![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাভাবিক ভাবে হোক বা মজার বিষয়েই হোক আমরা সাধারণত আঙ্গুল ফুটিয়ে থাকি। অনেক সময় দেখা যায় বাচ্চারা আঙ্গুল ফোটানো নিয়ে প্রতিযোগিতা করে থাকে। তাই আঙ্গুল ফোটানে আমাদের সবার পরিচিত একটি অভ্যাস। আঙ্গুল বলতে শুধু হাত বা পায়ের আঙ্গুল নয় অনেককে ঘাড় ফুটাতেও দেখা যায়।
এছাড়া বিভিন্ন কাজ-কর্ম করার সময়, চলাফেরা করার সময়, ব্যায়াম করার সময় বা নামাজ পড়ার সময় দেখা যায় প্রায়শ অনিচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের কনুই, হাঁটু, গোড়ালি সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের সংযোগ শব্দ করে ফুটে উঠে।
আমরা হয়তো মনে করি এক হাড়ের সাথে আরেক হাড়ের ঘষা লাগার ফলে এই শব্দের সৃষ্টি হয়। কিন্তু বিষয়টি মোটেও তা নয়। আমাদের শরীরের হাড়গুলোর সংযোগস্থলগুলো একগুচ্ছ সুতার মতো তন্তু বা লিগামেন্ট দ্বারা আবদ্ধ থাকে। এই লিগামেন্টগুলোর বন্ধনী আমাদের শরীরের দুই পাশের হাড় শক্ত করে ধরে রাখে। হাড়ের এই তন্তুগুলো কিছুটা স্থিতিস্থাপক। যখন কোনও কারণে হাত বা পায়ের জোড়ায় অস্বস্তি লাগে তখন আমরা ওই গোঁড়ায় চাপ বা মোচড় দিয়ে স্বস্তি লাভ করার চেষ্টা করি। এই চাপ বা মোচড়ের কারণে সংযোগ স্থলের হাড় দুই পাশে সামান্য সরে যায়। ফলে কিছু সময়ের জন্য সেখানে ফাকা জায়গার সৃষ্টি হয়। এই ফাকা জায়গা সৃষ্টি হওয়ার ফলে আশেপাশের পেশী ও তন্তু কলায় সঞ্চিত তরল দ্রুত ওই শূন্যস্থানের দিকে ছুটে যায়। বিভিন্ন দিক থেকে দ্রুত ছুটে আসা এই তরল পদার্থগুলো একসাথে খালি স্থানে চলে এলে তাদের মিলিত হওয়ার একটা শব্দ হয়ে থাকে। যাকে বলা যেতে পারে ছোট একটা বিস্ফোরণ। আর সেই শব্দটিই আমরা শুনতে পাই এবং এটিকে আমরা আঙ্গুল ফোটানোর শব্দ মনে করে থাকি। পরে দ্রুত ছুটে আসা তরল পদার্থ গুলো আবার ধীরে ধীরে চারপাশে মিশে যায় এবং দুই পাশের হাড় আবার তার বন্ধনীতে আবদ্ধ হয়ে যায়। হাড়গুলো তার বন্ধনীতে মিলিত হবার ক্ষেত্রে তরল পদার্থের চেয়ে একটু বেশী সময় নিয়ে থাকে। ফলে একবার আঙ্গুল ফোটানোর কিছু সময় পর পর্যন্ত পুনরায় আঙ্গুল ফোটানো যায় না।
আঙ্গুল ফোটানো একটি মন্দ অভ্যাস। আঙ্গুল ফোটালে শরীরের তেমন কোনও ক্ষতি হয় না। তবে অতিরিক্ত আঙ্গুল ফোটালে অতিরিক্ত চাপের কারণে হাড়ের সমস্যা হতে পারে বা হাড়ের স্থান চ্যুতি ঘটতে পারে।
বর্তমানে এক গবেষণায় দেখা গেছে মাঝে মাঝে আঙ্গুল ফোটালে অস্থির ক্ষতজনিত রোগ আর্থ্রায়টিস বা অস্টিওআর্থ্রায়টিস রোগ হওয়ার আশংকা কিছুটা কম থাকে। তবে ঘাড় ফোটানো পরিহার করা উচিত, কারণ ঘাড় ফোটাতে গিয়ে ঘাড়ে স্থায়ী ব্যথা, ঘাড়ের রগের বড় ধরনের সমস্যা বা এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
সংগৃহীতঃ দেশ-বিদেশ ডট কম
২| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।
৩| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
মুদ্দাকির বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
৪| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:
আমি জানি যে,
যাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাদেরই মূলত এগুলো বেশী ফোটে।
৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯
চিত্রা নদীর পাড়ে বলেছেন: অনেক সুন্দর আর তথ্যবহুল পোস্ট। সুপারলাইক
৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
বাঁশ আর বাঁশ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। অনেক দিনের কিউরিসিটি ছিল কারণটা জানার জন্য।।।।
৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
চারশবিশ বলেছেন: জানলাম এবং
আঙ্গুল, ঘাড়, হাত ইত্যাদি ফুটাইলাম
৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ বলেছেন: অনেকে এক আঙ্গুল বার বার ফুটাতে পারে। তার মধ্যে আমি একজন। আমি আমার বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুল বার বার ফুটাতে পারি।
এর কারণ বুঝতে পারছি না।
৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
হাসান মুহিব বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো
১০| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৩৫
অপ্রচলিত বলেছেন: কৌতূহলোদ্দীপক তথ্যবহুল পোস্ট। +++
১১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট।
১২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:০২
ভিটামিন সি বলেছেন: আংগুল ফুইট্টা শব্দ হইলে আপনার সমস্যা কি? আংগুল ফুটলে শব্দ হউক, গান হউক, নাচ হউক, রেসলিং হউক আমার কোন সমষ্যা হয় না। ভাই মজা করলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:০০
সুমন কর বলেছেন: জানলাম।