| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাফ্ক্বাত
একজন মা এই ব্লগের কোন ছবি, লেখা বা মন্তব্য (সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে) লেখকের পূর্ব-অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা। ধন্যবাদ।
তোমার সাথে কেবল অনলাইনেই আড্ডা মারা হয়। সামনাসামনি তো তুমি তেমন কথাই বলোনা।
-হুম্, জানি সেটা। আমি আসলে কথা তেমন ভালো বলতে পারিনা। সামনাসামনি তো নয়ই, ফোনেও পারিনা। কিভাবে যেন এই অনলাইন কথাবার্তায় বেশ ভালই মানিয়ে নিলাম।
তুমি কথা ভালো বলতে পারোনা, এটা কি বিশ্বাস করা যায়? এই যে এখন, দিব্যি তো বকবক করে যাচ্ছ, কন্ঠটাই শুনতে পারছিনা, এই যা তফাৎ।
-আসলে সামনাসামনি কিংবা ফোনে কথা বলার মাঝে একটা দায়বদ্ধতা থাকে। কথাবার্তা চালিয়ে নেওয়ার জন্যে ক্রমাগত এফর্ট দিতে হয়, প্রাসংগিক আলোচনা করতে হয়। মাঝে মাঝে না-চাইলেও নিজের অনুভূতি প্রকাশ হয়ে যায়। কিন্তু এভাবে টাইপ করে দূরে থেকে আলাপ করাটা বেশ স্বস্তিদায়ক। কেউ কাউকে দেখছেনা। আমার অ্যাপিয়ারেন্স কিন্তু আলাপচারিতায় কোনও ইম্প্যাক্ট ফেলছেনা। ঘরের পোষাকে, চুল এলোমেলো করে, শুয়ে, বসে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমি তোমার সাথে কথা বলছি। একটু দেরী করে সাড়া দিলেও তুমি রাগ করছোনা, মাঝে মাঝে “বিআরবি” বলে উধাও হয়ে গিয়ে আবার “ব্যাক” বলে ফিরে এসেও কিন্তু কথার খেই হারিয়ে যাচ্ছেনা।
তবুও, লিখে বলতে গেলে কতখানি সময় নষ্ট হয় বলো? এই যে তোমার এই লম্বা রেস্পন্সের জন্যে আমাকে কতক্ষণ অপেক্ষা করতে হলো!
-আরে ব্যাপার না। মজার ব্যাপার এই যে ছোট ছোট মানুষের মুখ দিয়ে আবেগ প্রকাশ করা। আমি চাইলেই তোমাকে একটা হাসিমুখ কিংবা জিব ভেংচানো মুখ দেখিয়ে দিলাম। সামনাসামনি কি চাইলেই এমন হাসা যায়, না একফোঁটা চোখের পানি দেখানো যায়?
ও মাই গড, তুমি কিন্তু ফাঁকিবাজ আছ। সামনাসামনি নাহয় জিবটা বের করে ভেংচালে, নাহয় একটু চোখ টিপে দিলে, কী যায় আসে?
-পাগল নাকি? তা কি হয়? আমি নিজের মত হা-হা করে হেসে, কিংবা উচ্চস্বরে কান্নাকাটি করে যেভাবে খুশী তোমার সাথে আলাপ করবো, আমার এই অনুভূতিগুলো কথাবার্তায় কোনও প্রভাব ফেলবেনা, এইই তো বেশ!
তারমানে তুমি লুকোতে চাইছ?
-ঠিক তা’ নয়। বলতে পারো নিজের মত থাকতে চাচ্ছি। অন্যে কী ভাববে, সেটা ভেবে নিজেকে কাস্টোমাইজ করতে চাইছিনা।
আমার তো উল্টোটা মনে হয় নিজের বেলায়। মনে হয় সারাদিন এত মানুষের সাথে এত কথা বলি, কিন্তু তোমার সাথে এইভাবে কথা বলতে গেলে নিজেকে বরং বেশী এক্সপ্রেস করে ফেলি। আমি নিজেকে একদম লুকোতে পারিনা। লুকোতে চাইওনা।
-আমার সামনে বসে এমন খোলামেলা আলাপ করতে পারবে?
উমম্…চেষ্টা করে দেখতে পারি, তবে কিছু কথা মনে হয় গলায় আটকে যাবে।
-তাহলে তো একই কথা হলো। তুমি যা বলতে চাইছ, তাইই তো এভাবে ভালো বলতে পারো। নিজেকে বেটার এক্সপ্রেস করতে পারো। আবার নিজের মত করে আলাপ করতে পারো।
তা’ অবশ্য ঠিক। এখন যে অবস্থায় আছি, এই লুঙ্গি পরা, আন্শেভ্ড চেহারা নিয়ে তোমার সামনে তো যাওয়াই যাবেনা!
-তবে? বুঝতে পেরেছো তো? তাছাড়া সময়েরও একটা ব্যাপার আছে। রাত দুটোয় কারো বাসায় গিয়ে দরজা নক করে তো বলা যায়না যে ‘ভাই আমি আপনার সাথে ঘন্টা দেড়েক আলাপ করতে চাই, কারণ আমার ঘুম আসছেনা’।
কাউকে অনলাইন দেখলে কিন্তু টুক করে নক করা যায় ‘ইউ দেয়ার?’
বুঝিনা, কেমন যেন বিপরীতমুখী চিন্তা কাজ করছে মাথায়। মাঝেমাঝে তোমাকে এত কাছের মনে হয়, যেটা সামনাসামনি কখনই মনে হয়না। তখন খুব তোমাকে দেখতে ইচ্ছে করে, তোমার কাছাকাছি থাকতে ইচ্ছে করে।
-আমার সে ইচ্ছে করেনা। কারণ সামনাসামনি তুমি যে-মানুষ তাকে আমার ভালো লাগেনা।
কেন?!!
-তোমরা কঠিন কঠিন সব আলোচনা করো, আমি বুঝিনা, পার্টিসিপেট করতে পারিনা। স্টক মার্কেট, অয়েল ইন্ডাস্ট্রি, পলিটিক্স, হাবিজাবি অফিসের আলাপ, বিচ্ছিরি লাগে আমার। আর বিড়ির গন্ধ তো আমি সহ্যই করতে পারিনা!
বিড়ি বলছো কেন? শুনতে কেমন যেন রিক্সাওয়ালার মত লাগে।
-বিড়ি-ই তো! একটু নাহয় দাম বেশী, নাহয় ওরা যা খায় তোমরাও তো তাইই খাও। ওরা ফুটপাথে বসে খায় আর তোমরা ঘরে, বারান্দায়, এইটুকুই তফাৎ।
তুমি একটু ঝগড়াটে আছ। সামনাসামনি কিন্তু তোমাকে বেশ মিষ্টি মনে হয়।
-সামনাসামনি তুমি আমার কতটুকুই বা দেখো?
তাওও তো কথা। এখন তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
-কী বলো? ঝগড়াটে একজনকে দেখতে ইচ্ছে করছে?!!
হুম্ করছে। আমি ভাবছি কোমরে আঁচল পেঁচিয়ে একটা ঝাঁটা হাতে তেড়ে আসলে তোমাকে কেমন দেখাবে।
-ভালোই দেখাবে। আমি আসলে ওরকমই।
আমি জানি ভালো দেখাবে। ইন ফ্যাক্ট আমি দিব্যি দেখতে পারছি তোমাকে ভালো দেখাবে।
-যাহ্, আমি তো ঠাট্টা করে বললাম।
আমি সিরিয়াসলি বলেছি। সামনাসামনি তুমি কেমন যেন নির্জীব, আবেগহীন। মনে হয় তোমার হাসিটাও মাপা-মাপা। সত্যি, তোমাকে একদম অন্যরকম মনে হয়। খুব দূরের একজন। তার চাইতে ঝাঁটাওয়ালী বেটার। একটা আবেগ তো আছে!
-হেহ্, তুমি নিজে কী? তুমি তো এমন ভাব দেখাও যেন জ্ঞান উপচে পড়ছে, রাখার জায়গা নেই। বেশী জ্ঞানী মানুষ আমার অসহ্য লাগে!
কারণ তুমি নিজে কম জ্ঞানী, তাই।
-বয়েই গেছে আমার জ্ঞানী হতে। তোমাদের দেখলে মায়া হয়। ভাবি, তোমাদের আলাপ করার কোনও টপিক নেই, তাই ক্রিকেট, গুগল, মটরোলা এইসব আজগুবি কথা বলো।
আরে, এইটা আজগুবি আলোচনা হলো? তুমি আস্তে আস্তে আমাদের সাথে বসা শুরু করো, শুনতে শুনতে দেখবা কত এক্সাইটিং টপিক এসব।
-আমার কি টপিকের আকাল পড়েছে নাকি তোমাদের মত? নিজের লাইফ নিয়েই বাঁচিনা! তোমাদের আসলে নিজেদের কোনও কাহিনি নেই, তাই অন্যের ঝুলি নিয়ে কাড়াকাড়ি করো।
সেটা তো করো তোমরা। গসিপ ছাড়া কোনও কথা নেই।
-এইই, স্টিরিওটাইপ করবানা। আমি গসিপ করলাম কখন?
আচ্ছা তাই তো, তুমি তো মেয়েমহলেও চুপচাপ! কি তোমার আসলে সমস্যাটা কী?
-আমার সমস্যা হচ্ছে আমার মোবাইলে চার্জ চলে যাচ্ছে। আল্লাহ হাফেয।
চার্জে কানেক্ট করে কথা বলো!
-আরে ইলেক্ট্রিসিটি নাই, টিভির পাশের পয়েন্টে কানেক্ট করতে হবে। আমার অত ঝোল নাই, যে টিভির পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চ্যাট করবো।
ওহ্ আচ্ছা ঠিকাছে। বাই।
-ভালো থেকো।
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:১২
শাফ্ক্বাত বলেছেন: ![]()
ব্যাপারটা খুব অদ্ভূত।
নিজেকে প্রকাশ করছেন ঠিকই, কিন্তু আপনি মানুষটা থেকে যাচ্ছেন আড়ালে।
আজকাল ভার্চুয়াল কমিউনিকেশন কত পপুলার হয়ে যাচ্ছে খেয়াল করেছেন?
আমার তো মানুষের সাথে ম্যাক্সিমাম যোগাযোগই ভার্চুয়াল ![]()
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২|
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৭:২৫
মে ঘ দূ ত বলেছেন: তাও, ওপ্রান্তের মানুষটা যখন থাকছে অনেক দূরে। তখন হয়তো এই অনলাইনে যোগাযোগ ছাড়া আর বিকল্প নেই ![]()
আড়ালের মানুষটাকে হয়তো সামনে আসতেই হচ্ছে না কখনো। শুধু কথা বলার জন্য কথা হলে অপরিচিত কারো সাথে কথা বলতে ভার্চুয়াল যোগাযোগের চাইতে এমন ভালো বিকল্প কোথায়।
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:১১
শাফ্ক্বাত বলেছেন: আড়াল, কত ইম্পর্ট্যান্ট, ভাবুন!!
নিজেকে ভালভাবে প্রকাশ করার জন্যেই নিজেকে আড়াল করে রাখা অনেক কম্ফর্টেবল ![]()
৩|
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২১
বাংলাদেশ-ফয়সাল বলেছেন: এইটা কি লিখলেন ?? উপন্যাস ,গল্প না কবিতা ?? সময় খরচ করে যখন লিখবেন তখন ভালো কিছু লিখেন । আপনার আগের লেখা গুলাই ভালো ছিল।
স্টিরিওটাইপ কি জিনিস??
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:৪২
শাফ্ক্বাত বলেছেন: আমি আসলে যা মাথায় আসে তাইই লিখি,এই কারণেই মনে হয় লেখালেখি তেমন হয়না আমাকে দিয়ে
আপনি আশা করেছিলেন মন-মতো লেখা, আশাহত হয়েছেন বলে দুঃখিত। জানিনা এর পরে কিছু লিখলে আপনার ভালো লাগবে কিনা। পড়ে মন্তব্য করেছেন, মন-মত লেখার দাবী রেখেছেন, এজন্য ধন্যবাদ।
স্টিরিওটাইপ হচ্ছে, মানুষের পার্সোনালিটি মূল্যায়নের একধরণের ভুল প্রক্রিয়া, যেটা আমরা কমনলি করে থাকি। উদাহরণ দিলে হয়ত বুঝবেন। যখন আপনি ভাবছেন "গ্রামে বড় হওয়া লোক খ্যাত হয়।" এটা একটা স্টিরিওটাইপ। আপনি কয়েকটা স্যাম্পল দেখে গোটা কমিুনিটি কে মূল্যায়ন করে ফেললেন।
৪|
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩৫
জেরী বলেছেন: হুমমমম ![]()
(অনলাইনে কথা বলার পর আমি আবার সেই চ্যাট হিস্ট্রি পরে অবসরে পড়ি....ভালো লাগে। তবে সবারটা না।অনলাইনে কথা বলার সময় দেখা গেল অনেক লাইন বা কথা খে্যাল করা হয় নাই/পড়িনাই....পরে সেসব খেয়াল করে পড়ি )
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:৫৯
শাফ্ক্বাত বলেছেন: অনলাইন যোগাযোগের ব্যাপারটা আমার কাছে এখনও বিস্ময়ের মত লাগে। টেকনোলজির কারণে নয়, দূরের মানুষকে কাছে আনার ক্ষমতার কারণে।
দৈনন্দিন দেখাশোনায় মানুষের মন কতটুকুই বা প্রাধাণ্য পায়? কিন্তু ভার্চুয়াল যোগাযোগে মানুষের স্বকীয়তা বড় হয়ে ওঠে। কিংবা হয়ত মনের ভেতরকার চেপে রাখা কোনও অনুভূতি, স্বপ্ন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
অদ্ভূত!!
৫|
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৪১
জেরী বলেছেন: ২ জনের কনভারসেশন তো একজনেরটা বোল্ড করে দিয়েন আপু.....যদিও একজনের টা ইটালিক করা তবুও মাঝে মাঝে বুঝতে একটু প্রবলেম হচ্ছিল ![]()
সিরিজটা চলুক....![]()
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:০৯
শাফ্ক্বাত বলেছেন: ঠিক বলেছেন জেরী। আমার নিজেরও বুঝতে সমস্যা হচ্ছে, ভাবছিলাম কি করে ঠিক করা যায়। ![]()
সিরিজ চলবে কিনা জানিনা, তবুও একটা সিরিয়াল নাম্বার দিয়ে রাখলাম, কারণ অনলাইন যোগাযোগ আমার খুব প্রিয় একটা ব্যাপার। ![]()
৬|
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১২
জোম্বি বলেছেন: হুমম ভাল লাগল ![]()
২৬ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:১৫
শাফ্ক্বাত বলেছেন: ভালোলাগা প্রকাশ করার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ
৭|
২৭ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২৭
বাংলাদেশ-ফয়সাল বলেছেন: ,এই কারণেই মনে হয় লেখালেখি তেমন হয়না আমাকে দিয়ে
এই কথা কইছে কুন হাবায়?? লেখালেখি না হইলে আপনার লেখা পড়তে আসি কেন??
আমার মনে হয় এই সিরিজ এইখানেই সমাপ্ত করে আপনার আগের স্টাইলে ফিরে যাওয়া উচিত । এই যেমন স্টিরিওটাইপ নিয়ে লিখতে পারেন ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৩
শাফ্ক্বাত বলেছেন: ওহ, তা যা বলেছেন। মানব-আচরণ আমার পছন্দের বিষয়। আমার যাবতীয় গবেষণা তো হিউম্যান বিহেভিয়র নিয়েই।
লিখবো, ওসব নিয়ে তো লেখাইই যায়!
৮|
১১ ই অক্টোবর, ২০১১ সকাল ১১:৫২
মুহসিন বলেছেন: ভালো লাগলো। চালিয়ে যান।
২১ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫৫
শাফ্ক্বাত বলেছেন: ধন্যবাদ
৯|
২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৫
সানফ্লাওয়ার বলেছেন: প্রতিদিন আমার বর দুপুরে ফোন করে জানতে চায়, আমি লাঞ্চ করেছি কিনা। আমরা দুজনে খুব সুন্দর করে গল্প করি তখন। আশ্চর্য এই যে, রাতে যখন আমরা খেতে বসি , আমাদের মাঝে কোন কথা হয় না। নীরবে খেয়ে উঠে যাই .. ।
২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
শাফ্ক্বাত বলেছেন: জীবনটা আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বড়। ভেবে দেখো যদি তোমাদের সংসার হয় আজীবনের, তাহলে আজ থেকে বিশ কি চল্লিশ বছর পরে তো পরিস্থিতি আরও বদলাবে। জীবনে বৈচিত্র্য না হলে আমরা আগানোর খোরাক পাবো কোথা থেকে? এইই ভালো, ধাপে ধাপে সম্পর্কের উন্নতি/বদল। এক ঝটকায় বড় বেশি কাছে চলে গেলে এরপর গন্তব্যের কোনও নির্দেশনা পাওয়া যায়না!
ভালো থেকো!
১০|
২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
বোকামানুষ বলেছেন: পরের পর্বগুলো কই?
ভাল লেগেছে কথাগুলো পরের কথাগুলো লিখে ফেলেন আপু
যারা খুব একাকী থাকে তাদের জন্য অনলাইন সময় কাটানোটা সহজ করে দেয় অনেক সময় বা খুব খারাপ লাগার মুহূর্তে একটু স্বস্তি কারনতো আপনি বলেই দিয়েছেন
তাছাড়া সময়েরও একটা ব্যাপার আছে। রাত দুটোয় কারো বাসায় গিয়ে দরজা নক করে তো বলা যায়না যে ‘ভাই আমি আপনার সাথে ঘন্টা দেড়েক আলাপ করতে চাই, কারণ আমার ঘুম আসছেনা’।
কাউকে অনলাইন দেখলে কিন্তু টুক করে নক করা যায় ‘ইউ দেয়ার?’
২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩১
শাফ্ক্বাত বলেছেন: পরের পর্ব আর লেখা হয়নি। অনলাইন যোগাযোগ নিয়ে সেসময়ে অনেক বেশীই লিখে ফেলেছিলাম তাই মনে হয়।
দেখি সামনে কিছু মাথায় আসলে অবশ্যই লিখবো!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৬:৪৩
মে ঘ দূ ত বলেছেন: দারুণ! অনেকদিন পর আপনার আলাপন পড়লাম। বরাবরের মতোই ভালোলাগলো।
অনলাইনে কথাবলার ব্যাপারে আমারও একধরণের Preference কাজ করে। মনে হয় যেন নিজের ভেতরের মোড়কটাকে যথাযত ভাবে খোলা যায়, অনেক ভালোভাবে প্রকাশ করা যায়। যেটি হয়তো সামনা সামনি হবার নয়।