নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভির জুমার

সব সময় সব জায়গায় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে।

তানভির জুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার কি মনে হয় পুতিন যুক্তিযুক্ত কোন কারণ ছাড়াই যুদ্ধে জড়িয়েছে?

০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

পশ্চিমা গণমাধ্যম আর যারা পশ্চিমাদের দালাল তারা এমনভাবে তথ্য দিচ্ছে যা দেখে আপনার মনে হতে পারে। হঠাৎ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মনে হয়েছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি ‘দিনটা সুন্দর, রোদ ঝলমলে আকাশ, কোন কাম-কাজ নেই, তাই চলুন ইউক্রেনে হামলা চালানো যাক।’ যুদ্ধে জড়ানো কি এতই সহজ? রাশিয়া কি ক্ষতির সম্মুখে পরছে না এই যুদ্ধের জন্য?। পুতিন কি এইগুলো জানতো না?

প্রায় এক দশকজুড়ে ন্যাটো-পশ্চিমাদের সম্প্রসারণ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে মস্কো। ২০০৭ সালে মিউনিখ সিকিউরিটি কনফারেন্সে ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা বিশ্বের নেতাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশের সীমান্তে সামরিক অবকাঠামো বাড়ানো কেন প্রয়োজন? কেউ কি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন?’ পরে আরেক বক্তব্যে পুতিন বলেন, রুশ সীমান্ত পর্যন্ত সামরিক অবকাঠামো সম্প্রসারণের বিষয়টি কোনো রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক পছন্দের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইউক্রেনকে উন্নত অস্ত্র সরবরাহ করেছে। ন্যাটো জোটের সদস্য হতে আহ্বান জানিয়েছে। আপনি আমার চার-পাশে আপনার অত্যাধিক অস্ত্র নিয়ে আমাকে মারার জন্য বসে থাকবেন আর আমি বসে বসে আঙ্গুল চুসবো তাই না?


যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো এরা যে কতটা কুখ্যাত সন্ত্রাসী আর মানবতার জন্য হুমকি তার বাস্তব উদাহারণ হচ্ছে। ইরাক। ২০০৩ সালে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্র সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে গণ–বিধ্বংসী অস্ত্রের মজুত করার অভিযোগ তোলে। জাতিসংঘের অস্ত্র পরিদর্শকেরা এই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ইরাকে কাজ করছিলেন। তাঁদের সহযোগিতা করার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড যৌথভাবে ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ ইরাকে বোমা হামলা চালায়। আন্তর্জাতিক আইনের এমন লঙ্ঘন ও যুদ্ধের ফলে ইরাকে ১০ লাখ মানুষ হতাহত হয় অথবা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। এতগুলো মানুষ কে হত্যা আর একটা দেশ কে বিনা কারণে মাটির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার জন্য কি যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো বিরোদ্ধে কেউ কোন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে? লিবিয়া, সিরিয়া, আফগানিস্তান, একই কায়দায় ধ্বংস করা হল, কই কেইতো যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর এইসব সন্ত্রাসী কার্মকান্ডের জন্য নিন্দা জানায় নি। বরং তাদের এই সন্ত্রাসী কাজের পক্ষে সাফাই গেয়েছে।
















মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

মিডিয়ায় ১ সপ্তাহ নিউজ ফলো করলেও আপনি জানতে পারবেন না আসলে কি কারণে যুদ্ধ হচ্ছে ; আসল কারণ না বলে শুধু হেন তেন করে।

২| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: পশ্চিমা গণমাধ্যম যেভাবে বলছে তাতে পুতিন কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং কোন কারন ছাড়াই সে এই যুদ্ধ করছে।

তবে তারা খুব সর্তকভাবে যুদ্ধের আসল কারন এড়িয়ে শুধু মিথ্যা প্রচারণা চালাচছে। তারা কোনভাবেই রাশিয়ার কিংবা পুতিনের উদ্বেগ কিংবা চাওয়াকে আমলেই নিচছেনা । মুশকিল এখানেই।

৩| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: পুতিন যেভাবে সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট পুতিন ইউক্রেন দখল করেই ছাড়বে। তবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার অংশ করবেনা। যুদ্ধে পুতিন জিততে যাচ্ছে এটা নিশ্চিত। আর পুতিনের জয়ের ফলে বিশ্ব আবারো দুই বলয়ে ভাগ হবে। তবে এবার আর রাশিয়া একা থাকবেনা। একদিকে চীন-রাশিয়া বলয় অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ বলয়।

৪| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: পুতিন ভালো একটা কাজ করেছে! এটা না করলে আমেরিকার টনক নড়তো না যে রাশিয়া এখনও কি অবস্থায় আছে।

কাশ্মিরে যেমন জনগন নিভতে নিভতে এক সময় ভারত গিয়ে কাশ্মির দখল করে নিলো, কিন্তু কিছুই করার থাকলো না; রাশিয়া চুপ করে থাকতে থাকতে এক সময় সেই অবস্থায় চলে যেতো।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৭

বিটপি বলেছেন: এক আমেরিকান স্বামী তার রাশিয়ান স্ত্রীকে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে ব্যাপক ঝাকানাকা করে শুয়ে পড়ল। স্ত্রী কোন উত্তর না দিয়ে রান্নাঘর থেকে ইয়াবড় এক ছোরা এনে খাটের পাশে রেখে বলল - চলো ঘুমিয়ে পড়ি। স্বামী বেচারার তো অবস্থা খারাপ। বলে, এই ছোরা পাশে রেখে আমি ঘুমাবো কিভাবে?








উত্তরে স্ত্রী বলল "তাহলে ন্যাটোকে পাশে রেখে রাশিয়া কিভাবে ইউক্রেনের সাথে ঘুমাবে?"

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসলে কী রাশিয়া যে পর্যন্ত ইউরোপ আমেরিকার সাথে লড়ে বাঁচতে পারবে

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:১৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বিনা কারণে কিছুই হয়না। তারা তো ফূর্তি করার জন্য যুদ্ধ করছেনা। জেলোনস্কি ইজরাইলের হয়ে কাজ করছে তাতে ইউক্রেনের ১২ টা বাজলেও কোন আপত্তি নেই।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৩

বংগল কক বলেছেন: প্রাথমিক ভাবে রাশিয়া, চীন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ভেনিজুয়েলা, মিয়ানমার, নর্থ কোরিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া মিলে একটা সামরিক জোট বানাতে হবে। এই জোট আমেরিকা-ইউরোপের মোকাবেলা করবে। এরপরে এই জোট আস্তে আস্তে বড় হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.