নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

করোনা পরিস্থিতিতে দেশে অর্থনীতি সচল ও মানুষের মনোবল সবল রাখতে যেসব প্রশ্নগুলো সরকারের সামনে আসতে পারে

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪



জানি এটা সরকারের সর্বোচ্চ মহলের চিন্তা। করোনা পরিস্থিতিতে তবুও, নিজের চিন্তা-ভাবনা শেয়ার করছি। করোনা পরিস্থিতিতে দেশে অর্থনীতি সচল ও মানুষের মনোবল সবল রাখতে এই প্রশ্নগুলো সরকারের সামনে আসতেই পারে-

প্রশ্নগুচ্ছ-১ঃ
বাংলাদেশের সরকার ও বাংলাদেশের জনগণের হাতে এখন যত টাকা আছে, শুধু সেটা দিয়ে পুরো দেশকে আগামী ৭ বছর চালানো যাবে কি? এটা করতে হলে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন? সরকার ও জনগণের সেই টাকা এখন কোথায় গচ্ছিত আছে? তাঁরা সেই টাকা কি কি কাজে খরচ করছেন? কোথা হতেইবা সেই টাকা পাচ্ছেন? পাওয়া এবং মৌলিক চাহিদার জন্যে খরচ করার পরে কতজন মানুষের হাতে টাকা উদবৃত্ত থাকে? সেই উদবৃত্ত টাকা কি তাঁরা খরচ করে ফেলেন? নাকি কোথাও জমা করে রাখেন? জমা করলে সেই টাকা কোথায় রাখা হয়? যেখানে জমা করা হয় সেই প্রতিষ্ঠান কি কাজে তা ব্যবহার করে? সেই প্রতিষ্ঠান কিভাবে চলে? তারা কোথায় টাকা খরচ করে? সেই টাকা দেশের বাইরে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে, দেশের মাঝেই কি টাকাগুলো ব্যবহার করা যাবে? তাতে কি সেই প্রতিষ্ঠানগুলো চলতে পারবে?

প্রশ্নগুচ্ছ-২ঃ
সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় ধান ছাড়া সব ধরণের ইম্পোর্ট বন্ধ করে শুধু দেশে উৎপাদন করা পণ্য দিয়ে দেশের মানুষ আগামী ৭ বছর চলবে, তাহলে আমরা চলতে পারবো কি? ইম্পোর্ট বন্ধ হলে, দেশজ পণ্যের উৎপাদন বেরে যাবে কি? দেশের মানুষের বেসিক চাহিদা মোতাবেক যত পণ্য দরকার, সেসব পণ্যের কাঁচামাল দেশে আছে কি? সেইসব কাঁচামাল ও পণ্য দেশেই উতপাদন করা যাবে কি? সেগুলো দেশেই উৎপাদন করলে দেশজ পণ্যের উৎপাদন খরচ কমে যাবে কি? উৎপাদন খরচ কমলে আমরা সেগুলো কম দামে পাবো কি? আমরা কম দামে পেলে আমাদের মাসিক ব্যয় কমে যাবে কি? মাসিক ব্যয় কমে গেলে, সরকারের হাতে উতবৃত্ত টাকা থাকবে কি?

প্রশ্নগুচ্ছ-৩ঃ
এরপরে, সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, দেশের সকল মানুষ, প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকে থাকা সকল টাকা সরকার নিজের হাতে নিয়ে মাসে মাসে সরকারই সকল মানুষকে প্রয়োজনীয় খরচ দিবে, যার যে রকম দরকার সেই মোতাবেক, তাহলে কি বাংলাদেশের মানুষ চলতে পারবে? সেই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের একেকটি পরিবারের মাসিক কত খরচ পড়বে? সরকারের কাছ থেকে পাওয়া টাকা দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্য কেনা যাবে কি?

প্রশ্নগুচ্ছ-৪ঃ
সরকার যদি একটি লিস্ট করে ঠিক করে দেয় যে, আগামী ৭ বছর দেশের মানুষকে এইসব খেতে হবে, তাহলে কি হবে? যদি এই সময়ে পণ্য ও সেবা'র মূল্য, যাতায়াত ভাড়া, এবং বাসা ভাড়া কত হবে তা ঠিক করে দেন, তাহলে দেশের অর্থনীতি এবং মানুষের মনোবল ্সবল থাকবে কি?

জানি এটা সরকারের সর্বোচ্চ মহলের চিন্তা। করোনা পরিস্থিতিতে তবুও, নিজের চিন্তা-ভাবনা শেয়ার করছি।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


৭ বছর কেন? করোনা সর্বাধিক ২ বছর থাকবে; আগামী ১ বছরের মাঝে টিকা দেয়া শুরু হবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন মেয়াদী পরিকল্পনা করে- ৩, ৫ বা ৩০ বছর মেয়াদী।

আমি ৭ বছরের ধারণাটি দিতে চাচ্ছি।

করোনা'র ইফেক্ট লং টার্মের। তাই, প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর আপনার জানা আছে, নাকি প্রশ্নফাঁস করা লাগবে আপনার জন্য?

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

প্রশ্ন ফাঁস করা লাগবে না। আমি ওটা দিয়েই দেয়েছি।

আপনি ইচ্ছে করলে উত্তর দিতে পারেন।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
১৮এপ্রিল শনিবার আজকের আপডেটঃ
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ২১৪৪ সুস্থ ৬৬ মৃত্যু ৮৪

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
জানানোর জন্যে অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: করোনা পরিস্থিতিতে শুধু মাত্র দরিদ্র মানূষের সীমাহীন কষ্ট হবে। অন্যরা ভালোই থাকবে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: তা তো অবশ্যই।

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ৯০ হাজার পরিবহন শ্রমিক খোজে আজ শাহাজান এবং রাঙ্গাকে ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:২১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: খুঁজে পাওয়া গিয়েছে উনাদের? উনারা হয়তো ব্যস্ত।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৩

পলাতক মুর্গ বলেছেন: সোস্যাল ডিসঅর্ডার আরম্ভ হওয়া ঠেকাতে হবে আগে। দীর্ঘমেয়াদি লক ডাউন ধরে রেখে সেইটা সম্ভব কি না, বা কতটা সম্ভব তা নিয়ে চিন্তা করার সময় এসেছে। সরকারের একটা বিশাল অংশ দুর্নীতিবাজ এবং অযোগ্য হওয়াটা একটা বড় সমস্যা। হয়তো মিলিটারি এডমিনিস্ট্রেশন কাজে লাগানোর সময় এসেছে, সেখানেও দুর্নীতি হবে হয়তো, তবে কম হবে বলে আমার বিশ্বাস ।

১৯ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: যার কাজ যেটা তা সঠিক ভাবে করা উচিৎ। তাহলেই, দেশ ভালো ভাবে চলবে।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশ থেকে বৈধ ও অবৈধ ভাবে একটা মোটা অংকের টাকা অন্য দেশে চলে যায়। এই টাকার সামান্য অংশ ফেরত আসে। এছাড়া দুর্নীতিবাজ ও কালোবাজারিরা নগদ টাকা ঘরে বা অন্য কোথাও রাখে। এছাড়া বাকি টাকা আমাদের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলিতে আছে। তবে সরকার কখনই জনগণের টাকার মালিকানা নিজের পক্ষে নিতে পারে না। সরকার প্রয়োজনে সঞ্চয় পত্রের মাধ্যমে জনগণ থেকে ধার নেয়, ব্যাংক থেকে ধার নেয়, বিদেশ থেকে ধার / অনুদান নেয়, রাজস্ব আহরনের মাধ্যমে বার্ষিক বাজেটের খরচ মেটায়। একান্ত বাধ্য হলে টাকা ছাপিয়ে খরচ করে। এখন বিশ্বের অনেক বড় বড় অর্থনীতিবিদরা প্রয়োজনে টাকা ছাপাতে বলছেন। যেমনটা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় হয়েছিল। যদিও এতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়।

আমাদের দেশ আমদানি নির্ভর একটা দেশ। আমাদের মৌলিক চাহিদা গুলো হলও অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, নিরাপত্তা। অন্নের জন্য আমরা আংশিক স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে এই পরিস্থিতিতে কৃষি নির্ভর দেশ হিসাবে নিজেদের অন্নের ব্যবস্থা নিজেদের পক্ষে করা সম্ভব। বস্ত্রের কাঁচামাল হলও তুলা যা আমাদের একদমই নেই। এটা অবশ্যই আমদানি করতে হবে। তবে তুলা থেকে কাপড় আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারব। বাসস্থানের জন্য রড, সিমেন্ট, ইত্যাদির জন্য আমরা পরনির্ভরশীল। কারণ এগুলির কাঁচামাল বিদেশ থেকে আনতে হয়। চিকিৎসার উপকরণ ও ওষুধের জন্য কাঁচামালের জন্য আমরা পুরোটাই পরনির্ভরশীল। শিক্ষা মুলত একটা সেবা যেটার জন্য পরনির্ভরশীল না হলেও চলবে। নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ বাহিনী রয়েছে যাদের জন্য অনেক অস্ত্র ও অন্যান্য সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এছাড়া আরও অনেক সামগ্রী ও সেবার জন্য আমরা পরনির্ভরশীল। যেমন তথ্য প্রযুক্তির উপকরণ, যানবাহন, কল কারখানার মেশিন যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ , বিদ্যুৎ, পানি সংক্রান্ত সেবা ও উপকরণ, বিদ্যুৎ চালিত গৃহ সামগ্রী ইত্যাদি। সরকার যা করবে তা তার বাৎসরিক বাজেট থেকেই করবে। ফলে বাজেটের উপর চাপ পরবে। এটা সামলানোর জন্য সরকারকে হয় বাড়তি টাকা ছাপাতে হবে (এতে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে) অথবা উপরে বর্ণিত উপায়ে ধার/ অনুদান গ্রহণ করতে হবে (দেশ ও বিদেশ থেকে)। এছাড়া সরকারের অপচয় ও দুর্নীতি কমাতে হবে। মেগা প্রোজেক্ট ৩/৪ বছরের জন্য নেয়া যাবে না। সরকারী জনবল কমাতে হবে। যেকোনো মূল্যে উৎপাদনের চাকা চালু রাখতে হবে। জনগণকে ৬ মাস বসে বসে খাওয়ানোর সামর্থ্য সরকারের আছে (যদি সরকার চায়)। আসলে তার হয়ত দরকার পরবে না তবে অর্থনীতিতে মন্দা আসবে। এতে দেশের ৫০% লোক এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও খাওয়া পরার কষ্টে পরবে না। বাকি ৫০% এর জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে সরাসরি খাদ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদার উপকরণ সরবরাহ করতে হবে। তবে এইসব দেয়ার চেয়ে মানুষের হাতে টাকা দিলে তারা তাদের প্রয়োজন মত খরচ করতে পারবে। এছাড়া প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের (যাদের সম্পদের পাহাড় নেই) সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে (সরকার ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে)। আমাদের কূটনৈতিক মিশন গুলিকে কাজে লাগাতে হবে বিদেশে শ্রম বাজার খোঁজার জন্য। কৃষি ক্ষেত্রে আরও মনোযোগ দিতে হবে। অনেক জমি অনাবাদি পরে আছে। এগুলি কাজে লাগাতে হবে। মৎস্য ও পশু সম্পদে আমাদের অনেক সুযোগ আছে। এত নদী পৃথিবীর আর কোথাও আছে কিনা জানি না। রাজধানী কেন্দ্রিক অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে জেলা কেন্দ্রিক শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিতে হবে। দেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক বিদেশে পাঠাতে হবে। বাংলাদেশের সরকারের বাজেটের আকৃতি ও দেশের GDP বিবেচনায় ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ কোটি টাকা করোনা মোকাবেলায় খরচ করা সরকারের জন্য বড় কোনও challenge না। সর্বোপরি জনগণের মনোবলে চির না ধরলে এই বিপদ থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরিয়ে যেতে পারব ইনশাল্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.