নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
আশাকরি শিরোনাম দেখেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন আজকের ব্লগিংয়ের বিষয়বস্তু। আমরা সবাই জানি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ৩০ জানুয়ারি। আর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতীপূজা হল ২৯ জানুয়ারি। তবে পুজার বিভিন্ন কার্যক্রম সমাপ্ত করতে করতে সেটা ৩০ জানুয়ারি গড়াবে। সুতরাং ৩০ জানুয়ারি একই সাথে পূজা ও নির্বাচন। আর নির্বাচনের সেন্টার ও সরস্বতী পূজা আয়োজন উভয়ের স্থান হল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সুতরাং ৩০ তারিখ নির্বাচন বন্ধে বা নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের জন্য বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে আদালত তার রায়ে নির্বাচন বন্ধ বা তারিখ পরিবর্তনের জন্য বলে নাই বরং রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন ৫৩ টি কেন্দ্রে একই সাথে নির্বাচন আয়োজন ও পূজা আয়োজনের কথা বলছে। সুতরাং নিরাপত্তার কারন দেখিয়ে পূজা বন্ধের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল সেটাও ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তবুও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পূজার দিনে নির্বাচন প্রতিহত করবার জন্য আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে।
পূজার দিনে নির্বাচন প্রতিহত করবার এই আন্দোলনে হিন্দু থেকে শুরু করে মুসলিম সবার একপ্রকার সমর্থনও রয়েছে এমন কি ছাত্রদল-ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে কথিত শিবির এজেন্ট(!) ঢাবির নির্বাচিত ভিপি নূর'রাও পূজার দিনে নির্বাচন আয়োজনের বিরুদ্ধে সবাই এক হয়েছে। তবে আওয়ামীলীগ সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের আদালতের রায় মেনে নিতে শিক্ষার্থীদের আহব্বান জানিয়েছে আর নির্বাচন কমিশন এখন আদালতের রায়ের কথা বলে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের সম্ভাবনা সরাসরি বাতিল করে দিয়েছে।
এমন একটি অবস্থায় ঢাবির কিছু শিক্ষার্থী অনশন থেকে শুরু করে শাহবাগের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছে। মনে রাখা প্রয়োজন শাহবাগের আশেপাশে ঢাকা মেডিকেল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল ও বার্ডেমের মত দেশের সব থেকে প্রসিদ্ধ ৩ টি হসপিটাল রয়েছে যেখানে অসংখ্য রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন।
যাই হোক এবার মূল প্রসঙ্গে আসি গত দুই দিন আগে ঢাবি ছাত্রদের কর্মসূচি ছিল নির্বাচন কমিশন ঘেরাও তবে পুলিশি বাঁধায় তারা ব্যর্থ হলে শাহবাগ অবরোধ করে আর সেই অবরোধে কয়েক ঘণ্টা একজন প্রবাসী ব্যবসায়ী তার গর্ভবতী স্ত্রী'কে নিয়ে আটকে থাকেন যিনি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেন তাদের গাড়িটি ছেড়ে দিতে যেন তার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন কিন্তু শিক্ষার্থীরা তার অনুরোধ না রেখে বরং তার সাথে তর্কে লিপ্ত হয় আর ওই মুহূর্তে সেই প্রবাসী ব্যবসায়ী তার ধর্য হারিয়ে এক শিক্ষার্থীকে তার লাইসেন্স করা অস্ত্রের ভয় দেখান সাথে সাথেই সব ছাত্ররা মিলে ওই ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে আর সেই মুহূর্তে ওই ব্যবসায়ীর গর্ভবতী স্ত্রী অসহায় স্বামীর জীবন রক্ষার চেষ্টা চালান। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে ওই প্রবাসীর জীবন রক্ষা পায়।
যাই হোক আমি নিজেও শিক্ষার্থী হিসেবে বেশ কিছু আন্দোলন করেছি। নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন, ভ্যাট ও কোটা বিরোধী আন্দোলন তার মধ্যে অন্যতম। সেসব আন্দোলনের সময়ে সবাই চেষ্টা করেছি যেন অসুস্থ কোন মানুষের সমস্যা না হয়, হজ্ব যাত্রীদের, বাস ছেড়ে দেওয়া, প্রবাসী যাত্রীদের গাড়ি ছেড়ে দেওয়া এসব বিষয়ে আমাদের সবার মধ্যে একপ্রকার ঐক্যমত ছিল ফলে দেশের সব মানুষ আমাদের আন্দোলনের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তবে এবারের আন্দোলনে একজন গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে যেতে বাধা দেওয়ার মত ঘটনা কিন্তু ঢাবির শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ আন্দোলনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ধরলাম ওই ব্যক্তি অস্ত্র বের করে ভয় দেখানর জন্যই মার খেয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে ভাগ্যগুনে ফিরে এসেছেন। তার অস্ত্র বের করা যেমন ঠিক হয়নাই তেমনি গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টাকে কোন ভাবেই সমর্থন করা যায় না মনে রাখবেন তিনি কিন্তু কোন গুলি চালান নাই। মানবের থেকে বড় ধর্ম আর কিছুই হতে পারে না। সুতরাং মানুষকে কষ্ট দিয়ে ধর্মের দোহাই দেওয়া কোন মতেই সমর্থনযোগ্য নয়। আইএস, আল-কায়েদা থেকে আরএসএস এরা ধর্মের নামে মানবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় কিন্তু আমরা এদের সন্ত্রাসী বলছি। পরিশেষে প্রার্থনা সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সঠিক জ্ঞান দান করুন। ধর্মের নামে বিভেদ বা ধর্মীয় আচারন পালনে বাধা প্রদান কোনটাই কাম্য নয়।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: গর্ভবতী মহিলাকে হাসপাতালে যেতে বাঁধা দেয়াটা চরম অমানবিকতা হয়েছে। এমন ক্ষেত্রে কোনো মহামানবেরই ধৈর্য থাকার কথা না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: সেই প্রবাসি ছাত্রদের পিস্তলের ভয় দেখালো কেন বোধগম্য নয়। ভালভাবে বুঝিয়ে বললে ছাত্রদের না বোঝার কারনতো নাই।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: আধঘণ্টা ধরে তিনি বুঝিয়েছেন। তবে পিস্তল দেখানো সমর্থন করছি না এবং শিক্ষার্থীদের আচারন প্রশ্নবিদ্ধ।
৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশের মানুষগুলো দিন দিন যেন কেমন হয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে শুধুই হতাশার কথা শুনি!!
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত। বিষয়টি দুঃখজনক।
৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১০
নতুন বলেছেন: উনি এম্বুলেন্সে ছিলেন না। আর উনার স্ত্রী গাড়ী থেকে নেমে তাকে থামানোর চেস্টা করেছে তার মানে স্ত্রী সেই রকমের অসুস্থ ছিলেন না।
উনি কাউকে হত্যার হুমকি দিতে পারেন না। আর সেটা করলে তাকে ছাত্ররা পিটুনি দেবে সেটা খুবই সাভাবিক।
উনি ড্রাইভারের কাছে গাড়ি রেখে রাস্তা পার হয়ে অন্য গাড়ীতে চলে যেতে পারতেন, সেটা না করে তিনি ছাত্রদের পিস্তল দেখিয়েছে....
মনে হচ্ছে উনার মাথায় সমস্যা আছে।
উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সহ প্রবাসী মুসলিম ব্যবসায়ী স্বামী লাঞ্চিত!
ভিডিওটার শিরোনামই কিন্তু পুরাই সম্প্রদায়িক রং দিয়ে লেখা হয়েছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: ভিডিওটা যিনি আপলোড করেছেন তিনি নিঃসন্দেহে বেশি ভিউ পেতেই এমন সাম্প্রদায়িক শিরোনাম দিয়েছেন। তবে অস্ত্র বের করে ওই ব্যক্তি যতটা ভুল করেছন তেমনি ছাত্ররা মারামারি করে নিজেদের কিন্তু গুন্ডার পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। ওই ব্যক্তি কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করে আধঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করেছে তাদের গাড়িটি ছেড়ে দেবার জন্য। আর মহিলা তার স্বামীকে বাঁচাতে নিজের শারীরিক ঝুকি নিয়েছেন। আমার বোনের সিজারে বাচ্চা হবার পর কিন্তু আমরাও অ্যাম্বুলেন্সে না নিয়ে বরং গাড়িতেই নিয়েছিলাম কেননা অ্যাম্বুলেন্সের থেকে গাড়ি বেশি আরামদায়ক। পুলিশ সঠিক সময়ে না এলে কিন্তু ওই ছাত্ররা সন্ত্রাসী হিসেবে খুনের মামলায় জড়িয়ে যেত। শিক্ষার্থীদের কাছে সহনশীলতা কাম্য। শিক্ষার্থীদের অবস্থান সরকারের ও নির্বাচন কমিশনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনতার বিরুদ্ধে হতে পারে না।
৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ভোট তো রাতের বেলায়ই হয়ে যাবে।
ভোট তো সারাংলাদেশে হবে না। শুধু ঢাকাতে হবে। বরং তাদের জন্য আরো ভালো হয়েছে। রাস্তায় জ্যাম থাকবে না।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: হা হা ভালো বলেছেন। তবে সেটা আমাদের দেশের জন্য লজ্জার সন্মানের নয়।
৭| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ২:৪৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: জগন্নাথ হলে সংখ্যালঘু নামধারী অনেক সন্ত্রাসী থাকে।
এরা যেকোনো অজুহাতে নীরিহদের আঘাত করে।
এদের উচ্ছেদ করা দরকার।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৫
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সংখ্যালঘু বা গুরু বিষয় না তবে মানুষকে অপদস্ত করা বা হত্যার লাইসেন্স কাউকে দেওয়া হয় নাই।
৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: আমাদের সরকার, মানুষ ও ছাত্ররা সাবাই মিলেই ভুল করছে।
সবাই যে যার মত কাজ করছে, দায়িত্বশীল আচরন কেউ করছে না।
ভুল টা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন
ভদ্রলোককে দোষ দেয়া যায় না।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৮
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২১
করুণাধারা বলেছেন: আজকাল লগ ইন করাই হয় না, এখন করলাম আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
এই ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার আমিও অবরোধের কবলে পড়েছিলাম, সেদিন শ্যামলীতে গার্মেন্ট শ্রমিকরা প্রায় চার ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছিল। আমি গাড়িতে দুই ঘন্টা এটি জায়গায় বসে দেখছিলাম বয়স্ক, অসুস্থ অনেক মানুষ অতি কষ্টে হেঁটে চলেছেন। এরমধ্যে হঠাৎ দেখি কিছু মানুষ বাস, গাড়িগুলো কিভাবে এরেন্জ করে বামপাশে জায়গা করার চেষ্টা করছেন। আমার ড্রাইভার রাজি হচ্ছিল না দুই বাসের মাঝের সংকীর্ণ জায়গায় গাড়ি রাখতে। তখন কয়েকজন ছেলে এসে বলল, আন্টি, ডেলিভারী রোগীর জন্য... একটু সাহায্য করেন। দেখলাম স্বতস্ফূর্তভাবে সবাই কোনভাবে জায়গা করে দিলেন, বাম পাশে একটা গাড়ি চলার মত জায়গা হল, রোগী নিয়ে একটা ছোট গাড়ি এগিয়ে গেল।
এখন আমার মনে হচ্ছে, অবরোধের সময় অনেক গাড়িতে রোগী থাকে, এই সময় ট্রাফিক পুলিশ সহজেই এদের এভাবে বের করে নিতে পারেন।
দু তিন ঘণ্টা এভাবে অকারণে গাড়িতে অবরুদ্ধ থাকতে কেমন লাগে তা নিজে অবরুদ্ধ না হলে বোঝা যায় না। আরেকটা কথা, স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর কিছুক্ষণ পর পর শৌচাগারে যেতে হয়, নাহলে প্রচন্ড কষ্ট হয়, অন্যান্য কষ্ট তো আছেই। এই অবস্থা দেখলে যেকোন মানুষের মাথা খারাপ হবেই, সাথে পিস্তল থাকলে সেসময় পিস্তলের ভয় দেখিয়ে বের হবার চেষ্টা করা খুবই স্বাভাবিক।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৭
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত। সবার উচিৎ মানবতা বোধ জাগ্রত করা তাহলে এসব ঘটনা আর ঘটবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৬
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: খালি ঝামেলা লাগে, আসলে লাগানো হয়। ঝামেলার ফাঁকে আসল কাজ সেরে ফেলা হয়।