নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কারা এই হামাস

১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৯

হামাস হামাস, "উদ্দীপনা", হারাকাত আল-মুকাওয়ামা আল-ইসলামিয়া, "ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন" এর একটি আদ্যক্ষর) হল ফিলিস্তিনি সুন্নি ইসলামী বা ইসলামী রাজনৈতিক দল যে গাজা স্ট্রিপ নিয়ন্ত্রণ করে। হামাসের ইজ আদ-দীন আল-কাসাম বিগ্রেড নামে একটি সামরিক শাখা আছে। জানুয়ারী ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনি পার্লামেন্ট সংসদীয় নির্বাচনে অধিকাংশ আসন জিতে,জুন ২০০৭ সাল থেকে হামাস ফিলিস্তিন অঞ্চলের গাজা ভূখণ্ড পরিচালিত করছে এবং তারপর সহিংস সংঘাতের মাধ্যমে ফাতাহ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানকে পরাজিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইস্রায়েল এবং জাপান হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে, যখন আরব দেশগুলি, রাশিয়া এবং তুরস্ক হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেনি।ফিলিস্তিনে দুটি দল বেশ সক্রিয়। একটি হামাস, অন্যটি ফাতাহ। এর মধ্যে হামাসের দখলে রয়েছে গাজা এলাকা। ২০০৪ সালে আরাফাতের মৃত্যুর পর হামাস ও ফাতাহ'র মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় এবং সেটা চরম আকার ধারণ করে ২০০৬ এর নির্বাচনের পর। ঐ নির্বাচনে হামাস জয়ী হয় এবং এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আরব রাষ্ট্রসমূহ ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করে দেয়। এরপর ২০০৭ সালে হামাস ফাতাহ সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীকে পরাজিত করে গাজার দখল নিয়ে নেয়। সেই থেকে গাজা শাসন করছে হামাস।পুরো মধ্যপ্রাচ্য পাল্টে দিয়েছে আরব-বসন্ত। হামাসের কাছে আছে আরও শক্তিশালী অস্ত্র। হামাসের ছোড়া রকেট ও গোলা থেকে রক্ষা পেতে ইসরায়েলের দিকে যে তোড়জোড়, তা নিয়ে বেশ উল্লাস চলছে সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের অনেক পেজে। প্রথমবারের মতো রকেট হামলার হুমকির মুখে পড়েছে ইসরায়েলের রাজধানী তেল-আবিব ও জেরুজালেম শহর। কূটনৈতিকভাবেও হামাস বেশ সুবিধা পাচ্ছে । আগে যখন ফিলিস্তিন-ইসরায়েল লড়াই বাঁধত, তখন মিসর ও তিউনিসিয়ার ক্ষমতায় ছিল পশ্চিমা-সমর্থিত স্বৈরশাসকেরা। আরব-বসন্তের গণ-অভ্যুত্থানের মুখে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। এখন কায়রো ও তিউনিসের নতুন শাসকদের ওপর জোরালো প্রভাব রয়েছে ইসলামপন্থীদের। এতে সুবিধা হয়েছে হামাসের।
হামাসের প্রতিষ্ঠাতা শেখ আহমেদ ইয়াসিন একজন পঙ্গু ফিলিস্তিনি ছিলেন।তিনি কখনোই ইসরায়েলের সাথে চুক্তি ও আলাপ আলোচনার বিরোধী ছিলেন । তার একমাত্র লক্ষ্য ও আদেশ ছিল ইসরায়েল রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা। হামাসের আধ্যাত্মিক গুরু ছিলেন শেখ ইয়াসিন । একদফা ইসরায়েলের হাতে বন্দি ইয়াসিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।হামাসের হাতে দুজন মোসাদের সদস্য ধরা পড়লে বিনিময় শর্তে ইয়াসিন মুক্তি পান। ২০০৪ সালে ভোররাতে নামাজ পড়ে গাড়িতে ওঠার সময় ইসরায়েলের হেলিকপ্টার মিসাইল ছুড়ে ইয়াসিন ও দেহরক্ষী সহ ১৭ জনকে হত্যা করে ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:৪২

হরিণা-১৯৭১ বলেছেন: হামাসকে গাজা থেকে বের না করতে পারলে প্যালেস্টাইন দেশ হবে না।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:২৮

শাহ আজিজ বলেছেন: হামাসকে গাজা থেকে বের করা খুবই কষ্ট সাধ্য। গতরাতের খবর অনুযায়ী ইসরায়েল গাজা অভিযান চালাবে।সাধারন ফিলিস্তিনিরা সবাই সরে যাচ্ছে।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:০১

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: তবে এবারকার যুদ্ধে হামাসের হারানোর কিছু নেই। কারন কিছুদিন আগে ফাতাহ্র সাথে এক চুক্তির মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা ছেড়ে পশ্চিমা স্বীকৃত ফাতাহ্ এর হাতে ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু ফাতাহ্ গাজার প্রতিরোধে আজ পর্যন্ত একটা গুলিও ছুড়ে নাই। প্রায় ৮০০ রকেট তেলআবিব সহ পুরো ইসরাইলে আছড়ে পড়ছে তাও হামাসেরই। তাই মনে হচ্ছে হার-জিত দুটোরই ফলাফল হামাসের ঘরেই যাবে।।

১৬ ই জুলাই, ২০১৪ সকাল ৯:৩৬

শাহ আজিজ বলেছেন: মনে হয় এবারই গাজা ক্লিন্সিং হবে কারন পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা বলছে হামাস কোন আলোচনায় বিশ্বাসী না বা কখনো করেওনি । চারিদিকের মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর অস্থিরতার মধ্যে ইসরায়েল নিজের অবস্থান দৃঢ় করবে ।সিরিয়া,মিসর ,তিন খণ্ডের ইরাক, অক্ষম আবদুল্লাহ সবাই ব্যস্ত নিজ সমস্যা নিয়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.