নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডন ভিটোর মত মুক্ত চিন্তার সম্রাজ্য গড়তে চাই

ডন ভিটো কর্নিয়লি

ডন ভিটো কর্নিয়লি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াত নামক সংগঠনটিকেও ঝুঁলিয়ে দাও তবে কিছু কথা...................................................

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩১

জাতি ক্রমান্নয়ে কলঙ্কমুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যা আমাদের মত তরুন প্রজন্মের কাছে একটি গৌরবের বিষয়। যদিও আমরা তরুনরা ইতিহাস,ঐতিহ্য এবং প্রকৃত ঘটনাগুলো স্বপ্রণোদিত হয়ে জানার চেষ্ঠা করিনা। লোকে যা বলে আমরাও তাই বিশ্বাস করি। অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছে অবস্থা। আজকে আমাদের সামনে কিছু প্রবীন প্রাণ পুরুষ রয়েছেন যারা কিনা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সদস্য। কিন্তু একাত্তর সালে এই কমিটির লোকজনের ভূমিকা কি ছিল সেই কথা তারা নিজেরাও কখনো বলে না আর আমাদের তরুনরাও কখনো তা জানতে চায় না। কেন জানতে চায় না সেই প্রশ্ন নাই বা করলাম কিন্তু আপনার হাতে বিরিয়ানীর প্যাকেট আর গাজাঁর পুরিয়া ধরিয়ে দিলে সেই প্রশ্ন বড় অযৌক্তিক মনে হবে বৈকি! সেই সব লোকদের সঙ্গে শুধু গলা উচিয়ে বলতে চাই, ঝুলিয়ে দাও আর নিষিদ্ধ কর। কিন্তু নিখিল পাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানের নিপিড়িত মানুষদের জন্য তাদের দরদের পাল্লাটা কতোটুকু ভারি ছিল সেই কথা জানা না গেলেও আজকে যে দলটিকে নিষিদ্ধ করার কথা সরকার গলা উচিয়ে বলছে তাদের ভূমিকার কথা ইতিহাসের পাতায় পরিষ্কার লেখা আছে।

সরকারী চাকরি সমস্যাঃ
১৯৫৬ সালের ৪ঠা মার্চ ঢাকা জিলা বোর্ড হলে নিখিল পাকিস্তান জামায়াতের আমীর সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত সরকারী কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে একটি বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “ যারা এখানে সরকারী কর্মচারী হিসেবে এসেছেন,তাদের একটা বিরাট অংশ বিশেষ কোন প্রশংসনীয় ভূমিকা অর্জন করেন নি। ইংরেজদের চেয়ারে বসে তারা নিজেদেরকে ইংরেজ মনে করে নিয়েছেন। অপর জাতির উপর শাসন চালাতে ইংরেজরা যে নীতি অনুসরন করত, তারও সেই সেই নীতি অবলম্বন করছেন। তারা একথা চিন্তা করেন নি যে, নিজ দেশের নিজ জাতির শাসন তথা খেদমতের ভাঁরই তারা গ্রহণ করেছেন। ইংরেজদের অনুকরণ করাই যদি তাদের লক্ষ্য ছিল, তবে ইংল্যান্ডে প্রচলিত নীতি অনুসরন করাই তাদের কর্তব্য ছিল। বস্তুত যেসব কারণে পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ এ ধারণা পোষন করতে আরম্ভ করেছে যে, তাদেরকে একটি কলোনীতে পরিণত করা হয়েছে, এই হচ্ছে তার প্রধান কারণ”। (সূত্রঃ “পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা ও তার সমাধান”, পৃঃ-৫)

নিখিল পাকিস্তানে সরকারী চাকুরীতে পূর্ব পাকিস্তানীদের সুযাগ এবং ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেবার দাবিতে ঢাকার তৎকালীন ডি-বি হলে আয়োজিত এক সেমিনারে জামায়াতের আমীর মাওঃ মওদূদী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “দ্বিতীয় সমস্যা হল সরকারী চাকরি সম্পর্কিত সমস্যা। এতে সন্দেহ নেই যে, ইংরেজ আমলে পূর্ব পাকিস্তানের মুসলমানগণ চাকরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত পশ্চাৎপদ ছিলেন। উচ্চ পদগুলোতে তাদের আনুপাতিক স্থান শূন্যের কোঠায় ছিল। অবশ্য ইংরেজ ও হিন্দুদের দ’শত বৎসর যাবত কৃত এ ত্রুটির সহসা সংশোধন করা সহজসাধ্যও ছিল না। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হবার পর পূর্বাঞ্চলের মুসলমানগণ ন্যায়তই এ আশা পোষন করে আসছিল যে, তাদের উন্নতি লাভের সুযোগ দেয়া হবে। দুঃখের বিষয়, তাদের এ আশা পূর্ন করা হয় নি। পূর্ব পাকিস্তানের যুবকদের মধ্যে এ সম্বন্ধে যে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে তা সম্পূর্ন ন্যায় সংগত। চাকরিজীবি লোকদের মনোবৃত্তি অত্যন্ত দুঃখজনক যে, যেখানেই তাদের প্রভাব আছে সেখানেই তারা নিজেদের আত্নীয় স্বজনকে চাকরিতে ভর্তি করবার জন্য চেষ্ঠা করে থাকে। অন্ততপক্ষে উচ্চমর্যাদা সম্পন্ন প্রভাবশালী লোকদের এ অবিচার থেকে মুক্ত থাকা প্রয়োজন ছিল। তাদের কর্তব্য ছিল বাংলা দেশের অবহেলিত ও অনুন্নত মুসলমান ভ্রাতা গণকে উন্নত করবার চেষ্ঠা করা।, যাতে তারা দেশের সেবায় সমান অংশগ্রহণ করবার সুযোগও লাভ করতে পারত। কিন্তু দুঃখের বিষয় এ ভ্যাপারে অত্যন্ত অবহেলা প্রদর্শন করা হয়েছে। এমন কি এ অবহেলার কারণে পূর্ব পাকিস্তানের একটি সাধারণ অভিযোগের সৃষ্টি হয়েছে”। (সূত্রঃ “পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা ও তার সমাধান”, পৃঃ-১৪-১৫ দ্রঃ)


বহিরাগত ব্যবসায়ীদের প্রতি জামায়াতের হুঁশিয়ারীঃ
একই দিনে তিনি পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আগত ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “বহিরাগত ব্যবসায়ী ও কারখানা মালিকগণ এসে এখানকার শিল্প ও বাণিজ্য মাসলে নিয়েছেন সেজন্যে আমরা তাদের নিকট কৃতজ্ঞ। কিন্তু তাদের উচিত ছিল এই দেশকে নিজেদের দেশ এবং এ জাতিকে নিজেদের জাতি মনে করে অনুন্নত ভাইদের সাহায্য করে উন্নত করবার চেষ্ঠা করা, শিল্প বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অগ্রসর হবার জন্যে তাদের সাহায্য করা, তাদের দূরবস্থা দূর করার নিমিত্ত এখানের উপার্জিত অর্থ এখানে ব্যয় করা, তাদের মঙ্গল ও উন্নতির জন্যে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান কায়েম করা এবং তাদের বিপদ আপদের সময় যতোপযুক্ত সাহায্য করা। বড়ই দুঃখের বিষয়, তাদের মধ্যে অনেকেই এ কর্তব্য সম্বন্ধে সচেতন ছিলেন না”। (সূত্রঃ “পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা ও তার সমাধান”, পৃঃ-৭-৮ দ্রঃ)

সামরিক বাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানীদের সুযোগ প্রদান প্রসঙ্গেঃ
নিখিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানীদের চাকরী পাওয়াটা ছিল প্রায় দুঃসাধ্য ব্যপার। কিন্তু এই ব্যপারে প্রতিবাদ করে অধিকার আদায় করে নেবার মত কেউ ছিল না। তাই পূর্ব পাকিস্তানীদের সামরিক বাহিনীতে সুযোগ প্রদানের নিমিত্তে এক জনসভায় মাওঃ মওদূদী বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “ গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন হল সৈন্য বিভাগে চাকরি। এ ব্যপারে কেন্দ্রী সরকারের নীতি বাসতবিকই আপত্তিজনক। আজ পর্যন্ত এখানে ইংরেজ আমালে এ ধারাই প্রচলিত রয়েছে যে,সৈন্য বিবাগের জন্য কেবল ‘সামরিক জাতিই’ উপযুক্ত। এর পরিনাম এই হয়েছে যে, সৈনকিবৃত্তি কেটি বিশেস এলাকার লোকদের জন্য একচেটিয়া হয়ে রয়েছে। সামরিক বাজেটের কেবল আর্থিক সাহায্যই নয়, সামরিক মিক্ষার কোন উল্লেকযোগ্য অংশই পূর্ব পাকিস্তানীদের দেয়া হচ্ছে না”। (সূত্রঃ “পূর্ব পাকিস্তানের সমস্যা ও তার সমাধান”, পৃঃ-৭-৮ দ্রঃ)

কিন্তু এই সময়গুলোতে আজকের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির লোকদের ‘টু’ শব্দটি করতেও দেখা যায় নি। বরঞ্চ মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক ক্যাম্পে, তাদের মধ্যে কতক জনকে মুরগী সাপ্লাই দিতেও দেখা গেছে। আর আজ কিনা তারাই মুক্তিযুদ্ধের পৃষ্ঠপোষক। আসলে আমরা বাঙ্গালীরা একটু বেশিই বকি! তাই বকাবকি বন্ধ করে দিয়ে আসুন, সবগুলোকে ঝুলিয়ে দেই। জেলখানায় বন্দি করে রেখে রাষ্ট্রের টাকা নষ্ট করার মানেই হয় না। সবগুলোকে শাহবাগের চেতনা চত্বরে মঞ্চ তৈরী করে গণ জামায়াত করে ফাঁসি দেয়া হোক। সম্ভব হলে জামায়াত নামক সংগঠনটিকেও ফাঁসি দেয়া হোক।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

রাফা বলেছেন: হুমমম...।সমস্যা তাহোলে শাহবাগ আর ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।কেনো যে এরা ইসলামি দলটাকে চিনতে পারতেছেনা।বাংলাদেশের একমাত্র দেশপ্রেমিক দলটার প্রতি এত অন্যায় আর বরদাস্ত করা যায়না।পদক প্রাপ্ত সব দেশপ্রমিকের ফাঁসি হয়ে যাইতেছে।আহারে রাজাকারে আওলাদদের কে দেখভাল করবে এরপর।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

ডন ভিটো কর্নিয়লি বলেছেন: জনাব, সে চিন্তার ভার আপনাকে কেউ দিয়েছে ???

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৩

উচ্ছল বলেছেন: ভারত পাকিস্তান সৃষ্টির সময় ভারত পেয়েছে কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লীর মত শহর। পশ্চিম পাকিস্তান পেয়েছে লাহোর, করাচীর মতো শহর। আর বাংলাদেশ???
দেশপ্রেমের চেতনায় ভাস্মর আমার দেশটা আজো কোন অবস্থান নিতে পারলো না।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৪

ডন ভিটো কর্নিয়লি বলেছেন: শুধুমাত্র শকুনের খাবার হতে পেরেছে

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

জীবনতরী চলছে বলেছেন: আমরা এমনই এক আবেগী জাতি যারা কোন কিছুই নির্মোহভাবে বিচার করতে চাই না। আমরা সবাইই দলকানা।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৪

ডন ভিটো কর্নিয়লি বলেছেন: এটাও কোন নতুন কথা নয়।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:৫৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমরা হতবিহ্বল জাতি।মুক্তিকে অবরুদ্ধ রাখতে তৎপর

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

ডন ভিটো কর্নিয়লি বলেছেন: তাইতো রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, তুমি আমাদের বাঙ্গালী করেছো মানুষ করোনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.