নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে
আমাদের মতো রাষ্ট্রে শ্রমিক, কৃষক আর একজন বুদ্ধিজীবী একটি সাবানের যে মূল্য পরিশোধ করেন আর একজন ধনী ব্যবসায়ী সেই সাবানের জন্যে ঐ একই মূল্য পরিশোধ করেন, তা কি খুব অবাক করা বিষয় নয়!
এটা না হয়ে যদি এমন যদি হতো, প্রত্যেক আয়-শ্রেণীর মানুষদের জন্যে আলাদা মূল্য তালিকা থাকবে প্রতিটি দোকানে, তাহলে শ্রমিক, কৃষক আর বুদ্ধিজীবীরা সমাজে এক বিশেষ স্থান পেতেন না? আমাদের দেশে এক্ষণ যেভাবে একজন মানুষকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তা একটু পাল্টে দিয়ে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, এখন থেকে শ্রমিক, কৃষক আর বুদ্ধিজীবীরাই হবেন রাষ্ট্রীয় সুবিধা পাওয়ার প্রথম দাবীদার!
সেই মোতাবেক সকল পণ্যের মূল্য, যাতায়াত ভাড়া, খাবারের দাম সবই এই তিন ধরণের মানুষদের জন্যে আলাদা করে দেওয়া হলো, তখন তো রাষ্ট্রে শরীর এবং বুদ্ধিভিত্তিক কর্মের প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়ে যাওয়ারই কথা।
এটা কিভাবে করা যাবে?
প্রথমেই একটি জরিপ চালিয়ে এই তিন শ্রেণী'র ন্যাশনাল আই,ডি-তে উল্লেখ করে দেওয়া হবে 'বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত' নাগরিক হিসেবে। যেখানেই তা দেখানো হবে, তাঁরা রাষ্ট্রের অন্যান্য নাগরিকদের চেয়ে বেশি সম্মান ও সুবিধা পাবেন। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই তিন শ্রেণী'র মানুষদের জন্যে বিশেষ কোয়ালিটি'র পণ্য অথবা কোন পণ্যের জন্যে বিশেষ দাম রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে। যেসব প্রতিষ্ঠান এভাবে পণ্যের দাম নির্ধারণ করবেন, তাঁদের জন্যে থাকবে বিশেষ ট্যাক্স রেয়াতের সুবিধা।
এই সুবিধা কেন দেওয়া প্রয়োজন?
মনে রাখতে হবে যে, শ্রমিক আর কৃষকেরা একটি রাষ্ট্রের প্রাণ। তাঁরা ঠিক ভাবে বাঁচলেই, একটি দেশের সামগ্রিক অবস্থা'র উন্নতি ঘটবে। যাদের দেশের উন্নয়নে কোন ভূমিকা নেই, তাদের রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেওয়ার কোন মানে নেই।
যে সমাজ শ্রমিক, কৃষক আর বুদ্ধিজীবীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয় না, এঁদের উপর বিশাল ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দেয়, সেই সমাজ একটি জাতির শত্রু। অথচ, আমাদের দেশে দেখা যায়, ১২ ঘণ্টা কাজ করে একজন দিন-মজুর যে আয় করেন, তার চেয়ে ১০ গুণ বেশি আয় করেন একজন কম শ্রমের নাগরিক।
পরিশেষঃ
এই কথাগুলো সরকার এবং ব্যবসায়ী সবাইকেই মনে রাখতে হবে যে, পণ্য বিপনন এবং বিক্রির অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা যেমন একটি দেশের জন্যে মঙ্গল নয়, তেমনি উচ্চ হারে ট্যাক্স আরোপও একটি জাতির জন্যে কোন ক্রমেই মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না। একটি দেশের সম্পদকে একটি নির্দিষ্ট ক্লাসের হাতে কুক্ষিগত হতে দেওয়া জাতির জন্যে খুবই বিপদজনক। সরকারকে এই দিকে খুবই মনোযোগের সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই তিন শ্রেণী'র মানুষদের জন্যে বিশেষ কোয়ালিটি'র পণ্য অথবা কোন পণ্যের জন্যে বিশেষ দাম রাখার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে। --- এটি একটি অবাস্তব চিন্তা। তবে কৃষক-শ্রমিকের জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে থেকেও সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, যার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে; যা এখন বাংলাদেশের জন্মের পরে সর্বোনিম্ন অবস্থায় পর্যবসিত হয়েছে নানাবিধ কারণে। কেন এমন হল সেগুলো নিয়ে আলোচনা করুন, দেখবেন এমনিতে সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষেরা সুবিধাগুলো পাচ্ছে।
২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
আপনাকে অনেক দিন পর ব্লগে দেখছি! কোথায় ছিলেন এতো দিন!
আসলে, এটি আমার নিজের পরিকল্পনা। যদি কখনো মন্ত্রী হতে পারি, আমি এটা কাজে লাগানোর চেষ্ট করবো।
ধন্যবাদ নিরন্তর।
৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: কোয়ি মিল গ্যায়া মুভির ফিল হচ্ছে। আশেপাশে যাদু'র মতো কোন এলিয়েন আছে কিনা বুঝতে পারছি না!
৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১:৫১
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমি যেদেশে থাকি,সেখানে অনেক জিনিসেরই দাম আমার কাছ থেকে২০%কম নেয়।ডাক্তার যত ঔষধ লিখেদেয় সব ফ্রী।ডাক্তারও ফ্রী।এসব পাই আমার বয়সের জন্য।ভারতেও আমি ট্রেনে ভ্রমন করলে কিছু টাকা কম নিত।আমাদের দেশেও কিছু সুযোগ সুবিধা আছে। আরোকিছু বেশিদিলে ভাল হয়।
আপনি,আমি যে পাঁচসিকের সাবান কিনি বড়লোকরা তা কিনে না।তারাকিনে অনেক দামি সাবান।প্রতিটা জিনিসই এমন আছে।
সমস্যার সমাধান হয়ে গেল।
৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ২:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধান কাটার লোকের অভাব । বুদ্ধিজীবী পাঠালে ধান কাটলে দেশের উপকার হতো
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ রাত ১২:১১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি সম্ভবত প্রশ্নফাঁসের পরও পাশ করতে পারার কথা নয়।