নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার ভেতরের কারণগুলো জানতে এবং বিশ্লেষণ করতে চেষ্টা করি এবং সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। সামাজিক, রাজনৈতিক আর আন্তর্জাতিক বিষয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে। তাই ব্লগে পদচারনা।
সারা ভারত যখন করোনা ঝুঁকিতে কাঁপছে তখন আশার আলো দেখাচ্ছে কেরালা রাজ্য।
যেখানে প্রথম সংক্রমণের ১০০ দিন পেরিয়ে গেলেও সর্বশেষ ১২ এপ্রিল সেখানে করোনায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩৪৬ জন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে চলে গেছেন ১২৩ জন। আর মারা গেছেন মাত্র তিনজন। তিনকোটি জনগনের এই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কখনোই ৪০০ ছাড়ায় নাই। কেরালার অনেক লোক বিদেশে থাকে এবং তাদের একটি অংশ দেশে ফিরলেও কেরালা রাজ্য সরকার সফল ভাবে ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষকে তাদের নিজ নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখতে পেরেছে।
মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে ব্যবহার করা হয় কেরালায়। ‘সামাজিক দূরত্ব’ কথাটাও এড়িয়ে যায় তারা। সেখানে এটাকে বলা হয় ‘শারীরিক দূরত্ব, কিন্তু সামাজিক সংহতি’। যা গতকাল আইইডিসিআর বলেছে এতদিনের সামাজিক দূরত্ব বলবার বদলে।
এরই মধ্যে কেরালার রাজ্য সরকার সেখানেই ২৫% মানুষের বাড়িতে অন্তত দুই সপ্তাহের খাবার পৌঁছে দিয়েছে যা পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যেই তারা আবারও বাড়িতে থেকেই পেয়ে যাবে। অর্থাৎ ত্রাণ নিতে তাদের আমাদের দেশের মত চেয়ারম্যান-মেম্বারসব রাজনীতিবিদদের পিছে ছুটতে হচ্ছে না। খাবারের অভাবে দুশ্চিন্তায় পরে নিজেকে শেষ করে দেবার প্রয়োজন বা চালচোরদের থেকে নিজেদের হক বুঝে নিতে ত্রানের ট্রাকে হানা দিতেও হচ্ছে না।
উন্নয়নের ক্ষেত্রে কেরালার নেতৃবৃন্দ ‘প্রবৃদ্ধি’, ‘মাথাপিছু আয়’ ইত্যাদি সূচকের দিকে ছোটেননি। বরং চেষ্টা করা হয়েছে জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর। এই চেষ্টাটা এমনভাবে করা হয়েছে যেন পুরো জনপদে সবার জীবনযাত্রার মান বাড়ে। আশপাশের রাজ্য ও দেশগুলোতে যেমন কিছু ঝলমলে শহর, শপিং মল বা ইট-সিমেন্টের বড় অবকাঠামোকে উন্নয়নের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা হয়, কেরালা তা করেনি। তারা জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিশেষভাবে রাজনৈতিক সচেতনতার ওপর। ফলে সারা ভারতের মধ্যে মানব উন্নয়ন সূচকে তাদের অবস্থান প্রথম। কেরালার শিক্ষা মডেল বলা যায় বিশ্বের অন্যতম সেরা। ১৯৫১ সালে রাজ্যটিতে সাক্ষরতার হার ছিল ৪৭ শতাংশের মতো। এখন তা ৯৪ থেকে ৯৫ শতাংশ। আমাদের সরকার গত পরশু কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার স্বল্প সুদে ঋণদান কর্মসূচী হাতে নিয়েছে কেননা এত দিন পর তারা কৃষির গুরুত্ব কিছুটা বুঝতে পেরেছে অথচ কেরালা সরকার কৃষকদের জন্য পেনশন পর্যন্ত চালু করেছে একইসাথে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্য সরবরাহ করছে।
৫৫ শতাংশ হিন্দুর পাশাপাশি প্রায় ৪৫ শতাংশ মুসলমান ও খ্রিষ্টান রয়েছে কেরালায়। কিন্তু সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা অতি বিরল। এর কারণ খুব সহজ। শাসকদের তরফ থেকে সে ধরনের উসকানি দেওয়া হয় না। কেরালার লোকেরা তাই গর্ব করে বলে, এটা ‘ঈশ্বরের নিজের দেশ’!দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো চার্চ, সেনেগগ, মসজিদগুলোর অক্ষত অবস্থা রাজ্যটির বিকল্প উন্নয়ন মডেলের আরেক প্রতীক। যদি এসব সৌহার্দ্যকে ‘উন্নয়ন’ বলতে মানুষ আদৌ শেখে কোনো দিন।
কার্টেসিঃ প্রথম আলোর আজকের লেখা থেকে সংগৃহীত ও পরিমার্জিত।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০১
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: তারা আজীবন আধুনিক ছিল না তবে নিজেদের চেষ্টায় আধুনিক হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশ কথায় উন্নত হয়েছে কাজে নয়।
২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১১:৪২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আল-শাহ্রিয়ার,
ভালো কথা শোনার মানুষ নেই।
সবাই খারাপটার উদাহরণ দিয়ে নিজের খারাপটাকেই জাষ্টিফাই করে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০২
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সেটাই দুঃখের।
৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তারাও মানুষ আমরাও মানুষ ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: তারা মানুষ আর এদেশে আছে চালচোর যাদের বাপ দাদারা ছিল কম্বল চোর।
৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: সাউথ ইন্ডিয়ানরা শিক্ষিত জাতি। বুদ্ধিমান জাতি।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
আল-শাহ্রিয়ার বলেছেন: সহমত।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: কেরালা অনেক আগে থেকেই উদার আধুনিক, সেই সুফল তারা ভোগ করছে।
বাংলাদেশে সেটা কখনো সম্ভব নয়।