![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন বিশুদ্ধ পাঠক। লিখার চেয়ে অন্যের লিখা পড়তে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।
হাল্কা বাতাস বইছিল, বেশ তাড়াহুড়ো করেই
যাচ্ছিলাম ক্লাসের দিকে। হুট করে কি যেন
এসে পড়ল চোখের ভিতর। দাড়িয়ে চোখ
ঢলছিলাম। এমন সময়
একটি মেয়ে এসে বলে উঠলো ...
-কিছু পড়েছে চোখে পিয়াস ভাইয়া? -কিছুটা অবাক হলাম, মেয়েটি কে আমি চিনি না। অথচ সে আমার নাম
ও জানে !!
আমি যে কবে মানুষ হব? মা প্রতিদিন এ
কথা টি একবার হলেও শুনায়।
সাথে সাথে যদিও আমি প্রতিবাদ করি তবে এ মুহুূর্তে এ
কথাটা না মেনে পারছিনা। না হয় দেখেন না, এ মেয়েটি আমার নাম ও জানে অথচ
আমি তাকে চিনিও না।
-হুম, মনে হয় কিছু একটা পড়েছে.
আমতা আমতা করে বললাম মেয়েটি কে.
-দাড়ান আমি দেখছি। এই বলে মেয়েটি ওড়না দিয়ে চোখের
ভিতর থেকে বালি কণা টি বের করে আনলো। চোখ
খুলে একনজর দেখলাম মেয়েটি কে।
সুন্দরী বলা চলে। হঠাত হাত ঘড়ির দিকে নজর
পড়তেই দেখি দুই মিনিট বাকী ক্লাসের, যার
তার ক্লাস নয়, আজমল স্যারের ক্লাস, একটু দেরী হলেই অনেক
কিছুই শুনিয়ে দিবে. এ লোকটা জানে কিভাবে কথা দিয়ে মানুষ
শায়েস্তা করতে হয়। আগপিছ
না ভেবে ছুটে চললাম। কাটায় কাটায়
ক্লাসে ঢুকলাম, ক্লাসে বসতেই মনে হল...
ইসসস! শিট মেয়েটিকে তো একটা ধন্যবাদ ও দিলাম না...
মা, তোমার কথাই ঠিক 'আমি আসলেই কখনই মানুষ হব না ' এর প্রায় সপ্তাহ খানকে পরের কথা,
কলা ভবনের সামনে দিয়ে সেই
মেয়েটি যাচ্ছিল।
আমি তাকে দেখতে পায়ে সেদিকে অগ্রসর
হলাম। সামনাসামনি যখন দাড়ালাম
আমি ভেবেছি আমাকে দেখেই কথা বলবে মেয়েটি, কিন্তু এ কি?
কথা তো দূরের কথা আমার দিকে ভাল
ভাবে তাকালো ই না। অগ্যতা আমাকেই কথা শুরু
করতে হল...
-এই যে আমাকে চিনছেন? ঐ যে সেদিন আমার
চোখের ময়লা পরিস্কার করতে সহায়তা করেছিলেন আমি সেই ছেলে..
- জি চিনতে পেরেছি.. আজ তো চোখ ভালই আছে,
আর আপনাকে চিনবো না কেন? ভাল গান করেন,
কলেজের সাময়িকী আপনার লেখায় ভরে থাকে,
ভাল ছাত্র ও বটে.. আপনাকে না চিনে উপায়
আছে? -তাহলে না চেনার ভান করে চলে যাচ্ছিলেন যে?
-ভাব দেখানো ছেলেদের পাত্তা দেয়ার সময়
আমার নেই সে যতই পপুলার হোক না কেন.
- আজব!! আপনার সাথে ভাব দেখালাম কই?
-আরে মানুষ কে একটু পথ দেখিয়ে দিলেই কৃতজ্ঞ হয়ে ধন্যবাদ
দেয়, আর সেদিন আপনার এত সেবা করলাম!! আপনি তো পিছন ফিরে একবার
দেখলেন ও না! ! এরপরও বলছেন আপনি ভাব
দেখান না?
(এতক্ষণ পর বুঝতে পারলাম কাহিনী ..
মেয়ে অভিমানী বাণী শুনাচ্ছেন আমাকে) -আসলে তখন আমার
পরীক্ষার তাড়া ছিল তো তাই ধন্যবাদ না দিয়েই দৌড়েছি।
আমি দূঃখিত সেদিনের ঘটনার জন্য। অনেক
অনুতপ্ত ছিলাম জানেন? তাইতো এখন
দৌড়ে এলাম স্যরি বলতে..
-হয়েছে, স্যরি বলে হাটা ধরেন... আমার ও তাড়া আছে,
খালি আপনার না... একটু ভাব দেখিয়ে চলে গেল সে। আজও জানা হলনা মেয়েটির নাম! পিছন
থেকে রাহ্বল এসে পিঠ চাপড়ে জানতে চাইল "
মামা কি কথা বললি মেয়েটির সাথে? "
-না, তেমন কিছু না..
-ওর পিছনে অনেক লাইন.. কিন্ত
মেয়েটা কাউকে পাত্তা দেয়না খুব একটা. ট্রাই করে দেখ..
-তোরা যে কি তিল কে তাল বানাস! এমন কিছুর
জন্য ওর সাথে কথা বলিনি। সে আমার
একটা উপকার করেছিল, তাই ধন্যবাদ
দিতে চেয়েছিলাম .. -কিন্তু তাও দিতে পারিস নি, বললাম
না অনেক ভাব এই মেয়ের..
- ওকে রাহুল আমার যেতে হবে.. এই
বলে রাহুলের কাছ
থেকে সরে হেটে যেতে লাগলাম ।
তবে মেয়েটির আচরণে ভাবের চেয়ে অভিমান টা আমার
নজরে এসেছে... নাম যেহেতু জানাই
হলনা তাকে অভিমানী মেয়েই হিসেবে জানব.. মেয়েদের
সাথে মিশতে আমার ভয় লজ্জা দুটোই
লাগে.।তাই তেমন মিশা হয়না দু চার
টা ক্লাসমেট ছাড়া। কারণ ক্লাস মেট
রা আমার ভাষা তে মেয়ে বা ছেলে তারা ক্লাসমেট
gender এর উর্ধে সবসময়। এইমেয়েটির
সাথে আমাকে মিশতে হবে অন্তত আমার
সম্পর্কে তার ভুলটা ভাঙার জন্য.. মিশব ঠিক
ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ তার অভিমান ভাঙ্গে।
অভিমান ভেঙ্গে গেলে ভেগে যাব। আমার ক্লাসমেট তিথি কে দিয়ে তার মোবাইল নম্বর
সংগ্রহ করালাম। তিথি একটু অবাক হয়েছিল কোন মেয়ের
নাম্বার বের করতে বলায়।
তবে অনেক খুশি হয়েই এনে দিয়েছিল. পরদিন ফোন দিলাম....
-হ্যালো, কে বলছেন?
-আপনার ভাষায় ভাব দেখানো ছেলে। -তা, এখানে ভাব দেখাতে এসেছেন? এটা ভাব
দেখানোর জায়গা না.. লাইন কাটেন. না হয়
আমি কাটছি.. -অভিমানী লাইন কাটবেন না।
-আপনার সমস্যা কি? নিজের নাম
উল্টাপাল্টা বললেন এখন আবার
আমাকে অভিমানী বলছেন. -হুম, আপনি যেমন আমাকে ভাবিস্ট বলেছেন
আমিও আপনাকে অভিমানী নাম দিলাম। আমার মনে এ জিনিস
টা আপনার
মধ্যে বেশি বিদ্যমান।
-হতে পারে.. এবার নামটা বলেন।
-আমি পিয়াস, -ওহ! আগে বলবেন তো...
এভাবে শুরু আমাদের কাহিনী .. প্রথম ফোনালাপের পর ই
তাকে মেনে নিতে হয়
আমার ভাব নেই। বলেছিলাম তাকে আমার
সম্পর্কে ধারনা দিয়েই সরে পড়ব। সম্ভব
হলনা । মেয়ে মানুষের সংস্পর্শটা মারাত্মক বুঝে গেছি এড়িয়ে চলা অনেক কঠিন, সবাই
পারেনা. অন্তত আমি পারলাম না। একদিন, দুইদিন, তিনদিন
এভাবেই ফোনালাপ
হয় আমাদের মাঝে। অভিমানী মেয়ের
নামটা জেনে গেছি এতদিনে, ওর ডাক নাম
নিহা। কিন্তু আমার বড্ড অনীহা ওকে এই নামে ডাকতে। কেন জানি আমার
তাকে অভিমানী নামে ডাকতে ইচ্ছা হয়। কিন্তু তাতে তার
অভিমানের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
ভার্সিটিতে আসলেই দেখা করা,
নিরিবিলি কোথাও বসে বাদাম চিবানো, এসব
এখন রুটিন মাপিক হয়ে গেছে। কখন যে দুজন দুজনের প্রেমে মত্ত হয়ে গেছি নিজেরা ও
জানতাম না। নিহা সাধারণ দুষ্টামি তেই গাল
ফুলিয়ে ফেলে। আর তার গাল ফুলা রুপ আমার
কাছে অপরূপ লাগে তাই
সময়ে অসময়ে তাকে আমি রাগাতে থাকি। সেদিনের কথা।
বৃষ্টি হচ্ছিল। দুজন রিক্সায় করে যাচ্ছিলাম হুড নামিয়ে। আমাকে বলল
একটা গান ধরতে, আমিও ধরলাম -
"ওগো বৃষ্টি প্রিয়ার চোখের পাতা ছুয়োনা,
তাহার এত সুন্দর মেকাপ খানি ধুয়োনা,
তাহলে যে দেখে ফেলব আমি তাহার, প্যাঁচার মত মুখ......"
আমার প্যারোডি শেষ না হতেই রেগে রিক্সা থেকে নেমে গেল নিহা। বৃষ্টির
পানিতে মুখ খানি ধুয়ে আমাকে বলে " এই দেখ
মেকাপ বিহীন প্যাঁচার মুখ " এই বলে হনহন
করে হেটে চলল এই বৃষ্টি তে! আমার আর
কি করা? প্রিয়ার রাগ ভাঙ্গাতেই পিছু নিলাম। লোকজন
হাসছে, তা দেখার সময় নেই, আগে প্রিয়ার ভাঙ্গাবো মান। কোন রকমে শান্ত
করলাম। ওয়াদা করতে হল আর কখনো এমন
করতে পারব না। কাল পহেলা বৈশাখ। নিহার এস এম এস।
কাল
কি পড়ে আসব আমি জানাও..
আমি মজা করে রিপ্লাই দিলাম - "মেয়ে,
আমার কি কাজ নেই খেয়ে দেয়ে?
বলতে হবে, তুমি কখন সাজবে কি দিয়ে? " আর কোন
সাড়া নেই, তাই দেখে ফোন দিলাম।
ফোন বন্ধ, যা বুঝার বুঝে গেলাম। আবার
ক্ষেপছে রাণী। পরদিন ও ফোন বন্ধ, রমনার বটমূলে যেখানে আমাদের থাকার কথা খুজলাম,
না, নেই সেখানেও। ফিরে এলাম বাসায়।
পরে গভীর রাতে ফোন খোলা পেলাম।
-এমন করলে কেন?
-ইচ্ছা হল, তাই। - কোথায় ছিলে সারাদিন?
- ঘরে, দরজা বন্ধ করে শুয়ে ছিলাম। - আমি তোমাকে খুজতে বটমূলে গিয়েছি।
- কেন? তোমার কি কাজ নেই খেয়ে দেয়ে?
-নিহা!!
-আমি ঘুমাবো, bye... লাইন টা কেটে দিল। এভাবে মান -
অভিমানে আমাদের দিন
এগুচ্ছিল। এখন সবচেয়ে বড় অভিমান এর কথা বলতে যাচ্ছি...... নিহার বিয়ের প্রস্তাব আসছিল আরও
আগে থেকেই। তার পরিবার এর মতামত ভাল
ছেলে পেলেই বিয়ে দিয়ে দিবে। এসে ও গেল
সেই সুপাত্র। ছেলে অস্টেলিয়া থাকে। নিহার
সাথে ফোনে সিদ্ধান্ত হল আমরা পালাব।
আমি তখন ছিলাম গাজীপুরের শ্রীপুরে। মামার পোল্ট্রি হিসাব টা আনতে গিয়েছিলাম।
সকালে ফিরব। নিহা মহাখালী বাস
স্টেশনে থাকবে। এরপর
আমরা সিলেটে চলে যাব ছোট খালার বাসায়।
সকালে বাসে উঠলাম জৈনা বাজার থেকে। বাস
যখন মাওনা আসল গার্মেন্টস কর্মীদের অবরোধের মুখে পড়ল। নিহার
সাথে কথা বলে নিলাম। ভাবলাম
হেটে মাওনা ক্রস করে বাসে উঠে ঢাকায়
ফিরব। এই রাস্তাটা বেশিরভাগ সময় অবরোধ লেগে থাকে।
আমি বাস থেকে নেমে হাটছিলাম
এমন সময় পুলিশ হামলা চালানো শুরু করল অবরোধকারী দের উপর। আমিও
দৌড়ে সরে যেতে চাইলাম, পুলিশ ভাবল আমিও
তাদের দলের। লাঠিপেটা খেলাম। কখন
যে মোবাইল টা পড়ে গেল বুঝাতে পারিনি। পুলিশ কে অনেক
বুঝালাম, ছাড়েনি। দুদিন পর
বন্ধুর কল্যাণে যখন বের হলাম। ততদিনে আমার অভিমানী আমার উপর চির অভিমান
করে চলে গেছে ।মাথার উপর
দিয়ে একটা উড়োজাহাজ উড়ে যেতে দেখলাম।
হয়তো এমন ভাবেই আমার অভিমানী আমায় ছেড়ে গেল।
নিহা ভেবেছিল অভিমান শুধু তার ই আছে। আর
কেউ জানেনা অভিমান করতে। অনেকটা তার উপর অভিমান করে আজও আমি একা।
একা বলতে আবার একাও নয়। একটা এতিম
খানা পরিচালনা করছি অজপাড়াগাঁয়ে,
ইচ্ছা করেই পড়ে আছি এদের মাঝে। অস্ট্রেলিয়ান
প্রবাসী এক মহিলা এদের খরচ
বহন করছে। আমাকেও খারাপ দেয় না। আমি একা মানুষ খরচ ও তেমন নাই।
মাঝেমাঝে একমাত্র বোন টা কে দেখে আসি।
তার অভাব নাই। তবুও কিছু দিয়ে আসি।
বেশি একটা যাইনা। গেলেই বিয়ে করার জন্য
চিল্লাচিল্লি করে। আরে আমার মত
বুড়ো ছেলেকে কে বিয়ে করবে এটা বোন কে বুঝাতে পারিনা। নাফিসা ম্যাডাম।
এতিমখানা টি উনার
টাকায় চলে। কাজের খাতিরে নেটে অনেক
কথা হয় আমার সাথে। মাঝেমাঝে দুষ্টামি ও
করেন। আমাকে কয়েকবার জিজ্ঞেস করেছেন
বিয়ে করছিনা কেন? আমি এড়িয়ে গেছি। আমাকে বললেন দেশে এলে তোমাকে বিয়ে করাবো। আমি যখন
জানতে চাইলাম আমার মত বুড়ো ছেলের জন্য
মেয়ে পাবেন কই?
- একটা বুড়ি না হয় নিয়ে আসব আমি..
হাহহাহহা. এ সপ্তাহ অনেক ব্যস্ত থাকতে হবে।
নাফিসা ম্যাম আসছেন দেশে। আগে কখনো দেখিনি উনাকে, ছবি ছাড়া।
চশমা পড়েন সেটা জানি।
কিন্তু বিপত্তি বাধলো যখন চশমা পড়া দুই জন
মহিলা আসলো! একজন অনেক চেনা লাগছে, আরে এ যে সেই
অভিমানী, আমার অভিমানী!! আমাকে দেখেই
চিনতে পারে সে... -আরে, পিয়াস!!! তুমি এখানে? কেমন আছো?
-জি আমি এই এতিম খানার কেয়ার টেকার.
-নাফিসা তাহলে তোমার কথাই বলেছে!
-কি বলেছে নাফিসা ম্যাম? ( নাফিসা ম্যাম
গেস্ট রুমে গিয়ে উঠেছেন, তার নাকি মাথা ধরেছে)
-সেটা পরে বলছি .. সেদিন তুমি এলেনা। বিকেল পর্যন্ত দাড়িয়ে ছিলাম, ফোন ও
ধরোনি একসময় তো ফোন বন্ধ ই করে ফেলেছো..
বাসায় ফিরে এলাম ।সেদিন রাতেই ফাহাদের
সাথে বিয়ে হয়ে গেল। পরদিন সন্ধ্যায় ব্যাংক নিয়ে যায়
হানিমুনে সেখান থেকেই
অস্ট্রেলিয়া... - নাফিসা ম্যাম এর সাথে কি সম্পর্ক?
-নাফিসা, ফাহাদের জমজ বোন, এক
অস্ট্রেলিয়ান এর সাথে তার বিয়ে ঠিক
হয়েছিল, সেই ছেলের কেউ ছিলনা, অনেক
টাকা পয়সাওয়ালা। তার ইচ্ছাতেই
নাফিসা এই এতিমখানা গড়ে তুলে । তাদের বিয়ের এক সপ্তাহ আগে হুট করেই মারা যায়
ছেলেটি। তার শোকে নাফিসা আজো কাতর।
বিয়েও করেনি। সেদিন আমাকে বলেছে এতিম
খানা টি যে দেখভাল করে সেও নাকি বিয়ে করেনি,!
তার মানে সে কি তুমি পিয়াস?
-হুম.. -কেন বিয়ে করনি?
- যদি বলি তোমার উপর অভিমান করে..
- কিন্তু আমিতো স্বার্থপরের মত সুখে আছি, তুমি কেন
আমাকে মনে রেখে কষ্ট
নিয়ে বয়ে বেড়াবে..
আর সে সুযোগ পাবেও না। -সে সুযোগ পাব না মানে,?
-আজ এ এতিমখানায় সানাই বাজবে, বর প্রস্তুত,
কনে প্রস্তুত ... শুধু কাজী ডাকলেই হবে। - মানে? কিছুই
তো বুঝছিনা। এখানে বর
কনে পেলে কই?
-কনে লজ্জায় গেস্ট রুমে রেস্ট নিচ্ছেন, -নাফিসা ম্যাম!!!
-হুম, তোমাকে ওর মনে ধরেছে তাইতো ছয় বছর
পর বিয়ে করতে রাজি হয়েছে সে, আর বর তুমি, তোমার
নিকটজন দের খবর দাও, আমার উপর আর
অভিমান রেখোনা সব অভিমান এখন
থেকে নাফিসার উপর করো.. বুঝলে.. আপনজন বলতে আমার ছোট বোন, তার
সাথে নিহা কথা বলে নিলো,
সে তো নাচতে নাচতেই হাজির হলো। আমাদের
বিয়েটা হয়ে গেল, বাসর
ঘরে নাফিসা আমার কাছে জানতে চাইল....
- কি বলছিলাম না বুড়ো তোমার জন্য একটা বুড়ি নিয়ে আসব, কি? পছন্দ হয়েছে বুড়ি?
-হুমমম, অনেক পছন্দ হয়েছে, আমি তৃপ্তির ঢেকুর
তুলে উত্তর দিলাম..... (শেষ)
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৮
কষ্টের পৃথিবী বলেছেন: উপন্যাস।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
মূসা আলকাজেম বলেছেন:
কিছু মনে করবেননা, নিশ্চিত হওয়ার জন্য জিজ্ঞাসা করছি, এটা কি আপনার জীবনের বাস্তব ঘটনা নাকি উপন্যাস? বাস্তব হলে বেশ নাটকীয়; আর উপন্যাস হলে বেশ আকর্ষণীয়।
ইসলামের নবী (সল্লাল্লহু আলাইহিওয়আ সাল্লাম) এর বিরুদ্ধে নাস্তিকদের উত্থাপিত প্রায় সকল প্রশ্নের দাঁতভাঙ্গা জবাব । হুমায়ূন আহমেদের ২য় বিবাহ - পর্ব ৩