নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় আবারও রক্তাক্ত

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১১



শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আবারও বন্ধ হলো। কয়েক বছর পর পরই এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন না কোন অরাজকতা ঘটে। তাতে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত হয়, উপাচার্য বদলে গিয়ে নতুন কেউ আসেন, আর শিক্ষার্থীদের উপর সেমিস্টার জ্যামের জগদ্দল পাথর চেপে বসে। তারপর, আবার কয়েক বছর পরে পুনরায় কোন কিছু ঘটে। কেন এমন হচ্ছে এই বিদ্যার বাতিঘরটির?

একটু খোঁজ নিলে জানতে পারা যায়, প্রতিবারই দেশের ক্ষমতায় আসীন দলের সমর্থনপুষ্ঠ কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা অথবা ছাত্র সংগঠন সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে গণ্ডগোল লাগিয়ে দেয়। শিক্ষার্থীরাও রাস্তায় নেমে পড়েন। আর, উপরি হিসেবে পুলিশ এসে হামলে পড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর। প্রতিবারই এমনটা ঘটেছে- কি বি,এন,পি অথবা আওয়ামী লীগ, সবার আমলেই এমনটা ঘটেছে।

এখানে, তাই, প্রশ্ন উঠে আসে, ৩০ বছর বয়সী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হয়? এতো বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোন একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকাও কি উপাচার্য হবার মতো যোগ্যতা লাভ করতে পারলেন না! কেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকা'র উপাচার্য হয়াটা জরুরী? এমন করা হলে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীন অবস্থা সম্পর্কে ভালো ওয়াকিবহাল থাকতেন উপাচার্য, আরেকটু হয়তো বেশি নজর থাকতো নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রডাক্টদের উপর।

শাবিপ্রবি-তে দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন প্রফেসর জাফর ইকবালের মতো স্বনামধন্য শিক্ষকেরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়েই ছিলেন প্রফেসর খলিলের মতো শিক্ষক যিনি 'ই = এম,সি স্কোয়ার'-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। এখানে শিক্ষকতা করেছিলেন প্রফেসর রেজা-ই-করিম খন্দকারের মতো স্বনামধন্য অর্থনীতিবীদ। অথচ, তাঁদের কাউকেই উপাচার্য বানানো হয়নি!

এরকম আর কত দিন চলবে!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ছাত্র রাজনীতি যতোদিন চলবে ততোদিন চলবে রক্তের এই হোলি খেলা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


শিক্ষক রাজনীতিও দায়ী। আর, রয়েছে শিক্ষকদের এডমিনিস্ট্রেশন সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়েছে সরকার ও বিরোধী দলের সান্ডা পান্ডার আখড়া। প্রায় সকল শিক্ষক কোনো না কোনো নেতা নেত্রীর পকেটে বসে তুরুপের তাস পেটাতে থাকে। আর ছাত্ররা ছাত্র রাজনীতি করে কারণ অধিকাংশ ছাত্র তাদের পরিবার থেকে আশকারা পায়।


১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


নেতা নেত্রীদের পকেটে ঢুকে যাওয়াটা খুব খারাপ ব্যাপার।

আর, ছাত্ররা তো আরো জঘন্য কাজ করছে। পড়ালেখা বাদ দিয়ে রাজনীতি করাটা জঘন্য কাজ।

শুভেচ্ছা নিরন্তর।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪৩

মোল্লা সাদরা বলেছেন: গৌড় গোবিন্দ এক্ষনে সাস্ট জামা মসজিদের বিপরীত পার্শে অবস্থান লইয়াছেন। সাস্টের পুকুরে জায়নামাজ ভাসাইয়া কেহ রাওয়ানা হইতেছে কিনা, ইহাই পর্যবেক্ষণের বিষয়। আপনার কি মত? :)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


যুগে যুগে অত্যাচারী গৌড় গোবিন্দ রাজা এসেছে।

আর, গোবিন্দ রাজা যেখানে থাকবে, সেখানেই সুফি শাহ জালাল এবং সেনাপতি সৈয়দ নাসির উদ্দিন উপস্থিত হবেনই!

ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৩১

সাজিদ! বলেছেন: সাউন্ড গ্রেনেড মেরেছে পুলিশ পড়লাম। কি নিয়ে আন্দোলন হচ্ছিল?

৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:১৬

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: পুরা দেশ আজ রক্তাক্ত,
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দোষ কি?

৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: জাফর স্যার একবার বলেছিলেন ছাত্রদের তার কাছে পাঠিয়ে দিতে, উনি মাথায় হাত বুলিয়ে বুঝিয়ে দিবেন।

আহা, প্রতি শিক্ষক যদি এভাবে ছাত্রদের বুঝিয়ে দিতো!

৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমান সময়ের দেশের জন্য খুব নরমাল ঘটনা । এর চেয়ে আরো বড় বড় ঘটনায় মানুষ চুপ।

৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫১

তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: মাঝে মধ্যে এরকম না হলে বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয় মনে হয়না

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.