নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই রাজ্যের সব কিছুই রাজাধিরাজের জানা

২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৪৪



বড়ই ভীতিকর ব্যাপার! পেটের কোন কথাই গোপন রাখা যায় না। সবই কোন না কোন ভাবে ফাঁস হয়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, রাজাধিরাজ যে দু'জন স্পাই আমার পিছনে লেলিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা সর্বদা আমি যে কাজই করি, তা আবার লিখে রাখছেন। স্পাই-রা সাধারণত নিজেদের লুকিয়ে রাখে। তারা সব খবর বের করে নেয় নিজেদের প্রকাশ না করেই। রাজাধিরাজের স্পাই দু'জন কোথায় আছেন তা আমি জানি। মুশকিল হচ্ছে, তাঁদের দেখা পাওয়া যায় না। অথচও, সব সময় এই ফিলিংস আসে যে, আমার উপর সব সময় নজর রেখে চলেছেন সে দু'জন, খাতায় টুকে নিচ্ছেন সব কিছু।

শুধু তা-ই নয়। এই রাজ্যের সকল অধিবাসীদের পিছনেই এমন স্পাই রয়েছেন। বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা। আমারই কিছু দূর-সম্পর্কের ভাই-ব্রাদার বেশ বড় একটা ভুল করেছিলো। ব্যস! রাজাধিরাজের কানে চলে গেলো তা যথা রীতি। তিনি তো রেগে একদম ফায়ার! সেই ভুল করা বেচারাদের নিজেদের বাড়ি থেকেই বের করে দিলেন। শুধু তা-ই না, তাদেরকে আগুনে পুড়িয়ে শাস্তি দেওয়া হবে বলে রাজাধিরাজ ঠিক করে রেখেছেন।

রাজাধিরাজের অনুসারীরাও বড় জবরদোস্ত লড়ানেওয়ালা। একবার হলো কি, এক এলাকার মানুষ রাজাধিরাজের কথা শুনবে না বলে ঘোষনা দিলো। তারা তাদের ধনসম্পদ জমিয়ে পাহাড় করে ফেলেছিলো। অথচ, সেই এলাকারই পাশের জনপদে মানুষ না খেয়ে থাকতো। হাড় কিপটে ঐ এলাকাবাসী সেই দিকে নজরও দিতো না।

স্পাইদের কাছ থেকে এইসব শুনে রাজ্য-বিধাতা তো খুবই রেগে গেলেন। তিনি তাঁর অনুসারীদের পাঠিয়ে বললেন- তোমরা ঐ এলাকা চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলো। হাড়-কিপটে সেই এলাকার মানুষ মস্ত একটা দূর্গে বাস করতো। খবর পেয়ে তারা দূর্গের দরজা বন্ধ করে দিতেই রাজাধিরাজের সৈন্য-সামন্তরা দূর্গের বাইরের কিছু গাছ কেটে ফেলে এলাকাবাসীকে ভয় দেখালেন দরজা খুলে না দিলে কি হবে। সেই দূর্গবাসীদেরও রাজাধিরাজের নির্দেশে এলাকা ছাড়া হতে হয়েছিলো। আর, তাদের ধন-সম্পদ সেইসব দুঃস্থ মানুষদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়।

এই ঘটনা শুনে ঐ দূর্গবাসীদের চাচা-ভাতিজারা বেশ উত্তেজিত হয়ে রাজাধিরাজের অনুসারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে বসে। হেই-করেঙ্গা, তেই করেঙ্গা বলে খবর পাঠাতে থাকে। তা শোনার পরে, রাজাধিরাজের খাস অনুসারীরা একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলো দূর্গবাসীদের চাচা-ভাতিজাদের- 'পারলে এসো হে ময়দানে। হয়ে যাক এক চোট!'

এই রণ ডাকে পুরাই চুপসে গেলো চাচা-ভাতিজার দল। তারা যুদ্ধে নামবে কি, নিজেদের মাঝেই যে তাদের শত বিভেদ! ফলে, তাদেরও নৈতিক পরাজয় হলো রাজাধিরাজের অনুসারীদের কাছে।

আর এই হলো রাজাধিরাজের রাজ্য কাহিনী। এখন বলুন তো, এই রাজাধিরাজ কে? তাঁর রাজ্যটাই বা কোথায়? রাজধিরাজের সেই অনুসারীদের নাম কি?












মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫২

অনল চৌধুরী বলেছেন: কঠিন রূপক !!!!

০৩ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: প্রশংসার জন্যে অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে আমার খুব খারাপ লাগে না। এদের মধ্যে ভালো আছে, মন্দ আছে, দয়ালু আছে, বদমাইশ আছে, উদাসীন আছে।
সমাজের সব মানুষ খারাপ নয়, এটাই যা একটা ভালো ব্যাপার।

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন:
পৃথিবী এখন অনেকটা সুখী । ফিরিয়ে দিচ্ছে তার উপর করা অত্যাচার ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.