নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসুন সৎকর্মের প্রতিযোগিতা করি

শাহীদ মাহমুদ

আমি শাহীদ মাহমুদ। সরলমনা, বন্ধুত্বভাবাপন্ন একজন মানুষ।বর্তমানে আমি চ.বি.তে অধ্যয়নরত রয়েছি।অহঙ্কার করে বলার মতো আমার তেমন কিছ্ছু নাই।আমার খুব কষ্ট লাগে যখন কেউ ভালোমানুষদের কষ্ট দেয় বা তাদের অবহেলা করে।

শাহীদ মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম): পর্ব-৪: খোলাফায়ে রাশেদীন (রাঃ) এর মতে

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৫

পর্ব-১:“ঈদের সংজ্ঞা ও ঈদ কি শুধু দুটিই??

পর্ব-২: আল-কুর'আনের আলোকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

পর্ব-৩: আল-হাদীসের আলোকে ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

পর্ব-৪: খোলাফায়ে রাশেদীন (রাঃ) এর মতে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

-----------------------------------------------------------------------

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ধারাবাহিক পোষ্ট সমূহে এ পর্বে খোলাফায়ে রাশেদিন (রাদ্বিয়ল্লাহু আনহু)-দের মন্তব্য আলোচনা করা হবে।



মক্কা শরীফের প্রখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা শিহাব উদ্দিন আহমদ ইবনে হাজার আল হায়তামী আশশাফী রহমাতুল্লাহে আলাইহি (যার জন্ম ৮৯৯ হিজরী, ইনতিকাল ৯৭৪ হিজরী) তার লিখিত “আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম” কিতাবের মধ্যে নিম্নোক্ত হাদীস গুলো তিনি বর্ণনা করেন-



১) সর্বশ্রেষ্ট সাহবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর (রা:)বলেন-

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قِرا ةَ مَوْ لِدِ النَّبىُ مَلَى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَنَرَفِيْقِى فىِ الجَنّةِ

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষ্যে এক দিরহাম খরচ করবে সে জান্নাতে আমার সঙ্গী হবে”।

[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]



২) দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন -

مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَدْ اَخْيَا الاسْالاَمُ

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করলো, সে অবশ্যই ইসলামকে জীবিত করলো”।

[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৭]



৩) তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান বিন আফফান (রাঃ) বলেন -

مَنْ اَنْفَقَ دِرْهَمًا عَلَى قرأة مَوْلِدِ النَّبِىُ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ فَكَا نَّمَا ثَهِيد غَزُوَةِ بَدَر رَوحُنَيْنُ

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঠ করার জন্য এক দিরহাম খরচ করল- সে যেন নবীজীর সাথে বদর ও হুনাইন জিহাদে শরীক হলো”।

[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]



৪) চুতর্থ খলিফা হযরত আলি মুরতাদ্বার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন-

مَنْ عَظَّمَ مَوْ لِدِ النَّبِى صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ وَكَانَ سَبَبَا لِقرا ته لا يَحْرُمُ مِنَ الدُّنْيَا اِلا َّبِالاِ يْمَانِ وَيَدْخُلُ الجَنَّهَ بِغَيْرِ حِسَاب

অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে সম্মান করবে এবং উদ্যোক্তা হবে সে ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করবে এবং বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে”।

[আন নেয়মাতুল কুবরা আলাল আলাম, পৃষ্ঠা নং-৮]



আল্লামা ইউসুফ নাবহানী (রঃ) তাঁর ‘জাওয়াহেরুল বিহার’ এর গ্রন্থে ৩য় খন্ডের ৩৫০ পৃষ্ঠায় উপরে উল্লিখিত বর্ণনা উপস্থাপন করে বলেছেন যে, আমার উপরোক্ত হাদীস সমূহের সনদ জানা রয়েছে। কিন্তু কিতাব বড় হয়ে যাবার আশংকায় আমি সেগুলো অত্র কিতাবে উল্লেখ করিনি।



আল্লামা ইবন হাজর হায়তামী (রঃ) এর নির্ভরতা প্রশ্নাতীত। তাঁর উক্ত কিতাবের উপর বহু শরাহ লিখা হয়েছে। তন্মধ্যে আল্লামা দাউদী (রঃ) ও আল্লামা সাইয়িদ আহমদ আবেদীন দামেস্কি (রঃ) অন্যতম। তাঁর রিওয়াতকৃত উপরোক্ত বর্ণনা দ্বারা প্রমাণীত হল যে, খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগেও মিলাদুন্নাবী চালু ছিল এবং তারাও এর জন্য অন্যকে তাগীদ করেছেন।





পরবর্তী পর্ব সমূহ

পর্ব-৫: প্রখ্যাত আলেমগণের দৃষ্টিতে ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

পর্ব-৬: মক্কা-মদীনা শারীফে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)

পর্ব-৭: বর্তমানে যারা পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বিরোধীতা করেন তাদের অতীত আলেমদের মন্তব্য



আরও আসছে..........................

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২১

পাউডার বলেছেন:
এতো ইম্পর্টেন্ট ব্যাপার অথচ কোরানে এক লাইনও নাই? মাথা খাটান ভাই। আল্লাহ বুদ্ধি-বিবেচনা দিসে, সেইটা কাজে লাগান।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

শাহীদ মাহমুদ বলেছেন: হে রাসূল, নিশ্চই আমি আপনাকে জগতসমুহের রহমত করেই প্রেরণ করেছি। (সূরা আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)
হে রাসুল আপনি বলুন আল্লাহর দয়া ও রহমতকে কেন্দ্র করে তরা যেন আনন্দ করে এবং এটা হবে তাদের অর্জিত সকল কর্মফলের চেয়েও শ্রেষ্ট। (সুরা ঈউনূছ,আয়াত ৫৮)
Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.