নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন অমুসলমানের চোখে সুফি শাহ জালাল (রহ)

০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:১১



আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত নায়েক দীনেশ চক্রবর্তী। আমি বালুচর দুর্গাবাড়ির সেবায়েত। আমার বাবার নাম ধীরেন্দ্র চক্রবর্তী। পূণ্যভূমি সিলেট ৩৬০ আউলিয়ার দেশ। শাহ জালাল, শাহ পরান, শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভু, শ্রী শ্রী দূর্গা মাতার সংস্পর্শে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ সিলেটে আমরা বাস করি।তাঁকে সবাই বলতেন গুণী একজন মহাপুরুষ। আমাদের ধর্মের মতে বিশিষ্ট একজন সন্যাসী। আমাদের সব ধর্মের লোকের সাথে যোগাযোগ, মেলা-মেশা এবং আত্মীয়তা আছে। অন্য ধর্মের বিয়েতেও যাওয়া-আসা আছে।

শাহ জালাল বাবা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ থেকে শুনে আসছি। তিনি ৩৬০ আউলিয়া নিয়ে সিলেট এসেছিলেন। গৌর গবিন্দ রাজা নদীর সব নৌকা সরিয়ে ফেলায় নদী পার হতে পারছিলেন না। তখন শাহ জালাল বাবার একজন সাহাবী বললেন- গুরু আপনার জায়নামাজ নদীতে বিছিয়ে পার হয়ে যান। তখন শাহ জালাল বাবা নদীতে জায়নামাজ বিছিয়ে ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে নদী পার হয়ে গেলেন।

যখন গৌড় গোবিন্দ রাজা দেখলো তিনি চলে আসছেন, তখন সে ভয় পেয়ে উধাও হয়ে গেলো। তখন গৌড় গোবিন্দ চিন্তা করলো, আমি তো ভয় পেয়ে চলে আসলাম। কিন্তু, মানুষটাকে কিভাবে দেখবো! তখন সে সাপের রুপ ধরে শাহ জালাল বাবাকে দেখে আসলো। এরপরে, শাহ জালাল বাবা যখন আজান দিয়েছিলেন, তখন, গৌড় গোবিন্দ রাজার সাত তলা বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়েছিলো।

আমরা মানুষ হিসেবে শাহ জালাল বাবার মাজারে যাই। শাহ জালাল বাবার কাছে ক্ষমা চাইতে মোমবাতি, আগরবাতি, শিন্নি, প্রসাদ আমরা বাবার মাজারে দেই। সিলেট তো চলছেই শাহ জালাল বাবার নামে।

ভেদাভেদ ছাড়া সকল মানুষকে যদি ভগবান এক করে দিতেন, আমি তাতে খুশি হতাম। সবাই মিলে-মিশে থাকাই মঙ্গল।



[হযরত শাহ জালাল (রহ)-এর উপর ডকুমেন্টারী করতে সম্প্রতি সিলেট গিয়েছিলাম। সেই সময়ে এই সাক্ষাৎকারটি দিয়েছিলেন বালুচর দুর্গাবাড়ির সেবায়েত দীনেশ চক্রবর্তী। নিচের গানটি সেই ডকুমেন্টারির অংশ। ডকুমেন্টারীটি ১ম রমজানে মুক্তি পাবে।]







মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
ভালো।
তবে মুসলিম অমুসলিম বলা ঠিক না। আগে মানুষ। আমরা সবাই মানুষ। ধর্ম দিয়ে মানুষকে ভাগ করা ঠিক না।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





মানুষ হিসেবে আমরা এমনিতেই বিভাজিত- পুরুষ/নারী, বাঙ্গালী/অবাঙ্গালী, ছোট//বড়, গুনী/সাধারণ, শুদ্ধ/অপরাধী।

এতো সব বিভাজনের মাঝে ধর্মকে আমরা বাদ দেবো কেন যদি তা ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসে!!!

ভালো থাকুন নিরন্তর।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিন্দু ধর্মে থেকে হজরত শাহ জালালকে ভালোবেসে কোন ফায়দা হবে না। ওনার ভালবাসার টানে ইসলামে আসতে হবে।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ বিকাল ৩:২০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আমার পোস্টের উদ্দেশ্যের সাথে আপনার কমেন্টের কোন মিল নেই, জনাব!

আমি শাহ জালাল (রহ)-কে একজন 'মানুষ' হিসেবে সব ধর্মের অনুসারী শ্রদ্ধা করেন তা তুলে ধরেছি।

আমরা কেন শাহ জালাল (রহ)-এর মতো হতে পারি না!!!!

ধন্যবাদ।

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:




লেখক বলেছেন, "আমরা কেন শাহ জালাল (রহ)-এর মতো হতে পারি না!!!! "

-আমার মনে হয়, আপনি উনার থেকে বেশী জানেন।

০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ৮:৫৬

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি একটু দ্বিমত পোষন করবো।

বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের সম্মান যেমন অন্য কোন জমানার মানুষ পাবেন না, ঠিক তেমনি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানও বর্তমান জমানার সকলের চেয়ে বেশি।

আশা করি, আমি বুঝাতে পেরেছি কি বলতে চাই।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি তো আপনার উত্তর দেই, রাজীব ভাই!!!!

ভালো থাকুন নিরন্তর।

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ১:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বলতে চেয়েছি সব ধর্মের মানুষ তাকে প্রকৃত শ্রদ্ধা করলে তাকে অনুসরণ করতো। কিন্তু তারা তা করে না। তারা তার কাছে ক্ষমা চাইতে, আগরবাতি জ্বালাতে আর শিরনী দিতে যায়। এগুলি শ্রদ্ধা না বরং শ্রদ্ধার নামে শিরকি কাজ। আশা করি আমার মন্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে পেরেছেন। এই ধরণের ভ্রান্ত ভালবাসার দরকার নাই। হজরত শাহজালালকে বিধর্মীরা চিনতে পারলে তারা এই রকম আচরণ করতো না বরং ওনার মত জীবন আচরণ করতো।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০২১ দুপুর ২:০২

নতুন বলেছেন: শাহ জালাল বাবা সম্পর্কে পূর্বপুরুষ থেকে শুনে আসছি। তিনি ৩৬০ আউলিয়া নিয়ে সিলেট এসেছিলেন। গৌর গবিন্দ রাজা নদীর সব নৌকা সরিয়ে ফেলায় নদী পার হতে পারছিলেন না। তখন শাহ জালাল বাবার একজন সাহাবী বললেন- গুরু আপনার জায়নামাজ নদীতে বিছিয়ে পার হয়ে যান। তখন শাহ জালাল বাবা নদীতে জায়নামাজ বিছিয়ে ৩৬০ জন আউলিয়া নিয়ে নদী পার হয়ে গেলেন।

যখন গৌড় গোবিন্দ রাজা দেখলো তিনি চলে আসছেন, তখন সে ভয় পেয়ে উধাও হয়ে গেলো। তখন গৌড় গোবিন্দ চিন্তা করলো, আমি তো ভয় পেয়ে চলে আসলাম। কিন্তু, মানুষটাকে কিভাবে দেখবো! তখন সে সাপের রুপ ধরে শাহ জালাল বাবাকে দেখে আসলো। এরপরে, শাহ জালাল বাবা যখন আজান দিয়েছিলেন, তখন, গৌড় গোবিন্দ রাজার সাত তলা বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়েছিলো।


জায়নামাজ বিছিয়ে নদী পাড়!!! গৌড় গোবিন্দ মানুষ হয়েও সাপের রুপ ধরতে পারে???

এই রকমের কাহিনি বিশ্বাস করা কিভাবে জ্ঞানী মানুষের কাজ হয়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.