বাংলাদেশের মতই খুন, ধর্ষণ আর দুর্নীতি হয়। সব দোষ মুসলমানদের দিয়ে লাভ নাই। ইসলামের নিয়ম না মানলে সব কিছুই হবে।

৬| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তারপর, তারপর কি হবে? মানে ৩০৭০ সালে গিয়ে কি হবে?

কে ধর্ম গ্রহণ করবে বা কে ধর্ম ত্যাগ করবে, কে মুসলিম থেকে খ্রিস্টান হবে, বা খ্রিস্টান থেকে মুসলিম হবে এই পরিসংখ্যানগুলো ওরা ঠিক কিসের ভিত্তিতে তৈরী করে? -

উচ্চ জন্মহারের কারণে এক সময় মুসলীম জনসংখ্যা অন্য সবাইকে পিছনে ফেলে দিবে এ বিষয়ে টা বেশ অনুমেয়।

নাস্তিকদের জনংখ্যা খুব কম থাকবে এ বিষয়টাও অনুমেয় কারণ তাদের মাধ্যে সন্তান জন্ম দেয়ার আগ্রহ খুব কম। তবে নাস্তিকদের সঠিক কোন পরিসংখ্যান পৃথিবীর কোন সংস্থার কাছে আছে বা থাকতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। কারণ এটা কোন অরর্গানাইজড মতাদর্শ নয়। মুসলিম বা খ্রিস্টান পরিচয়ে পৃথিবিতে কোটি কোটি নাস্তিক রয়েছে। হাতে গোণা দুই একটি দেশের হয়তো সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যেতে পারে।

ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে যে জাতি জ্ঞান, বুদ্ধিতে এগিয়ে থাকবে তারাই রাজত্ব করবে।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৩০৭০ এর আগেই হয়তো কেয়ামত হয়ে যাবে। প্রত্যেকটা মানুষের মৃত্যুই তার জন্য কেয়ামত। মরার পরে মুনকার আর নাকির ফেরেশতা এসে কিছু প্রশ্ন করবে। ফেরেশতার প্রশ্ন এবং উত্তর দুইটাই ফাঁস করা আছে। মুখস্ত বলতে পারলে প্রাথমিকভাবে উৎরে যাবে। হাশরের ময়দানে আগে নামাজের হিসাব হবে। নামাজ ঠিক থাকলে বিচার সহজ হওয়ার সম্ভবনা আছে। তবে আরও অনেক শর্ত আছে। আল্লাহই ভালো জানেন।

সামাজিক এবং জনসংখ্যা জরীপের বিজ্ঞানসম্মত বিভিন্ন কৌশল এবং পদ্ধতি আছে। বিভিন্ন গাণিতিক সূত্র, পরিসংখ্যান পদ্ধতি (Time Series Analysis, Extrapolation, Regression Analysis, Input-Output Analysis, Historical Analogy, Panel Consensus Method, Delphi Technique, Morphological Analysis ইত্যাদি আরও বহু কিছু), সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এগুলি নিয়ে গবেষণা করার জন্য সমাজ বিজ্ঞানীরা আছেন। আমি এগুলি বুঝি না। অতীতের প্রবণতা এবং ভবিষ্যতের সামাজিক পরিবর্তন সম্পর্কে সমাজ বিজ্ঞানীদের গবেষণালব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই ধরণের পূর্বাভাস তৈরি করা হয়।

এই ধরণের জরীপ করার ক্ষেত্রে স্যাম্পল ডেটা ব্যবহার করা হয়। এমন না যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ থেকে পরিসংখ্যান নেয়া হয়। তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা এমন সব বিজ্ঞান সম্মত এবং প্রযুক্তি নির্ভর গাণিতিক টুলস ব্যবহার করেন যে স্যাম্পল ডেটা থেকে মোটামোটি গ্রহণযোগ্য পূর্বাভাস পাওয়া যায়।

অনেক ব্যক্তিগত গোপন বিষয় নিয়েও জরীপ করা হয় স্যাম্পল ডেটার ভিত্তিতে এবং গ্রহণযোগ্য ফলাফল পাওয়া যায়। তাই নাস্তিকের সংখ্যা সম্পর্কে মোটামোটি গ্রহণযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়। উন্নত বিশ্বে অনেকেই অবলীলায় স্বীকার করে যে তারা কোন ধর্ম মানে না। তাই সেখানে এই তথ্য পাওয়া সহজ। অনুন্নত বিশ্বে পরিসংখ্যান করা একটু কঠিন। তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে প্রকৃত হার নির্ণয় করার চেষ্টা করেন। অনুন্নত দেশে নাস্তিকের সংখ্যা নির্ণয় করা কঠিন। উন্নত বিশ্বে তেমন কঠিন না।

মুসলমানরা এক সময় জ্ঞান, বিজ্ঞানে এগিয়ে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলে জ্ঞান, বিজ্ঞানে অগ্রসর হওয়া সহজ হয়। ভবিষ্যতে সেটা হতে পারে। অনেক দেশের অতীত দেখলে বোঝা যায়, অনেক আপাত অসম্ভব জিনিস ভবিষ্যতে ঘটে যেটা আমাদের অনুমানের বাইরে ছিল।

৭| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনার উত্তর যথাযথ হয়েছে, তবে এত আগেই কেয়ামত হবে না, শুনেছি একজন মুসলিম জীবিত থাকতেও নাকি আল্লাহ পাক কেয়ামত দিবেন না, তাছাড়া- দাজ্জাল, ইমাম মাহাদী, ইসা নবী এরা এখনো পৃথিবীতে আসেননি সুতরাং এত তাড়াড়িই গেম শেষ হয় কি করে আরও অনেক খেলা বাকি আছে মনে হচ্ছে।

পিউ রিচার্স দেখা যাচ্ছে ধর্ম নিয়ে ভালোই গবেষণা করে, আচ্ছা উন্নতমানের সফ্টঅয়্যার, আধুনিক প্রযুক্তি ইত্যাদি ব্যবহার করে তারা যদি দাজ্জাল, ইমাম মাহাদী কবে আসবে সে বিষয়ে কোন দিকনির্দেশনা দিতো তাহলে ভালো হতো।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা জাতির ওঠার জন্য ১০০ বছরই যথেষ্ট। আর কেয়ামত ঘটাতে অল্প সময়ই লাগবে। ইমাম মেহেদি, দাজ্জাল আর ঈসা (আ) সব মিলেয়ে ৪০ বছরের মত থাকবেন। কেয়ামতের অনেক লক্ষণ প্রকাশ পাচ্ছে। যেমন, ব্যভিচার বেড়ে যাওয়া, সুদ ছড়িয়ে পড়া, মদ্দপান বেড়ে যাওয়া, বকরির রাখালেরা সুউচ্চ অট্টালিকা বানাবে (আরব দেশগুলিতে এখনই হচ্ছে), মানুষ হত্যা বেড়ে যাওয়া, কাপড় পরিহিতা সত্ত্বেও উলঙ্গ এমন নারীদের বহিঃপ্রকাশ ঘটা, আরব ভূখণ্ড আগের মত তৃণভূমি ও নদনদীতে ভরে যাওয়া (এখনই শুরু হয়েছে), হিংস্র জীবজন্তু ও জড় পদার্থ মানুষের সাথে কথা বলা (বিজ্ঞানীরা অনেক কাছে চলে এসেছে এই ব্যাপারে), ধন সম্পদ বৃদ্ধি, মসজিদ নিয়ে মানুষ গর্ব করবে, দালান নির্মাণে প্রতিযোগিতা শুরু হবে, সময় দ্রুত চলে যাবে ( মানুষের অবসর সময় কমে যাচ্ছে এখন), ঘন ঘন বাজার হবে (এখনই সর্বত্র বাজার। অনলাইন বাজার নতুন সংযোজন), মহিলার সংখ্যা বেড়ে যাবে।

দাজ্জাল, জীন, পরী, ফেরেশতা, ইমাম মেহেদি নিয়ে পিউ রিসার্চকে ভবিষ্যৎ বাণী করতে হলে আগে দেখতে হবে এই গবেষকদের সুন্নতে খৎনা করা আছে কি না। না থাকলে এদের সুন্নতে খৎনা কোন ভালো হাজাম দিয়ে করাতে হবে। তবেই এরা জীন, পরী, দাজ্জাল, আজরাইল, জিবরাইল, মিকাইল ফেরেশতা সম্পর্কে ভবিষ্যৎবাণী করতে পারবে। আকাটা লিঙ্গ দিয়ে এই সব ভবিষ্যৎ বাণী করা সম্ভব না।

৮| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৩৪

কামাল১৮ বলেছেন: ২০৫০সালে সব সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে ধর্মহীন লোকের সংখ্যা।রবিবারে যারা গির্জায় যায় না তারা ধর্মহীন,শুক্রবারে যারা মসজিদে যায় না তারা ধর্মহীন।বর্তমানে এই দুই সম্প্রদায়ের পরেই ধর্মহীনদের স্থান।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক ধর্ম একটাই।

অনেক খৃস্টান গির্জায় না গেলেও তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করে। জুম্মার নামাজ অলসতার কারণে ক্রমাগত পরিত্যাগ করলে সে ইসলামের বাইরে চলে যায় না। তবে এটা অনেক বড় কঠিন গুনাহ। এটাই অধিকাংশ আলেমের মতামত। অনেক আলেম অবশ্য বলেন যে তারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যায়। এটা নিয়ে মতভেদ আছে। সকল মুসলমানের উচিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ এবং জুম্মার নামাজ পড়া।

নামে মুসলমান যে, সে-ও ইসলামের কোন বড় ইস্যুতে মুসলমানদের সমর্থন করে। এটাই তার নুন্নতম ঈমানের চিহ্ন। তাকে ইসলামের বাইরে মনে করার দরকার নাই।

৯| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৩৭

লুধুয়া বলেছেন: কি লাভ হবে। আরো অশিক্ষিত সমাজ সৃষ্টি হবে। অরাজকতা ,সন্ত্রাসবাদী জন্ম নেবে।

২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পশ্চিমের ইহুদি, খৃস্টানরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অপ প্রচারে লিপ্ত এবং তারাই মুসলমানদের সন্ত্রাসী বলে। তারা হাজারো সন্ত্রাস করলেও তারা নিজেদের সঠিক মনে করে। ইসরাইলে কী হচ্ছে দেখতে পাচ্ছেন না।

১০| ২২ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: জ্ঞান বিজ্ঞানে বা বেড়ে জনসংখ্যায় বেড়ে আসলে লাভ কী? বরং সেটা দেশ ও জাতির জন্য বোঝা হবে। আর কিছু হবে না।

২৩ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অর্থনীতিতে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই বিশ্ব চালাবে। অর্থ থাকলে জ্ঞান বিজ্ঞানও আসবে। সামনের শতকে অ্যামেরিকা আর ইউরোপকে ছাড়িয়ে অর্থনৈতিকভাবে এশিয়ার দেশগুলি সামনে আসবে। তার মধ্যে অনেক মুসলিম দেশ থাকবে।

জনসংখ্যা এখন বোঝা মনে হলেও এদের বংশধরদের থেকে মেধা আসতে পারে। ভারত বিশাল দেশ এবং অনেক মানুষ সেখানে বাস করে। এখন ভারতের লোক অ্যামেরিকা এবং ইউরোপের রাজনীতিতে জোরালো ভুমিকা রাখছে। জনসংখ্যা বেশীর কারণে এটা হচ্ছে। ভারতের শুধু মধ্যবিত্ত সমাজের আকৃতি ইউরোপের কয়েকটা দেশের সমাজের সমান। এই কারণে ভারত একটা বড় বাজার। মাল বিক্রি করতে বিশ্বের চোখ এখন ভারতের দিকে। মুসলমান জনসংখ্যা যখন বৃদ্ধি পাবে তখন সেই জনসংখ্যার অর্থনৈতিক মূল্য সৃষ্টি হবে। কোন দেশের ১০% মুসলমান হলে রাজনীতিতেও তাদের ভুমিকা চলে আসবে। পিছিয়ে পড়া অনেক দেশ বর্তমানে এগেয়ে। মুসলমানদের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটতে পারে। ১০০ বছর অনেক সময়।

১১| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৫৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: ২০১০ সালে নাস্তিকদের হার ছিল ১৬.৪০% এবং ২০৫০ সালে হবে ১৩.২০%। ২০১০ সালে নাস্তিক ছিল ১১৩ কোটি এবং ২০৫০ সালে হবে ১২৩ কোটি।

হার যদি পারসেন্টেজে কমে তাহলে সংখ্যায় কিভাবে বাড়ে!

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাস্তিকের সংখ্যা যতটা বাড়বে তার চেয়ে বেশী হারে বাড়বে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা। যে কারণে নাস্তিকের সংখ্যা বৃদ্ধি সত্ত্বেও পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার তুলনায় নাস্তিকের শতকরা হার কমে যাবে। যেমন, মনে করি নাস্তিকের সংখ্যা ১৬০০ আর অন্যান্য ধর্মের মানুষের সংখ্যা ৮৪০০। অর্থাৎ পৃথিবীর মোট জনসংখ্যা ১০,০০০। যার মধ্যে ১৬% নাস্তিক আর ৮৪% আস্তিক। ৫ বছর পরে নাস্তিক বেড়ে হল ২০০০ আর আস্তিক হল ১৫০০০। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যা তখন ১৭ হাজার। যার মধ্যে নাস্তিক হোল ১১.৭৬% আর আস্তিক হল ৮৮.২৪%। ফলাফল হল, নাস্তিকের সংখ্যা ৪০০ বৃদ্ধি সত্ত্বেও মোট জনসংখ্যায় নাস্তিকের শতকরা হার কমে গিয়ে ১৬% থেকে ১১.৭৬% হবে।

১২| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৬

নতুন বলেছেন: ধর্ম আইসিইউ তে আছে।

খৃস্টার ধর্ম এখন সামাজিক ধর্ম মাত্র।
হিন্দু ধর্মও সামাজিক ধর্মে পরিনত হয়েছে। তাদের ১২ মাসে ১৩ পার্বন তাই চলছে। আর ভারতে আরএসএস রাজনিতি করছে বলে হিন্দু ধর্ম এখনো বেশ জমজমাট।

ইসলাম ও মোটামুটি সামাজিক ধর্ম হবার পথে।
আপনি ঈদের জামাত বনাম ফজরের জামাতের মানুষের তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন ইসলাম কতটা সামাজিক ধর্মে পরিনত হয়েছে। আর কতটুকু বাকি আছে।

আরেকটা কথা হইলো যারা ধর্ম বিশ্বাসী না তারা অন্যদের তাদের দলে টানার জন্য চেস্টা করেনা। ধর্মানুসারীরা দাওয়াত দেয় ধর্মের লোকবল বাড়ানো একটা স্ট্রাটিজি।

বিশ্বে বর্তমানে ১৬% মানুষ ধর্ম অনুশিলন করেনা। সেটা প্রায় ১.১ বিলিওন। চীনে ৬২%

Macau: 59.3%​
South Korea: 54.9%​
Hong Kong: 52.3%​
United Kingdom: 21.7%​
World Population Review
Czech Republic: 21.6%​
Taiwan: 21.1%​
Australia: 20%​
Canada: 19.4%​
Japan: 19.1%

মানুষ যতই ধর্ম সম্পর্কে পড়াশুনা করতে শুরু করবে, ততই ধর্ম যে পুরানো হয়ে গেছে সেটা বুঝতে পারবে।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে দেশগুলি নাম বলেছেন এদের মোট জনসংখ্যা হল ৩৫ কোটি ৫৮ লক্ষ। অর্থাৎ ভারতের ৪টা মাত্র রাজ্যের সমান। নাস্তিকদের বৈশ্বিক গড় জনসংখ্যার হার হল মাত্র ১৬.৪০%।

নাস্তিকদের জন্মহার মাত্র ১.৭০%। জন্মহার ২.১০% এর কম হলে সেই জাতির লোক সংখ্যা কমতে থাকে। তাই কিছু লোক নতুন করে নাস্তিক হলেও জন্মহার কম থাকার কারণে নাস্তিকদের শতকরা হার কমে ১৩.২০% হবে। নাস্তিকদের হার কমে যাওয়া মানেই ধর্ম অনুসারীর হার বৃদ্ধি। একটা লোক গির্জায় না গেলেও সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে পারে। একটা লোক নামাজ না পড়লেও আল্লাহয় বিশ্বাস করতে পারে। আমার পোস্ট ধর্ম পালন নিয়ে না। আমার পোস্ট ধর্ম বিশ্বাসীদের পরিসংখ্যান নিয়ে।

আমাদের দেশে নাস্তিকরা ধর্মের কুৎসা করে পরোক্ষভাবে মানুষকে ধর্মহীন হতে উৎসাহিত করে। এই ব্লগে আসলেই সেটা বোঝা যায়। এই ব্লগে নাস্তিকরা প্রচণ্ড রকমের ধর্ম বিদ্বেষী। তবে বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে নাস্তিকরা ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন।

একজন মুসলমানের কাছে নাস্তিক আর বিধর্মী একই দলে পড়ে। তাই এই পোস্টে আমার মূল ফোকাস হল দ্রুত হারে মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধির।

১৩| ২৩ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: কেবল সংখ্যা বৃদ্ধি হয়ে কোন লাভ নাই যদি না বিদ্যা বুদ্ধিতে অগ্রসর হয়। যেসব মুসলিম দেশ এই সত্য অনুধাবন করতে পেরেছে , একমাত্র তারাই অগ্রসর হয়েছে বাদাবকিরা নয়।

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে পরিবর্তন ঘটবে। কোন জাতিই এক জায়গায় বসে থাকে না। অতীতের ইতিহাসের দিকে দৃষ্টি দিলেই অনেক উদাহরণ পেয়ে যাবেন। এখনই অনেক মুসলিম প্রধান দেশ জ্ঞান বিজ্ঞানে আগাচ্ছে। বিশ্বের অর্থনৈতিক কেন্দ্র এশিয়াতে চলে আসবে। তখন মুসলমানরাও এগিয়ে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.