নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
দুই দিন পর পর বালিশ দুর্নীতি, পর্দা দুর্নীতি নামক অনেক দুর্নীতি ফাঁস হচ্ছে। রূপপুর থেকে ফরিদপুর সর্বত্রই দুর্নীতি আমাদের দেশের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্পের নামের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। সব সময় দুর্নীতির সবগুলো ঘটনা যে আমাদের সামনে ফাঁস হচ্ছে সেটাও না সামান্য কিছু দুর্নীতির ঘটনা আমরা জানতে পারছি। আর এভাবেই প্রশাসনের সাথে যুক্ত সর্বনিম্ন পদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদে থেকে জনগণের কষ্টের টাকা লোপাট করা হচ্ছে। সত্যি অবাক হয়ে যাই আমাদের দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নাকি বিদেশে যায় পুকুর কাটা দেখতে, ক্যামেরা দেখতে জার্মানি যাওয়া হয়। দেশের সর্বত্র জনগনের টাকা লুটে-পুটে খাবার প্রতিযোগিতা চলছে। অনেক আগে পত্রিকায় একটি খবর পড়েছিলাম দক্ষিণ কোরিয়ার এক সাবেক প্রেসিডেন্টের নামে দুর্নীতির অভিযোগ আসায় তিনি পাহাড় থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। কেননা তার কাছে দুর্নীতির মত অপমান জনক অভিযোগ নিয়ে বেঁচে থাকবার থেকে মৃত্যুই শ্রেয় ছিল। আমরা সব সময় বলি আমরা ছোট দেশ অথচ দক্ষিণ কোরিয়া কিন্তু আমাদের থেকেও বেশ ছোট দেশ কিন্তু তারা বিশ্বের অন্যতম ধনী ও সফল দেশ অন্যদিকে কংগো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দেশ হলেও গরীব হয়ে আছে তাদের নেতাদের দুর্নীতির জন্য। আজীবন আমরা ব্রিটিশ, পাকিস্তান, ভারতের দোষ দিয়ে গেলাম অথচ স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও আমরা জাতি হিসেবে কতটা ভালো পর্যায়ে পৌঁছুতে পেরেছি সেটা এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। নিরাপদ বায়ু, সুপেয় পানি, সামাজিক নিরাপত্তা, স্যানিটেশন এই ধরনের কোন সূচকেই আমাদের দেশের নাম প্রথমের দিকে নাই। সত্যি বলতে আমাদের দেশের মানুষ কোয়ালিটি অফ লাইফ নামক কোন সুযোগ সুবিধে এদেশের থেকে আশাই করে না। আমাদের দেশের মেধাবী সন্তানেরা আজও স্বপ্ন দেখি কিভাবে ইউরোপের কোন দেশে সেটেল হওয়া যায়, অস্ট্রেলিয়া, অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করে আগামী প্রজন্মকে একটা সুন্দর ভবিষ্যৎ উপহার দেওয়া যায়!
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সমাজের সবাই আজ অদৃশ্য এক শৃঙ্খলে আবদ্ধ। অধিকার চাইলে নেমে আসে নির্যাতন। দেশের জন্য নেতাদের কোন দরদ নেই। সুতরাং বাস্তবতা ভয়াবহ।
২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪২
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
স্বাধীনতার লক্ষ্য আসলে কি ছিল?
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা, অর্থনৈতিক মুক্তি, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের ও নিজেদের ভোটে পছন্দমত জনপ্রতিনিধি নির্বাচন, সকল নাগরিক সুবিধে লাভ, বিশ্বের বুকে একটি প্রতিষ্ঠিত জাতি হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন।
৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৯
রাজীব নুর বলেছেন: ছোট্র একটা দেশ। মানুষ বেশি। সমস্যার শেষ নেই। তবে আমি আশাবাদী। একদিন এই দেশ ঠিকই সোনার দেশ হবে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সাউথ কোরিয়ার আয়তন জানেন কি ? কিংবা কঙ্গো? কঙ্গো বিশ্বের মধ্যে এগারোতম বৃহৎ দেশ, এমনকি পুতিন ক্ষমতায় আসার আগে রাশিয়া প্রায় দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল বিশ্বের সব থেকে বেশি বড় দেশ হওয়া সত্ত্বেও। কাতার কত ছোট দেশ তারপরও বিশ্বের সেরা দেশের একটি।
৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: কাতার রাশিয়া এরা প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর । কাতারের বর্তমান অবস্থা তেমন ভালো না। কাতারের ভবিষ্যতে ইরাকের পরিণতি ভোগ করতে পারে।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০০
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: অবস্থা ভালো না হলেও নাগরিক সুবিধে লাভের ক্ষেত্রে তাদের দেশের বিশ্বের প্রথম সারির দেশের একটি। আর পুতিন ক্ষমতায় আসার আগেও রাশিয়ার সম্পদ ছিল, কিন্তু আফ্রিকায় সোনার ক্ষনি থাকলেও তাদের দেশের জনগনের ৩ বেলার খাবারের ব্যবস্থা তারা করতে পারে না।
৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২০
নতুন বলেছেন: স্বাধীনতা তো সবাই চরম ভাবে ভোগ করছে।
না হলে বেশির ভাগ মানুষ দূনিতি করছে, ব্যবসায়ীরা ভ্যাজাল দিচ্ছে, পুলিশ স্বাধীনতা ভোগ করছে বলেই তো অবাধে ঘুষ খাচ্ছে।
দেশ একটু বেশি স্বাধীন হয়ে গেছে তাই সমস্যা হচ্ছে।
দেশের মানুষেরা ভন্ডামী বন্ধ না করলে দেশের উন্নতি কিভাবে হবে?
মুরুব্বিরা সবাই ভালো মানুষ, সকল অফিসার, ব্যবসায়ীরা সমাজে ভালো মানুষ, শ্রদ্ধার পাত্র... তবে দূনিতি করছে কারা?
দেশের মানুষ যেদিন নিজেরা ভালো হওয়া শুরু করবে সেইদিন দেশ ভালো হবে।
যেদিন সরকার প্রধান ;দেশের জন্য কাজ শুরু করবে সেইদিন দেশের উন্নয়ন শুরু হবে।
যেদিন সরকার প্রধান অন্যায়ের জন্য সবাইকে জবাবদিহি করতে বাধ্য করতে পারবে, নিজের দলের সবাইকে বলবে যে অন্যায় করলে তাদেরও নিশ্তার নাই.... সেদিন দেশ ভালো হবে।
০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সেই দিন কবে আসবে? আসলেই কোন দিন আসবে কি?
৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৫
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: নতুনের মন্তব্যে সহমত।
দেশের মানুষের স্বাধীনতা একটু বেশী হয়ে গিয়েছে। যেই সুযোগ পাচ্ছে অনিয়ম আর দুর্নীতি করছে। লোক দেখানো চেতনাবাজী বন্ধ না করলে দেশের উন্নতি হবে না
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:২৪
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: স্বাধীনতা নাই বরং শাসক শ্রেনী বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নাই। তবে চেতনাবাজরা চেতনার কথা বলে আমাদের জনগনের সাথে নিয়মিত প্রতারণা করে চলছে।
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১২:১৫
আলআমিন১২৩ বলেছেন: স্বাধীনতা নাই বরং শাসক শ্রেনী বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নাই। তবে চেতনাবাজরা চেতনার কথা বলে আমাদের জনগনের সাথে নিয়মিত প্রতারণা করে চলছে--১০০ভাগ কথা। এর চেয়ে বড় বাস্তবতা আর হয়না।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৩
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪৭
গোধুলী বেলা বলেছেন: হয়ত কোন এক সময় আমাদের দেশও অনেক কিছুই হবে। তবে যত দিন না যুব সমাজ তার অধিকার,আইন,শাসন নিয়ে কথা না বলবে তত দিন এইভাবেই চলবে।