নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সাধারণ মানুষ ৷দশের সাথে চলতে চাই ৷

শাহিন-৯৯

সত্যের পরাজয় বলতে কিছু নেই, পরাজিত বলতে যা দেখি তা হল কুচক্রিদের সাময়কি সাফল্য, সত্যের জয় চিরন্তন

শাহিন-৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের ঐতিহাসিক কিছু ভুল সিধান্ত, কিছু ভুল কথা, যা এখনো আমাদের দেশের স্বাভাবিকতার অন্তরায়।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:৪৭




বাংলাদেশে বর্তমানে চলছে "নামের" গনতন্ত্র। অন্যদৃষ্টিতে দেখলে গনতন্ত্রের নামে "পরিবারতন্ত্র"। কোন দেশকে উন্নত হতে হলে, বা কোন দেশকে কল্যান রাষ্ট্র হিসাবে দেখতে চাইলে নামমাত্র গনতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র থাকলে তা আদৌ সম্ভব নয়। কারণ এখানে জবাবদিহিতা থাকে না, আর জবাবদিহিতা ছাড়া উন্নত রাষ্ট্র, কল্যাণ রাষ্ট্র স্বপ্নমাত্র।

বাংলাদেশের জন্ম পর থেকে আমাদের রাজনীতিবিদরা শক্তিশালী গনতন্ত্রের চিন্তা কখনও করিনি, সবাই শুধু ক্ষমতা চেয়েছে। তবুও কিছু গনতন্ত্র বিদ্যামান ছিল তা আজ নাই বললেই চলে। আর এই না থাকার অন্যতম কারণ, আমাদের রাজনীতিবিদরা একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করে না। এই অবিশ্বাস এক দিনে আসেনি তাদের কিছু কথা এই অবিশ্বাসের মূলভিত্তি।

এরশাদ আমল থেকে দেখি-- স্বৈরাচার আন্দোলন যখন তুঙ্গে, এরশাদের ক্ষমতা তখন যায় যায়, এরশাদ রাজনীতি চাল দিলেন, তিনি নির্বাচনের ঘোষনা দিলেন, খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা কেউ এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে না ঘোষনা দিলেন। ১৯৮৬ সালে চট্রগ্রামের এক জনসভায় শেখ হাসিনা ঘোষনা দিলেন- এরশাদের অধীনে যে নির্বাচনে যাবে "সে জাতীয় বেঈমান"। সেই নির্বাচনে কে গিয়েছিল আর কে যায়নি তা সকলে মোটামুটি জানে।

১৯৯৫-১৯৯৬ সাল বিএনপি পরবর্তী নির্বাচনে তত্ববাধয়ক সরকার দিতে অস্বীকার করল, আওয়ামলীগ, জামায়াত রাজপথে দিনের পর দিন হরতাল দিতে থাকল। বিএনপির নেত্রী সে দিকে কোন কর্ণপাত না করে থিওরী দিলেন- "পাগল আর শিশু ছাড়া কেউ নিরেপক্ষ হয় না"।
কিন্তু শেখ হাসিনা নাছোড় বান্দা, তিনি জানেন বেগম জিয়ার চাইতে পাগল বা শিশু নির্বাচন সুষ্ঠু করতে পারবে। বেগম জিয়া আনন্দোলনের মুখে একদল পাগল বা শিশুর হাতে ক্ষমতা দিয়ে দিলেন। নির্বাচন হল শেখ হাসিনার জয়।
এখন বেগম জিয়া সেই পাগল আর শিশুর জন্য অনঢ় অবস্থানে, তিনিও শেখ হাসিনার মত বিশ্বাস করে নিয়েছেন, পাগল ও শিশু মন্দের ভাল।
কিন্তু এবার শেখ হাসিনা পাশার চাল উল্টাইয়া দিলেন, তিনি কোনভাবে পাগল আর শিশুর হাতে ক্ষমতা দিবেন না কারন ঐ যে-----১৯৯৬ সালের ফল।

বাংলাদেশের রাজনীতি সবচেয়ে বড় ভিলেন হল এরশাদ, তার দ্বি-মুখী আচারণ এ দেশের রাজনীতির অনেক ক্ষতি করেছে-- তিনি একবার বলেন- শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনতো দুরের থাক বেহেশতও যাবে না। কিছুদিন পরে দেখা গেল উনি শেখ হাসিনার উপদেষ্টা।

আমাদের দেশের বর্তমান এই অবস্থার জন্য দুই দলই দায়ী, বিএনপির বরখাস্ত মহাসচিব মরহুম মান্নান ভূঁইয়ার একটি বাক্য এই ক্ষেত্রে খুবই যুতশই- "বিএনপি আর আওয়ামলীগ মাল এক বোতল ভিন্ন"

রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই, তবুও কথার একটা সীমা রেখা থাকা উচিত অন্তত বড় দুই দলের।


মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার মনে হয়, আপনি হয়তো মাটির উপরে আলু গাছ দেখছেন, আলু কিন্তু মাটির উপরে থাকে না।
জেনারেল জিয়া ক্ষমতায় এসে, ক্যান্টনমেন্টে যে আসল শক্তির পত্তন করেছিলেন, তারাই এরশাদকে ক্ষমতায় এনেছিল; তারা যখন বুঝতেছিল যে, এরশাদের পতন হবে নিদ্দিষ্ট সময়ে, তারাই বেগম জিয়াকে সামনে আনছিলেন বিভিন্ন পদ্ধতির মাধ্যমে; সেই শক্তি ২০০৬ সাল অবধি এক ছিলো; পরে তাদের মাঝে কিছুটা ফাটলে ধরে। শেখ হাসিনা ওদের বিপক্ষ ছিলো।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: জিয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু গনতন্ত্রের কবর দিয়েছিলেন, তিনি যদি বাকশাল না করতেন কখনও জিয়ার উথ্থান হতো না। আপনার চিন্তা বিএনপিতে সীমাবদ্ধ তাই লীগের ভুল কখনও আপনার চোখে পড়বে না। যদি শেখ হাসিনা তার কথা মত এরশাদের অধীনে নির্বাচনে না যেতেন তাহলে রাজনীতিবিদদের কথা মূল্য কমে যেত না। আর শেখ হাসিনা কাদের বিপক্ষে ছিল তা এ দেশের মানুষ ভালভাবে জানে।

২| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০২

এম আর তালুকদার বলেছেন: এটা চিরন্তন সত্য রাজনীতিতে শেষ বলে কোন কথা নেই।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৫

শাহিন-৯৯ বলেছেন: তবুও সীমারেখা থাকা উচিত অন্তত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে।

৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " জিয়ার আগেই বঙ্গবন্ধু গনতন্ত্রের কবর দিয়েছিলেন, তিনি যদি বাকশাল না করতেন কখনও জিয়ার উথ্থান হতো না।"

-শেখ সাহেব বেশী ভুল করেননি; উনি অতটুকুই জানতেন; উনি ভুল থেকে বের হয়ে, দেশকে নতুন করে গড়ে তোলার জন্য বাকশাল প্লাটফম গঠন করেছিলেন, সিআইএ তা করতে দেয়নি। আপনি বাকশাল সম্পর্কে শুনেছেন, বুঝেননি; শেখ সাহেব কচি খোকা ছিলেন না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ছোট ভুল অনেক সময় বড় অর্জনকে নস্যাত করে দেয়।

৪| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ধরে নিলাম, সব রাজনীতি দলই খারাপ। এখন এই খারাপ দের থেকে আমাদের বেছে নিতে হবে- কে বেশি খারাপ। কে কম খারাপ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: এই জন্য একটি ভাল মানের নির্বাচন দরকার যাতে জনগণ ভাল মন্দ বেঁচে নিতে পারে।

৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

ময়না বঙ্গাল বলেছেন:

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭

শাহিন-৯৯ বলেছেন: সহমত পোষণ করছি। কিন্ত কে দেখাবে এই জাতির সেই পথ।

৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

ঘুমন্ত আমি বলেছেন: আমদের দেশে সব সময়ই নামের গনতন্ত্র চলছে। শুধু বর্তমানে নয়!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

শাহিন-৯৯ বলেছেন: তবে অতীতে কিছুটা হলেও বতর্মানের চেয়ে ভাল ছিল।

৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০১

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: গাজীকাকু সেই জিয়ার সমালোচনা আর সিআইএ হাইপোথিসিস থেকে বেরুতে পারলেন না।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪২

শাহিন-৯৯ বলেছেন: কিছু করার নেই রে ভাই, উনি মিলিটারী চশমা পরে বিএনপিকে দেখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.