নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তানভির জুমার

সব সময় সব জায়গায় সত্য এবং ন্যায়ের পক্ষে।

তানভির জুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেখ মুজিব কি শেখ হাসিনার চেয়ে বড় স্বৈরাচার ছিল? যার মূর্তি পাহারা না দিলে, ভয় না দেখালে ৩ ঘন্টা টিকায় রাখা যায় না।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:২৪


১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষে বাংলার অনেক মানুষ মারা গিয়েছিল আওয়ামী চোরদের কারণে। অমর্ত্য সেন তার Poverty and Famines বইতে লিখেছিলেন--
" খাদ্য আমদানীর উপর নির্ভরশীল সরকার দেশে তীব্র দুর্ভিক্ষ হওয়া সত্বেও খাদ্য শস্য আমদানীতে সাফল্য দেখাতে পারেনি। ১৯৭৩ সালের তুলনায় ১৯৭৪ সালে কম খাদ্যশস্য আমদানী হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের জন্য দরকারি দু’টো মাস সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে খাদ্য আমদানীতে ব্যাপক ঘাটতি ঘটেছিল। দেখা যায়, ১৯৭৩ সালে যেখানে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে খাদ্য শস্য আমদানী করা হয়েছিল যথাক্রমে ২৬৩ ও ২৮৭ মেট্রিক টন ১৯৭৪ সালের একইসময়ে সেই আমদানী কমে আসে ২৯ ও ৭৬ মেট্রিক টনে। এদিকে, তখন কিউবাতে পাট রপ্তানী করার অপরাধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে খাদ্য সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র বারংবার পাট রপ্তানী বন্ধে চাপ প্রয়োগ করলেও শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার সেই চাপকে উপেক্ষা করেছিল। অনেকেই মনে করেন সেটি ছিল ভুল বাণিজ্য নীতি ও পররাষ্ট্রনীতি।"
'৭৪ এর গণমাধ্যমও দুর্ভিক্ষের কারণে মারা যাওয়া মানুষের সঠিক সংখ্যা উল্লেখ করত না। শুধুমাত্র দৈনিক গণকন্ঠ ও বিদেশী কিছু পত্রিকায় দুর্ভিক্ষের ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা প্রকাশ পেয়েছিল।
তাজউদ্দিন আহম্মদ তখন প্রধানমন্ত্রীকে সচেতন করার চেষ্টা করেছিলেন।তিনি বিদেশ সফর শেষে '৭৪ এর অক্টোবরে দুর্ভিক্ষের কথা স্বীকার করে বলেছিলেন--
"বিদেশে বাংলাদেশের যে ইমেজ দেখে এসেছু তাতে আমার মন ভেঙে গেছে। বাইরে গেলে বাংলাদেশকে চেনা যায়। পত্রিকায় লেখা হয় মিঃ ফোর্ড বঙ্গবন্ধুর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এতে দেশের ইমেজ নষ্ট হয়। ব্যক্তি বড় জিনিস নয়। জনগণ যদি মনে করে আমি যোগ্য নই, তাহলে গদীতে থাকার কোন অধিকারই আমার নেই। মানুষকে বাঁচাতে হবে। ভিক্ষের চাল দিয়ে পেট ভরে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ সব দেশেই হয়। কিন্তু এমন অবস্থা হয় না। এ অবস্থার জন্য আমি আপনি দায়ী। পয়সা আনাটা বড় জিনিস নয়।"
এই ঘটনার পর ২৬ অক্টোবর '৭৪ সালে শেখ মুজিব সাহেব তাজউদ্দীন আহম্মদকে দেয়া চিঠিতে লিখেন --
"প্রিয় তাজউদ্দীন আহম্মদ,
বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আপনার মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত থাকা সমচিন নয় বলে আমি মনে করি। তাই আপনাকে আমি মন্ত্রী পদে ইস্তফা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সাথে আপনার স্বাক্ষরের জন্য পদত্যাগপত্র পাঠানো হল।
ইতি-শেখ মুজিবুর রহমান ।

১) ক্ষমতার লোভে জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মিকে গ্রেপ্তার করেছিলো
২) সিরাজ শিকদার এর মত বিপ্লবী কে ক্রসফায়ার করে হত্যা করেছিলো
৩) বাকশাল গঠন করেছিলো সমস্ত রাজনৈতিক দল কে নিষিদ্ধ করেছিলো
৪) অবহেলায় ১৯৭৪ এ দূরভিক্ষে অনেক মজা মারা গিয়েছিলো
৫) তার রাজনৈতিক গুরু আওয়ামী লীগ এর প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কে অপমান করে দল থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য করেছিলেন
৬) তাজউদ্দিন আহমেদ কে প্রধানমন্ত্রী এর পদ থেকে সরিয়ে নিজেই প্রদান মন্ত্রি হয়েছিলেন
৭) সিনিয়র সব নেতার সাথে খারাপ ব্যাবহার করতেন তাদের তুই বলে সম্বোধন করতো
৮) তার ছেলে শেখ কামাল ব্যাংক ডাকাতি করতে গিয়ে পুলিশ চিনতে না পেরে গুলি করেছিলো
৯) তার মৃত্যুর তখনকার সাধারণ মানুষ খুসি হয়েছিলো তার দলের কোন নেতাকর্মি দেখতে আসেনি আমেরিকার বিখ্যাত চ্যানেল নিউজ করেছিলো মনে হচ্ছে এই শহরে কিছুই ঘটেনি
১০) তার মৃত্যুর পর তখনকার মন্ত্রিপরিষদ এর স্পিকার আব্দুল মালেক উকিল বলেছিলো দেশ একটা ফেরাউন এর হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে।
১১) ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য রক্ষি বাহিনী গঠন করেছিলো এবং দেশব্যাপী সরকার বিরোধী দের হত্যা এবং নির্যাতন করেছিলো
১২) জনগনের ত্রান-সাহায্য লুট করেছিল.


মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৯:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



হিন্দু বাড়ীতে যেসব মুক্তি ভাংগেন, সেগুলো তো শেখ মুজিবের নয়, ওগুলো কেন ভাংগেন?

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২০

হাইজেনবার্গ ০৬ বলেছেন: ৭১ এর পরে ভারত, শেখ মুজিবরে দিয়া বাংলাদেশ চালাইতো, গত ১৫/১৬ বছর হাসিনারে দিয়া চালাইছে। সিন পুরা কিলিয়ার,কোন ঝির ঝির নাই। এর জন্যই বি,এন,পি কয়' বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নাই।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

ঋষি ভৃগু বলেছেন: শেখ হাসিনা শেখ মুজিবের মূর্তি অলিতে গলিতে স্থাপন করেছিলেন। শেখ মুজিবের নামে করে তিনি ফ্যাসিস্ট শাসন পরিচালনা করছিলেন। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধা কাউকে সম্মান দেননি, জাতীয় চার নেতার নাম কখনো স্মরণও করতেন না, মাওলানা ভাসানীকে হয়তো তিনি ভুলে গিয়েছিলেন, দেশে নতুন কোন স্থাপনা হলেই তা বঙ্গবন্ধুর নামে করেছেন, শেখ হাসিনা যে মরীচিকা দেখিয়ে দেশে স্বৈরাচারী কায়েম করেছিলেন মানুষ স্বৈরাচারের সেই প্রতিমূর্তি গুড়িয়ে দিয়েছে, আমি মনে করে হাসিনা যদি বঙ্গবন্ধুর নামে স্বৈরাচারের ব্যবসা না ফাঁদতেন যদি এই স্বৈরশাসকের ভিত্তি অন্য কোন শাসক হতো তাহলে মানুষ তার মূর্তি ভাঙতো। যদি বঙ্গবন্ধুর নাম বাঙালিদের কাছে তিতো করে না ফেলতো আর সবাইকে সমান সম্মান দেখাতো তাহলে মানুষের সব ক্রোধ শেখ মুজিবের উপর গিয়ে পড়তো না।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:১৬

প্রহররাজা বলেছেন: ১২ টা পয়েন্টের সত্যতা প্রমান করেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী বা কমিউনিষ্ট কারো বই হাজির করে বইলেন না যে এই যে প্রমান।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

অধীতি বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবের থেকে তাজউদ্দিন আহমেদের অবদান বেশি ছিল। অথচ তাজউদ্দিন আহমেদ আফসোস করতে করতে মারা গেল যে, শেখ মুজিব তাকে কেন জিজ্ঞেস করেনি মুক্তি যুদ্ধের সময় তারা কেমন করে দিন পার করেছে।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মুজিবকে হাসিনা ডুবিয়েছে।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪০

খাঁজা বাবা বলেছেন: ছাগুদের মন্তব্য ছাগুর মতই

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:১১

অস্বাধীন মানুষ বলেছেন: এর জন্য শেখ হাসিনা নিজেই দায়ী।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:১৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: শেখ মুজিবের অপরাধের কোন শেষ নেই। তার উপযুক্ত বিচার হবে যদি তার প্রত্যেকটা ভক্তকে ন্যাংটো করে ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে কানে ধরে ওঠবস করানো যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.