নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
আজকের বনানীর এফআর টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড নিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদন।
সরকারের প্রতি অনুরোধ করবো ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে একটি পাবলিক তহবিল গঠনের অনুমতি দেওয়া হউক। আমরা দেশের সকল মানুষ সেই তহবিলে টাকা জমা করবো। যে যার সামর্থ্য অনুসারে ওই তহবিলে টাকা রাখবো, দেশের জনগণের টাকায় আগুন নেভানোর জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হবে।
প্রতিটা অগ্নিকাণ্ডের সময় আমরা দেখছি এক এক জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী কিভাবে জীবন বাজি রেখে আগুনে আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের কোন দোষ নেই, চেষ্টার কোন ত্রুটি নেই, শুধুমাত্র আধুনিক যন্ত্রাংশের অভাব রয়ে গেছে।
যমুনা টিভির প্রতিবেদনঃ ধোঁয়ার মধ্যে থেকে হাত নেড়ে বাঁচার আকুতি
১০/১২ কোটি টাকা দিয়ে রোবট সুফিয়াকে আনা হয়, হাজার কোটি টাকা খরচ করে স্যাটেলাইট উড়ানো হয় অথচ মাত্র ২২ তলা পর্যন্ত উঠবার সিঁড়ি নাই ফায়ার সার্ভিসের! ভবনের আগুনের থেকে প্রানে বাঁচতে অনেকেই উপর থেকে নীচে লাফ দিয়েছিলেন যাদের সবাই নিহত বা গুরুত্বর আহত হয়েছেন সামান্য প্রতিরক্ষা নেট অথবা ফোমের ব্যবস্থা থাকলেও অনেককে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হত। অনেকেই দেখলাম টেলিফোনের তার ধরে নামতে গিয়ে পড়ে মারা গিয়েছেন অথচ কমান্ডো বাহিনীর মাধ্যমে তাদের সহজেই উদ্ধার করা সম্ভব ছিল।
সময় টিভির নিউজঃ জীবন বাঁচাতে উঁচু ভবন থেকে লাফ দিচ্ছে দিশেহারা মানুষ
শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের আন্দোলনের সময় আমাদের জরুরী লেন উপহার দিয়েছিল অথচ আজ জরুরী লেনের অভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উদ্ধারের জন্য পৌঁছুতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকতে হয়েছে।
প্রতিবারই আগুন লাগে, মানুষ মারা যায়, আর ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন কখনো প্রকাশ পায় না আর প্রকাশ পেলেও তাদের পরামর্শ গ্রহন করা হয় না। রাজউকের উচিৎ বহুতল ভবনে নিয়মিত পরিদর্শন করা এবং তাদের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যেন ভবন কর্তৃপক্ষ ভবনগুলোতে কার্যকারী অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা ও ফায়ার এক্সিট রাখে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সঞ্চিত টাকা নাগরিক কমিটি করে তাদের মাধ্যমে খরচ করা যেতে পারে। অবশ্যই সঞ্চয় এবং ব্যয়ের পরিমান জনগণকে জানাতে হবে।
২| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫১
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: কি আর বলব। এই অগ্নিকান্ডের কথাটা মনে হলেই দুঃখে কলিজা ফেটে যেতে চায়। আর তাঁদের স্বজনদের যে কি অবস্থা...
আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখুক...
আর দেশের সরকারের প্রতি যে কি ঘৃণা আসছে বলে বুঝাতে পারব না।
১০/১২ কোটি টাকা দিয়ে রোবট সুফিয়াকে
আনা হয়, হাজার কোটি টাকা খরচ করে
স্যাটেলাইট উড়ানো হয় অথচ মাত্র ২২ তলা
পর্যন্ত উঠবার সিঁড়ি নাই ফায়ার
সার্ভিসের!
এইটা ঠিক বলেছেন
২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৫৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: দুঃখজনক।
৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩২
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। যারা নিহত হয়েছে তাদেরকে জান্নাতের উচ্চু আসন দান করুন। আহতদেরকে আল্লাহ সুস্হ করে দিন।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আমিন।
৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: গতকাল সারারাত একফোটা ঘুম হয়নি। সারারাত ছটফট করেছি। বনানীর ঘটনা আমার ঘুম কেড়ে নিয়েছে।
২৯ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: যেসব ভিডিও দেখলাম তা সত্যি দুঃখজনক। জীবন বাঁচাতে লাফ দিয়ে মৃত্যু ভাবতেই খারাপ লাগছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১১:৪৮
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: সেই টাকাও বাংলাদেশ ব্যাংকে রাখা সোনার মত গায়েব হয়ে যাবে।