নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভীর আহমেদ

আনস্মার্ট তানভীর

সাধারণ জীবন যাপন ও একাকীত্ব খুব পছন্দ করি

আনস্মার্ট তানভীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

পৃথিবীর প্রাচীনতম ইঞ্জিনিয়ারিং বলতে গেলে যে বিষয়টি মানুষের মাথায় খেলা করে তা হলো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বা পুরকৌশল।।একজন সাধারণ মানুষ ইঞ্জিনিয়ার বলতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকেই কল্পনা করে থাকেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সভ্যতার শুরু থেকেই বিস্তার লাভ করে আসছে। বাংলাদেশের এমন কোন জায়গা নেই যেখানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ছোঁয়া লাগেনি। সবচেয়ে পুরাতন, বড় এবং সকল প্রকৌশল জ্ঞানের সমন্বয় এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং।



সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজঃ

সুউচ্চ ভবন, হাইওয়ে,ব্রীজ,পানি প্রকল্প, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদি পরিকল্পনা, ডিজাইন, গঠন এবং রক্ষনাবেক্ষন করার কাজ করের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার জরিপের কাজ করে থাকে, প্রযুক্তিগত প্রতিবেদন দেয়, এমনকি প্রকল্প ব্যবস্হাপক এর কাজও করে থাকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের পরিসরঃ

যেহেতু সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর পরিসর বাড়ছে তাই এর অনেক শাখা বের হয়েছে।এদের মাঝে উল্লেখযোগ্য হল-

১) মৃত্তিকা প্রকৌশল

২) স্ট্রাকচারাল প্রকৌশল

৩) পরিবহন প্রকৌশল

৪) পানি সম্পদ প্রকৌশল

৫) পরিবেশ প্রকৌশল



কাজের ক্ষেত্র –

অনেকে ভাবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ে ভালো সেলারি পাওয়া যাবেনা,অবশ্যই পাওয়া যাবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চাকুরির ক্ষেত্র যে সিভিলেই,সেটা এখন আর কারো অজানা নয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করার পর আপনাকে ২/১ বছর কষ্ট করতে হতে পারে,কারন যেকোনো ভালো চাকুরির জন্য প্রয়োজন বাস্তব অভিজ্ঞতা।অভিজ্ঞতাটুকু হয়ে গেলে আপনার উন্নতি আর কেউ ধরে রাখতে পারবেনা। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর কাজের ক্ষেত্রগুলো হল-

১) সড়ক ও জনপদ

২) গণপূর্ত বিভাগ

৩) রিয়েল এস্টেট কোম্পানি

৪) নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ

৫) পরিবেশ নিয়ে কর্মরত বিভিন্য মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি

৬) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, ইত্যাদি।



শুধুমাত্র দেশে নয়, দেশের বাহিরেও রয়েছে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অধিক চাহিদা। আমেরিকার ৬নম্বর সেরা চাকুরি হল সিভিল। আমেরিকাতে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতন নুন্যতম ৮০,০০০ ডলার থেকে ১২০,০০০ ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

সময়ের সাথে সাথে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর গুরুত্ত্ব বাড়ছে। বর্তমানে তারা

আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়েও কাজ করে। তারা আগুনে ক্ষয় ক্ষতি যেন কম হয় সেই বিষয়েও কাজ করে। পুরাতন মিশর এর পিরামিড বা রাস্তা নির্মাণে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এর ভূমিকা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান ছিল। পানি বাতাস এবং মাটি পরিশোধনের বিভিন্য উপায় নিয়েও তারা সজাগ।



পরিশেষে বলতে চাই, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে সিভিল পরবেন কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন তাদেরকে বলবো চোখ বন্ধ করে আমাদের জগতে চলে আসুন, কথা দিচ্ছি বিশ্বকে সুন্দর করে গড়তে আপনি সক্ষম হবেন ই।

লিখেছেনঃ

মোঃ তানভীর আহমেদ

২০১০ ব্যাচ

পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগ

শাবিপ্রবি, সিলেট

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৯

পাঠক১৯৭১ বলেছেন: ঘুষখোর সিভিলরা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

আনস্মার্ট তানভীর বলেছেন: মসজিদের ইমাম সাহেব সহ ঘুষ খেতে পারে আর আপনি বলছেন সিভিলরা ঘুষখোর?? নিজে ভালো তো দুনিয়া ভালো।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:৪৬

মোঃ মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জ্বী ভাই পাঠক১৯৭১ সিভিলরা ঘুষখোর আর দুনিয়ার অন্যসব পেশার লোক ঘুষখোর না। তা ভাই আপনি কোন পেশায় আছেন?

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

আনস্মার্ট তানভীর বলেছেন: :) পাঠক ১৯৭১ ভাই, ১৯৭১ সালের মানুষের মতোই কথা বলেছেন, বাস্তবতা বুঝেন কম। মাহমুদুর রহমান ভাই, আপনার সাথে আমিও ১৯৭১ ভাইকে একই প্রশ্ন করছি

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩২

সুমন কর বলেছেন: গুড পোস্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.