নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আনিসুজ্জামান স্যার ও পদ্মভূষণ

০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৪৩

পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়ে অভিভূত অধ্যাপক আনিসুজ্জামান মাত্র তিনটি শব্দে তাঁর অনুভূতি প্রকাশ করলেন, ‘অযাচিত, অভাবিত, অপ্রত্যাশিত।’
মঙ্গলবারের বিকেল। দিল্লির অশোকা হোটেলের ড্রইংরুমে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মন দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখতে দেখতে শব্দ তিনটি উচ্চারণ করলেন। তার পর বললেন, ‘আমি তো খুশিই। কিন্তু আমার বন্ধু-বান্ধবেরা ও আমাকে যাঁরা ভালোবাসেন, তাঁরা আরও খুশি বলে আমার কাছে এই সম্মানের মূল্য এত বেশি।’আনিসুজ্জামান প্রথম বাংলাদেশি, ভারত সরকার যাঁকে পদ্মভূষণ সম্মান দিল। গতকাল সোমবার দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পুরস্কার নেন তিনি।
ক্রিকেট দেখতে দেখতে কথা বলতে বলতে তাঁর স্বীকারোক্তি, ‘এই উপমহাদেশে ক্রিকেট সত্যি সত্যিই একটা ধর্ম হয়ে গেল। কারণ, ক্রিকেট মানুষকে কানেক্ট করছে, মানুষকে জুড়ছে। এর একটা সম্ভাব্য কারণ মনে হয়, ঘরে বসে নিজেদের খেলা উপভোগ করা, যাতে আমরা একাত্ম হতে পারি। ফুটবলও তো আমরা দেখছি। কিন্তু সেখানে একাত্মবোধ কাজ করে না। কারণ, ফুটবল বিশ্বে আমরা অকিঞ্চিত্কর। ক্রিকেটে ১০টা দেশের মধ্যে আমরা একজন। ফুটবলে দেড় শ দেশের মধ্যেও আমরা নেই। ফুটবল তাই জাতিবোধে জুড়তে পারছে না, ক্রিকেট যা পারছে।’

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: কেন পুরো বিষয়টি পোস্ট হচ্ছেনা বুঝতে পারছিনা তাই পার্ট -২ দিয়ে আরেকটি পোস্ট দিলাম ।

২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:০৫

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
thats true.

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৩

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:

স্যারকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা !:#P !:#P !:#P

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৩১

কাঙাল বলেছেন: স্যারকে অভিনন্দন!
কিন্তু এই সম্মাননা কেন তিনি পেলেন তা তো বোঝা গেল না

কেউ কেউ বলছেন ভারতের পদলেহন। আমার কথা হচ্ছে ভারতের পদলেহীর তো অভাব নেই এদেশে। স্যারের চেয়েও অনেক বড় পদলেহী রয়েছে। তাহলে স্যার কেন পেলেন এই সম্মান?

স্যারের অবদানগুলো কেউ যদি বলতে পারেন......

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: আনিসুজ্জামান (জন্ম ১৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৩৭) বাংলাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও লেখক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক। তিনি প্রত্যক্ষভাবে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিযে তাঁর গবেষণা উল্লেখযোগ্য। ১৯৫৬ ও ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক সম্মান এবং এমএতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। অনার্সে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার কৃতিত্বস্বরূপ "নীলকান্ত সরকার" বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে ড. আনিসুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য যোগদান করেন। বিষয় ছিল 'ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারায ১৭৫৭-১৯১৮'। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন। গবেষণার বিষয় ছিল 'উনিশ শতকের বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস : ইয়ং বেঙ্গল ও সমকাল'। [আনিসুজ্জামান ছিলেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী শিক্ষক। বাংলা একাডেমীর বৃত্তি ছেড়ে দিয়ে আনিসুজ্জামান যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেন তখন তাঁর বয়স মাত্র ২২ বছর। প্রথমে অ্যাডহক ভিত্তিতে চাকরি হলো তিন মাসের। কথা ছিল গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হলেই চাকরি শেষ হয়ে যাবে। চাকরি চলে যাওয়ার পর কয়েক মাস বেকার থাকলেন। তারপর পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের গবেষণা বৃত্তি পেলেন। এর কয়েক মাস পর অক্টোবর মাসে আবার যোগ দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায়। ১৯৬২ সালে তাঁর পিএইচডি হয়ে গেল। তাঁর পিএইচডির অভিসন্দর্ভের বিষয় ছিল 'ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারা (১৭৫৭-১৯১৮)'। ১৯৬৪ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলেন ডক্টরাল ফেলো হিসেবে বৃত্তি পেয়ে। ১৯৬৯ সালের জুন মাসে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের রিডার হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অবস্থান করেছিলেন। পরে ভারতে গিয়ে প্রথমে শরণার্থী শিক্ষকদের সংগঠন 'বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি'র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে যোগ দেন। ১৯৭৪-৭৫ সালে কমনওয়েলথ অ্যাকাডেমি স্টাফ ফেলো হিসেবে তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে গবেষণা করেন। জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা-প্রকল্পে অংশ নেন ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেন ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে । পরে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক হিসেবে আবার যুক্ত হন। তিনি মওলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান স্টাডিজ (কলকাতা), প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ ক্যারোলাইনা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। এছাড়াও তিনি নজরুল ইনস্টিটিউট ও বাংলা একাডেমীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি শিল্পকলা বিষয়ক ত্রৈমাসিক পত্রিকা যামিনী এবং বাংলা মাসিকপত্র কালি ও কলম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ অনুষ্ঠানে তিনি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। তিনি প্রত্যক্ষভাবে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে তাঁর পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতা। মুজিবনগরে তিনি তাজউদ্দীনের বিচক্ষণ কর্মকাণ্ড সরেজমিনে কাছ থেকে দেখেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ভাষা আন্দোলন, রবীন্দ্র উচ্ছেদবিরোধী আন্দোলন, রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী আন্দোলন এবং ঐতিহাসিক অসহযোগ আন্দোলনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন



মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য (১৯৬৪)
মুসলিম বাংলার সাময়িকপত্র (১৯৬৯)
মুনীর চৌধুরী (১৯৭৫)
স্বরূপের সন্ধানে (১৯৭৬)
Social Aspects of Endogenous Intellectual Creativity (1979)
Factory Correspondence and other Bengali Documents in the India Official Library and Records (1981)
আঠারো শতকের বাংলা চিঠি (১৯৮৩)
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৯৮৩)
পুরোনো বাংলা গদ্য (১৯৮৪)
মোতাহার হোসেন চৌধুরী (১৯৮৮)
Creativity, Reality and Identity (1993)
Cultural Pluralism (1993)
Identity, Religion and Recent History (1995)
আমার একাত্তর (১৯৯৭)
মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর (১৯৯৮)
আমার চোখে (১৯৯৯)

বাঙালি নারী[সম্পাদনা]
সাহিত্যে ও সমাজে (২০০০)
পূর্বগামী (২০০১)
কাল নিরবধি (২০০৩)

বিদেশি সাহিত্য অনুবাদ[সম্পাদনা]
অস্কার ওয়াইল্ডের An Ideal Husband এর বাংলা নাট্যরূপ 'আদর্শ স্বামী' (১৯৮২),
আলেক্সেই আরবুঝুভের An Old World Comedy -র বাংলা নাট্যরূপ 'পুরনো পালা' (১৯৮৮)

গ্রন্থ একক ও যৌথ সম্পাদনা[সম্পাদনা]
রবীন্দ্রনাথ (১৯৬৮)
বিদ্যাসাগর-রচনা সংগ্রহ (যৌথ, ১৯৬৮)
Culture and Thought (যৌথ, ১৯৮৩)
মুনীর চৌধুরী রচনাবলী ১-৪ খণ্ড (১৯৮২-১৯৮৬)
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, প্রথম খণ্ড (যৌথ, ১৯৮৭)
অজিত গুহ স্মারকগ্রন্থ (১৯৯০)
স্মৃতিপটে সিরাজুদ্দীন হোসেন (১৯৯২)
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৩)
নজরুল রচনাবলী ১-৪ খণ্ড (যৌথ, ১৯৯৩)
SAARC : A People's Perspective (১৯৯৩)
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের আত্মকথা (১৯৯৫)
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচনাবলী (১ ও ৩ খণ্ড, ১৯৯৪-১৯৯৫)
নারীর কথা (যৌথ, ১৯৯৪)
ফতোয়া (যৌথ, ১৯৯৭)
মধুদা (যৌথ, ১৯৯৭)
আবু হেনা মোস্তফা কামাল রচনাবলী (১ম খণ্ড, যৌথ ২০০১)
ওগুস্তে ওসাঁর বাংলা-ফরাসি শব্দসংগ্রহ (যৌথ ২০০৩)
আইন-শব্দকোষ (যৌথ, ২০০৬)

অন্যান্য গ্রন্থাবলী[সম্পাদনা]
মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য (১৯৬৪)
মুনীর চৌধুরী (১৯৭৫)
স্বরূপের সন্ধানে (১৯৭৬)
পুরোনো বাংলা গদ্য (১৯৮৪)
আমার একাত্তর (১৯৯৭)
মুক্তিযুদ্ধ এবং তারপর (১৯৯৮)
আমার চোখে (১৯৯৯)
কাল নিরবধি (২০০৩)
Factory correspondence and other Bengali Documents in the India o ffice Library and Records (1981)
Creativity , Identity and Reality (1991)
Cultural Pluralism (1993)
Identity, Religion and Recent history (1995)

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]
নীলকান্ত সরকার স্বর্ণপদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬)
দাউদ পুরস্কার (১৯৬৫)
বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭০)
একুশে পদক (১৯৮৫)
আনন্দ পুরস্কার (১৯৯৩)
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি.লিট (২০০৫)[৩]
এশিয়াটিক সোসাইটিতে (কলকাতা) ইন্দিরাগান্ধী স্মারক বক্তৃতা
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শরত্‍চন্দ্র স্মারক বক্তৃতা
নেতাজী ইনস্টিটিউট অফ এশিয়ান অ্যাফেয়ার্সে নেতাজী স্মারক বক্তৃতা
অনুষ্টুপের উদ্যোগে সমর সেন স্মারক বক্তৃতা প্রদান।
পদ্ম ভূষণ পদক (২০১৪)[৪]

০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:১২

শাহ আজিজ বলেছেন: পদলেহি তো আমরা সাড়ে সাত কোটি মানুষ ৭১ সালে ছিলাম । আমার মা এবং বাবা ভারতীয় ছিলেন । ৪৭ এ তারা পাকিস্তানী হলেন। বাবা স্বাধীন বাংলার আগেই চলে গেলেন আর মা গেলেন স্বাধীন দেশের মাটিতে তিনটি জাতিয়তা লেহন করতে করতে ।

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: উপরের লেখাটি বাংলাপিডিয়া থেকে নেয়া।

৬| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:




স্যারকে অভিনন্দন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.