নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
শিল্প কারখানায় ট্যাক্স এবং বিদ্যুৎ বিল ফাঁকি চেওয়ার প্রবণতা ব্যাপক। সাধারণ মানুষদের মধ্যেও। কিন্তু কেন? কেন তাদের এই ফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠেছে? একটু জরিপ করলে দেখা যাবে, কারাখানার মালিকরা এমন ভাবেন যে, সরকার বেশি ট্যাক্স নিয়ে যাচ্ছে। তাদের শোষণ করে নিচ্ছে। অনেকের আবার অপরাধপ্রবণ মন। সামান্য পরিমাণ ট্যাক্স হলেও দিতে চান না।
কিন্তু, এই চিন্তাধারার ভুক্তভোগী কারা? সাধারণ জনগণ। কারণ, আল্টিমেটলি, পণ্যের উচ্চ্যমূল্য তাদেরকেই মিটাতে হচ্ছে।
এমন চিন্তাধারার অনেকগুলো উৎসের একটা- এই যে আয়কর, এটা কমিয়ে দিলে কি হবে? অথবা এটাকে এমন ভাবে সাজানো হলো যে, যা একই সাথে একজন ব্যবসায়ীকে কর দিতে উৎসাহিত করবে, তখন কি হবে? পণ্যের মূল্যের উপর চাপটা কমে যাবে না? তখন ঠিকই পণ্যের উচ্চ মূল্য নেওয়া হলে ব্যবসায়ীদের ধরা যাবে।
ফলাফল? সাধারণ মানুষেরা উপকার পাবেন।
২০১৫ সালের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২৫-৪৫% পর্যন্ত আয়কর দিতে হয়। এই রেট অন্যান্য সম পর্যায়ের দেশ যেমন ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম বা থাইল্যান্ড থেকে বেশি। আমাদের দেশে এক একেকটি প্রতিষ্ঠানে মোট যত সময় কাজ হয়, তার ৩০২ ঘণ্টা ব্যয় হয় ট্যাক্সের এই টাকা উঠাতে। অথচ, এই একই কাজে ভারতে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় হয় ২৪৩ ঘণ্টা, শ্রীলংকায় ১৬৭ ঘণ্টা আর ভূটানে ২৭৪ ঘণ্টা। যদিও, পাকিস্তানে সরকারী ট্যাক্সের টাকা দিতে সেই দেশের একটি প্রতিষ্ঠানের ৫৯৪ ঘণ্টা লাগে।
বাংলাদেশে একজন সাধারণ মানুষকে তার শ্রম থেকে যে আয়কর দিতে হয়, তা পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা থেকেও বেশি। এই যখন অবস্থা, এটা কোন অবাক করা বিষয় নয় যে বাংলাদেশের ১%-এরও কম মানুষ সরকারকে ট্যাক্স দিয়ে থাকে!
বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পুরো বিশ্বকে অনেক দিক দিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছে। এই দেশেই এখন 'সৌর বিপ্লব' চলছে। দেশের চাহিদা মিটাতে সর্বত্র স্থাপন করা হচ্ছে সৌর প্ল্যান্ট। গ্রীড, মিনি গ্রীড তো অবশ্যই, এমনকি ফসলে পানি দেওয়ার সেচ পাম্পও চলছে সৌর বিদ্যুৎ দিয়ে। বাংলাদেশে গড় আয়ুও অনেক বেড়েছে। কমেছে শিশু মৃত্যুর হার।
একটি মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে এ দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো লাভজনক করে তুলতে সরকারকে এখনই আয়করের রেট কমাতে হবে যাতে করে আরো কর্মসংস্থানের যোগাড় হয়। সরকার এই ব্যাপারটি ভেবে দেখবে কি?
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: যদি ভেবে দেখার হয়, তবে অবশ্যই দেখবে।
মন্তব্যে ধন্যবাদ নিরন্তর।
শুভ ব্লগিং!
২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:০১
নেওয়াজ আলি বলেছেন: তাহলে সরকার কিভাবে চলবে। মোটেও শুনবে না ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আমি তো একেবারেই ট্যাক্স মওকুফ করে দেওয়ার কথা বলছি না। বরং, এই দুঃসময়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা যায় কি না সরকার তা ভেবে দেখতে পারেন।
মন্তব্যে ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: প্রথম লাইনে একটি বানান এডিট করে নিন।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৩৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ওহ! অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মধ্যম আয়ের চাকরিজীবীরা ট্যাক্স ফাঁকি দিতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো ট্যাক্স ফাঁকি দেয়।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ফাঁকি দেওয়ার কারণটা বের করতে পারলে, এই প্রবনতাটা হয়তো অনেক কমে আসতো।
শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:০১
ক্ষুদ্র খাদেম বলেছেন: সরকার কী আসলেই ভেবে দেখবে এই বিষয়ে???
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪১
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সরকার হয়তো এখনই ভাবছেন এটা নিয়ে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ট্যাক্স দিতে চাইলেও আবার ঘুষ দিতে হয়।
এটা দেয়া খুব ঝামেলার কাজ।
তাই অনেকেই উৎসাহ পায় না।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৫:৪২
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ঘুষ খুব খারাপ জিনিস। এটা থেকে আমাদের সাবধান থাকা উচিৎ।
আর, ট্যাক্স রেট কমিয়ে আনা যায় কি না তা ভেবে দেখা দরকার।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের উচিত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনগনের সাথে আলাপ করে নেওয়া।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৮
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সরকার তো জনগণের দ্বারাই নির্বাচিত। তাই, তাঁদের সিদ্ধান্ত, জনগণেরই সিদ্ধান্ত।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২০
সাইন বোর্ড বলেছেন: পরিস্থিতি আসলেই খারাপ, আয়কর কমালে সরকার বড় ধরনের আর্থিক সংকটে পড়বে, আবার জনগণের সক্ষমতাটাও বিবেচনা করতে হবে সরকারকে ।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৩৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: সরকার তাঁর আয়-ব্যয়ের হিসেব করলে অবস্থা খারাপ দিকে যাবে না। বরং, ভালোই হবে।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৪৬
মা.হাসান বলেছেন: শাইয়্যান ভাই , একটা জটিল বিষয়ের অবতারনা করেছেন।
আমাদের দেশে মানুষ অনেক বেশি পরিমানে পরোক্ষ কর দেয়। ডাইরেক্ট ট্যাক্স (ইনকাম ট্যাক্স, কর্পোরেট ট্যাক্স ইত্যাদি) এর বেস খুব ছোট বলে হার বেশি। সরকারে উচিৎ বেস বাড়ানো। আমি ব্যক্তিগত ভাবে ভিক্ষুককেও ট্যাক্সের আওতায় আনার পক্ষপাতি। মাসে দশ টাকা হলেও দেয়া উচিৎ। কেন? অনেক কারণ আছে। প্রথম কারণ হচ্ছে - মানুষ যখন ট্যাক্স দেবে তখন নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হবে।
যে কোনো স্যালারি ব্যাঙ্কের মাধ্যমে যাওয়া উচিৎ। ওখান থেকে অটোমেটিক ট্যাক্স ডিডাক্ট হওয়া উচিৎ। যার বেতন মাসে পাঁচ হাজার টাকা তারও ট্যাক্স ধার্য করা উচিৎ। মাসে ৫০ টাকা হলেও।
এই ব্যবস্থা থাকলে সরকার জানতে পারবে কার মাসের খরচ কি রকম। কাজেই বিপদগ্রস্থ হলে সেই হিসাবে সে সাহায্য পাবে। যেমন গার্মেন্টস খাত কে সরকার ৫ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে। গার্মেন্টস কর্মিরা ট্যাক্সের আওতায় থাকলে সরকার এই টাকার অংশ কর্মিদের বাঙক অ্যাকাউন্টে পৌছে দিতে পারতো। যার বেতন ৫ হাজার টাকা সরকার তাকে মাসে ২ হাজার টাকা করে দিতে পারতো, যার বেতন ১৫ হাজার টাকা তাকে কিছু বেশি দিতে পারতো। এরকম ব্যবস্থা থাকলে আর নীবিড় খবরদারি থাকলে ইনকাম হাইড করার প্রবনতা কমে যাবে।
সরকার যদি বলে যাদের ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন বছরে ২০ হাজার টাকার নিচে তারা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে না, ৫০ হাজার টাকার নিচে হলে হাসপাতালে কেবিন পাবে না বা ৮০ হাজার টাকার নিচে হলে বাচ্চাদের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করাতে পারবে না ইত্যাদি তা হলে রিটার্ন দাতার সংখ্যা অনেক বাড়তো।
এবছর সরকারের রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা কম । টাকা ছাপিয়ে পরিস্থিতির সামাল দিতে গেলে ইনফ্লেশনে সাধারন মানুষের কষ্ট আরো বাড়বে। সরকারের উচিৎ কিছু জব ক্রিয়েটের ব্যবস্থা নেয়া এবং বড় বড় যে সব কম্পানি দূর্নীতি করছে (বসুন্ধরা, যমুনা, জিপি) তাদের বড় আকারের (হাজার কোটি টাকার অন্কে) জরিমান করে অর্থনীতিতে কিছু চাপ কমানো।
২২ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:০৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: ভালো বলেছেন, ভাই। যদিও, আমি ভিক্ষুকদের ট্যাক্সের মাধ্যমে অধিকার সম্পর্কে সচেতন করার ব্যাপারে একটু দ্বিমত আছে।
লক্ষ্য করলে দেখবেন, পণ্যের দামের মতো, একবার ট্যাক্স বাড়লে তা কমতে সময় নেয়।
তাই, ট্যাক্স 'সিচুয়েশন' বেসিস হওয়া উচিৎ। যেমন- করোনা পরিস্থিতি বা বৈশ্বিক মন্দার সময়ে ট্যাক্স রেটে পরিবর্তন এনে তা সামাল দেওয়া যেতে পারে।
ভালো ব্যবসা হলে, উচ্চ ট্যাক্স দিতে বাধা নেই। কিন্তু, ব্যবসা মন্দ হলে কোথা থেকে ট্যাক্স দিবে ব্যবসায়ী ও জনগণ?
আবার, ট্যাক্স রেয়াতের ব্যাপারটাও চিন্তা করতে হবে। 'বেটার বিজনেস ইন্ডেক্স' তৈরী করা যেতে পারে এক্ষেত্রে। যারা এতে ভালো মার্কস পাবেন, তাঁরা ট্যাক্স কম দিবেন।
আমার মতামতটা সেখানেই।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ নিরন্তর।
১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:০২
নাসির ইয়ামান বলেছেন: ইসলাম মুসলিমদের থেকে এসব ট্যাক্স-কর নেওয়ার বিরোধী। রাষ্ট্র কোন ট্যাক্স জনগণের থেকে নিতে পারবে না
এর বিকল্প হলো,ধনীদের নির্ধারিত জাকাত থেকে গরীবদের প্রদান করা হবে। এমনকি একাজে যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের পারিশ্রমিকও উক্ত ফান্ড থেকে প্রদান করা হবে। আর বিত্তশালীরা অন্যান্য দুর্যোগে স্বেচ্ছায় ছাওয়াবের আশায় উদ্বুদ্ধ হয়ে এক্সট্রা সরকারি কোষাগারে জমা দেবে। সরকার প্রশাসন তা দরিদ্রজনদের মাঝে বিতরণ করে দেবে।
তবে মুসলিমদের ভূখন্ডে কোন কাফের (অন্য ধর্মাবলম্বী)থাকলে তারা কর প্রদানে বাধ্য থাকবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:২৪
গন্ধহীন বেলী ফুল বলেছেন: সরকার এই ব্যাপারটি ভেবে দেখবে কি-না,এইটাই ভাবার বিষয়......