নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাদী শেখ

যখন মনে চায়, যাহা মনে চায়, তাহাই লিখি।

শাদী শেখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিঙ্গ বৈষম্য কবে দূর হবে?

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১৬

কয়েকদিন আগের ঘটনা। দশ বারোজন বন্ধু মিলে ঘুরতে বের হয়েছিলাম। হাঁটতে হাঁটতে এক সময় আমার এক বন্ধু (মেয়ে) বললো, তার জুতোর ঘসাতে পায়ে ব্যথা পাচ্ছে। আমি তাকে আমার স্যান্ডেল পরতে দিলাম এবং আমি তার জুতো পরে ফেললাম।
শুধুমাত্র এইটুকু ঘটনায় আমার অন্যান্য বন্ধুরা আমার পায়ের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করতে থাকলো 'তুমি এইটা কী পরছো?' কিংবা একে অন্যকে 'এই দেখ শাদী এইটা কী পরছে' এইসব বলে।
আমি এটাও লক্ষ্য করলাম, আমার কোন বন্ধুই সেই বন্ধুটির পায়ের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করলো না যে কিনা আমার স্যান্ডেল পরে ছিলো।
এই ঘটনাকে আমি শরৎচন্দ্র চট্টপাধ্যায়ের বিলাসীর সাথে তুলনা করতে পারি।
মৃত্যুঞ্জয় বিলাসীকে বিয়ে করেছে, তার বাড়িতে থাকছে, খাচ্ছে ঠিক আছে, কিন্তু ভাত কেন খাবে?
আমাদের সমাজেরও একই রকম অবস্থা, মেয়েরা হলো বিলাসীর মতো নিঁচু জাতের।
আর ছেলেরা মৃত্যুঞ্জয়ের মতো উঁচু জাতের। তাইতো নিঁচু জাতের কারো সাথে মেশা গেলেও, তাদের গর্ভে জন্ম নেয়া গেলেও, তাদের স্তন থেকে দুধ পান করা গেলেও তাদের জুতো পরা যাবে না।
আমি এখানে আমার অতি আপনজন আমার বন্ধুদেরকে উদাহরণ হিসেবে ব্যবহার করেছি বলে এটা ভাবলে চলবে না যে সমাজটা আলাদা। আমরা সবাই এই সমাজের মানুষ। আমরা শিখেছি এখান থেকে, তাইতো কোন ছেলের পায়ে মেয়েদের জুতো দেখলে হাসি পায়। আবার মেয়েদের গায়ে এখন প্যান্ট শার্ট দেখলে আমাদের খুব স্বাভাবিক লাগে। কেননা, সমাজ আমাদেরকে শিখিয়েছে যে মেয়েরা নিঁচু জাত, তারা চাইলে উঁচু স্তরের ছেলেদেরকে অনুকরণ করতে পারে। তাই বলে ছেলেরা যে মেয়েদেরকে অনুকরণ করবে এটাতো হতে পারে না। এটা রীতিমত হাস্যকর একটা বিষয়।
আমার মাঝে মাঝে মনেহয়, আমার কোন এক মেয়ে বন্ধুকে বলবো, একদিন যেন সে আমার পোশাক পরে বাইরে যায় আর আমি তার পোশাক পরে যাবো।
আমি এটা লিখলাম বলে যে আমিও ভুলের উর্ধে তা কিন্তু না। আমার ভেতরেও হয়তো এই ভাগাভাগির ব্যপারটা আছে কোন কোন ক্ষেত্রে। তবে, আমাদের সকলের উচিৎ এসব থেকে বের হয়ে আসা। অনেকের মনে হতে পারে, এটা বন্ধু বান্ধবের মাঝে হতেই পারে। কিন্তু এমনটা কি শুধুমাত্র বন্ধুদের মাঝেই হয়? হলেতো কথাই ছিলো না। ধরুণ আমি যদি এখন হাই হিল পরে রাস্তায় বের হই তাহলে কি মানুষ হাসবে না?
কিংবা কালকে ঠোঁটে লিপস্টিক লাগি্যে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে যাই তাহলে কেমন হবে?
এটা বন্ধুত্বের মজা করার ব্যপার ছিলো না। এটা মূলত অন্য ব্যপার ছিলো আর সেটা হচ্ছে একজন পুরুষের মেয়েদের জুতো পরা।
যেটা খুবই স্বাভাবিক ব্যপার হওয়া উচিৎ ছিলো আমাদের সমাজ। কিন্তু তা নাহয়ে একটি হাসির ব্যপার হলো যা মোটেই উচিৎ নয়।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বক্তব্য পরিস্কার নয়।

২| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪২

মেরিনার বলেছেন: দেখুন:
view this link

৩| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৩

বিবেক ও সত্য বলেছেন: পৃথিবীতে খারাপ দু’ধরনের-১। সত্যিকার অর্থে খারাপ (যা মানবতার জন্য ক্ষতিক)
২। সামাজিক খারাপ (যা মানব তৈরি)
দ্বিতীয় প্রকার খারাপ আপনি নাও মানতে পারেন ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তবে সামাজিক পর্যায়ে মানতে বাধ্য। আপনি বলবেন আমার মত মানুষের তৈরি করা নিয়ম আমি মানতে বাধ্য হবো কেন? সেটা যৌক্তিক প্রশ্ন, কিন্তু যা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে সেটার ব্যপারে করার কিছু নেই। আপনি বলবেন প্রতিষ্ঠিত কিছু কি পরিবর্তন করা সম্ভব নয়? আমি বলবো অবশ্যই সম্ভব, তবে তা সময়সাপেক্ষ। মনে করুন আমি উলঙ্গ হয়ে সমুদ্র সৈকতে গোসল করলাম, তা সমাজের জন্য কি ক্ষতিকর? অবশ্যই, না। তারপরও আমাকে নিয়ম মানতে হবে।

৪| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ২:৫০

মহা সমন্বয় বলেছেন: আমার মনে হয় এই বৈষম্য কোন দিন ও দূর হবে না। :(

৫| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:১১

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বুড়ো হয়ে গেলে সব ঠিক হয়ে যাবে; এসব সমস্যা চোখে পড়বে না।

৬| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:২৫

ঢাকাবাসী বলেছেন: অশিক্ষিত আইকিউ বিহীন জাতি!

৭| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ৮:৪২

সম্রাট৯০ বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সারাংশ আমি বুঝেছি এবং মেনেও নিয়েছি, তবে বিনয়ের সাথে একটু বিরোধিতা করবো, সেটা হলো লিঙ্গটা আসছেই বৈষম্য ফুটিয়ে তোলার জন্য, সৃষ্টিগত ভাবে যেটাকে যেভাবে স্রষ্টা বানিয়েছেন তা থেকে আপনি বের হতে পারবেননা,যেমন আপনার মেয়ে বন্ধুর পায়ের জুতো বা স্যান্ডেল আপনার পায়ের হবার কথা নয় যদিনা আপনার পা মেয়েলি পা না হয়, আমার পুতুলের আম্মুর পায়ের জুতো আমার কখনোই হবেনা, তেমনি তার গায়ের জামাও আমার জন্য না, সুতরাং এমন সব বৈষম্য নিয়ে আমার যেমন মাথা ব্যথা নেই তেমনি আপনারো নেই ,কথার কথা হয়তো, তবে যে কথা কথার কথা নয় সে কথা হলো বিচার বুদ্ধি বিবেচনায় আমাদের সবার সমান হতে হবে, শারীরি বৈষম্যকে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ যেমন নেই তেমনি পরিধেয় বস্তুতে আমাদের হস্তক্ষেপ যুক্তিযুক্ত নয়,বিষয়টা হলো মানানসই,মাধুর্যতা এবং আমাদের দৃষ্টির অভ্যস্থতা।আমাদের বৈষম্য তাড়াতে হবে চিন্তা শক্তি নিয়ে, ভাবনা নিয়ে। নারী হলেই তার মেধা সীমিত এমন ভাবনা মাথা থেকে তাড়াতে হবে সবার আগে। তাতেই আমাদের মুল বৈষম্য লাঘব হবে। আমার পুতুলের আম্মু আমার থেকে মেধা্য অনেক উপরে, আমি তার থেকে সব সময় শিখি, তাকে আমি অনুসরণ করি, আর এভাবেই আমাদের সবাইকে সম পর্যায়ে আসতে হবে,মননে। পোষাকে না।সেটা যাকে যেভাবে মানায় তাকে তাই করতে বা থাকতে দেয়া উচিৎ।

আপনাকে ধন্যবাদ,

২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

শাদী শেখ বলেছেন: হ্যাঁ, আপনার কথা সত্যি। আমি আসলে ঘটনা টাকে ছোট একটা উদাহরণ হিসেবে দিয়েছি মাত্র। শরীরে বৈচিত্র কিংবা বৈষম্য থাকবে। আর আমিও নিশ্চয়ই মেয়েদের হাই হিল পরে কিংবা শাড়ি পরে বাইরে যাবো না। আরেকটা কথা, আমার ঐ বন্ধুর জুতো মেয়েলী ছিলোই না। ওরকম অনেক জুতো ছেলেরা রাস্তায় পরে বের হয়। সমস্যাটা জুতোয় ছিলো না। আমি ওরকম জুতো পরে বাইরে গেলে কেউ বুঝবেই না ওটা মেয়েদের জুতো। সমস্যাটা মানসিকতায়। সেটা একটা মেয়ে পরেছিলো, আর আমি সেটা বদলেছি। আমি আসলে যা বলতে চেয়েছি হয়তো আমি তার পুরোটা প্রকাশ করতে পারিনি। আমিতো সৃষ্টিকে বদলাতে পারবো না। একটা মেয়ের শরীর যদি ছেলেদের মতো হয় তাহলে আর সে মেয়ে কিভাবে। তেমনি একটা ছেলের শরীর মেয়েদের মতো হতে পারে না। এখানে আমি বৈষম্য শব্দটা ব্যবহার করবো না। এখানে আমি পার্থক্য, শারীরিক পার্থক্যকেই বুঝাবো। কিন্তু শারীরিক পার্থক্য আজকে মানসিক দিকে চলে গেছে। হাসিটা হয় বিদ্রুপের হাসি। আর তা নাহলে মেয়েটি ছেলেটির জুতো পরলে সেটাতেও হাসির কথা থাকে।

৮| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

জ্ঞান ক্ষুধা বলেছেন: সম্রাট৯০ বলেছেন
সেটা হলো লিঙ্গটা আসছেই বৈষম্য ফুটিয়ে তোলার জন্য, সৃষ্টিগত ভাবে যেটাকে যেভাবে স্রষ্টা বানিয়েছেন তা থেকে আপনি বের হতে পারবেননা ভাবার বিষয়

৯| ২৫ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৩:০৭

সিগনেচার নসিব বলেছেন: আপনি আপনার জায়গা থেকে ঠিক বলেছেন
লিঙ্গ বৈষম্য কবে দূর হবে?
তবে সভ্যতা এটা মানতে চায়না
সমাজ তো দুরের কথা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.