নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পরিবেশসম্মত গৃহসজ্জার পণ্য তৈরির জন্য ছয়টি কারখানা গড়ে তুলেছেন উদ্যোক্তা তৌহিদ বিন আবদুস সালাম। তৌহিদ বিন আবদুস সালামের পৈতৃক বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায়। ঠিক উদ্যোক্তা হবেন—এমন ইচ্ছে শুরু থেকে ছিল না তৌহিদের। উচ্চমাধ্যমিক শেষে ২০০০ সালে ভর্তি হন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউএফটি)। সেখানে ফ্যাশন ডিজাইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।মতিঝিলে ছোট একটি কক্ষ ভাড়া করে ও একজন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় তৌহিদের উদ্যোগের। ২০০৭ সালের নভেম্বরে নীলফামারী ও রংপুরে তিনটি তাঁতের কারখানা স্থাপন করেন তিনি। প্রতিটি কারখানায় ৩০ জন করে কর্মী নিয়োগ দেন। শুরু থেকেই তাঁর লক্ষ্য ছিল রপ্তানির। এ জন্য কারখানা স্থাপনের দুই মাসের মাথায় নিজেদের বানানো শতরঞ্জি নিয়ে জার্মানিতে একটি প্রদশ৴নীতে অংশ নেন। সেখানে ক্রেতারা তাদের পণ্য বেশ পছন্দ করেন।২০০৮ সালের মার্চে জার্মানির বস্ত্র কোম্পানি কিক প্রায় ৮৬ লাখ টাকায় এক লাখ পিছ শতরঞ্জির ক্রয়াদেশ দেয়। এর পর থেকে ব্যবসার পরিসর বাড়তে থাকে তাঁর।
কলাগাছের খোল, আনারসের পাতা কিংবা পাটের আঁশ—চারপাশের পরিবেশ থেকে নেওয়া এসব উপকরণ থেকে তৈরি হয় সুতা। এরপর সেগুলো মেশানো হয় তুলা থেকে তৈরি (কটন) সুতার সঙ্গে। মিশ্রিত এসব সুতা দিয়ে পরবর্তী সময়ে বানানো হয় গৃহসজ্জার বিভিন্ন পণ্য। এ কাজে আরও ব্যবহার হয় বাঁশ, বেত, খেজুরপাতা, তালের আঁশ, ধঞ্চে, কচুরিপানা ও ভুট্টার খোসার মতো অনেক উপকরণ।
শতরঞ্জি, ঝুড়ি, শপিং ব্যাগ, টি-শার্ট, কুশন কাভার থেকে শুরু করে রান্নাঘর, পোষা প্রাণী ও বাগানসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন উপকরণ বানানো হয় এই প্রক্রিয়ায়। উৎপাদিত পণ্যের প্রায় সবই রপ্তানি হয় জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেনসহ বিশ্বের ৩৯টি দেশে। প্রায় দেড় দশক আগে টেকসই উপায়ে পণ্য তৈরির জন্য ক্ল্যাসিক্যাল হ্যান্ডমেড প্রোডাক্টস বিডি লিমিটেড (সিএইচপি) নামে কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন উদ্যোক্তা মো. তৌহিদ বিন আবদুস সালাম। মাত্র ১৪ লাখ টাকা ও একজন কর্মী নিয়ে শুরু করা তাঁর সেই উদ্যোগে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা। আর প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে কাজ করছেন ৪ হাজার ৭০০ কর্মী। এঁদের মধ্যে প্রায় ৮৬ শতাংশই নারী।
দেশ এখন সালামের মত উদ্যোক্তা চাইছে বিবিধ খাতে । সরকারের উচিত বিদেশে বায়ারের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে ব্যাবসা সম্প্রসারনে সহায়তা করা ।
প্রথম আলো
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের দুতাবাসগুলিতে কিছু কমার্শিয়াল কাউন্সেলর থাকেন । তাদের কাজ কাম বড়ই বিচিত্র । ঢাকাতে চীনা দিয়ে ভর্তি হয়ে গেছে আর আমাদের সবচে বড় চিন্তা বিদেশে গিয়ে কামলা দিয়ে রেমিটেনস যোদ্ধার খাতায় নাম উঠানো ।
২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৬
শাওন আহমাদ বলেছেন: সফলতার গল্প শুনতে ভালো লাগে।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮
শাহ আজিজ বলেছেন: সবাই সফল হতে চায় ।
৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১
কামাল১৮ বলেছেন: ভালো উদ্যোগ।প্রশংসনীয় কাজ।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১৪
শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা এদের সমর্থক সকল সময় ।
৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫২
puzzledritzy বলেছেন: একটি ভাল ধারনা. আমাদের দূতাবাস অসংখ্য বাণিজ্য উপদেষ্টার আবাসস্থল। ঢাকায় চীনা অভিবাসীরা উপচে পড়ছে https://happy-wheels.co, এবং আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হল দেশ ছেড়ে কমলার রেমিট্যান্স জোড় বইয়ে নাম লেখানো।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: খুব ভালো সংবাদ। এদের হাত ধরেই দেশ এগিয়ে যাবে।