![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক,
আফ্রিকার একটি গ্রামের ঘটনা। সেখানে একজন দুধর্ষ ডাকাত ছিল। সে প্রায়শ ডাকাতি করত এবং কেউ বাধা দিলে হত্যা করত। একদিন সেই ডাকাতটি ডাকাতি করতে গিয়ে জনগনের হাতে ধরা পড়ে। তারপর তাকে গ্রামের সর্দারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। নিয়মনুযায়ী গ্রামের সর্দার তাকে বিচারের মুখোমুখি করল এবং তার অপরাধ প্রমানিত হল। অপরাধ প্রমানিত হবার পর গ্রামের সর্দার তাকে দু’টো প্রস্তাব দিল। প্রথম প্রস্তাব তাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হবে। আর দ্বিতীয় প্রস্তাব হল, তার শাস্তি স্বরূপ সর্দারের মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে মিলিত হতে হবে। ডাকাত ভাবল, সর্দারের মাথাটা মনে হয় পুরোটাই খারাপ হয়ে গেছে। ডাকাত সানন্দে দ্বিতীয় প্রস্তাবটি গ্রহণ করল। ঐ দিন রাতে, সর্দার ডাকাতকে তার মেয়ের রুমে ঢুকিয়ে দিল। ডাকাত এর হাতে সর্দারের মেয়ে। এ যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। ডাকাত সর্দারের মেয়ের উপর ক্ষুধার্থ বাঘের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল। সেই রাতে ডাকাত এবং সর্দারের মেয়ে পাঁচ বার দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হয়। রাতের শেষে ডাকাত যখন রুম থেকে বেরিয়ে আসল তখন সর্দার তাকে বলল, তুমি তোমার প্রাপ্য শাস্তি পেয়ে গেছো। কারণ, আমার ,মেয়ে একজন এইডস রোগী! এখন তোমার শরীরেও সেই ভাইরাস ঢুকে গেল। আর তোমাকে ধুকে ধুকে কষ্ট পেয়ে তিলে তিলে মরতে হবে।
দুই,
কয়েকদিন আগে ইন্ডিয়ান একটি মুভি দেখলাম। মুভিটির ঘটনা ছিল একজন প্রস্টিটিউট কে নিয়ে। ভারতের এক মন্ত্রীর ছেলে তার তিনজন বন্ধুসহ একজন প্রস্টিটিউট কে জোর করে হোটেলে তুলে নিয়ে যায়। সেদিন সেই প্রস্টিটিউট কোন শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়নি। কারণ সেদিন তার একমাত্র মেয়ের জন্মদিন ছিল। আর এই দিনটিতে সে এমন হীনকর কাজ করতে চায় নি। কিন্তু মাতাল মন্ত্রীর ছেলে এবং তার বন্ধুরা অনেকটা জোর করেই তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে ও নির্যাতন করে। এরপর সেই প্রস্টিটিউট থানায় যায় এফআইআর করতে। অভিযোগটা যেহেতু মন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে তাই স্বাভাবিক কারণেই উপমহাদেশের রীতিনুসারে পুলিশ এফআইআর টি গ্রহণ করেনি। তখন সেই প্রস্টিটিউট তার এক বন্ধুর সহযোগিতায় ঘটনাটি মিডিয়ায় প্রকাশ করে। মিডিয়ায় প্রকাশ হবার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাটি নিয়ে সারাদেশে ঝড় বইতে শুরু করে। বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা সেই প্রস্টিটিউটের পক্ষ নিয়ে রাজপথে মিছিল করতে থাকে। তখন মুখ্যমন্ত্রী চাপে পড়ে পুলিশকে তদন্ত করতে বলে। কিন্তু মন্ত্রীর প্রভাবে তদন্তের রিপোর্ট পাল্টে যায়। পুলিশ তদন্তের সময় নিয়মানুযায়ী সেই প্রস্টিটিউটের মেডিকেল চেকআপ করা হয়। সেই চেকআপে দেখা যায় সেই প্রস্টিটিউট এইচআইভি পজিটিভ অর্থাৎ সে এইডস রোগে আক্রান্ত। পুলিশের মিথ্যে রিপোর্টে মন্ত্রীর ছেলে যখন সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোশ দাবি করতেছিল তখন পুলিশ কমিশনার সেই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন। তিনি বলেন,তুমি যদি ধর্ষণকারী না হয়ে থাকো তাহলে বেঁচে গেলে কিন্তু সত্যিই যদি ধর্ষণ করে থাকো তাহলে তোমার মৃত্যু কেউ আটকাতে পারবে না। কারণ, সেই মহিলা এইডস রোগে আক্রান্ত।
উপরের ঘটনা দু’টি দেবার কারণ হল, আধুনিক বিশ্বে প্রতিনিয়ত এইডস রুগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিডিয়ার মাধ্যমে হাজারো সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা সত্বেও এই রোগটির রুগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতেই আছে। আর এই রোগের একমাত্র এবং প্রধান কারণ অবাধ যৌনাচার। ১৯৮১ সালে আমেরিকার লসএনজেলসে সমকামীদের মধ্যে নতুন এই যৌন রোগ চিন্হিত হয়। ১৯৮৬ সালে এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে সার্বিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে রোগীর রোগ নিরাময় সম্ভব হয়। এখন পর্যন্ত আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ধারায় এইডস নিরাময় সম্ভব হয়নি। প্রায় প্রত্যেকটি যৌনরোগই সংক্রমিত হয় মানুষের অস্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার মাধ্যমে। স্বাভাবিক যৌনজীবনে কখনো (ব্যতিক্রম কিছু ক্ষেত্র ছাড়া) যৌনরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অন্যভাবে বলতে গেলে, বৈবাহিক সম্পর্ক, পরিবারকেন্দ্রিক জীবন এবং নৈতিক মূল্যবোধ বজায় থাকলে যৌনরোগ হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। যৌনাচার, যৌন বিপণন, দাম্পত্যবহির্ভূত যৌনজীবন, প্রকৃতিবিরোধী সমকামিতা, বিপরীতকামিতার মাধ্যমেই সব ধরনের যৌনরোগ বিস্তার লাভ করে থাকে। সিফিলিস, গনোরিয়া, কামাইডিয়া ইত্যাদির সংক্রমণেও মানুষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু এইচআইভি বা এইডস ভাইরাস মানুষের শরীরের সবচেয়ে মূল্যবান রোগ প্রতিরোধকারী টি-কোষকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়। শরীরের অন্য কোনো কোষের প্রতি তার আকর্ষণ নেই। তাই বর্তমান পৃথিবীর ভয়ঙ্করতম রোগ হিসেবে এইডস চিহ্নিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, a worse health problem in this century.
আর সে কারণে এইডস থেকে দূরে থাকতে ইসলাম সবচেয়ে বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে। কারণ ইসলাম বলে, মহানবী (সঃ) বলেছেন, যদি কখনও কোন মহিলার উপর দৃষ্টি নিপতিত হয় তাহলে তৎক্ষনাত চোখের দৃষ্টি সরিয়ে ফেলতে হবে। (মুসলিম) আর এর ব্যখ্যা হিসেবে হযরত ইবনুল জাওজী (রঃ) বলেছেন, কোনো জিনিসের উপর নজর পড়লে তা যদি মনের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি করে তাহলে সাথে সাথে নজর সরিয়ে আনলে আর ভালোবাসার জন্মে না। কিন্তু বেশী বেশী নজর কিংবা দির্ঘস্থায়ী নজর দ্বারা অন্তরে ভালোবাসা সৃষ্টি হতে পারে। আর এই ভালোবাসার কারণেই মানুষ যৌন সম্পর্কের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর বিবাহ বহিঃভূত যৌন সম্পর্ক দমনের জন্য ইসলামের রয়েছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। রাসূল (সঃ) বলেছেন, হে যুব সমাজ! তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ আছে সে যেন বিয়ে করে। কেননা, তা চোখ অবনত রাখাসহ লজ্জাস্থানের উত্তম হেফাজত করে। আর যার বিয়ের সামর্থ নেই সে যেন রোজো রাখে। রোজা হচ্ছে তার জন্য ঢাল স্বরূপ। (সূত্রঃ বুখারী,মুসলিম)
রোজা রাখার উদ্দেশ্য হল কম খাওয়া। আর বিজ্ঞান বলে বেশী খেলে যৌন চাহিদা বাড়ে। আর ইসলামে রয়েছে নফল রোযা রাখার বিধান। যেমন, প্রত্যেক সোম ও বুহস্পতিবার, অথবা প্রত্যেক মাসের ১৩,১৪ও১৫ তারিখে কিংবা আরবী শাওয়াল মাসের ৬ রোজা এবং একদিন অন্তর অন্তর হযরত দাউদ (আঃ) এর ন্যায় রোজা রাখা। আর এই ব্যবস্থাটি একমাত্র ইসলামেই রয়েছে। তাহলে এর থেকেই প্রতিয়মান হয় যে এইডস নামক মরন ব্যাধি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র ঔষুধ হচ্ছে ইসলাম। আর ইসলামই একমাত্র আধুনিক এবং বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১০
ডন ভিটো কর্নিয়লি বলেছেন: জনাব,সঠিক লিংকটা দেন??
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৪
রোলেন বলেছেন: -স্বামীর মাধ্যমে এইডস হয় ৯৫ ভাগ সৌদি নারীর-
এটা লিখে গুগলে চার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন।
http://www.ntvbd.com/world/29902/
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: হ তোমার মাথা । তুমি যেইটা মিন করতে চাঁচ্ছ সেইটার মাধ্যমে এইডস ছড়ায় মাত্র ১ % , ৯৮ ভাগ ছড়ায় রক্তের মাধ্যমে । যেইটার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই ।
কিছু অকাট মূর্খ আজকাল ব্লগার হইতে আইছে ।কিছু সম্পর্কে কোন বিন্দুমাত্র ধারণা না রেখেই লেখে ।
তুমি এইটা বলতে পারো ইসলাম মেনে চললে সিফিলিস , গনেরিয়া এসবের মতো শুধু যৌন বাহিত রোগ হবে না । এটা আমি ও বিশ্বাস করি যে ইসলামের অনুশাসন মেনে চললে কোন যৌন বাহিত দুরারোগ্য ব্যাধি হবে না ।
এইডস কে শুধু যৌন বাহিত রোগ বলা হয় না । এটা তোমাদের মতো এদেশের কিছু গণ্ড মূর্খ লোকের অজানা ধারণা ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩১
ডন ভিটো কর্নিয়লি বলেছেন: তুমি তো দেশ উদ্ধার করি হালাইছো!
৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: আমি কইলাম কি , উত্তর দিল কি , , বাংলা বুঝেন ভাই ?????
৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪১
সাদী ফেরদৌস বলেছেন: পৃথিবীর ৯৮ ভাগ এইডস রোগীর এই রোগটা হয় রক্ত কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে ।
বীর্যের মাধ্যমে ছড়ায় মাত্র ১ ভাগ , এবং এইডস কে শুধু যৌন বাহিত রোগ বলা হয় না ।
অবাধ বিকৃত যৌনতার মাধ্যমে সিফিলিস গনেরিয়ার মতো দুরারোগ্য ব্যাধি হয় ।
গুগলে সার্চ দিয়ে এইডস সম্পর্কে ইংরেজি জার্নাল গুলো পড়ে নেন । তাহলেই আপনার ধারণা পরিস্কার হয়ে যাবে । আর পোস্ট টাও সংশোধন করে নেন ।
পোস্টে ভালোলাগা থাকলো । আপনার উদ্দেশ্য সৎ ।
৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৫১
রোলেন বলেছেন: ( নাস্তিকরা দূরে থাকুন ) এই বাক্যটা লিখার কোন দরকারই ছিল না।
সাদী ফেরদৌস : এর সাথে সহমত।
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৭
বাংলার জামিনদার বলেছেন: মিডলইস্টে যাইয়া আগে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। তারা ইসলামের আলো থেকে বন্চিত, এইডস বাধাইয়া ফালাইতাছে খালি।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫০
রোলেন বলেছেন: শুনলাম সৌদি নারীরা নাকি এইডস আক্রান্ত!
স্বামীর মাধ্যমে এইডস হয় ৯৫ ভাগ সৌদি নারীর
http://www.ntvbd.com
ইসলাম এখন কি বলবে?