নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকালকেই লিখেছিলাম, মির্জা ফখরুলের মুখ বন্ধ না করতে পারলে বিএনপিকে ডোবানোর জন্য ঐটাই যথেষ্ট হবে।
যেমন শিবির ৫ তারিখের পর অনেক ভালো কাজ করলেও জামায়াতের আমির যতবার মুখ খুলেছেন, শিবিরের ভালো কাজ তত আড়ালে চলে গেছে।
আজ মির্জা ফখরুলকে আওয়ামীলীগ ধন্যবাদ দিয়েছে। তার রিয়েলাইজেশনের জন্য। মির্জা ফখরুলের বক্তব্য আওয়ামীলীগ ওউন করেছে। জাস্ট ইমাজিন, একটা দলের কমপক্ষে ২০ হাজার নেতা কর্মী যেই দলের হাতে গত ১৫ বছর ধরে গুম বা খুনের স্বীকার হয়েছেন, সেই দলের মহাসচিবের বক্তব্য ঐ খুনি দলের সাথে মিলে গেছে। এইটা যে কত বড় একটা রাজনৈতিক ব্লান্ডার, চিন্তা করতে পারেন?
ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই এই লোক বেসামাল হয়ে আবোল তাবোল বলা শুরু করে দিয়েছেন, ক্ষমতায় গেলে তখন কী করবেন?
মির্জা ফখরুল কাল অত্যন্ত জঘন্য একটা মিথ্যাচার করেছেন যে পত্রিকা অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। এই গুজবটা ইভেন বাংলাদেশের কোন পত্রিকাতেই আসে নাই। কোথায় এসেছে?
খুঁজে টুজে দেখলাম, আওয়ামীলীগের কিছু গ্রুপে এইটা গত ৭ দিন ধরে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়েছে যে পত্রিকা অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। মির্জা ফখরুল কি তবে আওয়ামীলীগের গুজব সেলের কথা শুনে শুনে কথা বলছেন আজকাল? তাহলে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এতো বড় একটা মিথ্যাচার কেন করলেন?
আজকেই বিএনপির তরুণ নেতা, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন চমৎকার একটা বক্তব্য দিয়ে বলেছেন, আওয়ামীলীগ প্রতিরোধের যুদ্ধে তিনি আছেন। তিনি প্রস্তুত।আর সেই দলের মহাসচিবের পোস্ট শেয়ার করে আওয়ামীলীগ তার প্রশংসা করে। একটা দলের মহাসচিবের জন্য এরচে লজ্জার আর কী হতে পারে?
জুলাই বিপ্লবে একক রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বিএনপির ত্যাগ সবচে বেশি। বিএনপির তৃণমূল এই আন্দোলনে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে। ছাত্রদলের পোলাপাইন রাস্তায় কী চমৎকার আন্দোলনই না গড়ে তুলেছিলো। তারেক রহমান অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় বক্তব্য দিয়ে, কোন ক্রেডিট না নিয়ে প্রশংসিত হতে শুরু করেছিলেন।
এই দলটা গত ১৫ বছরে সবচে বড় কুরবানিটা করেছে। ইলিয়াস আলী গুম হয়ে গেছে, জনি গর্ভবতী স্ত্রীকে রেখে পুলিশের গুলি খেয়ে মরে গেছেন। শাওন পুলিশের গুলি খেলেন বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে। খালেদা জিয়া এই বৃদ্ধ বয়সে জেল খাটলেন। নুরুজ্জামানের লাশ পাওয়া গেল নদীতে।
এই দলটার তৃণমূলের ছেলেপেলে গত ১৫ টা বছর বাসায় ঘুমাতে পারে নাই। ঢাকায় এসে কেউ রিকশা চালাইসে, শিক্ষিত ছেলেপেলে এসে পাঠাও রাইড করে আর কোর্টে হাজিরা দিয়ে দিয়ে চলেছে। এই ছেলেগুলার রক্তের উপর দিয়েই তো মির্জা ফখরুল মন্ত্রী হবেন,এমপি হবেন, এসি গাড়ির বাতাস খাবেন।
তো কথা বলার সময় এই ছেলেগুলাকে ওউন করেন না কেন? কেন আপনার কথা আওয়ামীলীগ ওউন করে? কেন আপনার কথার মধ্যে আওয়ামী প্রোপাগান্ডার মিথ্যাচার পাওয়া যায়? দেশের সাধারণ জনগণের কথা বাদই দেন, বিএনপির শহীদ এবং আহত কর্মীদের কাছে আপনার এই হঠকারিতা আর নির্লজ্জতার হিসাব দিতে পারবেন আপনি?
যেই দলটা তিন মাস আগে আপনার ৫ শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করলো, রক্তের দাগ শুকানোর আগেই সেই দলটার সুরে সুর মিলিয়ে কথা বলতে আপনার একটু লজ্জাও লাগলো না?
Sadikur Rahman khan
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২১
তানভির জুমার বলেছেন: দল চালানোর অর্থ কি কর্মীকে জনসমুক্ষে থাপ্পর দেওয়া। মানুষের বিপক্ষে আওয়ামীদের মত ফ্যাসিবাদী হওয়া? বিএনপির লোকেরা কি চাঁদাবাজি শুরু করেনি? বিএনপির বড় বড় নেতারাই তো এখন তার সমালোচনা করছে। গত ১৫ বছর তার কিছু হয়েছে? হাজারের উপরে নেতা-কর্মী প্রাণ দিয়েছে কেন আন্দোলন সফল হয়নি। ফখরুল যে বাম দল করতো সেটা জানেন?
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় যাবে। শেখ হাসিনার পতনে মেবি চায়নার হাত আছে। আগে বিএনপি গিয়েছিলো চায়নায় ভ্রমণে এখন জামাত ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল যাবে। গতকাল বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করেছে। আজকে জামাত করেছে। খুব দ্রুত ইলেকশনের ডেইট দিবে। ফখরুল সারা দেশে বিশৃঙ্খলা দেখে কিন্তু তার দলের কর্মীরা ইসকনের উপর হামলা চালায় এইটা দেখে না। বিএনপির আইনজীবীরা বিচারককে ডিম মারে সেইটা দেখে না।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৯
তানভির জুমার বলেছেন: না চায়নার হাত নাই। শেষ মুহুর্তে চায়না টাকা দেয়নি কারণ হাসিনার পতনটা ছিল সময়ের বেপার মাত্র। ভারত ছাড়া সবাই এটা জানতো। দ্রুত ইলেকশনের পর বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় যাবে এটা সত্য তবে আগের স্টাইলে রাজনীতি চলবে না আমরা তরুনরা জীবন দিতে শিখে গেছি। বিএনপি-জামাত হটাতে আমরা দ্বিতীয় বার ভাববো না।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৫
রাকু হাসান বলেছেন:
বি.এন.পি ধরে নিয়েছে ভারতকে ক্ষেপেয়ে ক্ষমতায় যাওয়া যাবে না । তাই আওয়ামী লীগের প্রতি সহানুভূতি দেখান মাঝে মাঝে যাতে জাত কুল দুইটাই রক্ষা হয়। আর কিছু নেতা আমজনতাকে শান্তনা দেওয়ার জন্য রক্ত গরম বক্তব্য দেন। এভাবে বি.এন.পি এর শীর্ষ নেতারা এখন দুইভাগে বিভক্ত । আর তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মাইনকার চিপাই । আপনার পোস্টের বিষয়বস্তুর প্রতি বাস্তবতা মিলে যায়। এটা তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভয়েস ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২২
তানভির জুমার বলেছেন: তৃণমূল নেতাকর্মীদের ভয়েসই একটা দল। এর বাইরে যারা তারা শুধু লোটপাট করে আর আরাম আয়েশ করে।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩১
তানভির জুমার বলেছেন: তরুণ প্রজন্মের কাছে অপ্রাসঙ্গিক মেজর জিয়া বা শেখ মুজিবুর রহমান। এদের নাম ভাঙিয়ে তাদের সামনে রাজনীতি করতে পারবেন না যত বড় ছবি মূর্তি বা পোস্টার লাগান না কেন।
তরুণরা অতীতের দিকে তাকায় না তাদের সারা জীবন সামনে পড়ে আছে।
বেকারত্ব এবং ঋণের বোঝায় জর্জরিত দেশ।
তাদের দরকার চাকরি। দরকার প্রতিবেশীর করাল গ্রাস থেকে সার্বভৌমত্ব। দরকার এই পচা সিস্টেমের পরিবর্তন।
সেই জায়গাতে কাজ না করে কেবল অতীতের বিখ্যাত ব্যাক্তির নাম ভাঙিয়ে এবং কাপুরুষের মতো মিন মিন করে কথা বলে এই প্রজন্মের সমর্থন পাবেন না।
তাদের দরকার বাঘের মত সাহসী ও দৃঢ় চিত্ত নেতা। কারণ তারা জানে তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে লড়াই ছাড়া বাঁচার উপায় নেই। সেই জায়গাটাকে এড্রেস না করে মৃত ব্যক্তির বন্দনা, অবকাঠামোর জন্যে কান্না, এবং খাই চাটি রাজনীতি দলের উপকার করা তো দূরে থাক নতুন প্রজন্মের কাছে প্রত্যেককে ঘৃণার পাত্রে পরিণত করবে।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
৪ নং মন্তব্য:
তরুণদের দরকার ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র ও লিখিত উত্তর; কিংবা অটো পাশ ( সাথে A+ ).
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৪০
শিশির খান ১৪ বলেছেন: মির্জা ফখরুল ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাথে কথা বলার পর থেকে একেবারেই চেঞ্জ হওয়া গেছে। এখন মির্জা ফখরুল কে দেখলে অচেনা লাগে এই মির্জা ফখরুল আর আগের মির্জা ফখরুল এর মাঝে অনেক পার্থক্য। শুরু থেকেই মির্জা ফখরুল ভারত কে খুশি করে চলার চেষ্টায় আছে যা বি এন পি র জন্য এক দম ভুল স্ট্রাটেজি। মির্জা ফখরুল আর মির্জা আব্বাস বি এন পি কে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিবে। মির্জা ফখরুল এর কথা শুনলে খুব দুঃখ লাগে
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৪৮
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
মির্জা ফখরুল বাংলাদেশের সবচেয়ে ভদ্র রাজনীতিবিদদের ।
একজন তাকে নিয়ে আপনার এই অভিযোগ সত্য নয়।
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ ভোর ৪:৫০
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
এখনকার তরুণ প্রজন্ম হচ্ছে অটো পাস প্রজন্ম।
এদের কাছ থেকে জাতির আশা করার কিছু নাই।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:০২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: মির্জা ফখরুল মুলত তারেক রহমানের পাঠানো বিবৃতি পাঠা করেন। বিএনপির ক্ষমতা তারেক রহমানের হাতে। সুতরাং তারেক রহমানের বাইরে গিয়ে নিজস্ব বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার কারো নাই। এটা এখন পরিষ্কার যে , তারেক রহমান ভারতের উপড় ভর করে ক্ষমতায় আসতে চায়। এর বিনিময় মূল্য হচ্ছে আওয়ামিলীগের বিচার স্থগিত ও রাজণিতিতে পুর্নবাসন। ক্ষমতায় বসে পর্যায়ক্রমে লীগের আটককৃত সবাইকে ছেড়ে দেয়া হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে। সংস্কারবীহিন দ্রুত নির্বাচন দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর সর্বোচ্চ পায়তারা চলছে। কিন্ত এভাবে বিএনপির কি ফায়দা হবে ? ফায়দা কেবল হবে জিয়া পরিবার ও মির্জা ফখরুল গং এর। আওয়ামিলীগ রাজনিতিতে পুনর্বাসিত হয়ে খুব দ্রুত বিএনপির পতন ঘটাবে। জিয়া পরিবার , মির্জা গং সেইফ একজিট নিয়ে বিদেশে পালিয়ে যাবে। মোটা দাগে এটাই প্ল্যান । ছাত্র জনতাকে এখন যে কোন মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আওয়ামিলীগ ও বিএনপি নামধারী দুই ফ্যসিস্ট অপশক্তির বিরুদ্ধে। বিএনপিকে থামানোর একটাই উপায় সেটা হচ্ছে তারেক রহমান এর পুরানো মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এভাবেই বিএনপি চালে ভুল করে। ভারত তোষণ করে এই দেশের মানুষের ভোট পাবে না।
১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
সোনগাজী নতুন রুপে চলে এসেছে আবার?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৭
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
এক ছোট সমস্যা আছে: উনি দল চলান, আপনি ব্লগে লেখেন; দেশের ক্ষমতায় সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনীর বাবা হচ্ছে আমেরিকা; আপনি দলের দায়িত্ব না পাওয়া অবধি দল বিপ্লবী হবে না।