নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দুর্নীতি এবং অসততা প্রতিরোধ করুন

আসুন,সরকারী কর্মচারীদের ঘুষগ্রহণসহ সকল দুর্নীতিবন্ধে সর্বাত্মক সহায়তা করি। কারন সরকারি কর্মচারীরা দেশপরিচালনার হাতিয়ার। তারা যদি না হয় দক্ষ ও সততার অধিকারী, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বাংণাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে পরিণত করার কাজটি হবে সুদূরপরাহত।

শাহ আলম বাদশাহ

৮০ দশকের কবি, ছড়াকার, গীতিকার বিশেষত; শিশুসাহিত্যিক। ৬টি প্রবন্ধ সংকলন, ৩টি গল্প সংকলন, ১টি শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ, ৭টি অডিও-ভিডিও এলবাম প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭৭ সাল থেকেই বাংলাদেশ ও ভারতের পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি। ১৯৭৮ সালে তৎকালীন রেডিও বাংলাদেশ রংপুর কর্তৃক ‘‘উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ ছড়াকার’’ হিসেবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। ১৯৮৬ সালে সিলেট ছড়া পরিষদ কর্তৃক ছড়ায় অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিভিন্ন দৈনিকে সাংবাদিকতাছাড়াও বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা যেমন; লালমনিরহাট থেকে ত্রৈমাসিক চলমান, ত্রৈমাসিক ব্যতিক্রম, ত্রৈমাসিক দারুচিনি, ত্রৈমাসিক কিশোরকন্ঠ, ত্রৈমাসিক প্রজাপতিসহ (অধুনালুপ্ত) বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক এবং লালমনিরহাটের প্রথম প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক জানাজানি’র প্রতিষ্ঠাতা সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।\n\nশাহ আলম বাদশা’র প্রকাশিত অডিও-ভিডিও এলবাম এবং গ্রন্থসমূহঃ ১। ভোরের পাখিরা [অডিও-ভিডিও এলবাম-১৯৮৯] \n২। শিহরণ ১ [অডিও এলবাম-১৯৯৩] \n৩। শিহরণ ২ [অডিও এলবাম-১৯৯৩] \n৪। প্রত্যয় [অডিও এলবাম-১৯৯৪] \n৫। প্যারোডি গান [অডিও এলবাম-১৯৯৫] \n৬। তথ্য পেলেন কাশেম চাচা [নাটিকার ডিভিডি-২০০১৪] \n৭। তথ্য কমিশনের বিচারিক কার্যক্রম [প্রামাণ্যচিত্রের ডিভিডি-২০১৪] ৮। কিশোকন্ঠ গল্প সমগ্র-১ [যৌথ গল্পগ্রন্থ-২০০১] \n৯। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [১খণ্ড)-২০০৬] \n১০। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [২খণ্ড-২০০৭] \n১১। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [৩খণ্ড-২০০৮] \n১২। মা ও শিশু [যৌথ প্রবন্ধগ্রন্থ [৪খণ্ড-২০০৯] \n১৩। স্বপ্ন দিয়ে বোনা [যৌথ গল্পগ্রন্থ-২০১৩] \n১৪। মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গল্প [যৌথ গল্পগ্রন্থ-২০১৫] \n১৫। দুরছাই ধুত্তোরী ছাই [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ-২০১৫] \n\nশাহ আলম বাদশা’র প্রকাশিতব্য গ্রন্থসমুহঃ \n১। ইষ্টিপাখি মিষ্টিপাখি [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ] \n২। ষড়ঋতুর দেশে [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ] \n৩। লিন্তামনির চিন্তা [শিশুতোষ ছড়াগ্রন্থ]\n৪। ফুল-পাখি-নদী [কিশোর কবিতাগ্রন্থ] \n৫। ফুলবনে হই-চই [কিশোর উপন্যাস] \n৬। সানিনে অভিযান [[কিশোর উপন্যাস] \n৭। কালো মুরগি [শিশুতোষ গল্প] \n৮। বেওয়ারিশ লাশ [শিশুতোষ গল্প] \n৯। কবিকবি ভাব ছন্দের অভাব [ছন্দপ্রকরণ-প্রবন্ধগ্রন্থ] \n১০। বাংলাবানান এবং শব্দগঠনঃ ভুল শুধু ভুল [প্রবন্ধগ্রন্থ] \n১১। আমাদের মুসলমানিত্ব এবং কামড়াকামড়ির রকমফের \n\nতিনি বিসিএস তথ্য ক্যাডারের সদস্য এবং এলএলবি\\\'র ছাত্র। তথ্যমন্ত্রণালয়ে কর্মরত। ফোনঃ ০১৮১৭১১৭৯২৯/০১৫৫২৩৪২৪৪৯\nWebsite: http://mediamaster1.blogspot.com/

শাহ আলম বাদশাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের মুসলমানিত্বের মোজেজা এবং কামড়া-কামড়ির রকমফের-২

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬

সাড়ে তিনহাত শরীরে ইসলাম কায়েমের অর্থ আছে কি?



জ্বী আছে, কিন্তু তাহা কিভাবে সম্ভবপর হইবে? আসলে হুজুররা যেইভাবে সহজভাবে বলেন, সেইভাবে কি সাড়ে তিনহাত শরীরে ইসলাম কায়েম করা সম্ভব, অন্তত বর্তমানের এই চরম ইসলামবিরোধী পরিবেশে? নাহ, সম্ভব নহে যদি না চার খলিফার মতোন ইসলামী সমাজব্যবস্থা কায়েম থাকে!!



যেই সমাজে বিদেশ হইতে চড়া সুদে আমদানিকৃত সকল কিছুই যেমনঃ আপনার পরিহিত জুব্বা-কোর্তার কাপড়, খাদ্য-বস্থু, ব্যবহৃত ও ভোগ্য জিনিসপত্র আমরা ভোগ করিয়া থাকি এমনকি মসজিদ-মাদ্রাসায় প্রাপ্ত টাকা বা বেতনের সহিতও সুদ-ঘুষের টাকার সম্পর্ক রহিয়াছে এবং কুরআন নির্দেশিতমতে আপনার পর্দা রক্ষা করা আদৌ সম্ভবপর নহে, যেইখানে অসহায় ধর্ষিতাদের আপনি ইসলামী বিধানে সুরক্ষা দিতে ১০০% ব্যর্থ এবং ধর্ষক, চোর-ডাকাত, সরকারী-বেসরকারী লুটেরাদের, জুয়াড়ু-মদারুদের আপনি সংশোধনী কিংবা শাস্তি দিতেও অক্ষম; সেইখানে কী করিয়া আপনি আপনার সাড়ে তিনহাত বডিতে ইসলাম ধারণ করিবেন, তাহাতো আমার মতোন কম শিক্ষিত বান্দার বুঝেই আসিতেছে না।



নোংরা-পচা সমুদ্রসদৃশ এই সমাজে বা বিষাক্ত-দুষিত বাতাসে নিজের শরীর ডুবাইয়া রাখিয়া বা নাপাক পানিতে অজু করিয়া আপনি কিভাবে বলিতে পারেন যে, আপনি পাক-পবিত্র আছেন এবং আপনার শরীরে হারাম খাদ্য ঢুকিয়া যায় নাই, আপনার পর্দা আপনি রক্ষা করিতে পারিতেছেন? আপনার ইবাদত-বন্দেগী সঠিক হইতেছে কিনা, আপনার আমার মতোন দায়িত্ব-জ্ঞানহীনের প্রার্থনা মহান বিবেচক আল্লাহর কাছে কবুলই হইতেছে কিনা--সেইটাই আগে ভাবিবার বিষয়। তাহার পরেই না আপনি অন্যের খুঁত ধরা কিংবা অন্য ইসলাম্পন্থীদের সমালোচনার জাবর কাটিতে পারেন মাত্র!!



আপনার শরীরে হারাম বস্তু আছে কিনা, আপনার পোশাক পবিত্র কিনা, আপনার ক্রয়করা জায়নামাজ নির্ভেজাল কিনা, আপনার খাদ্য হালাল কিনা, আপনি অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ করিতেছেন কিনা, চার খলিফার মতোন আপনিও আল্লাহর আইনমতে ''আকিমুদ্দিন'' মানে সমাজ-রাষ্ট্র হইতে সকল খারাবী দূর করিয়া ন্যায় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলাম কায়েমের চেষ্টা করিতেছেন কিনা--পরকালে মুক্তির জন্য ইহাই হইলো আসল বিবেচ্য বিষয়। কেননা হাদীসে এমন কথাও লিখা আছে যে, ইসলাম বা দ্বীন কায়েমের চিন্তা ব্যতীত যে মৃত্যুবরন করিলো তাহার মরণ হইলো জাহিলিয়াতের মৃত্যু। এখন ভাবুন--আমরা কেমন মুসলিম হিসাবে বড়াই করিয়া যাইতেছি!! সুতরাং কাঁদার ভিতরের পিচ্ছিল গছিমাছ হইয়া বাঁচিলেই কিন্তু পবিত্রতার দোহাই দিয়া আমরা পরকালে রক্ষা পাইবোনা।।



মুসলিমের প্রকারভেদ (!)



পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলিয়াছেন---হজরত ইব্রাহীমই আঃ তোমাদের পরিচয় মুসলিম নামে নির্ধারণ করিয়াছেন। ইহার অর্থ কী দাঁড়াইল? মুসলিম মানে আল্লাহতে বা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পিত যাদের খণ্ডিত বা আংশিক ইসলামের পালনের চেষ্টার কোনোই সুযোগ নাই। আবার মুসলিম দাবী করিয়া ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো জীবনবিধান পালনেরও একবিন্দু সুযোগ নাই। ইসলামের নামে বা মুসলিম হিসাবে জগাখিচুড়ি জাতীয় কিছু পালনেরও কোনো ফাঁক নাই। তাই মুসলিম কমুনিস্ট, ধর্মনিরপেক্ষ মুসলিম, আহাম্মদী মুসলিম, বাহাই মুসলিম, সুন্নি মুসলিম, শিয়া মুসলিম বলিয়া ইসলামে কিছুরই অস্তিস্ত্ব আমি অন্তত খুঁজিয়া পাই নাই। কুরআন-হাদিসেও এমন কিছুর চিহ্ন নজরে পড়ে নাই।



আমার মতোন অধমের মতে, যাহারা এমনধারা মুসলিম হিসাবে নিজেকে জাহির বা দাবী করেন, তাহারা যেমন কুরআনিক এই পরিভাষাটিকে কলঙ্কিত ও অপমানিত করিতেছেন, তেমনই যাহারা মওদুদী ইসলাম, ওয়াহহাবী ইসলাম বলিয়া অন্য ইসলাম্পন্থীদের গালি দিয়া থাকেন--তাহারাও আল্লাহর ঘোষিত ইসলাম পরিভাষাটিকেও কলঙ্কিত ও অপমানিত করিয়া থাকেন।



কুরআন-হাদিস পড়িয়া আমার যাহা ধারণা ও বিশ্বাস জন্মিয়াছে--তাহাতে বিভিন্ন ফেরকা বা উপদল নাম দিয়া যাহারা অমুকপন্থী মুসলিম, তমুকপন্থী মুসলিম হিসাবে পরিচিত করাইতেছেন, আল্লাহর কাছে তাহার কানাকড়িও মুল্য নাই বলিয়া আমার বিশ্বাস। বরং কুরআন বলে--হে মুসলিমগন তোমরা ইসলামে দড়িকে শক্তভাবে আঁকড়াইয়া ধরো, পরস্পর বিচ্ছিন্ন হইও না বা উপদলে বিভক্ত হইও না। তবে আমার মতে, ইসলামী আন্দোলন বা ইসলাম কায়েমের কৌশল হিসাবে বিভিন্ন ইসলামী নাম ধারণ করায় কোন অপরাধ নাই এবং ইহাকে উপদল বলিবারও কারণ নাই।



এই যখন বাস্তবতা, তখন শিয়া-সুন্নি, হানাফি-মালিকী-শাফিঈ-হাম্বলী-লা-মজহাবীর নামে মারামারি, বাহাস বা কুতর্কের সমর্থনে কোনো দলীল আমি কুরআন-হাদিসে খুজিয়া পাই নাই!!

(ধারাবাহিক)



পূর্বের পর্ব-১ পড়িতে ভুলিবেন না- ক্লিক করুন



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

মশিকুর বলেছেন:
ভাই পরিবেশ কখনই ইসলামের পক্ষে ছিলনা, আর থাকবেও না। সেই অন্ধকার যুগ থেকেও কি এখনকার অবস্থা খারাপ? যখন প্রকাশ্যে আযান দেয়া যেত না তখন থেকে?? আমাদের নবিজী যে অবস্থা পার করেছেন তার থেকে ১০০০ গুন ভাল অবস্থানে আমরা আছি। আমাদের যুদ্ধ করতে হচ্ছে না, শুধু মাত্র ১৫-২০ টা মূল জিনিষ কঠিন ভাবে মেনে চললেই জান্নাত নিশ্চিত। কিন্তু আফসোস আমরা কত অজুহাত দাড় করাই।

আপনার পোস্টটি গভীর ভাবে/ কঠিন ভাবে ইসলাম পালন সম্পকিত। তাই ডাবল ++

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

শাহ আলম বাদশাহ বলেছেন: সহমত, আল্লাহ আপনাকে জাযা দিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.