নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গি নারীর দুর্দশা ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৩



আমি ১৯৮৩ সালের দিকে উত্তর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করি। আমার বেড়ে ওঠা একটি বাঙালি-বাংলাদেশি পরিবারে। আমি সব সময় পুরোপুরি ইংরেজদের মতো হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার পরিবারের লোকজন আমাকে চাপ প্রয়োগ করত। তারা চাইত আমি যেন ‘ভালো মুসলিম মেয়ে’ হই এবং পশ্চিমা সমাজের সঙ্গে বেশি মেলামেশা না করি। বলতে পারেন, আমার পারিবারিক জীবন এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। মা-বাবার ওপর আস্থা রাখতে না পারলে আস্তে আস্তে সবকিছুর ওপর থেকেই আস্থা হারিয়ে ফেলে যে কেউ।

১৭ বছর বয়সে আমরা পূর্ব লন্ডনে চলে যাই। সেখানে আমার নতুন নতুন বন্ধু হয়। কিন্তু তারা সবাই অনেক বেশি রক্ষণশীল। আমার পশ্চিমা চালচলনের কারণে তারা আমাকে লজ্জা দিত। আমি তখন হতাশায় নিমজ্জিত হতে লাগলাম; আমি শুধু একজন নতুন মানুষ হতে চেয়েছিলাম। আমার এক কাজিন ছিল। আমার ওপর ওর প্রভাব ছিল অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ে সে মৌলবাদে জড়িয়ে পড়ে। সে আমাকে খেলাফতের ব্যাপারে শিক্ষা দেয়। আমি তখন অনলাইনে অনেক বেশি সৌদি আরবের ফতোয়া পড়তাম। আমি ভাবতাম, আমি শুধু সত্যের সন্ধান করছি।

ঘটনার শুরু ২০০৩ সালে। তখন ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধে লন্ডনে এক মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। মিছিলের মধ্যেই কয়েকজন আমাকে মুসলিম ‘ডেটিং ওয়েবসাইটের’ ঠিকানা দিয়ে একটি কাগজ ধরিয়ে দেয়। সেখানেই আমি জন জর্গেলাসের দেখা পাই। জন মার্কিন নাগরিক ও ধর্মান্তরিত মুসলিম। সে মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়েছিল। দেখতে বেশ সুদর্শন ছিল। আর বহু ভাষায় পারদর্শী ছিল। আমি তাঁর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ি।জনের প্রথম লন্ডন ভ্রমণের সময়ই আমরা বিয়ে করি। ভেবেছিলাম বাড়ি ছাড়ার এটাই একমাত্র উপায়! এর কিছুদিন পর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাই। সেখানে আমাদের একটি ছেলেসন্তান হয়। আমি হিজাব ছেড়ে দিই। আস্তে আস্তে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছিলাম। জন তখন অনেক উগ্র হয়ে ওঠে। ২০০৬ সালে এক ইসরায়েলি ওয়েবসাইট হ্যাক করার অভিযোগে জন গ্রেপ্তার হয় এবং সে তিন বছরের জন্য কারাগারে যায়। আমি তখনো অর্থনৈতিকভাবে জনের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। আমি তখনো বুঝে উঠতে পারিনি যে আমি অস্বাভাবিক এক বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি।

জন জামিনে ছাড়া পেয়ে বের হওয়ার পর আমরা মিসর চলে যাই। এরপর আমাদের তিন সন্তানসহ আমরা ইস্তাম্বুলে গিয়ে থাকা শুরু করি। জন বারবার সিরিয়া যেতে চাইছিল। কিন্তু আমি কখনোই আমার সন্তানদের নিয়ে যুদ্ধ চলা এক অঞ্চলে গিয়ে থাকতে রাজি ছিলাম না। ইস্তাম্বুলে জীবনযাত্রার ব্যয় বহন করে থাকা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছিল। জন তখন সন্তানদের নিয়ে আমাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়ার কথা বলে। সে আমাদের সরাসরি সিরিয়া সীমান্তের দিকে না নিয়ে তুরস্কের এক জায়গায় নিয়ে যায়।মধ্যরাতের দিকে আমরা যখন একটা বাসে চড়ে বসি, আমি বুঝতে পারছিলাম না কী ঘটছে। আমি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম। আমি তখন শুধু আমার সন্তানদের নিয়ে খানিকটা বসার জায়গা খুঁজছিলাম, যেন একটু ঘুমাতে পারি। সূর্যোদয়ের সময় আমরা সিরিয়ার চেকপয়েন্টে আটকা পড়ি। জন তখন কোনো রকমের ঝামেলা না করতে আমাকে হুঁশিয়ার করে।

আমি একটি ফোন জোগাড় করেই জনের মাকে ফোন করে সব বলি। তাঁকে জানাই জন আমাদের মিথ্যা বলেছে। আমি কান্নাকাটি শুরু করি এবং তাঁকে বলি জনকে যে এফবিআই সদস্য দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে। পরে এফবিআই আমাকে বলে, আমি যদি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে কোনো উগ্রবাদী দলে যোগ দেওয়ার অভিযোগ তোলা হবে না।

সিরিয়ায় থাকাকালে আমি আমার সন্তানদের হারানোর ভয়ে থাকতাম। এফবিআইকে জানানোর জন্য জন আমার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ ছিল। ওর ওপর আমারও অনেক রাগ হয় আমাদের সঙ্গে এমন প্রতারণার কারণে। এসব নিয়ে আমাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। আমি মুখ ঢেকে চলা বন্ধ করে দিই। তার বন্ধুরা তাঁকে চাপ দিতে থাকে—হয় আমাকে ছেড়ে দিক, নাহয় আমাকে নিয়ন্ত্রণ করুক। শেষ পর্যন্ত জনের কেন জানি দয়া হয়। সে আমাদের যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। যদিও নানা রকমের ঝামেলার কারণে আমাকে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। আমাদের সীমান্ত পার করে দিতে জন এক মানব পাচারকারীকে টাকা দেয়। মাইলের পর মাইল হেঁটে-দৌড়ে, স্নাইপারের গুলি উপেক্ষা করে আমরা একটি ট্রাকে উঠি।

ওই মানব পাচারকারীর আমাদের বাসস্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে আমাদের জনমানবশূন্য এক জায়গায় ছেড়ে গায়েব হয়ে যায়। আমি উদভ্রান্তের মতো হয়ে যাই। তখন তুরস্কের এক পুরুষ আমাদের রাস্তা খুঁজে পেতে সাহায্য করে। বেঁচে থাকতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। আমি আমার সন্তানদের ভালো একটা জীবন দিতে চেয়েছি, তাদের স্বাভাবিক একটা জগতে নিয়ে যেতে চেয়েছি।আইএসের হয়ে খেলাফত কায়েম করতে জন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিল। সে আইএসের নেতৃস্থানীয় প্রচারকারী ছিল। এরপর আমাদের আর কখনো দেখা হয়নি। পরে জানতে পারি, সিরিয়াতে জন আবার বিয়ে করেছিল। গত বছর আমি জানলাম, সে মারা গেছে। সম্ভবত ২০১৭ সালে মার্কিন বোমা হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এখন আমি টেক্সাসে আমার শ্বশুর-শাশুড়ির কাছাকাছি এক বাড়িতে থাকি। আমি জানি, এটা তাদের জন্য এবং আমার সন্তানদের জন্য ভালো। আমার বর্তমান স্বামী একজন ভদ্র মানুষ। আমি আপন সত্তায় স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে ভালোবাসি। " সংগৃহীত ।

মা হিসেবে তানিয়া জয়া চমৎকার শক্ত অবস্থান নিয়েছেন । জঙ্গিরা টার্গেট করে অনারব মেয়েদের যৌন দাসি বানিয়ে বিছানার জিহাদ করে । আগেও একজন বিপাকে পরেছিল নিজ দেশে ফেরার জন্য । তার তিনটি জঙ্গি শিশু কেউই বাচেনি । অনেকেই মুখ খোলেনা ইজ্জতের ভয়ে । ্ক্রাউন প্রিন্স নিউইয়র্কে বলেছিল এই জঙ্গি তাদের সৃষ্টি কমিউনিজম ঠেকাতে । আমরা লাদেনের উত্থান পদে পদে জানি । আরবরা বিভাজিত । পুরাতন মিত্র আর শত্রু অদলবদল হয়ে গেছে । এরদগান ইউরোপ ইউনিয়নে চান্স না পেয়ে আয়া সোফিয়া দখল নিল । এখন গ্রিসকে হুমকি দিচ্ছে দেখিয়ে দেওয়ার । মনে হচ্ছে ইউরোপ আর আরবিয় এশিয়া আসন্ন শিতে বড় ধরনের সংঘর্ষে লিপ্ত হবে । সিরিয়া শেষ ।

গার্ডিয়ান / প্রথম আলো

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

কবিতা পড়ার প্রহর বলেছেন: কি কষ্টকর অভিজ্ঞতা।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: অনেকেই লাইনে আরবিয় বেহেশতই স্বাদ নিতে । এরা ধর্ষিত হতে ইচ্ছুক ।

২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভয়াবহ।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩

শাহ আজিজ বলেছেন: এই ভয়বহতার এজেন্ট আছে আর এরাই মুল হারামজাদা ।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



মুসলমানরা এক ভয়ংকর জীবনের মাঝে আটকে যাচ্ছে, এই ধর্ম এখন যুদ্ধের অনুপ্রেরণা ও কারণ হয়ে দাঁড়ায়েছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের বাংলাদেশেতো আমরাও ছোট বেলা থেকে ধর্মীয় আবরনে মানুষ হয়েছি কিন্তু জঙ্গি হইনি । ৭১ ের পরাজিত শক্তি আমাদের মা বোনের দিকে হাত বাড়িয়েছে । তাদের ঠিক কেমন ইচ্ছা তা জানা মুশকিল না । বাইন্ধা ঝুলাইয়া রাখলেই সব বিপ্লব শেষ ।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
লন্ডনের বাংগালীপাড়া থেকে অনেকেই গেছিল। বাংলাদেশ থেকেও অনেক মহিলা গেছিল টার্কি হয়ে।
যেহাদে গেছিল। ময়দানের যেহাদ না, বিছানা যেহাদ। বিছানা-মশারির ভেতরে যেহাদ!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আরবদের মুল জিহাদ হচ্ছে ধর্ষণ আর তারা সেইসব কুঅভ্যাস ছড়িয়েছে আমাদের বঙ্গে ।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: নারী পুরুষ যেই হোক সমাজের কীট । ধর্মের জন্য ক্ষতিকারক

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫৯

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম তাই

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৪৯

সাগর শরীফ বলেছেন: অথচ এরদোয়ানকে মুসলিমরা মাথায় তুলে রেখেছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমি বুঝিনা এরদোগান এত প্রিয় কেন মেছো বাঙ্গালির কাছে ?? গ্রীসকে চূড়ান্ত হুমকি প্রমান করছে এই শালার পতন আসন্ন । দেখুন ডিসেম্বরেই যুদ্ধের দামামা বাজবে ।

৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫০

সোহানাজোহা বলেছেন: বাংলাদেশী প্রবাসীদের মাঝে হঠাৎ “অতি মুসলিম” হবার প্রবণতা দেখা দেয় - এটি ভয়ঙ্কর একটি নিদর্শন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: গালি দিব আবার কাজ করব সেই নাছারা ইহুদিদের । তাদের অর্থে পুষ্ট শরীর । আবার ঐ রাষ্ট্র ছাড়তেও চায়না ।

৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:০৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: অভিভাবকরা ভিন্ন পরিবেশে বাচ্চাদের নিয়ে যান অথচ ভিন্নতা গ্রহণ করলে ভয়ানক ভাবে বাঁধা দেন। এটা খুব স্বাভাবিক চিত্র অভিভাসিদের মধ্যে দুই রকম মনবৃত্তির মানুষ তৈরি হয়।
মেয়েটার গল্প পড়ে মনে হলো সে ওস্টার্ন লাইফ পছন্দ করে অথচ বিদেশী ছেলে জন মুসলিম বলে পরিবারের ধারবাহিকতায় তাকে পছন্দ করে অথচ বুঝতে পারেনি জনের তখন মাথা আউলা হয়ে গেছে মুসলিম হয়ে।
এ সময়ের করুণ গল্প।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে জন'রা । তাদের কাজ অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ফুসলিয়ে সিরিয়ায় পৌঁছে বেরাদারে আরাবিয়ার হাতে আমানত হস্তান্তর । সবাই মুখ খোলে না কিন্তু আমরা জেনেছি এরা যৌন দাসি হিসাবে সারভ করতে বাধ্য হয় । সুযোগ পেলে পালায় । আরবদের তেলের পয়সা এতই শক্তিশালি যে তা দুর্দম ।

৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এরা প্রথমে নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে পরে মোটিভেট করে।তখন ভিকটিম একটা মোহে পড়ে যায়।পরে ফেরার আর পথ থাকে না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৭

শাহ আজিজ বলেছেন: ফিরে আসে বটে তবে মুখ লুকিয়ে গোপন জীবন যাপন করে।

১০| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কোনো বিষয়েই চরমপন্থা মানব সভ্যতার জন্য মঙ্গোল বয়ে আনতে পারে নি, পারে না। আস্তিকতা বা নাস্তিকতা এদুই বিপরীত মেরুর আদর্শবাদীদের মধ্যেই যখনই চরমপথ এসে ভর করে তখনি যত রকম নৈরাজ্য, হিংস্রতা ও অমানবিকতার বিস্তার ঘটে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৯

শাহ আজিজ বলেছেন: ঐ বদমাইশদের টাকার অভাব নাই । খাস্লত হইতাছে অন্য জাতের মেয়েদের ভোগ করা । লুম্পেন কোন ধর্মীয় পরিচয় হতে পারে না ।

১১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

সাগর শরীফ বলেছেন: স্যার এরদোগান সব বাঙালীর প্রিয় নয়। কথায় কথায় জিহাদের হুমকি দিয়ে এরদোগান প্রিয় হয়েছে জামায়তী মুসল্লিদের কাছে। যারা নারায়ণগঞ্জে মসজিদে আগুন লেগে নামাজী মাারা যাওয়াতে শঙ্কিত নয় কোরআন পোড়ে নাই সেটাই তাদের কাছে হাইলাইটেড। এখন কোরআন পুড়ে যাক সেটা কোন মুসলমান চায়, কিন্তু একজন মুসলমান মারা গেলে মুসলমান হিসেবে খারাপ লাগাটাও তো আসে। যুদ্ধ তো বাধবেই, এরদোগান যুদ্ধই চায়। সে যুদ্ধের নিজের পাতা জালে এরদোগান নিজেই ধরা পড়লে নাম খারাপ হবে মুসলমানদের। এমনিতেই মুসলমানদের রেপুটেশন খারাপ। এরদোগানের সমর্থন করা মানে নিজের পায়ে কুঠারাঘাত করা ছাড়া কিছুই না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: সঠিক , সহমত । আমরা আধুনিক সময়ের মানুষ । রাষ্ট্র ব্যাবস্থার উন্নয়ন চাই । আরবদের যন্ত্রনা আমাদের নয় মোটেও । এরদোগান একটা ভাঁড় ছাড়া কিছু নয় ।

১২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

আল ইফরান বলেছেন: গার্ডিয়ানে এই লেখাটা কয়েকদিন আগেই পড়েছি, প্রথম আলো অনুবাদ করে ছাপিয়েছে আবার।
এইখানে মিস জয়া যেই ইনোসেন্ট রোল প্লে করতেছেন, তাকে কিন্তু সেইটা ভাবা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। শামীমার সাথে উনার তফাৎ একটাই যে উনি সময়মত পালাতে পেরেছিলেন (অবশ্যই জংগী স্বামীর বদান্যতা), আর শামীমা ক্যাম্পের কাটাতারে বন্দী হয়ে গেছে।

১। কারি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা (এর বাইরে ৮০ দশকে কিছু হওয়া ব্যতিক্রম) পরিবারের সন্তান হিসেবে তার দরকার ছিলো ইংলিশওম্যান হওয়ার আগে নিজেকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। কিন্তু আত্নপরিচয় সংকট থেকে উদ্ভুত হীনমন্যতাবোধ তাকে সেই পথে নিয়ে যায় নি।

২। অনলাইনে ফতোয়া পড়ে যদি কেউ নিজেকে ইসলামের জ্ঞানে আলোকিত ভাবে তাহলে এত কোরআন, তাফসীর আর হাদীসের উপযোগিতা কোথায় থাকলো?

৩। বাংগালী মেয়ে তো, উচা-লম্বা-ফর্সা ছেলে দেখলেই ভাবে রাজকুমার। প্রথম দেখায় তো অনেকে একসাথে কফিও খেতে বসে না পশ্চিমা বিশ্বে, সেখানে উনি গিয়েছেন বিয়ে করতে।

ক্রাউন প্রসিকিউশন সার্ভিসের দরকার ছিলো মিস জয়াকে কেইসস্টাডি হিসেবে ধরে নতুন প্রোফাইলিং প্যাটার্ন তৈরি করা যাতে আর কোন শামীমা বেগমের জন্ম না হয়।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৭

শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা !

কঠিন সত্য বলেছেন । হ্যান্ডসাম দেখলেই কাত , আগ পাশ কিছুই দেখে না । যাহোক এই পোস্টের উদ্দেশ্য যারা এখনো সেক্স জিহাদে যাবার স্বপ্ন দেখেন তারা ভাববেন আরও একবার । বাবা , মা , ভাই ,বোন নিয়ে কর্মের জীবন যাপন মুল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত কিনা না জনের মত অ্যাডভেঞ্চার জ্বিহাদীকে সাথে নিয়ে মরনকে বেছে নেওয়া উত্তম ।

মানুষের জীবনে বেচে থেকে সংগ্রাম করাটাই মুল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ।

১৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আই ওয়াশ, ব্রেন ওয়াশ করে মেয়েগুলো ভুলিয়ে ভালিয়ে নিয়ে করা হয় যৌনদাসী। হায়রে ছলনার খেলাফত ধারীরা এভাবেই তোরা মরবি বোমার আঘাতে।

যারা প্রকৃত ইসলাম মানে, জানে, বোঝে তারা এসবে জড়ায়না।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: রোমানরা যুদ্ধ বন্দিদের দিয়ে রক্তাক্ত খেলা খেলত । এযুগে খেলছে আরবরা । আমাদের প্রজন্ম দেখবে এই আরবরা বোচকা ভরা সোনা নিয়ে দৌড়াচ্ছে আর পিছে ধাওয়া করছে গরিব প্রতারিত আরবরা ।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ব্লগার আল ইফরান এর সাথে পুরোপুরি একমত।
চালাক হলেই হয় না। জ্ঞান থাকতে হয় যেটি জয়ার ছিলো না, আজো নেই। জয়া কি নতুন কোনো প্লান করছে তা জয়া জানে আর জয়ার আল্লাহ জানে। (জয়ার আল্লাহ এই কারণে বলেছি - জঙ্গির আল্লাহ আর আমার আল্লাহ কখনোই এক নন)

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

শাহ আজিজ বলেছেন: জয়ার ব্যাপারটা আসলেই সন্দেহজনক । গোয়েন্দারা নিশ্চয়ই তাকে অনুসরন করছে ।

১৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই ভয়বহতার এজেন্ট আছে আর এরাই মুল হারামজাদা ।

ঠিক বলেছেন।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ

১৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এখন তো বেশ আছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭

শাহ আজিজ বলেছেন: এখন নয়া স্বামী নিয়া আছে ।

১৭| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

সোহানী বলেছেন: এই মেয়েগুলোর মাথায় সবসময়ই বুদ্ধির ঘাটতি। একবার হতে চয় ব্রিটিশ আরেকবার হতে চায় জিহাদী আবার হতে চায় আম্রিকান! এখানে নিজেকে সে ধোয়া তুলশিপাতা হিসেবে তুলে ধরার চেস্টা করছে। যেহেতু জনকে পাওয়া যাচ্ছে না সাক্ষাতকারের জন্য তাই তার কথাই মেনে নিতে হচ্ছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৪

শাহ আজিজ বলেছেন: জন মারা গেছে আর কোন খবর পাওয়া যাবেনা । তবে ওর হাফ বেহেস্তের টিকেট হয়ে গেছে ।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আরেক জন আছে ।
তার নাম শামীমা বেগম।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬

শাহ আজিজ বলেছেন: শামিমা কোন কুল কিনারা না পাইয়া নানা জায়গায় চেষ্টা করছিল , জানিনা এখন কোথায় সে । তার তিন বাচ্চা মারা গেছে ।

১৯| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩২

জাহিদ হাসান বলেছেন: এদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া দরকার।এদের কারণে সিরিয়া ও ইরাকের লক্ষ লক্ষ মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪১

শাহ আজিজ বলেছেন: কে দেবে মৃত্যু দণ্ড । এদের নিয়ে খেলছে সউদ আর হোয়াইট হাউস ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.