নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্যদের সেভাবেই দেখি, নিজেকে যেভাবে দেখতে চাই। যারা জীবনকে উপভোগ করতে চান, আমি তাঁদের একজন। সহজ-সরল চিন্তা-ভাবনা করার চেষ্টা করি। আর, খুব ভালো আইডিয়া দিতে পারি।

সত্যপথিক শাইয়্যান

আমি লেখালিখি করি, মনের মাধুরী মিশিয়ে

সত্যপথিক শাইয়্যান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) - খলিফা মুয়াবিয়ার অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করায় যাকে মরুভূমিতে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিলো

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪০



ইসলামী আইন অনুযায়ী দেশ চললেই কি দেশে সুখ-শান্তি ফিরে আসবে? দেশে কোন দরিদ্র মানুষ থাকবে না? অন্যায়-অবিচার বন্ধ হওয়ে যাবে? যারা বলেন যে, ইসলামী শাসন আসলেই, সব কিছুর সমাধান হয়ে যাবে, তারা মিথ্যা বলেন। তাহলে কেন মহানবী (সা)-এর শ্রেষ্ঠ সাহাবীদের একজন আবু যর গিফারী (রা)-কে মরুভূমিতে কপর্দক শূন্য অবস্থায় মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিলো?

মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেন- ''আমার লোকদের মধ্যে আবু যরের আত্মত্যাগ ও আল্লাহভীতি মরিয়ম তনয় ঈসা'র মতো।''... অথচ, এই মানুষটিকেই ইসলামী রাজ্যের শাসনকর্তার নির্দেশে নির্বাসনে থাকার সময় মরুভুমিতে মৃত্যুবরণ করতে হয়।

আরবে তখন খলিফা উসমান-এর শাসন চলছে। হযরত উসমান নিজ বংশের মানুষদের বিশ্বাস করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছিলেন। অথচ, এই মানুষগুলো এই সুযোগ নিয়ে নিজ দেশে অশান্তির কালো আগুন ছড়াতে লাগলো। এইসব লুটেরারা এই সুযোগে রাষ্ট্রীয় সম্পদ নিজেদের করতলে নিয়ে নিলো।

হযরত মুয়াবিয়া তখন সিরিয়ার গভর্নর। হযরত আবু যর গিফারী, খলিফা হযরত উমর (রাঃ)-এর শাসনামল থেকেই সিরিয়াতে অবস্থান করছিলেন। আবু যর সেখানে উপদেশ প্রদান, ধর্ম প্রচার, সৎপথ প্রদর্শন এবং মহানবী (সাঃ)-এর পরিবারের মানুষদের মহত্ত্ব সম্পর্কে সিরিয়ার মানুষদের ওয়াকিবহালে ব্যস্ত ছিলেন। হযরত উসমান যখন শাসক হলেন, এরপর থেকেই হযরত আবু যর খলিফা উসমানের সমালোচনা করতে থাকেন। গভর্নর হযরত মুয়াবিয়া এটা পছন্দ করতেন না। তাই, তিনি খলিফার নির্দেশে জীনবিহীন একটি উটে করে হযরত আবু যরকে মদিনা পাঠিয়ে দেন।

মদিনাতে পৌঁছেও তিনি শাসক হযরত উসমানের বিরোধীতা করতে লাগলেন। হযরত উসমানকে দেখতে পেলেই তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করতেন-

''...আর যারা স্বর্ণ ও রৌপ্য পুঞ্জিভূত করে এবং তা আল্লাহ'র রাস্তায় ব্যয় করে না তাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তির সংবাদ দাও। সে দিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তা দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব এবং পৃষ্ঠদেশে দাগ দেওয়া হবে। সেদিন বলা হবে, এটিই সেই (জিনিস) যা তোমরা নিজেদের জন্যে পুঞ্জিভূত করতে।'' [আল-কুরআন, ৯ঃ ৩৪-৩৫]



এক পর্যায়ে, হযরত মুয়াবিয়া হযরত আবু যরকে মদিনা থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই সাথে বলে দেন, তাঁর যাওয়ার সময় কেউ যেন তাঁকে বিদায় জানাতে না আসেন। কিন্তু, হযরত মুয়াবিয়ার কথা অমান্য করে হযরত আলী (আ), হযরত হাসান (আ), হযরত হুসাইন (আ), হযরত আকীল (রাঃ), হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জাফর (রাঃ) এবং হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ)- এই ৬ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব হযরত আবু যর (রাঃ)-কে বিদায় সংবর্ধনা দিতে আসেন। সেই সমাবেশে হযরত আলী (রাঃ) বলেন-

''হে আবু যর। তুমি আল্লাহর নামে ক্রোধ দেখিয়েছিলে। সুতরাং, যার উপরে রাগান্বিত হয়েছিলে, তার বিষয়ে আল্লাহতে আশা রেখো। মানুষ তাদের জাগতিক বিষয়ের জন্যে তোমাকে ভয় করতো, আর তুমি তোমার ইমানের জন্যে তাদেরকে ভয় করতে। কাজেই, তারা যেজন্যে তোমাকে ভয় করে তা তাদের কাছে রেখে দাও আর তুমি তাদেরকে যেজন্য তাদেরকে ভয় করো তা নিয়ে বেরিয়ে পরো। যে বিষয় হতে তুমি তাদেরকে বিরত করতে চেয়েছিলে, তাতে তারা কতই না আসক্ত এবং যে বিষয়ে তারা তোমাকে অস্বীকার করেছে উহার প্রতি তুমি কতই না নির্লিপ্ত। অল্পকাল পরেই তুমি জানতে পারবে আগামীকাল (পরকালে) কে বেশি লাভবান আর কে বেশি ঈর্ষনীয়। এমনকি সমগ্র আকাশ ও পৃথিবী যদি কারো জন্য রুদ্ধ হয়ে যায় এবং সে যদি আল্লাহকে ভয় করে, তবে আল্লাহ তার জন্যে তা খুলে দিতে পারেন।

শুধু ন্যায়পরায়নতা তোমাকে আকর্ষণ করে এবং এবং অন্যায় তোমাকে বিকর্ষন করে। যদি তুমি তাদের জাগতিক বিষয়ের প্রীতি গ্রহণ করতে, তাহলে তোমাকে তারা ভালোবাসতো এবং যদি তুমি তাদের সাথে তাতে অংশগ্রহণ করতে, তবে তারা তোমাকে আশ্রয় দিতো।''


আর, এভাবেই, মদীনা থেকে বের করে দেওয়া হয় হযরত আবু যর (রাঃ)। তিনি তাঁর স্ত্রী-সহ মরুভূমিতে জীবিকার সন্ধানে যখন ঘুরে বেরাচ্ছিলেন, একটু বিশ্রামের জন্যে মরুভূমিতে একটি গাছও খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তখন, মৃত্যু তাঁর কাছে এসে দাঁড়ায়। সেই সময়ে তিনি তাঁর স্ত্রীকে বলেন-

''বিচলিত হয়ো না। রাসূল (সাঃ) বলেছেন আমার অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ হবে এবং কয়েকজন ইরাকী আমাকে দাফন-কাফন করবে। আমার মৃত্যুর পর আমাকে চাঁদরে ঢেকে রাস্তার পাশে বসে থেকো এবং কোন যাত্রীদল যেতে থাকলে তাদেরকে বলবে- রাসূলের প্রিয় সাহাবী আবু যর মারা গিয়েছে।''

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৪৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এই কাহিনীটি জানা ছিলো না।

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি এর আগে এই ঘটনা নিয়ে লিখেছিলাম।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

২| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা!

কি মর্মান্তিক!
আবু যর গিফারী রাঃ এর জীবনের শেষ বর্ণনা পড়তে পড়তে চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় জল নামে!
কোথায় সত্য? আর কোথায় তাদের পোষাকী ধর্ম!!
হায় যদি তারা বুঝতো!

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



হায় যদি তারা বুঝতো!

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৩| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৩৬

আরইউ বলেছেন:



আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে উনি এই যাত্রার সময়ে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। উইকি কিন্তু ভিন্ন জিনিস বলছেঃ

Abu Dhar then asked Uthman for permission to live in al-Rabathah, a small village in eastern Madinah. Uthman approved his request. Abu Dhar stayed there away from people, holding on to the traditions (sunnah) of Prophet Muhammad and his companions.

Also, when the governor (amir) of Syria sent Abu Dhar three hundred dinars to meet his needs, he returned the money saying, "Does not the amir find a servant more deserving of it than I?"[18]

Abu Dhar continued in his simple life, and dedicated himself to Allah alone until his death in 32 AH.[18]

লিংক দিতে পারছিনা কারণ সামু লিংক ইনসার্ট করতে দিচ্ছেনা কোন কারণে।

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৫৫

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



উইকি কি রেফারেন্স হতে পারে, বোকা মানুষ?

আপনি কত দূর পড়ালেখা করেছেন?

৪| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১০:৪৯

রাজীব নুর বলেছেন: বড় নির্মম।

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


সত্যিই নির্মম।

ধন্যবাদ নিরন্তর।

৫| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০০

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: আল্লাহ রাসুল সঃ এর প্রিয় সাহাবিকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


তিনি জান্নাতুল ফেরদৌস পেয়েছেন।

ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:০৯

আরইউ বলেছেন:




আমি তো তবু একটা রেফারেন্স দিয়েছি, আপনিতো তাও দেননি। নাকি আপনি বলতে চান আপনি যে গল্প বলবেন তাই ইতিহাস?

১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২০

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


এই ব্যাপারগুলো যারা আগ্রহী তাঁদের জানা। তাই, রেফারেন্স দেবার প্রয়োজন বোধ করিনি।

আপনি আগ্রহী না, তাই রেফারেন্স না চেয়ে নিজের বোকামি জাহির করতে চেয়েছেন।



৭| ১৪ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৪

আরইউ বলেছেন:



আপনি তাহলে আমাকে দয়াকরে একটা রেফারেন্স দিন দেখি। শিয়া বা সুন্নি না, নিউট্রাল পয়েন্ট অব ভিউ থেকে ঐতিহাসিক দলিল দেবেন যে উনি এক্সাইলের পর উনার যাত্রার সময়ে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

আপনি এর আগেও রেফারেন্স ছাড়া লেখা দিয়ে ঝামেলা করেছেন। আপনি কিন্তু এর আগের আপনার মনগড়া ইতিহাস প্রমান করতে পারেননি। আপনাকে প্রমান দিতে বলা হলেও আপনি বাইম মাছের মত “পিছলাইয়া গেছেন“

==
৩. ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৪ ২
জাদিদ বলেছেন: আমি মনে করি, আপনি এই বিষয়ে নতুন কোন পোস্ট না লিখে অতীতে আপনার পোস্টের কারনে যে সকল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং যে সকল তথ্য প্রমান দেয়া হয়েছে সেটা সম্পর্কে কিছু বলুন।
==

অন্যকে বোকা বলার আগে নিজের ধুতি সামলায়া!

আপনার লেখা সেই সব ইতিহাসঃ
https://www.somewhereinblog.net/blog/shaiyan/30332182
https://www.somewhereinblog.net/blog/shaiyan/30332235

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:১৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



আপনি কি মুয়াবিয়ার পক্ষ নিচ্ছেন? স্পষ্ট করে বলুন।

আপনি মদ্য পানকারী মুয়াবিয়ার হয়ে সাফাই গাচ্ছেন?

মুয়াবিয়া মদ পান করতো। ( মুসনাদে আহমদ, খন্ড - ৫, পৃঃ ৩৪৭)

৮| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৫৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: লেখকের বাসার গুপ্ত প্রকোষ্ঠে একটি কিতাব লুক্কায়িত আছে, সেটিই এসব লেখার উৎস। এরকমই তিনি একবার বলেছিলেন।

৯| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:২০

আরইউ বলেছেন:




জনাব, আমি কারো পক্ষ নিচ্ছিনা। কে মদ পান করতো আর কে দুধ তা নিয়ে আমি চিন্তিত না। মুসনাদের দলিলও আমার দরকার নাই। আপনি নিরপেক্ষ সূত্র দিন যে আপনি যা লিখেছেন তা ঐতিহাসিক সত্য!

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:২৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


হযরত আহমদ বিন হাম্বলের দলিল আপনার কাছে নিরপেক্ষ রেফারেন্স নয়?!

আপনার পড়ালেখা কত দূর?

১০| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:৩৮

আরইউ বলেছেন:



আপনার রেফারেন্সতো দেখতে পাচ্ছিনা, মশাই! লিংক টিংক দিন যে “উনি এক্সাইলের পর উনার যাত্রার সময়ে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সামান্য একটা রেফারেন্স দিলেইতো ল্যাঠা চুকে যায়।

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:৪৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


মুয়াবিয়া মদ পান করতো। ( মুসনাদে আহমদ, খন্ড - ৫, পৃঃ ৩৪৭)

১১| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ১:৫৫

আরইউ বলেছেন:




আমি মুয়াবিয়া সম্পর্কে আপনার কাছে কোন প্রমান চাইনি। মুয়াবিয়ার মদ্যপান কিভাবে আপনার দাবীর বা আপনার লেখা ইতিহাসের দালিলিক প্রমান হয়!!! আপনি আপনার পোস্টে যা লিখেছেন তার নিরপেক্ষ দলিল কোথায়? আবারো বলছি হযরত আবু যর গিফারী (রাঃ) এক্সাইলের পর যাত্রার সময়ে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এই দাবীর নিরপেক্ষ সূত্র কী?

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ২:০৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আপনার খলিফা মুয়াবিয়া যে মদ্য পান করতো, এই রেফারেন্স দিয়ে কি বুঝাতে চাচ্ছি তা বুঝতে পারছেন না!!!

মুয়াবিয়া মদ্যপান করে মহাপাপ করেছে। মহানবী (সা)-এর পরে সে সত্য পথ থেকে সরে গিয়েছিলো।

এটাই বুঝাতে চেয়েছি। হলো?

১২| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ২:০৬

আরইউ বলেছেন:




আপনার মূল লেখার বিষয়বস্তু তো মুয়াবিয়ার মদ্যপান নয়? আপনার মুল লেখার সূত্র চাচ্ছি - যা লিখেছেন তার নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক প্রমান। না দিতে পারলে বুঝে নেবো আপনি আগের মতই নিজে মনগড়া ইতিহাস লিখে ইসলামের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন।

১৫ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:২৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


আমি দুইটি বইয়ের রেফারেন্স দিচ্ছি, পড়ে দেখুন---

১) 'হযরত আলী (রা)', লেখক - মাওলানা মুজিবুর রহমান
২) কারবালা ও ইয়াজিদী চক্রান্ত - আল্লামা সাজ্জাদ হোসেন চিশতী সাবেরী, সাবেরীয়া প্রকাশনী, মোবাইল- ০১৭১২৪৪৫৭৯৭

১৩| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আর ইউ আপনাকে টার্গেট করেছে, মনে হয়।

১৪| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: বিখ্যাত মানুষদের সম্পর্কে লিখলে আমার মনে হয় তথ্য সুত্র দেয়া উচিৎ। কারন তারা এই মুহুর্তে ইতিহাস আর ইতিহাস সুত্র ছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ। উসমান ছিলেন সাহাবাকুলের মধ্যে সব থেকে ধনী ও দান বীর। নবী মুহাম্মাদের দুই কন্যা উসমান বিয়ে করেছিলেন এবংং অফসস করে বলেছিলেন তার আরো কন্যা থাকলে তিনি তাকেও উসমানের সাথে বিয়ে দিতেন। তাকে উদ্দেশ্য করে আবু জার এমন কথা বলতে পারেন ভাবতে কষ্ট হয়।

১৫| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৪৪

বিটপি বলেছেন: মুয়াবিয়ার মদ্যপান নিয়ে কারো কোন মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু আপনি আশারায়ে মুবাশ্বারাদের অন্যতম, দুই নূরের অধিকারী উসমান (রা) সম্পর্কে পরোক্ষভাবে অপবাদ দিচ্ছেন যে তিনি নাকি সম্পদ পুঞ্জীভূত করে রাখতেন। আমি এবং ব্লগার আর ইউ - দুইজনেই এই ব্যাপারে জোরালো প্রমাণ চাচ্ছি। বিদায় সংবর্ধনায় আলী (রা) আবুযরকে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তারও ঐতিহাসিক দলিল চাই। রেফারেন্স না দিতে পারলে প্লীজ এইসব বালছাল লেখা নিয়ে ভবিষ্যতে কাইজা করতে আসবেন না।

১৬| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:৪১

জাহিদ হাসান বলেছেন: উষ্ট্রের যুদ্ধ, সিফফিনের যুদ্ধ, কারবালার যুদ্ধে মুসলমানের তরবারিতে মুসলমানের রক্ত ঝরেছে। তখন ছিল ইসলামি শাসনের শ্রেষ্ঠযুগ, সাহাবাদের যুগ, খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগ।

১৭| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:০২

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার কাছে রেফারেন্স নাই বললেই তো প্যাচাল কমে যায়। এক মিথ্যা ঢাকতে শত মিথ্যা আপনাকে বলতে হচ্ছে। আর অনুরোধ থাকবে এইরকম গাঁজাখুরি লেখা নেক্সট টাইম না লেখার জন্য।

১৮| ১৫ ই মে, ২০২২ সকাল ১১:০৪

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার কাছে রেফারেন্স নাই বললেই তো প্যাচাল কমে যায়। এক মিথ্যা ঢাকতে শত মিথ্যা আপনাকে বলতে হচ্ছে। আর অনুরোধ থাকবে এইরকম গাঁজাখুরি লেখা নেক্সট টাইম না লেখার জন্য।


(ব্লগে সিন্ডিকেটগিরি কারা করে বুঝা যাচ্ছে। মিঃ গাজির কি স্বার্থ এখানে?)

১৯| ১৫ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @আরইউ, আপনার ১১ নং মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আমিও সন্ধানে ব্রতী হলাম।

আসলেই কি কোন সূত্র আছে কিনা?
যা পেলাম তুলে ধরলাম- দেখুন তৃষ্ণা মেটে কিনা।


হযরত আবু যর গিফারী রাদিয়াআল্লাহু আনহু এবং হযরত মুয়াবিয়া রাদিয়াআল্লাহু এর মাঝে كنز الذهب والفضة এর মাসআলাটি নিয়ে ইখতেলাফ হয়েছে । ইমাম বুখারী সহীহ বুখারীতে লিখেন, হযরত যায়েদ ইবনে ওয়াহহাব রাদিয়াআল্লাহু বলেন, আমি মদীনা মুনাওয়ার যাবাযা জায়গা দিয়ে অতিক্রম করছিলাম। তখন হযরত আবু যর রাদিয়াআল্লাহু আনহুকে দেখে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তোমার এই অবস্থা কেন! কোন জিনিস তোমাকে এখানে তোমাকে নামিয়ে এনেছে?

তখন হযরত আবু যর রাদিয়াআল্লাহু আনহু বলেছিলেন, আমি সিরিয়াতে ছিলাম, সেখানে হযরত মুআবিয়া রাদিয়াআল্লাহু আনহুর সঙ্গে আমার كنز الذهب والفضة আয়াতটি নিয়ে মতবিরোধ হয়েছে। হযরত মুআবিয়া বলেন এই আয়াতটি আহলে কিতাবদের জন্য নাজিল হয়েছে। আর আমি বলেছি এটি আমাদের জন্য এবং তাদের জন্য নাজিল হয়েছে।

এই নিয়ে তার সঙ্গে আমার বাদানুবাদ হয়। তারপর তিনি আমার বিরুদ্ধে হযরত উসমান রাদিয়াআল্লাহু আনহুর কাছে চিঠি লিখেন। হযরত উসমান চিঠি পেয়ে আমার নামে ফিরতি চিঠি পাঠান। তিনি আমাকে মদীনায় তলব করেন। মদীনায় এলে তিনি আমাকে বলেন, তুমি চাইলে এখানে থাকতে পারো, আর যদি চাও তাহলে দূরে কোথাও চলে যেতে পারো! এই হলো সেই কারণ, যা আজকে আমাকে এই অবস্থায় নামিয়ে এনেছে। আমি কসম করে বলছি, যদি একজন হাবশি গোলামকেও আমার আমির নিযুক্ত করা হয়, তাহলে আমি তার আনুগত্য করবো।

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াআল্লাহু আনহু শিয়াদের বিরুদ্ধে উমাইয়া শাসনের অনেক কাজে নিজেও নমনীয় ছিলেন। এরপর তার সামনে উমাইয়া শাসনের অনেক বিচ্যুতি পরিলক্ষিত হয়, কিন্তু তিনি চুপ থাকেন। এরপর উমাইয়া শাসনের শেষার্ধে তিনি মুখ খুলেন, বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের থেকে দুটি পাত্র সংরক্ষণ করেছি। তার একটি প্রকাশ করেছি, আর দ্বিতীয়টি প্রকাশ করি নি। যদি করতাম, তাহলে আমাকে হত্যা করা হত !

ইবনে হাজার আসকালানি এই হাদিসটির শরাহ করতে গিয়ে বলেন, উলামায়ে কেরাম হাদিসের আরো একটি পাত্র বহন করেছিলেন, যেখানে জালেম আমির উমারাদের নামধাম, তাদের অবস্থা ও সময়কাল সম্পর্কে বলা ছিল, কিন্তু হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াআল্লাহু আনহু নিজের জীবনের উপর শঙ্কিত হয়ে সেগুলো বলা থেকে বিরত থেকেছেন। তিনি বলেছেন, أعوذ بالله من رأس الستين وإمارة الصبيان

এখানে তিনি ইয়াযিদ ইবনে মুআবিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। কেননা সে হিজরতের ষাটতম বছরে খলিফা নিযুক্ত হয়। আল্লাহপাক হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াআল্লাহু আনহুর দুআ কবুল করে নিয়েছিলেন। ইয়াযিদের ক্ষমতারোহনের একবছর পূর্বেই তিনি ইন্তেকাল করেন।

২০| ১৫ ই মে, ২০২২ দুপুর ২:২৩

আরইউ বলেছেন:




@বিদ্রোহী, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনার মন্তব্য পড়ে আমি যা বুঝতে পারছি তা হচ্ছেঃ এই পোস্টের লেখক যা লিখেছেন তা আধা সত্য। আবু যর-কে অপশন দেয়া হয়েছিল। তিনি চাইলে মদিনায় থাকতে পারতেন অথবা দূরে কোথায় যেতে পারতেন। তিনি পরের অপশন গ্রহন করেন। উল্লেখ্য আপনার দেয়া তথ্যের সাথে আমি যে বইটা গতরাতে পড়লাম তার কিছুটা মিল আছে। সেখানে বলা আছে ”... Uthman asked him to come to Madinah. At Madinah he was also critical of the people's pursuit of worldly goods and pleasures and they were critical in turn of his reviling them. Uthman therefore ordered that he should go to Rubdhah, a small village near Madinah. There he stayed far away from people, renouncing their preoccupation with worldly goods and holding on to the legacy of the Prophet and his companions in seeking the everlasting abode of the Hereafter in preference to this transitory world.“ সুত্রঃ Companions Of The prophet By Abdul Wahid Hamid। মূল বইটা পাইনি তবে এই পিডিএফের ৩২/৩৩ নং লাইন দু‘টি দেখুন।

তাহলে, তাকে মদিনা থেকে বের করে দেয়ার যে দাবী করা হচ্ছে তা সঠিক মনে হচ্ছেনা। তাহলে, ওনার পোস্টের লেখার ধরণ দেখে যে মনে হচ্ছিল “এক্সাইলের পর উনার যাত্রার সময়ে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন” এটাও মনে হচ্ছেনা সত্য।

পোস্টের লেখক আরো যে দাবীগুলো করেছেন তার নিরপেক্ষ কোন দালিলিক প্রমান এখন পর্যন্ত তিনি দিতে পারেননি। দেখি অপেক্ষা করে।

২১| ১৫ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১

তানভির জুমার বলেছেন: শিয়াদের বানানো ইতিহাস না পড়ে, সঠিক ইতিহাস পড়েন। আপনি এই পোষ্টে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।

১৫ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৩৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


১২ নং কমেন্টের উত্তরে আমি যে বই দুটির রেফারেন্স দিয়েছি, সে দুটো বইয়ের লেখক শিয়া??!!

আর, শিয়া কথাটার অর্থ জানেন?

২২| ১৫ ই মে, ২০২২ রাত ৯:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @আরইউ ------------ “এই পোস্টের লেখক যা লিখেছেন তা আধা সত্য। আবু যর-কে অপশন দেয়া হয়েছিল। তিনি চাইলে মদিনায় থাকতে পারতেন অথবা দূরে কোথায় যেতে পারতেন। তিনি পরের অপশন গ্রহন করেন। ”

বিষয়টি এমন নয়। বিষয়টি পূর্নসত্যই বটে।
কারণ প্রথমত সিরিয়া থেকে উনাকে ডেকে আনা হলো মদিনায়। এবং উনার মূল দাবীতে খলিফা ভিন্নমত পোষন অব্যহত রাখলেন,
এবং খলিফার মতে একমত না হলে উনাকে অন্যত্র যাবার প্রস্তাব কি প্রকারান্তরে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা নয়?
অথচ আবু যর রা: সত্য ছিলেন এবং উনি তাই ২য়টাই বেছে নিলেন- সত্যকে ভালবেসে।

তাই পরে যা বলেছেন- “তাহলে, ওনার পোস্টের লেখার ধরণ দেখে যে মনে হচ্ছিল “এক্সাইলের পর উনার যাত্রার সময়ে অসহায় অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন” এটাও মনে হচ্ছেনা সত্য।” এই শংকাও দূর করে নিতেই পারেন।
কারণ হয় তোমার মত অস্বীকার কর নয় স্থান ত্যাগ করো অপশনটাতো মূলত ভদ্র ভাষায় গলাধাক্কাই। নয় কি? এবং রাসূল সা: এর ভবিষ্যৎবাণীও এমনই ছিল। সত্য মিথ্যার লড়াইয়ে আবু যর রা: একাকী নি:সংগ হয়ে পড়বে এবং এ অবস্থাতেই শহীদ হবেন। ইতিহাস প্রমাণ করে তাই হয়েছিল।

আর একটা বিষয় খুব সিম্পলী মিলালেই অনেক জট কেটে যায়। আমাদের দেশের ইতহিাসের দিকে তাকান। যখন যে দল ক্ষমতায় সে দলের অনুকুলে ইতিহাসে সব বদলে যায়। বাকী সব মুছে দেয়া হয়। শুধু আমাদের বলে নয়, সব খানেই মোটামুটি ইতিহাস বিজয়ীরাই লেখে। ফলে বিজিতের কথা যথাযথ আসে না। খিলাফতের অবসানের পর দীর্ঘ সময় উমাইয়া আব্বাসিয় পালাবদলে আহলে বাইত বরাবরবই কোনঠাসা ছিল। যদিও উনারাই ছিলেন কোরআন স্বীকৃত একমাত্র সত্যের হকদার। কিন্তু আহলে বাইতের ১১ জন ইমামের সকলকেই বারবার ষড়যন্ত্র আর ছলনার মাধ্যমে শহীদ করা হয়েছে। তাই ইতিহাসেও তাদের যথাসম্ভব ধামাচাপা দেয়ার নিরন্তর চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ যাকে ভাসান তাকে কেউ ডোবাতে পারে না। তাই ইতহাসে বারবার আলহে বায়াতের প্রেমিকেরা সেই সত্যকে জাগরুক রাখার চেষ্টা করেছেন, করবেন।

আসলে ইসলামের ইতিহাসে এই পর্ব গুলো মারাত্বক স্পর্শকাতর। সত্য আর মিথ্যার ফায়সালার চূড়ান্ত রুপ দেখি কারবালায়।
যা ছিল পূর্বাপর সকল অনিয়মের অনিবার্য চূড়ান্ত পরিণতি। এবং কারবালাতেই সত্য আর মিথ্যা স্পষ্ট হয়েছে। যারা ইয়াজিদের পক্ষাবলম্ন করেছে তারা মিথ্যার ধারক এবং যদিও তাদের দড়ি,টুপি, নামাজ সবই ছিল তারা আর মুসলিম ছিলো না।
এই ফায়সালা আমার নয়। ইমাম হোসাইন আ: এর। উনি তাঁর শেষ ভাষনেই এই সত্য মিথ্যাকে স্পষ্ট এবং পৃথক করে দিয়ে গেছেন নিজের জীবন দিয়ে । শাহীদ হয়ে।

এখন যে ইমাম হোসাইনের পক্ষে থাকলো সে মুসলিম। যে থাকলো না সে মুসলিম নয়।
খুব সরল এবং স্পষ্ট বিভাজন। এবং চরম সত্যিও তাই।

২৩| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১২:৫৬

জাদিদ বলেছেন: @আর ইউঃ
ধন্যবাদ আমার একটি উক্তি এখানে যুক্ত করার জন্য। ব্লগে ইসলাম নিয়ে বিশেষ জ্ঞান রাখেন এমন একজন ব্লগার বলেছিলেন, - উইকি পিডিয়ার তথ্য নাকি ইসলামের জন্য গ্রহনযোগ্য না। আপনার মন্তব্যর পর যদি তিনি যে কোন নিক থেকে যদি আবারও সেই মন্তব্যটি করতেন তাহলে নৈতিকতার বিষয়টি আরো প্রতিষ্ঠিত হতো। আমি নিশ্চিত উক্ত ব্লগার অন্য যে কোন ভাবেই হোক এই পোস্টটি পড়েছেন। যাইহোক, নিজের পক্ষে আসলে অনেক কিছুই সহি হয়।

তবে, আপনার পদ অনুসরন করে, আমি উইকির রেফারেন্স দেখলাম, সেখানে খলিফা উসমানের সময়ে প্রথম মুয়াবিয়ার সাথে হযরত আবু যর রাঃ এর বিরোধিতার কথা উল্লেখ্য আছে। শুধু তাই নয় আরো অনেক বইতে এই সম্পর্কিত কিছুটা আভাস পাওয়া যায়। এতে কোন সন্দেহ নেই হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর মৃত্যূর রাজনৈতিক ও ক্ষমতার প্রেক্ষাপটে অনেক কিছুই ইসলামে পরিবর্তিত হয়েছে। এখন কি কি পরিবর্তন হয়েছে তা তো আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়, তাই জানার জন্য পড়াশোনা করতে দোষের কিছু নেই।

উইকির ব্যাপারে একটু যোগ করি - উইকি গল্প বা কবিতার বই নয়। এখানে রেফারেন্স ছাড়া কিছু যুক্ত হয় না। আমি যা বললাম, সেটার ব্যাপারেও রেফারেন্স আছে।


আমি মনে করি, এই বিষয়ে চাইলে আগ্রহী ব্লগাররা পড়াশোনা করতে পারেন। এই বিষয়ে সকলের জানা শোনার সুযোগ আছে। পাশাপাশি,এটা আমার ব্যক্তিগত কমেন্ট। সমস্যা হচ্ছে, বাংলাদেশ ছাগল উৎপাদনে পৃথিবীর সেরা হবার পর বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল এখানে সেখানে চরে বেড়াচ্ছে। ফলে ব্লগও বিপদমুক্ত নয়। তাই অনেকেই আবার মনে করতে পারেন আমি ইসলাম বিষয়ে কোন মতামতকে নিজের বলে চাপিয়ে দিচ্ছি। আমি শ্রেফ একটি সম্ভবনার কথা বলেছি।

পোস্টদাতার উচিত ছিলো, পোস্টের নিচে তথ্য সুত্র যুক্ত করা এবং এই বিষয়ে প্রচলিত দুইটি মতবাদই পোস্টে যুক্ত করে দেয়া।

আপনি আগ্রহী হলে, এই বিষয়ে পড়াশোনা করে একটা পোস্ট দিতে পারেন। আমিও চেষ্টা করতে পারি।

২৪| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ১:১৩

জাদিদ বলেছেন: সকলের পড়ার সুবিধার্থে এই লিংকটি যুক্ত করলাম। যদি এখানে এমন কিছু পাওয়া যায়, যা অনেক প্রচলিত ধ্যান ধারনাকে ভেঙ্গে দেয়, তাহলে এই সাইটিকে শিয়া বা অন্য কারো ষড়যন্ত্র হিসাবে চালিয়ে দেয়া যেতে পারে। এতে আশা করি ঈমান ও ধর্ম রক্ষা পাবে।

আর যারা সত্যিকার পড়াশোনা করতে চান, জানতে চান - তাদের প্রতি পূর্ন সমর্থন রইল। তারা যেন সঠিক তথ্য আমাদের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়। আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।

২৫| ১৬ ই মে, ২০২২ সকাল ৮:৪৪

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: মূলত সবই হচ্ছে ক্ষমতার কামড়া কামড়ি। ক্ষমতা মানুষকে লোভী বানায়। উষ্ট্রের যুদ্ধ, নাহরাওয়ানের যুদ্ধ, সিফফিনের যুদ্ধ, কারবালার যুদ্ধ -- সবই হয়েছিল ক্ষমতা পাওয়ার লোভে। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাই শেষ কথা , তন্ত্র যেটাই হোক।

২৬| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

আরইউ বলেছেন:



@বিদ্রোহী,
এখানেই সমস্যা। আমার আর আপনার ইন্টারপ্রিটেশন মিলবেনা। সো, লেটস এগ্রি টু ডিসএগ্রি।

২৭| ১৬ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

আরইউ বলেছেন:



@জাদিদ,
অসংখ্য ধন্যবাদ। সত্যপথিক এর আগের পোস্টগুলো এবং এই পোস্ট পড়ে আমার মনে হয়েছে উনি ইসলামের বিশেষ একটি শাখার প্রতি বায়াসড। এটা দোষের কিছু না। আমি তাকে প্রথম যে মন্তব্যটি করি তার উদ্দেশ্যই ছিল বলা যে ওনার মতবাদের বাইরেও আরেকটি মতবাদ প্রচলিত আছে। আমি অনেস্টলি জানতে চেয়েছিলাম ওনার দাবীর ঐতিহাসিক ভিত্তি কী।

দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে এই তথ্য দিতে সত্যপথিকের স্বদিচ্ছার অভাব রয়েছে মনে হয়েছে। এর কারণ হতে পারে অন্ধ বিশ্বাস, অথবা উনি বিষয়গুলো গভীরে জানেননা; বিস্তারিত না জেনে শোনা কথা লিখে যান। অথবা উনি জানেন, ইচ্ছে করেই বিস্তারিত বলেন না।

ব্লগার বিদ্রোহীকে ধন্যবাদ তার ১৯ নং মন্তব্যের জন্য। উনি সহীহ বুখারী থেকে কিছু তথ্য দিয়েছেন যা আমার জানামতে এসব ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ রিলায়েবল ও নিরপেক্ষ দলিল হিসেবে বিবেচিত হয়। ওনার দেয়া তথ্যের সৌন্দর্য হচ্ছে ঐ তথ্যে কাউকে ডেমনিক বা ভিলেনাস হিসেবে প্রেজেন্ট করা হয়নি। কোন ঘটনার ভিন্ন ভিন্ন মতবাদ থাকলে একজন রেসপনসিবল ব্লগারের দায়িত্ব সবগুলো মতবাদই তুলে ধরা যেন আমার মত সাধারণ পাঠক মতের ভিন্নতা যে আছে তা জানতে পারে, এবং প্রয়োজনে নিজের মত করে আরো পড়ে দেখতে পারে।

এই পুরো পোস্টে এবং মন্তব্যে সবচেয়ে দামী কথাটা বলেছেন আপনি (তেল নয়, আই মিন ইট)ঃ "আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।" ঐসময়ে ঠিক কী ঘটেছিল তা আমরা ১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারবোনা। আবু যর একজন কঠোর নীতিবান মানুষ ছিলেন এ বিষয়ে কোন ভিন্নমত সম্ভবত নেই। সাধারণ দৃষ্টিতে দেখলে একটা রাষ্ট্র্র পরিচালনায় একজন রাষ্ট্রনায়ককে অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। উসমান ঠিক কারণে ঐরকম কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আমরা জানিনা। সম্ভবত শতভাগ সত্য জানা আজ আর সম্ভব নয়। তাই "আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন।"

উইকি বিষয়ে--
একদম প্রথাগত সায়েন্টিফিক রিসার্চে উইকির তথ্য রিলায়েবল না তবে উইকি প্রাথমিক তথ্যের জন্য অসাধারণ একটা সোর্স। এটা নিয়ে নাক সিটকায় যারা তারা আসলে উন্নাসিক প্রকৃতির লোক। আবার একদল আছে যারা উইকির তথ্যই সত্য বলে মেনে নেয়। এদের সমস্যা এরা উইকির তথ্যের ক্রস রেফারেন্সিং করতে জানেনা।

এই বিষয়ে লেখার মত জানাশোনা আমার নেই তাই, আমি আপনার পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকবো (যদি আপনি সময় করে উঠতে পারেন)।

ভালো থাকুন। চিয়ার্স!

২৮| ১৬ ই মে, ২০২২ রাত ৮:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @আরইউ, ---------- সো, লেটস এগ্রি টু ডিসএগ্রি। :)

কোন দ্বিমত ছাড়াই একমত :)

ভিন্নমত থাকবেই। আর ভিন্নমত থাকে বলেইতো আলোচনা।
আসলে এই সব বিষয়ে জাজ করার সাহস, যোগ্যতা, প্রয়োজন কোনটাই বোধকরি নেই,
দরকারও নেই। শুধু জেনে নিজের পথের অন্ধকার দূর করে নিজের মুক্তির পথে চলার চেষ্টাই উত্তম।
কত ক্ষুদ্র আর ছোট্ট এই জীবন!!!!!

প্রার্থনা- সবাই সত্য এবং সুন্দরের সমুদ্র্রে অবগাহন করুন মুক্তিআনন্দে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.