![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“এটী স্থানীয় সরকার নির্বাচন। সরকারের আন্তরিকতার কারণে সুষ্ঠু ভোট হয়েছে।ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে” এসব বলে সরকার এবং তার সমর্থকরা যতই আত্ম প্রবঞ্চনা করুক, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর কয়েকটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছেঃ
এক। জনগন সরকারের কর্মকাণ্ডে সুন্তষ্ট নয়।
দুই। শাহাবগীদের তত্ত্ব সাধারণ নাগরিকদের নধ্যে যে আলোড়ণ তুলেছিল, তার ছিটে ফোটাও এখন অবশিষ্ট নেই। বস্তুত
মিডিয়ার সুবিধার কারণে ঢাকার বাইরে এই সব সিটি কর্পোরেশনের মানুষেরাই শাহাবাগীদের তত্ত্বে আলোড়িত করে
দেশকে প্রথমে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছিলো।পরবর্তীতে হেফাজত আসার পর বাম ধারার বুদ্ধিজীবিদের প্ররোচনায় তারা দেশকে বিভিন্ন মাযহাবে ভাগ করে ফেলার চেষ্টা করেছিলো। বাঙালি একটু দেরিতে হলেও সেই ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসেছে। এই কারণেই চারটি সিটিতেই শাহাবাগীদের সমর্থকদের ভরাডুবি হয়েছে।
তিন। জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীর প্রতি সহানুভুতিশীল বলেই, ১৮ দল সমর্থিত প্রার্থীদের ভোট দিয়েছে। ভোটের অধিকার যে এখনও প্রতিষ্ঠিত হয় নি, বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র দখলের প্রচেষ্টা থেকেই তা প্রমানিত হয়েছে।
চার। মাত্র চারটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হওয়ায় আইন শৃংখলা বাহিনীর পক্ষে সহিংসতা/ নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সময় সেটা অসাধ্য হয়ে পড়বে।
পাঁচ। নিউ এইজের রিপোর্ট অনুযায়ী ৫ মের ঘটনায় নিহত ৪১ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। আগামী নির্বাচনকে এই ৪১ জন মৃত যে কত লক্ষ জীবন্ত মানুষের চেয়ে বেশি প্রভাবিত করবে, সে বিষয়ে সব পক্ষেরই ভাবার সময় এসে গেছে
©somewhere in net ltd.