নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯৫ সালে চেন্নাইয়ের পানাগাল পার্কের উল্টোদিকে মিষ্টির দোকান দেখে আমরা ঢুকে পড়লাম । আমাদের হাতে অনেক শপিং ব্যাগ । অনেক রকম মিষ্টির মধ্যে আমরা দু তিনটি মিষ্টি খেতে চাইলাম দাড়িয়ে । ওরা তাই দিল । কালো জাম খেতে গিয়ে মনে হল থুতনি বেয়ে যা পড়ছে তা ঘিয়ের মত । আমি ক্যাশিয়ারকে জিজ্ঞাসা করলাম এই মিষ্টির মধ্যে কি কেমিক্যাল যা ঘিয়ের মত স্বাদ দেওয়া হয়েছে । সে হেসে বলল ঘি দেওয়া মানে ঘিয়ে ভাজা । লোক বাড়ছে , আমরা আরও দুকেজি বিবিধ মিষ্টি বেধে দিতে বললাম , হোটেলে নিয়ে যাব । বেড়ে যাওয়া ভিড়ের মধ্যেও তারা আমাদের অনুরোধ রেখেছে । কাল কালী পুজা । মিষ্টি নিতে লাইন বড় হচ্ছে । লোকটি বুঝতে পেরেছে আমরা বাংলাদেশের । আমি বললাম কিভাবে সম্ভব এই দামে ঘিয়ে ভাজা মিষ্টি । তার হাত চলছে দ্রুত আর মুখ চলছে আমার জন্য । ছয় সাতজন সেলস ম্যান দ্রুত মিষ্টি বাধছে , ভিড় বাড়ছে । চেন্নাইয়ে আজ দুধের দাম ৩. ১২ আনা লিটার ছিল । এই দুধ আসে কেরালা দুগ্ধ সমবায় সমিতির ট্রাকে চেন্নাই এবং অন্যান্য শহরে । প্রতিটি বাড়িতে গাই আছে । ভোর রাতে মেশিন দিয়ে দুধ দুইয়ে ছোট ড্রামে বাড়ির সামনে হাইওয়ের কিনারে রাখা থাকে । মিল্ক ট্রাক এসে ওগুলো খালি করে দ্রুত দুধ নিয়ে চলে যায় । হাজার পয়েন্ট থেকে কয়েক ডজন ট্রাক দুধ নিয়ে সকাল নয়টার মধ্যে চেন্নাইয়ে কারখানায় । এরপর তা থেকে মিষ্টি বানিয়ে এইসব আউটলেটে । শুনেছি দুধ বেশি হলে নাকি দাম ঠিক রাখতে সমুদ্রে ফেলে দেয় । সে হাসল এবং বলল এখন বাড়তি দুধ দিয়ে ঘি , পনির তৈরি হয় যা পুরো ভারতের ব্যাবসায়িরা নিয়ে যায় । আমোদিত আমি । শ্রদ্ধা বেড়ে গেল । দোকানের বাইরে ২০০ গজ লাইন , মিষ্টি কিনবে। ওদের প্রচণ্ড ব্যাস্ততার মধ্যে বিগ থ্যাংক ইউ বলে বেরিয়ে এলাম । গভীর রাতে ঘুম থেকে উঠে আমি আর আমার সঙ্গী মিষ্টি খেয়েছি নিত্য। একেক মিষ্টির একেক স্বাদ ।
পুরো সমবায় সমিতির ফান্ডে ওই ট্রাক , পাম্প মেশিন , বড় বোতল সব কেনা । ওই এলাকার মানুষ ভাল কিছু করছে এতেই খুশী ।
সন্ধ্যায় একটি মার্কেটে গেলাম । ৬ তালা মার্কেট পুরোটাই তামিলনাড়ু বস্ত্র সমবায় সমিতির ৬০ হাজার মেম্বারদের । মহাবলিপুরম এবং কাঞ্জিভরমে যে হ্যান্ডলুম আর মেশিনে কাপড় , শাড়ি তৈরি হয় তাই সমিতির দোকানে এবং অন্যান্য প্রদেশেও বিক্রি হয়। তামিল মহিলারা টিকেট দিয়ে কেনাকাটা করছিল । জানলাম এরা সমিতির সদস্য বলে তাদের লভ্যাংশের অর্থের বদলে টিকেট দিয়ে কেনাকাটা করছে । সুতা তৈরি , রঙ দিয়ে রাঙ্গানো , শাড়ি কাপড় বয়ন , অটো মেশিনে শাড়ি কাপড় বয়ন , মাড় দেওয়া , ইস্ত্রি করে প্যাকেট করা এই বিশাল ৬০০০০ সদস্যদের কাজ । বিশাল কর্মযজ্ঞ । আমি ১৯৯৫ সালের কথা বলছি ।
কলকাতায় ১৯৯৬ সালে একদোকানে দাড়িয়ে অপেক্ষা করছি মালিকের জন্য । পাশেই একলোক লিখছেন নতুন অর্ডার । তিনিও টাকার জন্য মালিকের অপেক্ষায় । জানলাম কলিকাতার কাছেই উপশহরে তাদের কর্মকাণ্ড । সালোয়ার কামিজ বানান তারা ১৪ জন সমবায়ী । ব্লক প্রিন্টিং এবং বাজার থেকে কাপড় কিনে তা কাটিং করে সেলাই করা তাদের কাজ । তিনি টাকা পয়সা সংগ্রহ , মাল পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদির কাজ একাই করেন । তিনি আমায় জানালেন কলকাতার চারিদিকে যে ৬০ টির অধিক উপশহর গড়ে উঠেছে সেখানের মানুষেরা হাজারো সমিতি করে নানা পন্যের উৎপাদন করেন । বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন থাকায় তাদের খুব উপকার হয়েছে আসা যাওয়ায় । কলকাতা নিউমার্কেটে যা কিছু পাওয়া যায় তার প্রায় সব এইসব ছোট সমবায়ী দলগুলো বানায় । পারিবারিক দল বেশি যেমন ভাইয়েরা , স্ত্রীগণ , ছেলেমেয়ে , তাদের জামাই বউ মিলে বড় একটি দল । ভাল লাগলো ঐ লোকটির সাথে দেখা হয়ে । ওরা সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে লোণ তুলে তা ব্যাবহার করে পন্য তৈরিতে ।
২০০৬ সালে গুয়াংচৌ শহরের পাশেই ফোঁসানে গেলাম এক মোবাইল ফোন ব্যাবসায়ির সাথে । নির্জন গ্রাম । বড় চালাঘরের নিচে গ্লাসে উকি দিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে রইলাম । এখানে যে মোবাইল সংযুক্তি চলছে তা বাংলাদেশে গেলে নকিয়ার ষ্টিকার বসিয়ে বিক্রি হবে । একশ মহিলা কাজ করছে কেসিঙে মাদারবোর্ড বসিয়ে , পি ডি এফ , স্পিকার , মনিটর লাগিয়ে সেট প্যাকেট করা ইত্যাদি । এই জিনিসগুলো বিবিধ জায়গা থেকে এসেছে একইরকম কুটির শিল্পের মত তৈরি হয়ে । এরা শুধু আসেম্বলিং করে । ও বলল আরও ব্র্যান্ড তৈরি হয় অর্ডার মোতাবেক । স্থানীয় আইনে কোন বাধা নেই তবে গুয়াংচউ মেগা শহরে এটা নিষিদ্ধ । যার জন্য মোবাইল মার্কেটে পুলিশ এলে ওরা সরিয়ে ফেলে মাল গুলো । এভাবেই শত পরিবার ঘরে বসেই তৈরি করছে আর শত মহিলা এখানে তা সংযোজন করে বাজারে এবং রফতানিকারকদের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে । নকিয়ার ব্র্যান্ড যারা তৈরি করে তারাই একসময় এর মোলড আর অন্যান্য প্রযুক্তি নিয়ে আসে । এরপর ঘরে শুরু হয় উৎপাদন । এর পেছনের প্রতিটি মানুষের ইলেক্ট্রনিক্স সন্মন্ধে আইডিয়া আর কাজের অভিজ্ঞতা আছে । হাজার রকম ইলেক্ট্রনিক্স নকল আইটেম এভাবেই চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে চলেছে। এরপর আমি বেইজিং লু তে দোকানে গেলেই নকল আর আসল মাল চিনতে পারতাম তবে যাই বলুন হাই টেক প্রকৌশল চীনাদের সর্বময় ক্ষমতা এনে দিয়েছে প্রোডাক্ট তৈরিতে । গেস্ট হাউসে কয়েকজন বাঙালি ঐ মোবাইল চেক করে ৫৩ পিস মন্দ মাল পেলো ৩০০ পিসের মধ্যে । ওরাই আমায় পুরো পিকচার বুঝিয়ে বলল কিভাবে হ্যান্ডলিং হয় গুয়াংচৌ টু ঢাকা বিমান পথে চোরাই রুট ।
অনেক বিষয় আছে যাতে নীতিবাগীশ হলে পেটে ভাত জোটেনা , জি ডি পিও বাড়ে না ।
উপরের আলাপে বোঝাতে চাইলাম যে আমাদের অফুরন্ত সম্ভাবনা ছিল যা আমরা কাজে লাগাইনি এবং লাগাবওনা কখনো । আমাদের উদ্দেশ্য অসৎ । নামাজ পাচ ওয়াক্ত পড়ি আর দশ ওয়াক্ত পাপকাজ করে ব্যালান্স রাখি । শ্রমবাজারের দিকে আমাদের শানি নজর । ওখানে শারীরিক শ্রম ছাড়াই অনেক টাকা আয় করে দেশি ভাইকে দেশি মা বোনকে বিক্রি করতে আমাদের ইমান নষ্ট হয়না ।
সময় চলে যায়নি । আমরা এখনো সাইজ করতে পারি রাষ্ট্র , উৎপাদন আর স্থানীয় শিল্প বিকাশে ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: মিল্ক ভিটার চমকপ্রদ ভিডিও দেখলাম পরশু । বস্তার গুড়া দুধ মেশিনে ঢালছে খাটি সহিহ দুধ বানানোর জন্য । এভাবেই বিশাল প্রতারনায় জড়িয়ে এই প্রতিষ্ঠান মাথা উচু করে দৌড়াচ্ছে ।
আমাদের ব্যাসিক পচে গেছে । সন্মিলিত সরকার দরকার , দেশ বাচাতে ।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মাছের মাথা পঁচে আগে
আমাদের রাজনীতরি পঁচেছে
তাই বাকী সব ক্রনিক আক্রমনে ধরাশায়ী!
আপনি সমবায় করতে যান- ইউনিয়ন মেম্বর, উপজেলা-সেক্রেটারী, জেলা - সভাপতি, নানা ঘাটে ঘাটে যে বাঁধা
তা দূর করতে যে খরচা- ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি বলেই পালায় উদ্যোক্তারা!
মাথা ঠিক হলে দশে এগিয়ে যাবে তরতর করে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি একটি বিদেশি কোম্পানিতে চাকুরিতে থাকাকালিন দেখেছি কিভাবে নিচু থেকে উপর পর্যন্ত ঘুষের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । একজন এম পি আমায় ফোন করে বললেন তার কোটার লোকদের নিতে হবে কারখানায় । অভিজ্ঞতা নেই তাদের । আজকে আমরা কঠিন সময়ে দাড়িয়ে । রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রনে দর কষাকষি চলছে মনে হয় যদিও বাইরের জীবন থেকে আমি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন । টেলিফোনে আলাপ একটি অপরাধ ।
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি সমবায় করেছেন, কিংবা করবেন?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: না । ইচ্ছে নেই তবে উপদেষ্টা হতে পারি ।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "লেখক বলেছেন: না । ইচ্ছে নেই তবে উপদেষ্টা হতে পারি । "
-এর থেকে বড় কোন পোষ্ট নেই?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
শাহ আজিজ বলেছেন: ক্যান এইটারে ছোট মনে হয় ? এরচে বড় আমার কাছে নাই ।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সাগর শরীফ বলেছেন: স্যার আমাদেরও সমবায় ব্যবস্থা আছে। অনেক এনজিও আছে। আমরাও লোন করি, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারিনা। ১. আমাদের উন্নতির সদিচ্ছা নেই ২. সঠিক গাইডেন্স নেই। তাই লোনের টাকা যায় বিফলে। এখন দেনা তো ঘাড়ে পড়েছে। কি করব? দেই এলাকা ছেড়ে পালান। আর যারা পালাতে পারি না তাদের মধ্যে প্রচলিত কথা হল,
"চাল ফুটো হয়ে পড়ে বৃষ্টি
রাত পোহাইলে কিস্তি"
কিভাবে করব উন্নতি স্যার?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৮
শাহ আজিজ বলেছেন: অ্যাসেসমেনটে সমস্যা ছিল । সরকারের উচিত এম এল এম বন্ধ করে দেওয়া । রাজনইতিক সরকার জনগনের ঘাড়ের ওপর চেপে , কাকে নালিশ করব ।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
সাগর শরীফ বলেছেন: এটা তো সেচ্ছায় দারিদ্র্যের নিচে চাপা পড়া হল স্যার। আমাদের উত্তরণের উপাায় কি? তাহলে কি ইচ্ছা থাকলেও উপায় হচ্ছে না?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: ২০২০ সালে একধরনের শেকলে আবদ্ধ আমরা । গুড গভারনেন্সের মাধ্যমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে , তবেই আশা ।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অসাধারণ একটি পোস্ট।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: ধোলাইখাল-জিঞ্জিরার অবহেলিত শিল্পের জন্য মাত্র ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা আয় আর লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হতো।
ওরাই মোবাইল, আই টি সামগ্রীসহ আরো বিভিন্ন জিনিস বানাতে পারতো।
আমদানীর জন্য ব্যায় হওয়া লক্ষ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বাচতো।
কিন্ত এসব করবে কে?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: এই মুহূর্তে লেখালেখিও বিপজ্জনক ।
ধোলাইখালের কিছু লোককে জাপান নিয়েছিল ট্রেনিং করিয়ে ঢাকাতেই কিছু শুরু করবে ।
কারা যেন বাধা হয়ে দাঁড়ালো আর তাই বন্ধ হল সেই প্রকল্প । ৯০ সালের কথা এটি ।
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৩
জুন বলেছেন: আমি কয়েকবছর আগে পুরী গিয়েছিলাম । স্বর্গদুয়ার সমুদ্র তট থেকে জগন্নাথ মন্দিরে যাবার রাস্তার দুধারে সমস্ত শাড়ীর দোকান সমবায় সমিতির অধীনে । সব দোকানে একই দাম । এতে ভালোই হয়েছিল দরদাম করে সময় নষ্ট হয়নি ।
চেন্নাই এর কাঞ্চিপুরমে হঠাৎ যাওয়া হয়েছিল , টাকা পয়সা সব হোটেলে । কাঞ্চিপুরমের এক ফ্যকট্রীতে একটি কাঞ্চিপুরম শাড়ী পছন্দ হলো কিন্ত সাথে তো টাকা নেই । ওরা জোর করে সেই দামী শাড়িটা দিয়ে দিল বল্লো আমাদের লোক কাল সকালে তোমাদের হোটেলে যেয়ে টাকা নেবে । আমরা খুবই অবাক হয়েছিলাম ।
আমরা কাউকে বিশ্বাস করি না । ব্যাবসায়ীরা ক্রমাগত আমাদের ঠকাচ্ছে । আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন না হলে কোন উন্নতির সম্ভাবনা নাই । তবে সবচেয়ে আগে দরকার মুখ বন্ধ করা , কথা বললেই কতগুলো মিথ্যা কথা বেরিয়ে আসে । যেই জাতি যত কম কথা বলে তারা তত উন্নত এইটা আমার অবজার্ভেশন
+
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: পুরীর অবস্থাতো তাহলে পাল্টে গেছে ।
তামিলনাড়ুর অবস্থা কিছুটা ভিন্ন । খাবার , হোটেল , যাতায়াত সস্তা । পণ্ডিচেরি সমুদ্রের পারে চারদিন ছিলাম । কাঞ্জিভরম যেতে পারিনি সময়ের অভাবে ।
১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বহুবার দিয়েছি ,যখন মাদ্রাজ ছিল এবং চেন্নাই হবার পরও।প্রথম প্রথম যেত হত আমার ছোট শালিকা মাদ্রাজ আইআইটিতে পড়তো,ওকে দিয়ে আসতে এবং নিয়ে আসতে।পরে অবশ্য নিজের কাজে।কিন্তু এমন করে দেখা হয় নাই।একেই বলে জহুরী জহর চিনে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা
১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমার কাজে একটা পুরাতন নোকিয়া সেইম এখনো আছে ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০২
শাহ আজিজ বলেছেন: সব দুই নম্বর
১২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৩
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের দেশের ব্যাপারে আমার বিন্দুমাত্র আশাবাদ নেই।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
শাহ আজিজ বলেছেন: নষ্ট হয়ে গেছি আমরা ।
১৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: পরবর্তী জেনারেশনের প্রতি যে ভরসা করবো, সেই পথও বন্ধ। সারাদিন মোবাইল নিয়ে ঝুঁকে পড়া নতুন জেনারেশন মাথা তুলে দাঁড়াবার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সব শেষ ভাই, সব শেষ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: উপযুক্ত শক্ত সামর্থ্য অরাজনৈতিক সরকার প্রয়োজন । চীনে উৎপাদকরা কখনো রাজনীতি করেনা , অর্থনীতি তাদের মুল বিষয় । মেক লিভিং হার্ড । ইন্টার বা এইটের পর কারিগরি শিক্ষা মাস্ট । সরকারি ক্যাডারের পাশাপাশি বেসরকারি ক্যাডার চালু করতে হবে । এরাই পথ দেখাবে । রাজনিতিকদের ভাসানটেক পাঠালে ভাল হবে । গেল ৫০ বছরে কেউ রাজাকার কেউ বাম কেউ জঙ্গি নিয়ে কি তামাশা দেখাইল , কিন্তু কেন । শিক্ষিত পেশাজীবী নেতৃত্ব ছাড়া উপায় দেখি না । চীনারা আমায় ৯১ সালে জিজ্ঞাসা করেছিল তোমাদের সাধারন জনগন কি গৃহবধুদের ক্ষমতায় দেখতে পছন্দ করে ? লজ্জায় মাথা হেট হয়ে গিয়েছিল । এই ক্যাটাগরির চুতিয়া জনগণকেও সাইজ করতে হবে ।
আমি আশা ছাড়িনি ।
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: দুদক কিছু না করলে করছেটা কে?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৭:৪৬
শাহ আজিজ বলেছেন: ইউ হ্যাভ ডায়ালড এ রঙ নাম্বার
১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৫
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইউ হ্যাভ ডায়ালড এ রঙ নাম্বার
স্যরি জনাব, ভুলে এই মন্তব্য করে ফেলেছি। ক্ষমা প্রার্থী।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন:
আমি প্রথমেই বুঝছি অন্য পোস্টের মন্তব্য আমারটায় ঢুইকা পড়ছে ।
১৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চিট ফান্ড বলে একটা জিনিসের নাম শুনেছি ভারতে। এটার ব্যাপারে কিছু জানেন?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমিও , বিস্তারিত জানিনা ।
১৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০৪
পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। জাতিগতভাবেই আমরা খানিকটা ধোঁকাবাজ মনে হয়। তার উপর যখন কিছু মানুষ অন্যায় সুবিধা নেয়ার মাধ্যমে দ্রুত ধনী হয়ে যেতে পারে, তখন পুরো সিস্টেমটাই ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। তখন আর কোনো সম্ভাবনাই কাজ করে না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৩
শাহ আজিজ বলেছেন: জাতিগতভাবে নয় তবে রাষ্ট্র আর বহু মতবাদের ছিটে ফোটা আমাদের মানুষের বড় শ্রেনিতে খুব প্রভাব ফেলেছে । একসময় গ্রামে একজন টাউট খুজে পাওয়া যেত , এখন একজন ভাল মানুষ খুজে পাওয়া মুশকিল । সবার মোরাল সেন্সকে নষ্ট করেছে অপেশাদার রাজনিতিকরা । তাদের সমর্থন দিয়েছে জেনারেলরা আর সি পি গ্যাং তো আছেই বরাবর । আমরা ২০২০ সালে খুব দুর্বোধ্য জাতি রুপে উপস্থাপিত করেছি নিজেদের ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫১
আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার কিছু অভিজ্ঞতার বয়ান। বেশ লাগল।
ভারতে সমবায়ে সাফল্যের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে গুজরাটের 'আমুল', যেটা মিডিয়া নাম দিয়েছে 'সাদা বিপ্লব'। একটি সমবায় যে গোটা সমাজের চিত্র বদলে দিতে পারে, সেটা এই আমূল করে দেখিয়েছে।
আর আমাদের মিল্ক ভিটা ধুঁকছে নানারকম অরাজকতায়। প্রশাসনিক জটিলতা ও দূর্নীতি এ দেশে সমবায়কে কোনঠাসা করে রেখেছে।