নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাদী শেখ

যখন মনে চায়, যাহা মনে চায়, তাহাই লিখি।

শাদী শেখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বললে আপনার জ্বলে কেন?

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:২১

মুসলিম জাতির পিতা বলাহয় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে। এখানে শেখ মুজিব আসে কোথা থেকে?

প্রশ্নটা আপনার মনে আসে না কি?

আমার মনে কিন্তু আসে। সত্যিই তো এখানে শেখ মুজিব আসে কোথা থেকে?

আবার শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাংলাদেশের স্থপতি। একটি দেশের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে না।

ধরুন আমি যদি কালকে গিয়ে রংপুরে বসে বসে ঘোষণা দেই'আমি রংপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম, আজ থেকে রংপুর একটি স্বাধীন দেশের নাম'।

তাহলেই কি সবাই লাফাতে লাফাতে যুদ্ধ করতে বের হবে বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে?

পাকিস্তান ভারত থেকে আলাদা হবার পর থেকে একাত্তর পর্যন্ত অনেক ঘটনা আছে। এখানে আমি ইচ্ছে করলেই কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা প্রথম রাষ্ট্রপতি বানাতে পারি না।

তার জন্য গোড়া থেকে ভাবতে হবে। আর তা ভাবতে গেলে স্বাধীনতার মহা নায়কের নাম দাঁড়ায় শেখ মুজিবুর রহমান।

যারা তাকে পছন্দ করে না তারা তার ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে ব্যাঙ্গ করে বলে,' রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, প্রয়োজনে লোক পাঠাবো তবু নিজে যাবো না।'

এরকম কথা সাধারণত বাংলাদেশ বিরোধী মানুষেরা বলে থাকে, অনেকে আবার এমনিতে মজা করেও বলে যার সাথে ৭ই মার্চের সম্পর্ক নেই।

স্বাধীনতা বিরোধীরা এর জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম জিয়াউর রহমান কে ব্যাবহার করে। তারা বলে, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক আর তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এর জন্য জিয়াই সেরা, আর মুজিব কেউ না। এটা মূলত বাঙ্গালিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করার একটি প্ল্যান মাত্র।

মুজিব যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন জিয়াউর রহমান কোথায় ছিলেন। তিনি কী ছিলেন। তার পুরোটাই জানা আছে সবার।

মুজিব হত্যার পর এক সময় সেনা প্রধান থাকা কালে দেশের প্রেসিডেন্ট হন জিয়াউর রহমান। তিনি মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করেন। তার ভক্ত সংখ্যা বাড়ে। কেউ কেউ টাকার জন্য ক্ষমতার জন্য তার সাথে কাজ করতে থাকে। এখনও যেমন হয়, বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতিতে যায় একটু ক্ষমতা আর কিছু টাকার জন্য।

তবে যাই হোক, জিয়া তার নিজ গুণে দেশের অনেক মানুষের মনে নিজের যায়গা তৈরী করে যার জন্য তিনি মুক্তি যুদ্ধে নেত্রীত্বে থাকা জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদন্দ্বী দল তৈরী করতে পেরেছিলেন।

অনেকক্ষণ প্যাঁচাল হলো।

এখন, যেহেতু ইসলামের ক্ষেত্রে মুজিবকে আমরা নিয়ে যাবো না। কেননা মুসলিম হিসেবে মুজিব আমার আপনার মতই একজন মুসলিম।

তিনি মুসলিম ধর্মের প্রবর্তক নন, এটা আমরা খুব ভালো করেই জানি।

তাই বারবার মনে করিয়ে দেয়ার দরকার নাই যে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)।

আবার এটাও মনে করিয়ে দেয়ার দরকার নাই যে মানব জাতির আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)।

এখন রহিম উদ্দিনের ছেলে করিম উদ্দিনকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তোমার বাবার নাম কী?

সে কী বলবে? সে কি ইব্রাহীম (আঃ) বলবে, নাকি আদম (আঃ) বলবে?

কোনটাই না, সে বলবে তার পিতার নাম রহিম উদ্দিন।

এখন কোন ছাগল এসে যদি বলে, ঐ হারামজাদা, পিতা হইলো ইব্রাহীম, তুই রহিম উদ্দিন বললি কেন? আবার অন্য এক ছাগল এসে যদি বলে, ঐ হারামজাদা পিতা হইলো আদম, তুই রহিম উদ্দিন কইলি ক্যান?

এখন শেখ হাসিনা যখন কোন অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাক্যটি উল্লেখ করেন, আর তার জন্য যদি আপনার মনে মনে অনেক রাগ হয়। তাকে গালি দিতে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি পাকিস্তানি দালাল।

আপনি ছাত্রলীগ কে গালি দিতে পারেন, তাদের অপকর্মের জন্য। পুরো আওয়ামী লীগ কে কুত্তা লীগ বলতে পারেন তার ভিতরের খারাপ মানুষগুলোর জন্য। আপনি শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করতে পারেন তার কোন এক ভুল সীদ্ধান্তের জন্য।

কিন্তু, শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বললে আপনার জ্বলে কেন?

ব্যাখ্যা দিতে পারবেন কেউ?

আমি আবার বলছি, শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বললে আপনার জ্বলে কেন?

দেশটা যে বাঙ্গালিদের এটা নিশ্চয়ই আপনাকে বলে দিতে হবে না?

এর মাঝে একটা যুক্তি দেয় কিছু মানুষ, যখন কোন কিছু বলার পায় না। শেখ মুজিব মানুষ টা ভালো ছিল, কিন্তু শেষ মুহুর্তে বাকশাল বানাতে চেয়ে ভুল টা করেছে।

বাকশাল নিয়ে অমি রহমান পিয়াল নামের একজন লিখেছেন।

সেখানে বঙ্গবন্ধুর বাকশালের ব্যাপারে বিস্তারিত আছে। আমি কয়েক লাইন তুলে দিচ্ছি বঙ্গবন্ধুর কথার,’ হয়তো শেষ পর্যন্ত ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে। পরোয়া করি না। ও মৃত্যু আমার জীবনে অনেকবার এসেছে। একসিডেন্টলি আজো আমি বেঁচে আছি। অবশ্যই আমাকে মরতে হবে। তাই মৃত্যু ভয় আমার নেই। জনগন যদি বোঝে আমার আইডিয়া ভালো, তাহলে তারা তা গ্রহণ করবে। আমার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। আমার একটা বড় স্বান্তনা আছে, যুদ্ধের সময় আমি জনগনের সাথে থাকতে পারিনি। জনগণ আমারই আদেশ ও নির্দেশে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকের এই শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র বা অর্থনৈতিক মুক্তির বিপ্লবে আমি যদি নাও থাকি, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার বাঙালীরা যে কোনো মূল্যে আমার রেখে যাওয়া আদর্শ ও লক্ষ্য একদিন বাংলার বুকে বাস্তবায়িত করে ছাড়বে ইনশাল্লাহ।

আমি লিঙ্ক টাও দিয়ে দিচ্ছি যাতে আপনারা বাকশাল নিয়ে লেখাটি পড়তে পারেন, Click This Link

শেষ করার আগে আবার বলি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুনলে যাদের ভিতরটা জ্বলে পুড়ে যায় তারা অন্তর থেকে পাকিস্তান প্রেমি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মানে এই নয় যে বঙ্গবন্ধু আমার জন্মদাতা পিতা, বরং তিনি সেই স্বাধীন ভূমির জন্মদাতা যেখানে আমি বাঙালি জাতির একটি অংশ হিসেবে জন্মেছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।
17 February 2015 at 20:45

মুসলিম জাতির পিতা বলাহয় হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কে। এখানে শেখ মুজিব আসে কোথা থেকে?

প্রশ্নটা আপনার মনে আসে না কি?

আমার মনে কিন্তু আসে। সত্যিই তো এখানে শেখ মুজিব আসে কোথা থেকে?

আবার শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাংলাদেশের স্থপতি। একটি দেশের স্বাধীনতা এমনি এমনি আসে না।

ধরুন আমি যদি কালকে গিয়ে রংপুরে বসে বসে ঘোষণা দেই'আমি রংপুরের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম, আজ থেকে রংপুর একটি স্বাধীন দেশের নাম'।

তাহলেই কি সবাই লাফাতে লাফাতে যুদ্ধ করতে বের হবে বাংলাদেশ আর্মির বিরুদ্ধে?

পাকিস্তান ভারত থেকে আলাদা হবার পর থেকে একাত্তর পর্যন্ত অনেক ঘটনা আছে। এখানে আমি ইচ্ছে করলেই কাউকে স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা প্রথম রাষ্ট্রপতি বানাতে পারি না।

তার জন্য গোড়া থেকে ভাবতে হবে। আর তা ভাবতে গেলে স্বাধীনতার মহা নায়কের নাম দাঁড়ায় শেখ মুজিবুর রহমান।

যারা তাকে পছন্দ করে না তারা তার ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে ব্যাঙ্গ করে বলে,' রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেবো, প্রয়োজনে লোক পাঠাবো তবু নিজে যাবো না।'

এরকম কথা সাধারণত বাংলাদেশ বিরোধী মানুষেরা বলে থাকে, অনেকে আবার এমনিতে মজা করেও বলে যার সাথে ৭ই মার্চের সম্পর্ক নেই।

স্বাধীনতা বিরোধীরা এর জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি এবং মুক্তিযোদ্ধা বীর উত্তম জিয়াউর রহমান কে ব্যাবহার করে। তারা বলে, জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক আর তিনি সরাসরি যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন এর জন্য জিয়াই সেরা, আর মুজিব কেউ না। এটা মূলত বাঙ্গালিদেরকে দুই ভাগে ভাগ করার একটি প্ল্যান মাত্র।

মুজিব যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন জিয়াউর রহমান কোথায় ছিলেন। তিনি কী ছিলেন। তার পুরোটাই জানা আছে সবার।

মুজিব হত্যার পর এক সময় সেনা প্রধান থাকা কালে দেশের প্রেসিডেন্ট হন জিয়াউর রহমান। তিনি মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে তাদের মন জয় করেন। তার ভক্ত সংখ্যা বাড়ে। কেউ কেউ টাকার জন্য ক্ষমতার জন্য তার সাথে কাজ করতে থাকে। এখনও যেমন হয়, বেশিরভাগ মানুষ রাজনীতিতে যায় একটু ক্ষমতা আর কিছু টাকার জন্য।

তবে যাই হোক, জিয়া তার নিজ গুণে দেশের অনেক মানুষের মনে নিজের যায়গা তৈরী করে যার জন্য তিনি মুক্তি যুদ্ধে নেত্রীত্বে থাকা জনপ্রিয় দল আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদন্দ্বী দল তৈরী করতে পেরেছিলেন।

অনেকক্ষণ প্যাঁচাল হলো।

এখন, যেহেতু ইসলামের ক্ষেত্রে মুজিবকে আমরা নিয়ে যাবো না। কেননা মুসলিম হিসেবে মুজিব আমার আপনার মতই একজন মুসলিম।

তিনি মুসলিম ধর্মের প্রবর্তক নন, এটা আমরা খুব ভালো করেই জানি।

তাই বারবার মনে করিয়ে দেয়ার দরকার নাই যে মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)।

আবার এটাও মনে করিয়ে দেয়ার দরকার নাই যে মানব জাতির আদি পিতা হযরত আদম (আঃ)।

এখন রহিম উদ্দিনের ছেলে করিম উদ্দিনকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তোমার বাবার নাম কী?

সে কী বলবে? সে কি ইব্রাহীম (আঃ) বলবে, নাকি আদম (আঃ) বলবে?

কোনটাই না, সে বলবে তার পিতার নাম রহিম উদ্দিন।

এখন কোন ছাগল এসে যদি বলে, ঐ হারামজাদা, পিতা হইলো ইব্রাহীম, তুই রহিম উদ্দিন বললি কেন? আবার অন্য এক ছাগল এসে যদি বলে, ঐ হারামজাদা পিতা হইলো আদম, তুই রহিম উদ্দিন কইলি ক্যান?

এখন শেখ হাসিনা যখন কোন অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাক্যটি উল্লেখ করেন, আর তার জন্য যদি আপনার মনে মনে অনেক রাগ হয়। তাকে গালি দিতে থাকেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি পাকিস্তানি দালাল।

আপনি ছাত্রলীগ কে গালি দিতে পারেন, তাদের অপকর্মের জন্য। পুরো আওয়ামী লীগ কে কুত্তা লীগ বলতে পারেন তার ভিতরের খারাপ মানুষগুলোর জন্য। আপনি শেখ হাসিনাকে দোষারোপ করতে পারেন তার কোন এক ভুল সীদ্ধান্তের জন্য।

কিন্তু, শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বললে আপনার জ্বলে কেন?

ব্যাখ্যা দিতে পারবেন কেউ?

আমি আবার বলছি, শেখ মুজিবকে জাতির পিতা বললে আপনার জ্বলে কেন?

দেশটা যে বাঙ্গালিদের এটা নিশ্চয়ই আপনাকে বলে দিতে হবে না?

এর মাঝে একটা যুক্তি দেয় কিছু মানুষ, যখন কোন কিছু বলার পায় না। শেখ মুজিব মানুষ টা ভালো ছিল, কিন্তু শেষ মুহুর্তে বাকশাল বানাতে চেয়ে ভুল টা করেছে।

বাকশাল নিয়ে অমি রহমান পিয়াল নামের একজন লিখেছেন।

সেখানে বঙ্গবন্ধুর বাকশালের ব্যাপারে বিস্তারিত আছে। আমি কয়েক লাইন তুলে দিচ্ছি বঙ্গবন্ধুর কথার,’ হয়তো শেষ পর্যন্ত ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে। পরোয়া করি না। ও মৃত্যু আমার জীবনে অনেকবার এসেছে। একসিডেন্টলি আজো আমি বেঁচে আছি। অবশ্যই আমাকে মরতে হবে। তাই মৃত্যু ভয় আমার নেই। জনগন যদি বোঝে আমার আইডিয়া ভালো, তাহলে তারা তা গ্রহণ করবে। আমার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। আমার একটা বড় স্বান্তনা আছে, যুদ্ধের সময় আমি জনগনের সাথে থাকতে পারিনি। জনগণ আমারই আদেশ ও নির্দেশে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকের এই শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র বা অর্থনৈতিক মুক্তির বিপ্লবে আমি যদি নাও থাকি, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার বাঙালীরা যে কোনো মূল্যে আমার রেখে যাওয়া আদর্শ ও লক্ষ্য একদিন বাংলার বুকে বাস্তবায়িত করে ছাড়বে ইনশাল্লাহ।

আমি লিঙ্ক টাও দিয়ে দিচ্ছি যাতে আপনারা বাকশাল নিয়ে লেখাটি পড়তে পারেন, Click This Link

শেষ করার আগে আবার বলি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুনলে যাদের ভিতরটা জ্বলে পুড়ে যায় তারা অন্তর থেকে পাকিস্তান প্রেমি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মানে এই নয় যে বঙ্গবন্ধু আমার জন্মদাতা পিতা, বরং তিনি সেই স্বাধীন ভূমির জন্মদাতা যেখানে আমি বাঙালি জাতির একটি অংশ হিসেবে জন্মেছি।

ধন্যবাদ সবাইকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.