নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অব্যক্ত ধ্বনি

আল-শাহ্‌রিয়ার

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।

আল-শাহ্‌রিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুঁটকির হাটে বিড়াল চৌকিদার!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

গুলশানে ভাইয়ের নামে মদের বার চালাচ্ছেন খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা!
মদের দোকান (বার) চালানোর অভিযোগ উঠেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কর্মকর্তা পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) হেলালউদ্দিন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। নিজেকে আড়ালে রেখে কৌশলে এই মদের বার চালান তিনি আপন ভাই মো. আজাদ হোসেনের নামে। খবর জানাজানি হওয়ায় নিজেকে বাঁচাতে এখন সেই ভাইকেই অস্বীকার করেছেন তিনি। কর্মস্থল যশোর হলেও বেশিরভাগ সময় থাকেন রাজধানীতে। মোহাম্মদপুরে নবোদয় হাউজিংয়ে তার বাসা।

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হেলাল ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিকদারের বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জেনেছে, তাদের আছে কাড়ি কাড়ি টাকা ও অঢেল সম্পদ। কিভাবে তারা ধনকুবের হলো, সেই উৎস বের করতে দুদকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় নিজেকে আড়ালে রেখে ‘লেক ভিউ রিক্রিয়েশন ক্লাব লিমিটেড’ পরিচালনা করতে আরও ৫ জনের সঙ্গে যুক্ত আছেন হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া। রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের ৩০ নম্বর রোডের ৬০সি নম্বর বাসার ৫তলা ভবনে পরিচালিত এই বার ‘টপ রেটেড’ হিসেবে পরিচিত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা হেলালের দাবি, আজাদ নামে তার কোনো ভাই নেই। কিন্তু আজাদ জানান, হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া তার আপন ভাই। জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাবা আলী আহম্মদ ভূঁইয়া এবং মা মোসাম্মৎ সামছুন নাহার। পেশা ‘ছাত্র’। আলী আহম্মদ ভূঁইয়া ও সামছুন নাহার দম্পতির ছেলে হেলাল। আজাদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের বড়কান্দি (মধ্যাংশ)। বাড়ির নাম ‘ভূঁইয়া বাড়ি’। একই ঠিকারা হেলালেরও। জানা গেছে, ৬ ভাইবোনের মধ্যে হেলাল চতুর্থ। আজাদ সবার ছোট।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ইন্সপেক্টর হেলালউদ্দিন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী মাহমুদা সিকদার ওরফে মাহমুদা হেলালসহ নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ার অভিযোগ ওঠে গত বছর। একই বছরের ২৯ জুলাই দুদকে এ-সংক্রান্ত অভিযোগ জমা পড়ে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত শাখা-২ জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে হেলাল ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। গত ২৮ আগস্ট দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন তাদের নোটিশ পাঠিয়েছেন। ২১ কর্মদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব দুদকে জমা দিতে বলা হয়।
তথ্য সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন

হ্যাঁ এবার বুঝুন কারা এদেশের সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছে? অবাক হচ্ছেন কি? না অবাক হওয়ার মত কোন বিষয়ই নয় এই নিউজটি বরং এটিই এদেশের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টের বাস্তব চিত্র। বার মালিক যদি মাদক নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে থাকে তবে কিভাবে এদেশকে মাদক মুক্ত করবার চিন্তা করবেন? হেলালউদ্দিন ভূঁইয়ার মত অর্থ লোভী অমানুষেরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দেশের মাদক ব্যবসা মাধ্যমে আমাদের সম্ভাবনাময় তরুন সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন আর আমরা সাধারন জনগন বিভিন্ন প্রকার ট্যাক্স দিয়ে এই অর্থলোভী পশুদের পুষছি।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের কত টাকা !!!

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ???

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫৫

ইসিয়াক বলেছেন: বেঁচে থাকার জন্য মানুষের কত টাকা প্রয়োজন ?
এক জীবনে এত টাকার কতটুকু অংশ সে ভোগ করে যেতে পারে ?

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সেটা এরাই জানাতে পারবে।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৫

নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশ একদম পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত।

৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: মদের ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৪

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: খারাপ কাজে সব সময় কম কষ্টে বেশি লাভ।

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ???

ওদের টাকা আছে। তবু ভালো ব্যবসা করে না।
মদ গ্যাঞ্জা বিক্রি করে।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৫

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: ওদের টাকা হয়েছে তো এসব খারাপ ব্যবসা থেকেই।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অবাক হওয়ার কিছু নেই। আগেও বলেছি, এই দেশ নিয়ে আশা আমার দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমান ধারার রাজনীতি চলতে থাকলে এই দেশের কোন উন্নতি হবে না...

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২২

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সহমত

৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৬

ভবিষ্যত বলেছেন: ভাই আপনি সুযোগ পান না বলে সৎ। সবচেয়ে বড় কথা কলো আমরা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে ব্যর্থ...আমরা কেউ সৎ না.. আমরা সবাই দায়ী। আমরা সবাই আবোধ..বোধ শক্তি আমাদের কমে গেছে.... দেশ নিয়ে আমার আশা অনেক আগেই শেষ। কিছু বাস্তব সম্মত ভবিষ্যতবানী (না আমি কোন জোতিশি না..এটা বিবেক বান সম্মন্ন মানুষ এটা গেস করতে পারবেন)

১) আগামী দশ বছরের মধ্যে ভারত আর বাংলাদেশ মিশে একাকার হয়ে যাবে।
২) আগামী দশ বছরের মধ্যে বাংলা ভাষা বিশাল পরিবর্তন হবে, হিন্দি ভাষা সেখানে একটা বিশাল স্থান করে নিবে।
৩) আগামী দশ বছেরর মধ্যে দেশের আনাছে কানাছে আমাদের সরকার প্রধানের বিশাল বিশাল মুর্তি দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হবে।
৪) আগামী দশ বছরের মধ্যে আমাদের বঙ্গােপসাগরে ভারত দখল করবে আর আমাদের ইলিশ মাছ ভারত থেকে আমদানী করে খাওয়া লাগবে।
৫) আাগমী দশ বছরের দেশে ফেসবুকের, ইউটিউব এর ব্যবহার ১০গুন বাড়বে, দুনীয়ার যত নোংড়া কাজ এর মাধ্যমে প্রকাশ হবে।
৬) আগামী দশ বছরে দেশের পাঠ্যবই এ আমাদের সংসদের ৩০০ এর জনের জীবনী পড়ানো হবে।
৭) এদিকে দেশের সংস্কৃতিতে ভাড়ামী বৃদ্ধি পাবে..
৮) আর কোন হুমায়ন আহমেদ, কিংবা নুর হোসেন জন্মাবে না।
৯) পুরা বাংলাদেশটা একটা বাংলা ছিনেমা হয়ে যাবে...
১০) এগুলো নিছক কল্পনা ..মনের গভীরে কোথায় এখন একটু আশা হয়তো জীবিত থাকবে আর গাইবে "আমার আঙ্গীনায় ছড়ানো ছিটানো সোনা সোনা ধুলিকনা, মাটির মমতায় ঘাস ফসলে সবুজের আল্পনা, আমার তাতেই হয়েছে স্বপ্নের বিজ বোনা, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, জীবন বাংলাদেশ আমার মরন বাংলাদেশ" অন্তরের গভীরে একটুকরো সোনার বাংলাদেশ জীবিত থাকবেই..


০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৯

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: সত্যি ভয় হচ্ছে কবে না জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা চেঞ্জ হয়ে যায়।

৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ভোর ৪:০৯

গরল বলেছেন: ভেতরের ছবিগুলো কিন্তু ঐ বারের না, কারণ আমি মাঝে মাঝে যাই সেখানে বিয়ার খেতে। আর ওখানে কোন নাচা-নাচি বা পার্টিও হয় না। একটা রেষ্টুরেন্টের মতই শুধুমাত্র অ্যালকোহল পাওয়া যায়, এর বেশি কিছু না। আমার জানা মতে তারা লাইসেন্স নিয়েই ব্যাবসা করে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩১

আল-শাহ্‌রিয়ার বলেছেন: লাইসেন্সের থেকে বড় বিষয় হল এত টাকা কোথা থেকে আসলো একজন সরকারি কর্তার?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.