নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীতে ইহুদীদের মোট সংখ্যা দেড় কোটির মত। একটি মাত্র ইহুদী রাষ্ট্র – ইসরাইল। ইসরাইলে ইহুদীর সংখ্যা ৫৪ লাখ, অবশিষ্ট প্রায় এক কোটি ইহুদী সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে। এর মধ্যে আমেরিকাতে ৭০ লাখ, কানাডাতে ৪ লাখ আর ব্রিটেনে ৩ লাখ ইহুদী থাকে। ইহুদীরা মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ২%, আর পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.২%। অর্থাৎ পৃথিবীর প্রতি ৫০০ জনে একজন ইহুদী! কিন্তু জনসংখ্যার দিক দিয়ে ঢাকা শহরের কাছাকাছি হলেও বিশ্বে ইহুদি সম্প্রদায় থেকে যুগে যুগে বেরিয়ে এসেছে অসংখ্য প্রতিভাবান ব্যক্তি।
প্রধান ধর্মগুলোর পর পৃথিবীতে যে মতবাদটি সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলেছে সেই কমিউনিজমের স্বপ্নদ্রষ্টা কার্ল মার্কস ইহুদি সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।
বিশ্বের মানুষকে মুগ্ধ করে রাখা যাদু শিল্পি হুডিনি ও বর্তমানে ডেভিড কপারফিল্ড এসেছেন একই কমিউনিটি থেকে।
এসেছেন আলবার্ট আইনস্টাইনের মত বিজ্ঞানী, যাকে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী বলা হয় আর প্রফেসর নোয়াম চমস্কির মত শিক্ষাবিদ ও দার্শনিক যাকে প্রদত্ত ডক্টরেটের সংখ্যা আশিটির ও বেশি।
এর অন্যতম কারণ সাধারণ আমেরিকান রা যেখানে হাইস্কুল পাশকেই যথেষ্ট মনে করে সেখানে আমেরিকান ইহুদীদের ৮৫% বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া।
আর আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর দৃষ্টান্ত হচ্ছে এমনঃ ওআইসি-র ৫৭টি দেশে বিশ্ববিদ্যালয় আছে পাঁচ হাজারের মত, আর এক আমেরিকাতেই বিশ্ববিদ্যালয় আছে প্রায় ছয় হাজার এর কাছাকাছি।
ওআইসি ভুক্ত দেশগুলোর একটা বিশ্ববিদ্যালয়ও যেখানে The World University Ranking সাইট এর প্রথম ১০০টা বিশ্ববিদ্যালয়েরর মধ্যে স্থান পায়নি, সেখানে প্রথম একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে আমেরিকার ৪৫টা বিশ্ববিদ্যালয়। (প্রথম দশটার মধ্যে সাতটা)
যেখানে প্রথম ২০০ র মধ্যে ওআইসি-ভুক্ত ৫৭ টি মুসলিম দেশের একটি মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে তুরস্কের Bogazici University (১৯৯ তম)
সেখানে আমেরিকার বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ২০% স্টুডেন্টস ইহুদী সম্প্রদায় থেকে আসা।
আমেরিকান নোবেল বিজয়ীদের মোটামুটি ৪০% ইহুদী অর্থাৎ নোবেল বিজয়ী প্রতি চার থেকে পাঁচ জনের একজন ইহুদী।
আমেরিকার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসররা ইহুদী।
আমেরিকার উত্তর পূর্ব উপকূলের ১২ টি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়কে এক সাথে আইভি লীগ বলা হয়।
২০০৯ সালের ১টি জরিপে দেখা গেছে আইভি লীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক’জন ভিসি-ই ইহুদী।
হতে পারে ইহুদীরা আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ২ শতাংশ, কিন্তু আমেরিকান রাজনীতিতে তাদের প্রভাব একচেটিয়া। আমেরিকার ১০০ জন সিনেটরের ১৩ জন ইহুদী।
এর চেয়ে ভয়ংকর তথ্য হল ইহুদীদের সমর্থন ব্যতীত কোন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হতে পারেনা, কোন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেনা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের প্রভাব যতখানি- আমেরিকান রাজনীতিতে ইহুদীদের প্রভাব তার চেয়েও অনেক অনেক বেশি।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্বাচনী ফাণ্ড বা তহবিল সংগ্রহ একটা বড় ধরণের চ্যালেঞ্জ। বারাক ওবামা বা ক্লিনটন নিজের টাকায় প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন না। ডোনেশান এবং পার্টির টাকায় তাদের নির্বাচনী ব্যয় মিটাতে হয়েছে। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ফাণ্ড দাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে – AIPAC – America Israel Public Affairs Committee. ::
আমেরিকার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকগুলো ইহুদীদের দখলে। ফলে আমেরিকার কেউ চাইলেও এদের কিছু করতে পারবে না। বরং জুইশ কমিউনিটি বা ইহুদি সম্প্রদাকে হাতে না-রাখলে ক্ষমতায় টেকা যাবে না। এসব কারণে শুধু জুইশ কমিউনিটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে ক্ষমতাসীন মার্কিন প্রেসিডেন্টে প্রশাসনের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যেতে হয়।
আমেরিকার রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ করে মূলতঃ কর্পোরেট হাউজগুলো। তারা প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বানাতে পারে, এবং প্রেসিডেন্টকে সরাতে পারে। এসব কর্পোরেট হাউজগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় এদের মালিক কিংবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পানিগুলোর মূল দায়িত্বে থাকা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার, সিইও হলেন ইহুদী কমিউনিটির মানুষ।
এই কথা মাইক্রোসফটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জাপানিজ কোম্পানি সনির আমেরিকান অফিসের জন্যও সত্য। প্রায় অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ পদে জুইশ আমেরিকানরা কাজ করছেন। জুইশ কমিউনিটির ক্ষমতাধর বিলিয়নেয়াররা মিলিতভাবে যে-কোনো ঘটনা ঘটিয়ে দিতে পারেন।
মিডিয়া জগতে যদি আপনি তাকান তাহলে দেখবেন;
CNN, AOL, HBO, Cartoon Network, New line cinema, Warner Bross, Sports illustrated, People – Gerald Levin – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
ABC, Disney Channel, ESPN, Touchstone pictures – Michael Eisner – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Fox Network, National Geographic, 20th century Fox Rupert Murdoch – ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
Top 4 famous Newspapers of USA & their editors
New York Times – Arthur Sulzberger
New York Post – Rupert Murdoch
Washington Post – K.M. Graham
Wall street journal – Robert Thomson
সব কয়টি খবরের কাগজ ই ইহুদী মালিক নিয়ন্ত্রিত।
আপনার প্রিয় মিডিয়া ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা Mark Zuckerberg পর্যন্ত একজন ইহুদী।
ইরাকের বিরুদ্ধে আমেরিকার আগ্রাসনকে সাধারণ আমেরিকানদের কাছে বৈধ হিসেবে চিত্রায়িত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ফক্স নিউজ। বিশ্ববিখ্যাত মিডিয়া মুগলরুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণাধীন এরকম প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই জুইশদের সমর্থন দিয়ে এসেছে। রুপার্ট মারডকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সারা বিশ্বের ১৮৫ টি পত্রপত্রিকা ও অসংখ্য টিভি চ্যানেল। বলা হয় পৃথিবীর মোট তথ্য প্রবাহের ৬০% ই কোন ন কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করে রুপার্ট মারডকের The News Corporation.
টিভি চ্যানেলগুলোর মধ্যে এবিসি, স্পোর্টস চ্যানেল, ইএসপিএন, ইতিহাস বিষয়ক হিস্টৃ চ্যানেলসহ আমেরিকার প্রভাবশালী অধিকাংশ টিভি-ই ইহুদিরা নিয়ন্ত্রণ করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
আমেরিকায় দৈনিক পত্রিকা বিক্রি হয় প্রতিদিন কমপক্ষে ৫৮ মিলিয়ন কপি। জাতীয় ও স্থানীয় মিলিয়ে দেড় হাজার পত্রিকা সেখানে প্রকাশিত হয়। এসব পত্রিকাসহ বিশ্বের অধিকাংশ পত্রিকা যে নিউজ সার্ভিসের সাহায্য নেয় তার নাম দি এসোসিয়েটেড প্রেস বা এপি (AP)। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন নিয়ন্ত্রণ করছেন এর ইহুদি ম্যানেজিং এডিটর ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল সিলভারম্যান। তিনি প্রতিদিনের খবর কী যাবে, না-যাবে তা ঠিক করেন।
আমেরিকার পত্রিকাগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী তিনটি পত্রিকা হলো নিউইয়র্ক টাইমস্ , ওয়াল ষ্টৃট জার্ণাল এবং ওয়াশিংটন পোষ্ট। এ তিনটি পত্রিকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইহুদিদের হাতে।
ওয়াটারগেট কেলেংকারীর জন্য প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিলো ওয়াশিংটন পোষ্ট। এর বর্তমান সিইও ডোনাল্ড গ্রেহাম ইহুদি মালিকানার তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে কাজ করছেন। উগ্রবাদী ইহুদী হিসেবে তিনি পরিচিত। ওয়াশিংটন পোষ্ট আরও অনেক পত্রিকা প্রকাশ করে। এর মধ্যে আর্মিদের জন্যই করে ১১টি পত্রিকা। এই গ্রুপের আরেকটি সাপ্তাহিক পত্রিকা পৃথিবী জুড়ে বিখ্যাত। টাইম এর পরে বিশ্বের দ্বিতীয় প্রভাবশালী এই সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম নিউজউইক।
আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে প্রভাবশালী নিউইয়র্ক টাইমস্-এর প্রকাশক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে ইহুদিরা হয়ে আসছেন। বর্তমান প্রকাশক ও চেয়ারম্যান আর্থার সালজবার্গার প্রসিডেন্ট ও সিইও রাসেল টি লুইস এবং ভাইস চেয়ারম্যান মাইকেল গোলডেন সবাই ইহুদি।
বিশ্বের অর্থনীতি যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তাদের নিয়ন্ত্রণ করে ওয়াল ষ্টৃট জার্নাল। আঠার লাখেরও বেশী কপি চলা এই পত্রিকার ইহুদি প্রকাশক ও চেয়ারম্যান পিটার আর কান তেত্রিশটিরও বেশী পত্রিকা ও প্রকাশনা সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেন।
প্রিয় পাঠক, এবার প্রশ্ন হচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ৩২টা দেশের ৩২ × ২৩ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী???
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
অথবা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের ১৬টা দেশের ১৬ × ১৫ জন খেলোয়াড়ের কতজন ইহুদী????
যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ফুটবলারের কতজন ইহুদী? কিংবা পৃথিবীর বেস্ট ১০০ জন ক্রিকেটারের কতজন ইহুদী?
উত্তর হচ্ছে – একজন ও না।
কেন??????
বছরের কিছু সময় টি টুয়েন্টি আর ফ্ল্যাশ মব, কিছু সময় আইপিএল আর চিয়ার্স লিডার, কিছু সময় ফিফা বিশ্বকাপ বা আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ, বাকি সময় ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ আর স্প্যানিশ প্রিমিয়ার লীগ বা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ নিয়ে ব্যস্ত থাকা আমাদের মনের মধ্যে কী কখনো এই প্রশ্ন আসেনা?
আমার লেখার এটুকু পড়েই অনেকের উত্তর শোনার গরজ থাকার কথা না, তবু উত্তরটা দিয়ে দেই, কেন ইহুদীরা ফুটবল ক্রিকেটে এত পিছিয়ে।
একটা ফুটবলের ব্যাস হয়ত ২০ – ৩০ সে.মি. বা একটা ক্রিকেট বলের ব্যাস আর ও কম হয়ত ১০ – ১২ সে.মি.
ইহুদীরা বিশ্ববাসীকে ১০ – ৩০ সেন্টিমিটারের এই ফুটবল ক্রিকেটের বল নিয়ে ব্যস্ত রেখে ১২৮০০ কিলোমিটার ব্যাসের বেশ বড় একটা ফুটবল নিয়ে খেলছে –
আর এই বড় ফুটবলটাই হচ্চে পৃথিবী!
অনলাইন থেকে সংগৃহিত
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২২
শাহ আজিজ বলেছেন: অর্থ আর টেকনোলজি ইহুদিদের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ।
২| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৩
বিজন রয় বলেছেন: ইহুদীরা জ্ঞানের চর্চা করে, তাই ওরা অত শক্তিশালী।
আর আমরা শুধু ধর্মের চর্চা করি, তাই আমরা দূর্বল।
হাজার বছর ধরে এটাই প্রমাণিত সত্য।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: কার স্বার্থে আমরা জ্ঞানের চর্চা করিনা এটাই বুঝতে কষ্ট হয়।
৩| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:২৯
বিজন রয় বলেছেন: কেন বুঝতে কষ্ট হবে কেন?
পরপারে ভাল থাকার জন্যই ধর্মের চর্চা করি।
তবে হ্যাঁ, হাস্যকর ব্যাপার এই, আমরা শুধু ভুল করেই ধর্মের চর্চা করি।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: একজন ভাল কর্মী অনুশোচনায় ভোগে না যেহেতু তার জীবন অর্থবহ ছিল । সে পৃথিবীকে কিছু দিয়েছে । এরা ধর্ম নির্ভর নয় তবে পালন করে যথা গিভিং এ অংশ নেয় । অপচয় করে না। আমরা অতি ধর্ম নির্ভর এবং অসৎ , মধ্যসত্ত্ব ভোগী সবচে বড় আকাঙ্ক্ষা । অথচ প্রকৌশল যে প্রাইম একটা ব্যাপার তাতে নজর দেইই না ।
৪| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০৭
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বাংলাদেশে যে Recirculating aquaculture systems (RAS) পদ্ধতিতে মাছ চাষ হয়, তা ইসরাইলের উদ্ভাবন।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আপনি না বললে আমি জানতেও পারতাম না , ধন্যবাদ ।
৫| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: শিক্ষাদীক্ষায় ও কর্মনিষ্ঠায় তারা বিশ্বসেরা। আমি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার সময় একজন ইহুদিধর্মাবলম্বি হেড অফ দা ডিপার্টমেন্টের রিসার্চ এসিস্টেন্ট ছিলাম। ক্লাসে ওই শিক্ষক ছিলেন পেপার চেজ মুভির প্রফেসার কিংসফিল্ডের মতোই কড়া মানুষ। কিন্তু তার সাথে কাজ করতে গিয়ে বুঝতাম তিনি ছিলেন একজন চমৎকার মানুষ, আমাকে সন্তানের মতোই স্নেহ করতেন। আমি তার সাথে কাজ করার সময় কখনো অনুভব করিনি যে একজন মুসলিম হওয়ার কারণে তিনি আমাকে কোনো রকম বিদ্বেষের দৃষ্টিতে দেখতেন।
উল্লেখযোগ্য একটি ঘটনা হচ্ছে, আমি কিছু ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণে শেষ সেমিস্টারের পূর্বে তার কাজ থেকে ইস্তফা দেই। তিনি আমাকে বলেন আমি ক্লাস থেকে আমার পছন্দের একজন ভালো ছাত্র/ছাত্রীর নাম আমার রিপ্লেসমেন্ট হিসাবে প্রস্তাব করার জন্য। আমার জন্য সর্বাপেক্ষা বিস্ময় অপেক্ষা করছিলো আমি তার অধীনে কাজ ছেড়ে দেয়ার পর | যখন আমি শেষ সেমিস্টারের টিউশন দিতে রেজিস্টার অফিসে যাই - আমাকে ক্লার্ক বলে যে ওই প্রফেসর ওই সেমিস্টারের আমার দুটি কোর্সের ফি পরিশোধ করে দিয়েছেন !
একজন বাংলাদেশী হিসাবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হচ্ছে, কোনো ভারতীয় বা চীনা শিক্ষকদের চাইতে একজন ইহুদিধর্মালবম্বী শিক্ষকের বা ম্যানেজারের অধীনে শিক্ষা গ্রহণ বা কাজ করার অনেক অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দদায়ক - যদি আপনি কর্মনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী হন |
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১৯
শাহ আজিজ বলেছেন: চাইপা যান , সামুর মরদে মুমিন এখনো আসেনাই ।
আমার অভিজ্ঞতা হাই টেক মেশিনারিজ । প্লানিং , এক্সিকিউট , মার্কেটিং এবং প্রতিষ্ঠিত হলে প্যাটেন্ট বিক্রি । ওদের এই যে ফর্মুলা আমার কাছে অসাধারন লেগেছিল ।
৬| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪০
সভ্য বলেছেন: সব কিছু না হয় বুঝলাম। ওরা অনেক শিক্ষিত জাতি, কিন্তু কাজগুলো কেনো অশিক্ষিতদের মতো করছে, তারা কি বুঝতে পারছে না তারা যা করছে তা মানবতার শত্রু। বিশ্বমানবতার দিকে তাকিয়ে দেখুন, শুধুমাত্র এক ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে ঘিরে মানুষের সমবেদনা কোথায় পৌছেছে, ওরা নিজেদে কি ঈশ্বর ভাবছে? যুদ্ধ কখনো শিক্ষিত মানুষের চয়েস হতে পারে না।
১৭ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৫২
শাহ আজিজ বলেছেন: যুদ্ধ চ্যাপ্টার আনিনি এজন্য অনেক যুদ্ধ মহারাজ খাতায় নাম লিখিয়ে গেছেন আগেই । সবাই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে তাই ভাবলাম এদের কীর্তি কৌশল কেন আমরা স্টাডি করিনা একটু । আমি কোন প্রডাক্ট কিনতে গেলে ইহুদি , খ্রিস্টান , মুসলিম , হিন্দু দেখব না দেখব কোয়ালিটি । ইহুদিরাই কি ১৭-৪৭ পর্যন্ত গনহত্যার শিকার হয়েছিল এরকম কোন কারনে ? ফিলিস্তিনিরা দুরভাগ্যের শিকার । তারা নিজেরাই বিভক্ত বহুভাগে । মডারেট , সোসিয়ালিজম , জঙ্গি প্রায় সব ভাগই আছে তাদের ভিতরে ।
৭| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ১২:২৯
কামাল১৮ বলেছেন: আমরা এক কিতাবেই সকল সমস্যার সমাধান খুঁজি ।না বোঝেই সকাল বিকাল পড়ি।
১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৩০
শাহ আজিজ বলেছেন: আধুনিক সমাজ কিতাবকে প্রতীক হিসাবে দেখে ।
৮| ১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:২৩
রানার ব্লগ বলেছেন: শিক্ষাই শক্তি !!!!
উপমহাদেশের হিন্দুরা এটা বুজেছিলো বলে আজ তারা বিশ্বের আনাচে কানাচে নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে, আর মুসলমানরা বাচ্চা পয়দার তরিকা কাজে লাগাচ্ছে।
১৮ ই মে, ২০২১ সকাল ১১:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন:
চমৎকার বয়ান ।
৯| ১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৪১
নতুন বলেছেন: সমস্যা হইলো র্মদে মুমিনরা সারাদিন ধর্ম নিয়ে পইড়া থাকে তাই তারা মনে করে বাকি সবাই তাদের মতন সব কিছু ধর্মের চশমা পড়েই দেখে।
প্রফেসনালিসম এখনো আমাদের উপমহাদের মানুষের মাথায় ঠিক মতন ঢুকেনাই। তারা ধর্মের চশমা খুলতে পারেনাই।
বেশির ভাগ মানুষ এখন আধুনিক চিন্তা ভাবনায় চলে ধর্মের গোড়ামী নিয়ে পড়ে থাকেনা।
১৮ ই মে, ২০২১ রাত ৮:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: চীনের দিকে তাকান । ৭৮ সালের পর ধীরে ধীরে খুলে দিল ব্যাক্তি ইচ্ছার দার কিন্তু ধর্ম বাদে । ঠিক আমেরিকান পদ্ধতিতে জীবন যাপন হয়ে উঠল চীনাদের একমাত্র কামনা। কাজ কর কামাও পান কর চুটিয়ে ড্যান্স কর। ধর্ম একটা আফিম , অবশ্য পরে ধর্মের ব্যাপারে দ্বিধা বিভক্ত রাষ্ট্র । বৌদ্ধরা সবচে বেশি সুবিধা পেল । ক্রিশ্চিয়ানরা কম । হুই মুসলিমরা তাদের ইবাদাত বন্দেগি চালিয়ে যাচ্ছে । আধুনিকতা চীনকে নিয়ে মত্ত । উইগুররা রাজনৈতিক সমাধান চাইছিল আর তাই এখন ব্রেন অয়াশ চলছে । রাজনিতিকরা ধর্মের চশ্মা পরিয়ে মজা লুটছে ।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই মে, ২০২১ রাত ৯:০০
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইহুদীরা পড়ালেখা করে; ওদের নবী পড়ালেখা জানতেন ও সবাইকে পড়ালেখা করার নির্দেশ দিয়ে গেছে।
আমেরিকা ইহুদীদের কাছে অসহায় নয়, ইহুদীরা ভালো নাগরিক।