নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয় সত্য বলবে না।

আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না

শহিদশানু

আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব এই জন্যেই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে।যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না

শহিদশানু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সক্রেটিসের মৃত্যদন্ড ও ব্লগার আহমেদ রাজিব হায়দারের নৃশংস হত্যাকান্ড জ্ঞানদীপ্ত মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়ে বেড়াবে যুগযুগান্তর ধরে ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১

সক্রেটিসের বিচার ও মৃত্যদন্ডের কাহিনী চ্যাঞ্চলকর উপন্যাসের চেয়েও চকমপ্রদ। তেমনি আমাদের প্রিয় ব্লগার আহমেদ রাজিবের নৃশংস হত্যাকান্ডও আমাদের বিবেককে নাড়া দিবে যুগযুগান্ত পর্যন্ত ।



কী ঘটনাচক্রে সক্রেটিসের বিচার বা বিচারের প্রহসন হলো, তার ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা আজও গবেষণার বিষয়। সংক্ষেপে বলতে গেলে প্রাচীন গ্রিসের দুটি নগররাষ্ট্র স্পার্টা ও এথেন্সের মধ্যকার যুদ্ধে স্পার্টানদের কাছে এথেনীয়রা পরাজিত হয়। সে যুদ্ধে এথন্সের পক্ষে সক্রেটিসও অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে পরাজয়ের কারণ নিয়ে এথেন্সে বিতর্ক শুরু হয়ে যায় এবং সক্রেটিস তার প্রধান বক্তা মনোনীত হয়। যেহেতু তিনি এ যুদ্ধে পরাজিত সেনাপতি ও সংশ্লিষ্ট প্রধান ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সমর্থন করেননি অপরাপর প্রতিদ্ধন্দী রাজনৈতিক নেতাদের একটি আক্রোশ ছিল। এতে যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে যুক্তি ও সত্যনিষ্ঠা প্রচারের নামে তিনি তাদের বিপথে চালিত করেছেন মর্মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাকের বিচারের নামে প্রহসনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়। সক্রেটিস যুক্তিতর্ক দিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগের জবাব দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা গ্রাহ্য হয় না। তার মৃত্যদন্ডাদেশ হয়। হেমলক পান করিয়ে তার মৃত্য ঘটানো হয়। সক্রেটিসের মৃত্যদন্ড যে সাংকেতিক অর্থে মানতবা ও মুক্তবুদ্ধির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক এক জগন্য হত্যাকান্ড, এই ঐতিহাসিক সত্যটি যুগযুগান্তর ধরে সত্যনিষ্ঠ জ্ঞানদীপ্ত মানুষের বিবেক ও উপলদ্বির স্তর বেয়ে আজ পর্যন্ত চলে এসেছে ।

এমন কি অপরাধ করেছিল আমাদের আহমেদ রাজিব। সে তো কোন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় কোন সদস্যও ছিলনা । সে যা করতো তা হলো ব্লগে লেখালেখি। এ লেখাই তার জীবন প্রদীপ এভাবে নিভিয়ে দিবে সে কি তা জানতো । একমাত্র সত্য কথা বলার কারনেই বিখ্যাত মনীষি সক্রেটিশের মৃত্যদন্ড কার্যকর করেছিল সে যুগের শাসকগোষ্ঠি ।

তেমনি সত্যি বলার কারণে এ যুগের মৌলবাদী ছাত্রশিবেরর গাত্রদাহ্ শুরু হয়েছে। অতপর একজন প্রাণচঞ্চল তরুণকে তারা নৃশংস ভাবে খুন করেছে । তোমরা জেনে রেখে তোমাদের আমরা কখনও ক্ষমা করবেনা ।

জয় হোক সত্যের।

নিপাত যাক মিথ্যা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৪

রওনকআলিম বলেছেন: জানাজায় আমিও ছিলাম, গতকাল জানাজায় অংশ নিতে আমি বাসে আর দৌড়িয়ে গিয়াছিলাম, ওজুও ছিলো। ৫:৫৫ তে যখন জানাযা শেষ হল, ভাবছিলাম ছেলেটার কত ভাগ্য, হাজার-হাজার লোক তার জানাযা পড়ছে।
মাত্রই নেটে বসলাম আর রাজীব-কে চেক করলাম। দেখলাম সে শেষ আরাই বছর আগে, ০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ বিকাল ৫:২৬ ব্লগ লিখেছে, আর শেষ কমেন্ট করেছ ২ মাস আগে, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৯। সেখানে সে কি লিখেছে তা আর উচ্চারন করলাম না।

২| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

খুব সাধারন একজন বলেছেন: ---ডিভাইড এন্ড রুল---

আমরা সত্যর পক্ষে আবেগের আন্দোলন করি অরা দেয় দাবা-পাশা খেলার গুটির চাল। আমরা বিচার চাই আর অরা নানা দিকে দৃষ্টি ঘোরায়- গাঁজা, গান বাজনা, নাস্তিকতা, সাগর রুনী, ছাত্রলীগ, ধর্মীয় অবমাননা, বিশ্বজিৎ, চাউলের দাম, সীমান্ত, 'আর সব'যুদ্ধাপরাধী... এখনো আজো একাত্তুরেও।

রাজীব থাবা বাবা হওয়ায় মারা গেলে অনেক আগে যেত। সে মারা গেছে শাহবাগে যাওয়ায়। সে মারা গেছে বাংলাদেশে একাত্তর সালে যারা ৩০ লাখ খুন, ৪ লাখ নারীকে ধর্ষণ, এখনো মুক্তিযুদ্ধাদের প্রকাশ্যে লাথি দেয়, গৃহযুদ্ধের ঘোষণা দেয় আর একাত্তরের খুনীদের রক্ষা করতে প্রতিদিন আটশো কোটি টাকা গচ্চা দেয় হরতাল দিয়ে সেই জামাতির বিচার চাইতে গিয়ে।

রাজীবের জানাযার কথা ভোলেন। মূল প্রসঙ্গে আসো বাংলাদেশের মানুষ। রাজীব নাস্তিক এইজন্য খুন হয় নাই। রাজীব শাহবাগে যায় তাই খুন হয়েছে।

প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, একজন মুসলমানের পাঁচটি কর্তব্য। তার মধ্যে এক কর্তব্য হল, যখন কোন লাশ যায়, তার যা বিশ্বাসই হোক না কেন, সম্মান দেখিয়ে উঠে দাঁড়াবে।

বাংলার মানুষ, আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে। দশটা কথার জবাবে একটা কথা হলেও বল। বাংলাদেশ সবার দেশ। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান-নাস্তিক-বাংগালী-চাকমা-মারমা সবাই একাত্তুরে খুন হয়েছে পাকিস্তানিদের হাতে। মনে রেখ, তোমার শত্রু তোমাকে চেনে বাংগালী বাংলাদেশী হিসাবে, কিন্তু মুখে বলে, নাস্তিক-আওয়ামী-শাহবাগী

কয়দিন পরে বলবে, খুন হইসে ভাল হইসে, ঠিকই তো করসে, ওই পোলা সিগারেট খায় জিন্সের পেন্ট পড়ে।
এক পলকে একাত্তর---এভাবে দেখাও---এবং এভাবে---পাকিস্তানে উল্লাস---চাই সতর্কতা,---ইনডাইরেক্টলি,---ভিন্নখাত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.