নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৪ ডিসেম্বরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড আব্বাসীয়-উসমানীয় রাজতন্ত্র সময়কালীন অরাজকতারই ধারাবাহিকতা

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২



আমার পুরোনো একটি লেখা পড়ছিলাম। লেখাটা পড়তে পড়তেই মনে পড়ে গেলো কয়েক দিন আগে আমরা বুদ্ধিজীবী দিবস পার করে এসেছি। বেপথে যাওয়া আমাদের মুসলমানদেরই একটি দল এই হত্যাকান্ডটি ঘটায়।

কেন এমন হলো? মৃত্যু আমাদের নিয়তি। এটা যে কোন সময়ই আসতে পারে। কিন্তু, সেই মৃত্যুর ক্ষণকে যখন নিজেরাই ঠিক করে নিই, অন্য কোন মানুষকে নিজ হাতে যখন মৃত্যুর দুয়ারে ঠেলে দেই, তখন ব্যাপারটি কেমন দাঁড়ায়? খুব জানতে ইচ্ছে করে, কোন ধরণের মানসিকতার কারণে এতোগুলো মানুষকে হত্যা করেছিলো পাকিস্তানী স্বৈরশাসক এবং তাদের দোসরেরা। তারা কি তোষামোদ এবং বিবেক বিক্রয়ের মূল্য বাজারে বৃদ্ধি করতে আর সত্যপ্রীতি ও ন্যায়নীতি’র মূল্য হ্রাস করতে এমন করেছিলো? তারা কি বুঝেনি এরকম নীতি অবলম্বনে বিপদ মাথায় নিয়ে সত্য কথা বলার লোক হ্রাস পেতে থাকলে তা জনগণকে ভীরু এবং সুবিধাবাদী করে তুলে?

এসব অবশ্য নতুন কিছু নয় আধুনিক মুসলিম শাসকদের ক্ষেত্রে। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, বিরুদ্ধবাদীদের উপর সব সময়ই খড়্গহস্ত ছিলেন এই ধরণের ক্ষমতালোভীরা। এই রকম কিছু ঘটনা আমি আজ তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

ইরাকের একটি শহর কুফা। তার গভর্নর যিয়াদ ছিলেন খুবই অত্যাচারী। একবার কোন তার অন্যায় আচরণের প্রতিবাদকালে ১২জন সঙ্গীসহ গ্রেপ্তার করা হয় হযরত হুজর (রাঃ)-কে। শুধু তাই নয়, মহানবী (সাঃ)-এর এই সঙ্গীকে হত্যা করা হয়। তাঁর এক সঙ্গী আবদুর রহমান ইবনে হাসসানকে জীবন্ত পুতে ফেলা হয়েছিলো।

জুলুম-নিপীড়নের এ ধারা পরবর্তীতে আরো প্রকট আকারে দেখা গিয়েছে মুসলিম শাসকদের মাঝে। জনগণের কন্ঠ স্তব্ধ করে দিতে চলেছে অন্যায়ের স্টিম রুলার। মদীনার গভর্নর মারওয়ান ইবনুল হাকামের একটি অন্যায়ের প্রতিবাদ করে হযরত মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাঃ) বলেছিলেন- ‘আপনি অন্যায় কথা বলছেন’। ফলাফল? মারওয়ান হযরত মিসওয়ারকে লাথি মারেন!

আরেকবার জুমার খুতবাকে অস্বাভাবিক দীর্ঘ করায় মসজিদে দাঁড়িয়ে এক ব্যক্তি এর প্রতিবাদ করেন। সাথে সাথে শাসনকর্তা ওয়ালিদ ইবনে আবদুল মালেকের রাজকীয় দেহরক্ষী তাঁকে হত্যা করে।



মুসলমানদের শাসকরা প্রায়শই জনগণের উপর শাস্তির ক্ষেত্রে বাড়াবড়ি করে ফেলতেন। বসরার গভর্নর আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে গাইলান একবার মসজিদের ভিতর মিম্বারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় একজন ব্যক্তি প্রতিবাদ স্বরূপ তাঁর দিকে পাথরের টুকরা ছুড়ে মারে। আবদুল্লাহ ঐ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হাত কেটে ফেলেন। একই কারণে কূফার গভর্নর যিয়াদ ৩০ থেকে ৮০ জনের হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। অথচ, ইসলামী আইনে এরকম কোন বিধান নেই।

ইয়ামানের গভর্নর বুসর ইবনে আরতাত যখন হামাদান দখল করে, তখন পূর্ববর্তী গভর্নর উবায়দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)-এর দুই শিশুকে হত্যা করে। শুধু তা-ই নয়, সে ঐ নগরের গ্রেফতারকৃত মহিলাদের দাসীতে পরিণত করে। মুসলিমদের আরেক শাসক মিসর আক্রমণ করে দখল করে নেওয়ার পর সেখানের গভর্নর মুহাম্মাদ ইবনে আবু বকর (রা)-কে হত্যা করে মৃত গাধার চামড়ায় জড়িয়ে তাঁর লাশ পুড়িয়ে ফেলে।

এইসব শাসকেরা এতোটাই বাড়াবাড়ি করতো যে প্রতিবাদকারীদের শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হতো না, তাঁদের লাশকেও অবমাননা করতো। মহানবী (সাঃ)-এর নাতী হযরত হুসাইন (রাঃ)-এর মাথা দেহ থেকে ছিন্ন করে শহরে শহরে ঘুরানো হয়। শুধু তা-ই নয়, তাঁর লাশের উপর দিয়ে ঘোড়া পর্যন্ত চালিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাঃ) এবং তাঁর দুই সাথীরও একই পরিণত বরণ করতে হয়। তাঁদের কাটা মাথা মক্কা থেকে মদীনা, মদীনা থেকে দামেশকে নিয়ে স্থানে স্থানে প্রদর্শনী করা হয়। আর অবশিষ্ট দেহগুলোকে পচে-গলে যাওয়া পর্যন্ত শূলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিলো।

উমাইয়াদের অত্যাচারী শাসক মারওয়ান তাঁর বিরুদ্ধবাদীদের সমর্থন করায় হযরত নুমান ইবনে যুবায়েরকে হত্যা করেই শান্ত হোননি, তাঁর মাথা দেহ থেকে কেটে ফেলে হযরত নুমানের স্ত্রী’র কোলে ছুড়ে ফেলেন।

ইয়াযীদের আমলে তাঁকে দুষ্কৃতকারী ও অত্যাচারী আখ্যা দিয়ে মদীনাবাসীরা একবার বিদ্রোহ করেছিলেন। ইয়াযীদ ১২ হাজার সৈন্য প্রেরণ করে মদীনা দখল করে শহরের অধিবাসীদের উপর অবর্ণনীয় অত্যাচার চালানোর নির্দেশ দেন। তাঁর সৈন্যবাহিনী মদীনাতে ৭০০ সম্মানিত এবং ১০ হাজার সাধারণ নাগরিককে হত্যা করে। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের অত্যাচারে মদীনার ১০০০ মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এই সেই মদীনা যার সম্পর্কে মহানবী (সাঃ) সাবধান করে বলেছেন যে, কেউ যদি মদীনার বিরুদ্ধে মন্দ কাজের ইচ্ছাও পোষন করে, আল্লাহ তাঁকে জাহান্নামের আগুনে শিশার মত গলিয়ে দেবেন। আর এই একই বাহিনীই কা’বা শরীফে পাথর নিক্ষেপ করে আগুন লাগিয়ে দেয়।



মুসলমানদের হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ বলে এমন এক শাসক ছিলো যার কুকীর্তি এতোটাই ব্যাপক ছিলো যে দুনিয়ার তাবৎ জাতি যদি তাদের কুকীর্তি নিয়ে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়, হাজ্জাজের কুকর্মের কাছে সেগুলো কিছুই না। প্রতিবাদ করায় দুই বুযর্গ ব্যক্তি’র ঘাড়ে মোহর অংকন করে দেয় এই অত্যাচারী। তার আমলে বিনা বিচারে আটক ১ লক্ষ ২০ হাজার ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। তার শাসনামলের শেষ দিকে ৮০ হাজার নাগরিককে বিনা বিচারে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছিলো।

উমাইয়া গোত্রের এই অত্যাচারের পরিণতি ভালো ছিলো না। তাদেরকে শাসন থেকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করা আরেক ভাওতাবাজ মুসলিম শাসকশ্রেণী আব্বাসীয়রা সিরিয়ার শহরে শহরে অত্যাচার চালায়। এক দামেশকেই ৫০ হাজার লোক নিহত হয় তাদের হাতে। মসজিদকে ঘোড়ার আস্তাবলে পরিণত করে এই শাসকগোষ্ঠী। মৃতদের কবরকে উপড়ে ফেলে দেহ আগুনে পুড়িয়ে ছাই ঊড়িয়ে দেওয়া হয়। শিশুদের হত্যা করে তাদের মৃতদেহের উপর কার্পেট বিছিয়ে খাদ্য গ্রহণ করতো আব্বাসী সৈন্যবাহিনী। মসজিদে ঢুকিয়ে হত্যা করা হয় মুসলের হাজার হাজার মানুষকে। মেয়েদের করা হয় ধর্ষন।

দুঃশাসনের প্রতিবাদকারীদের ঠিকানা না বলে দেওয়ার কারণে এক আব্বাসী শাসক প্রতিবাদকারীদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনদের গ্রেফতার করে সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামে তুলে। মুহাম্মাদ ইবনে ইবরাহীম ইবনুল হাসানকে দেয়ালে পিষে হত্যা করে। ইবরাহীম ইবনে আবদুল্লাহ’র শ্বশুরকে উলঙ্গ করে ১৫০ বার চাবুক মারা হয়। পরবর্তীতে প্রতিবাদকারী নফসে যাকিয়্যা ধরা পড়লে তাঁর শিরোচ্ছেদ করে মাথা শহরে শহরে প্রদর্শনী করা হয়। এমনকি বিখ্যাত বাদশাহ হারুন-অর-রশীদের স্ত্রী’র কাছের জনের বিরুদ্ধে একজন বিচারক রায় দিলে তাঁকে চাকরী পর্যন্ত হারাতে হয়।

এরকম ঘটনা আরও আছে! সময়াভাবে আজ লিখতে পারলাম না। পরিশেষে এটাই বলতে চাই, ইসলামে স্বৈরাচারী এবং সামরিক সরকার নিষিদ্ধ হলেও যুগে যুগে এই ধরণের শাসকরাই বেশির ভাগ সময় মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ভূমিগুলোতে শাসন করে এসেছে। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীরাও এর ব্যতিক্রম ছিলো না। আর, তাদের দোসরেরা পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করার ফলেই আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটে। একটু অনুসন্ধান করলে, বাংলাদেশে যেসব রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ঘটেছে, সেগুলোর পিছনেও এই পাপীগোষ্ঠীর ইন্ধন চোখে পড়বে।

আল্লাহ সবাইকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।



ফোটোসোর্সঃ
১ম ছবিঃ
২য় ছবিঃ আব্বাসী শাসন, জেপিজি, পিন্টেরেস্ট, Click This Link
৩য় ছবিঃ Religious Minorities Under Muslim Rule, হাফপোস্ট, জেপিজি, 02/15/2017, Click This Link

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আরবরা, বিশেষ করে বেদুইনরা ভয়ংকর জল্লাদ ছিলো, ওরা নিজেরা বিচার করতো; সোজা শাস্তি, হত্যা। মুসলমানেরা সেটা উত্তরাধিকারীসুত্রে পেয়েছে। বাংলাদেশে জামাত-শিবির ও মোল্লারা মানুষের শাস্তি বলতে হত্যাকে বুঝায়; অনেক ব্লগারও সবকইছুতে মৃত্যুদন্ড চায়, ধর্ষনের জন্য নুনু কেটে ফেলতে বলেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

কিছু কিছু মুসলমান এখনও অসভ্য, বর্বর রয়ে গিয়েছে। তারা ধারাবাহিক ভাবে এখনও বিপরীত চিন্তা-ভাবনার মানুষদের হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

আপনার কি মনে হয় না বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ড এমনসব মানুষদেরই কর্মকান্ড?

আর, আপনি মুসলমান বলতে জেনারালিজড করতে চাচ্ছেন? আপনি আমার এক পোস্টে স্বীকার করেছিলেন যে, আপনিও মুসলমান।

ধন্যবাদ।

২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধর্মটার শৃষ্টিই হত্যা লুটপাট ও নারী নির্যাতনের মাধ্যমে।তাইতো আমরা দেখতে পাই ধর্ম প্রচারকের পরিবারের প্রায় সকলকেই হত্যা করা হয়।হত্যা করা হয় খলিফাদের।তারই ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।আইএস,তালেবান,বোকহারাম হত্যার খেলাই খেলছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আপনি বলেছেন- ধর্মটার শৃষ্টিই হত্যা লুটপাট ও নারী নির্যাতনের মাধ্যমে।

একটু উদাহরণ দিলে ভালো হতো- কবে ধর্মের সৃষ্টি? আর সেই সৃষ্টি থেকে ধর্ম কিভাবে হত্যা, লুটপাট আর নারী নির্যাতনের মাধ্যমে সৃষ্টি হলো?

ধন্যবাদ।

৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "আর, আপনি মুসলমান বলতে জেনারালিজড করতে চাচ্ছেন? আপনি আমার এক পোস্টে স্বীকার করেছিলেন যে, আপনিও মুসলমান। "

- অন্যকে হত্যা করার মনোভাব পোষনের জন্য মুসলমানদের ও হিন্দুদের বেলায় ইহা আসলে "জেনারেলাইড" করা সঠিক।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আপনিও কি হত্যা করেছেন কখনও, আব্বাসীয় এবং উসমানীয় আমলের সেই দুষ্কৃতকারীদের মতো?

ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, "আপনিও কি হত্যা করেছেন কখনও, আব্বাসীয় এবং উসমানীয় আমলের সেই দুষ্কৃতকারীদের মতো? "

-আমি মুসলমান, একই সাথে একজন আধুনিক মানুষ; আমি কাউকে হত্যা করিনি; কিছু যারা ইসলাম প্রচার করেছে ও করছে, তারা আধুনিক বিশ্বের কেহ নয়।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আপনি যেহেতু মুসলমান আর যেহেতু কোন হত্যা করেননি, তাহলে, কিছু মুসলমানের অন্যায়ের দায়ভাগ সবার উপর চাপাচ্ছেন কেন?

ধন্যবাদ।

৫| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, "আপনি যেহেতু মুসলমান আর যেহেতু কোন হত্যা করেননি, তাহলে, কিছু মুসলমানের অন্যায়ের দায়ভাগ সবার উপর চাপাচ্ছেন কেন? "

-আমি মুসলমান, কিন্তু আধুনিক সভ্যতাই আমার সংস্কৃতি; জামত-শিবির-হেফাজতরা মুসলমান, কিন্তু তারা বেদুইন সংস্কৃতির লোকজন, তারা হিংস্র, জাতির জন্য ভয়ংকে, তারা স্বভাবের দিক থেকে জল্লাদ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আপনি যেহেতু আপনার উল্লেখিত সব দলের লোককেই মুসলমান বলে উল্লেখ করছেন, সেহেতু, আপনার ধর্মমত উদার। এজন্যে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪৯

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইবনে হিশামের তফসির থেকে বনু কুরায়াযা হত্যা কান্ডের ঘটনাটা পড়েন ,অথবা তার তাফসির পড়েন বিস্তারিত জানতে পারবেন।সেই সময়ের নির্ভরযোগ্য কোন ইতিহাস পাওয়া যায়না।কোরান হাদিস নির্মোহ ভাবে পড়লে কিছু জানা যায়।সেগুলোও দুই আড়াইশ বছর পরের লেখা।তার বেশির ভাগই রূপকথা কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনি দুই নং কমেন্টে বলেছেন- ধর্মটার শৃষ্টিই হত্যা লুটপাট ও নারী নির্যাতনের মাধ্যমে।

আমি সেই জন্যেই জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে ধর্ম কিভাবে সৃষ্টি হলো আর কখন থেকে তা হত্যা লুটপাট ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটানো শুরু করেছে।

আপনি যেহেতু ধর্মকে দোষ দিচ্ছেন, সেহেতু আপনার উচিৎ আপনার বক্তব্যের পক্ষে উদাহরণ দেওয়া।

ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমান সৌদি শাসক ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও ভয়ংকর ও নিষ্ঠুর শাসক ।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
সৌদি শাসক ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নিষ্ঠরতার কথা পত্রিকায় পড়েছি। তবে, কোন নির্ভরযোগ্য সূত্রে কিছু নিজের কানে শুনিনি।

ধন্যবাদ।

৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট বিশেষ করে মন্তব্য গুলো পড়ে বেশী ভালো লাগলো।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

মন্তব্যের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন নিরন্তর।

৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:০২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা এমন না যে ১০/২০ লাইনে আপনাকে বুঝাতে পারবো।আপনাকে তো সূত্র দিয়ে দিলাম,জানার ইচ্ছা থাকলে জেনে নিতে পারবেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

আসলে হয়েছে কি, আমি অনেক ব্লগারকে চিনি যারা এক দুই বাক্যে অনেক কিছু বলে ফেলতে পারেন। তাঁরা অনেক ভালো বুঝাতে পারেন। আপনি হয়তো পারেন না।

ধন্যবাদ।

১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:২৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনি অত বড় পোষ্ট লিখলেন কেন।দুই বাক্যে লিখতে পারতেন।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


১৪০০ বছরের ইতিহাস যদি আপনার মতো লেখার লিংক দিয়েই শেষ করতাম, তাহলে কি ভালো হতো?

ধন্যবাদ।

১১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: পাকিস্তানে হাজারা সম্প্রদায়ের খনি শ্রমিকদের নির্বিচারে হত্যাকান্ড কোন অরাজকতার ধারাবাহিকতা বলতে পারেন ? সারা মুসলিম জাহানের কোথাও না কোথাও একদল মুসলমান অন্য মতাবলম্বী মুসলিমদের কর্তৃক নির্যাতিত ও কতল হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

১২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: নবী মোহাম্মদ ২৩ বছরে ধর্মটা সৃষ্টি করেন।এর মধ্যে ১৩ বছর মক্কায় যুদ্ধ না করে ,মোট মুসলমান করেন ১০০ জনের মতো।
মদিনায় দশ বছরে ৮ যুদ্ধে এবং ২০ টিঅভিজানে অংশ নেন মুহাম্মদ এবং তার নির্দেশ (অংশ নেননি)৭৩ টি অভিযান পরিচালিত হয়। এসব যুদ্ধে এবং অভিযানে প্রচুর গনিমতের মাল ও যুদ্ধ বন্ধি নরনারী লাভ করনে।পুরুষদের দাস হিসাবে বিক্রি করেদেন এবং নারীদের নিজেদের মাঝে ভাগ করে নেন।এ বিষয়ে কোরান এবং হাদিসে স্পষ্ট উল্লখ আছে।লক্ষ লক্ষ লোককে মুসলমান বানান।

১৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: একটা প্রশ্ন-
আপনার কি মনে হচ্ছে না- ইদানিং আপনি বেশী ধার্মিক হয়ে যাচ্ছেন?

১৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: উমাইয়ারা মক্কা বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে সামনে থেকে না পেরে ভিতরে থেকে নৈতিকতা ধ্বংস করেছে। হিন্দা কলিজা বের করে খেয়েছিলো।
এরা সবরকম অপকর্ম করতো। এরাই হেরেম চালু করে। হাজ্জাজ সিন্ধুর রাজা দাহিরের মেয়েদের মিথ্যা অভিযোগ পেয়ে বিন কাসেমের মৃত্যুর কারণ হয়।
তবে হালাগু বাগদাদ আক্রমণ করে সভ্যতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছিলো।

১৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: উমাইয়ারা মক্কা বিজয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে সামনে থেকে না পেরে ভিতরে থেকে নৈতিকতা ধ্বংস করেছে। হিন্দা কলিজা বের করে খেয়েছিলো।
এরা সবরকম অপকর্ম করতো। এরাই হেরেম চালু করে। কারাবালার ঘটনা ঘটায়। হাজ্জাজ সিন্ধুর রাজা দাহিরের মেয়েদের মিথ্যা অভিযোগ পেয়ে বিন কাসেমের মৃত্যুর কারণ হয়।
তবে হালাগু বাগদাদ আক্রমণ করে সভ্যতা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছিলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.